অবশেষে চাপ কাটিয়ে খানিকটা মুক্ত বাতাস। ডার্বি ড্র করে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে। মোহনবাগানের বিদায় ঘটিয়েছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এরপরই ড্রেসিংরুমে গিয়ে সাপোর্ট স্টাফ সহ প্রতিটি ফুটবলারদের ধন্যবাদ জানালেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। তিনি যে চাপ কাটিয়ে অবশেষে এখন খানিকটা স্বস্তিতে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন এই তারকা কোচ। এরপরই ফুটবলারদের দিলেন দীর্ঘ ছুটিও।
শিল্ডের ফাইনালে ডার্বি হারের পর থেকেই অস্কারের ওপর যে চাপ বাড়তে শুরু করেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই আগুনেই ঘি ঢেলেছিল সন্দীপ নন্দীর(Sandip Nandy) সঙ্গে ঝামেলা এবং তার গোলকিপার কোচের পদ থেকে সরে যাওয়া। সেই নিয়ে বঙ্গ ফুটবল মহলে বিতর্ক তুঙ্গে পৌঁছেছিল। চলছিল জোর সমালোচনা। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন খোদ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)।
চাপটা তখন থেকেই বেড়ে গিয়েছিল। এরপর যখন ফের একটা ডার্বির(Kolkata Derby) সামনে পড়ে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal), চাপটা দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছিল অস্কারের। সেই কথাটাও যে ফুটবলারদের তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। ইস্টবেঙ্গলের শুরু থেকেই ছিল ভয়ঙ্কর আক্রমণ। গোল করতে না পারলেও শেষপর্যন্ত ড্র করে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দল।
কোচের মুখ রেখেছেন ফুটবলাররা। ড্রেসিংরুমে ফিরেই তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানালেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। সাপোর্ট স্টাফ থেকে ফুটবলারদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এরপরি সকলকে লম্বা ছুটির নির্দেশ অস্কার ব্রুজোঁ।
হিরোশির(Hiroshi Ibusuki) পরিবার আসবে বলে তিনি কলকতায় থাকবেন। তেমনই আবার রশিদও(Mohammed Rashid) এখানেই থাকছেন। কিন্তু বাকি বিদেশিরা ফিরে যাচ্ছেন। শহরে ফেরার পরই ছুটি কাটাতে চলে যাবেন কেভিন, মিগুয়েলরা। আপাতত বেশ কয়েকদিনের ছুটি। সেমিফাইনালের দিন ঘোষণা হলেই ফের ডাক পড়বে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের।






