পাঞ্জাবের মোগা নামের ছোট্ট শহরের নাম ক’জন জানেন? এই শহরটি প্রথমবার সবচেয়ে বেশি চর্চায় এসেছিল ২০১৭-য়। ইংল্যান্ডে মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ১৭১ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন মোগা থেকে উঠে আসা এক মেয়ে। ভারত ফাইনালে জিততে পারেনি। কিন্তু মোগার সেই মেয়ের ওপর ভারতের ক্রিকেট সমাজের সার্চলাইট পড়ে সেদিন থেকেই। তিনি হরমনপ্রীত কৌর, যার ক্রিকেট অভিযান শুরু হয় কোমরে ওড়না বেঁধে ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে! বলছেন তার শৈশবের কোচ কমলদীশ পাল সোধি।
“তখন ওর বয়স ১৬। মোগায় তখন মেয়েদের ক্রিকেটে আসার চল শুরু হয়নি। কিন্তু হরমনপ্রীতের প্রচণ্ড ভালবাসা খেলার প্রতি। কোমরে ওড়না বেধে নেমে পড়ত ছেলেদের সঙ্গেই ক্রিকেট খেলতে। ছেলেদের মারা শক্তিশালী ড্রাইভ আটকাতে গিয়ে কতবার চোটও পেয়েছে। কিন্তু মাঠ ছাড়েনি,” বলেছেন কমলদীশ। হরমনপ্রীতের প্যাশন দেখেই কমলদীশ ভর্তি করে নেন হরমনপ্রীতকে নিজের কোচিং সেন্টারে।
কিন্তু মেয়ের বাবার যে আর্থিক সামর্থ্য ছিল না ক্রিকেট কোচিং দেওয়ার। কমলদীশ আশ্বস্ত করেছিলেন তাঁর কোচিংয়ে ভর্তি হতে কোনও টাকা লাগবে না। এমনকী প্রত্যেকদিন হরমনপ্রীতকে বাড়িতে ছেড়ে দেবেন। সেভাবেই শুরু হয়েছিল বিশ্বজয়ী ভারতীয় অধিনায়কের ক্রিকেট সফর। তাই হয়ত রবিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকেও অশ্রুসজল হরমনপ্রীত বলতে ভোলেননি, “আমার বাবাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। জনসমর্থনের জন্যও ধন্যবাদ। উত্থানপতনে এভাবে আমাদের পাশে থাকার জন্য। আমরা এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এবার জয়টাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।”
প্রশ্ন উঠেছিল, শেফালি বর্মাকে বোলিংয়ে আনার পেছনের কারণটা জানানোর জন্য। হরমনপ্রীত বলেছেন, “শেফালি ব্যাটিং ভালো করেছে। আমি জানতাম আজ ওর দিন। আমার মন বলছিল, ওকে একটা ওভার দেওয়া উচিত। সেটাই কাজে লেগে গেল।”






