সুদীপ পাকড়াশীঃ
আশিয়ান কাপ জয়ী ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি, দেবজিৎ ঘোষ। জাতীয় দলের হয়েও নিয়মিত খেলেছেন। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে সেই দেবজিৎ ঘোষের কোচিংয়েই রেনবো অ্যাসোস সদ্যসমাপ্ত কলকাতা লিগে পাঁচ নম্বরে শেষ করেছে। দক্ষ ফুটবল বিশ্লেষক, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ স্পষ্টবক্তা হিসেবে তার যেমন সুনাম, সেরকম ‘তথাকথিত’ ফুটবল সমাজে দুর্নামও অর্জন করেছেন তিনি। তাতেও তিনি অবিচলিত।
শুক্রবার সুপার কাপে কলকাতা ডার্বিতে, মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ড্র করেও টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দেবজিতের মনে হচ্ছে দলকে ম্যাচ জিততে হবে। না হলে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে না। অন্তত এই মরশুমের আইএসএলের পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসের প্রভাব দেখা যাবে না।
“গত কয়েক মরশুমে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার দিকে তাকালে আমার পর্যবেক্ষণ, এবছর দল খাতায় কলমে ‘অপেক্ষাকৃত’ শক্তিশালী। ভারসাম্য বেশি। দলে যোগ দেওয়া নতুন বিদেশি ফুটবলারদের গুণগত মানও ভাল। বিশেষত মিগুয়েল ফেরেরার খেলা বেশ ভাল লেগেছে। বল ধরে রাখতে পারে। ডিস্ট্রিবিউশন ক্ষমতাও উন্নত। শুধু আমার মনে হয়েছে, সল ক্রেসপোর পরিবর্তে একজন আরও দক্ষ ‘ডিফেন্সিভ ব্লকার’ আনা উচিত ছিল। কিন্তু এত কথার পর আপ্তবাক্য একটাই য, ইস্টবেঙ্গলকে ম্যাচ জিততে হবে। আইএসএলের দিকে তাকালে বলব, কয়েকটা ম্যাচ জিতলেই দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা তৈরি হবে,” শনিবার প্যারালাল স্পোর্টসকে বললেন দেবজিৎ।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সংবিধান, এফএসডিএলের পাশাপাশি ফেডারেশনের টেন্ডার দিয়ে নতুন কর্পোরেট অংশীদার খোঁজার প্রচেষ্টা-দেবজিতের আদৌ মনে হচ্ছে না এই প্রচেষ্টায় ভারতীয় ফুটবল ভবিষ্যতে আশার আলো দেখবে। “ফেডারেশন নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল। যা হচ্ছে সবই লোকদেখানো বলে মনে হচ্ছে। আপনার আগামি পাঁচ বছরের কোনও গঠনমূলক প্রোজেক্ট আছে কি? ৪৭-এর ভিশন দেখিয়ে আপনি কাউকে আনতে পারবেন না। তাই বলি, এফএসডিএল যদি ভারতীয় ফুটবলের পাশে থাকে তাহলেই আমাদের ফুটবল ঠেলাগাড়ির মত হলেও হাঁটবে।”
সিনিয়র ন্যাশনাল দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রাক্তন জাতীয় ডিফেন্ডারের মত, “ভবিষ্যতের জন্য আমাদের জাতীয় ফুটবলারদের কি কোনও ব্যাঙ্ক করা হয়েছে? নতুন প্রতিভাবান ফুটবলারদের না খুঁজে, তাদের না গ্রুম করে সুনীল ছেত্রীকে ফিরিয়ে আনা হল। কেন? নৌশাদ মুসা, বিবিয়ানো ফার্ণাডেজের দল থেকে ফুটবলার বেছে কেন তাদের সিনিয়র দলের জন্য গ্রুমিং করা হয় না? তাই ফলও সেরকম হবে।”






