বিপিনের(Bipin Singh) জোড়া গোল। গোল পেলেন কেভিন, হিরোশিও(Hiroshi Ibusuki)। তবে ইস্টবেঙ্গলের ঘুরে দাঁড়ানোর এই লড়াইয়ে নায়ক কিন্তু নওরেম মহেশ(Naorem Mahesh)। প্রথমার্ধ থেকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত যেভাবে একের পর এক আক্রমণ তিনি তৈরি করলেন, তাতে অস্কারের বাজি যে এদিন মহেশ ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জিতল অস্কারের(Oscar Bruzon) লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) শিবিরে ফিরল স্বস্তিও। এবার সামনে ডার্বি সেখানে জিততে পারলেই পরের রাউন্ড কার্যত পাকা লাল-হলুদ ব্রিগেডের।
ডেম্পোর বিরুদ্ধে ড্র করে খানিকটা চাপে থেকেই মাঠে নেমেছি ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। গত ম্যাচে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন অস্কারের(Oscar Bruzon) প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন মিগুয়েল এবং প্রভসুখন গিলও। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই লাল-হলুদের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন নাওরেম মহেশ(Naorem Mahesh)।
শুরুর দিকে কিছুক্ষণ একটু অগোছালো। যদিও সেই সময় থেকেই সুযোগ তৈরি করা শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এরপর ম্যাচের সময় যত এগোয় ততই চেন্নায়িন রক্ষণের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড। একদিক থেকে মহেশ(Naorem Mahesh)। লেফট উইং থেকে বিপিন সিং(Bipin Singh)। তবে এদিন রশিদ এবং মিগুয়েল খানিকটা নিস্প্রভ ছিল। ম্যাচের আধ ঘন্টা হওয়ার আগেই সুযোগ চলে এসেছিল। তবে গোল হয়নি। ৩৫ মিনিটের মাথাতেই প্রথম সাফল্য। মহেশের(Naorem Mahesh) বাড়ানো বল থেকে কেভিনের(Cavin) দুরন্ত হেড।
কিছুক্ষণের মধ্যে ফের একটা আক্রমণ। এবারও সেই মহেশেরই সাজানো পাস, যা জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি বিপিন সিং। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে আবারও বিপিনের গোল। এবারও অ্যাসিস্টের তালিকায় নাম সেই মহেশের। বিরতির পরও ইস্টবেঙ্গলের চাপই ছিল বেশী। চেন্নাই ঘর সামলে সেভাবে আক্রণে যাওয়ার সুযোগই করতে পারেনি। বরং একটু অতিরক্ষণাত্মকই ছিল তারা।
দ্বিতীয়ার্ধেই আসেন হিরোশি ইবুসুকি। মিগুয়েলের বাড়ানো পাস থেকে তিনি গোলটি পেয়ে গেলে, এদিন ম্যাচের সেরা গোল যে সেটি হতেই পারত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও তা হয়নি। তবে শেষের দিকে সেই হিরোশিই হাসিল করে নেন পেনাল্টি। গোলও করেন তিনি। ৪ গোলে ম্যাচ জয় যে ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে তা বলাই যায়।






