সুপার কাপের ডার্বি(Kolkata Tderby) ড্র। আক্রমণের ঝড় তুললেও, গোল করতে ব্যর্থ অস্কারের(Oscar Bruzon) দল। অগোছালো ফুটবল খেলল মোহনবাগানও(MBSG)। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে লাল-হলুদ উচ্ছ্বাস। মোহনবাগানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেই সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছলে গেল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেও, এত সুযোগ নষ্ট কিন্তু অস্কারের(Oscar Bruzon) চিন্তা খানিকটা হলেও রেখেই দিল। অন্যদিকে হোসে মোলিনার প্রথম একাদশ বাছা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে। শিল্ড জয়ের পর সুপার কাপ পাখির চোখ হলেও, ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) কাছেই আটকে গেল মোহনবাগানের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। অন্যদিকে মরসুমের প্রথম ট্রফি জয়ের থেকে আর মাত্র দু ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল।
এদিন গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকেই নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। তাদের প্রয়োজন ছিল একটা ড্রয়ের। অন্যদিকে মোহনবাগানকে জিততেই হত। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই ভয়ঙ্কর আক্রমণ। দুই উইং দিয়ে মহেশ(Naorem Mahesh), বিপিনের(Bipin Singh) পারফরম্যান্স বারবারই সমস্যায় ফেলছিল মোহনবাগানকে(MBSG)। প্রথম ২৭ মিনিটের মধ্যেই দুটো সুবর্ন সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোহনবাগানের জালে জড়াতে পারেনি।
মিগুয়েলের(Miguel) বাড়ানো বল বিপিন মাথায় ছোঁয়ালেও, তা বারে লেগেই ব্যর্থ হয়। মোহনবাগানের(MBSG) মাঝমাঠ সেভাবে আক্রমণের বিল্ডআপটাই করতে পারেনি। বরং বারবার ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ সামাল দিতেই ব্যস্ত ছিলেন অলড্রেড, রডরিগেজরা। যে লিস্টন(Liston Colaco) মোহনবাগানের উইংয়ে প্রধান ভারসা। প্রথমার্ধে বারবারই ব্যর্থ হতে দেখা গেল তাঁকে। ম্যাকলরেনও(Jamie Maclaren) সেভাবে কোনওরকম প্রভাব দেখাতে পারেননি। বরং উল্টো দিকে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) বারবারই হানা দিচ্ছিল মোহনবাগান বক্সে। মহেশ, হামিদ,মিগুয়েলরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতেই পারত।
বিরতির পর থেকেই ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা ছিল মোহনবাগান। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের দাপটই ছিল বেশি। ম্যাচের বয়স যখন এক ঘন্টা সেই সময় থেকেই মোহনবাগান পরপর কামিন্স, দিমিত্রিদের মাঠা পাঠাতে শুরু করে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে তারা চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও, বারবারই আটকে যাচ্ছিল।
তবে রবসন রোবিনহো নামার পর মোহনবাগান দুটো ভালো সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু জালে জড়াতে পারেনি। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের পাল্টা আক্রমণও ছিল দেখার মতো। হামিদের শট কাইথের হাতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্ণার থেকে জয় গুপ্তার জোড়ালো হেড, কিন্তু সেটাও আটকে দিলেন বিশাল কাইথ। তারই মাঝে হিরোশি এবং বিষ্ণুকে মাঠে নামিয়ে দিয়োছিলেন অস্কার। হিরোশির বাড়ানো বল বিষ্ণু যদি কাজে লাগাতে পারতেন, ডার্বির মঞ্চে একমাত্র গোলদাতা হিসাবে থাকতেই পারতেন তিনি। শেষ কিছুক্ষণ ইস্টবেঙ্গলের সময় নষ্টের খেলা। রেফারির বাঁশি বাজতেই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল।






