দুরন্ত সামি, প্রথম ম্যাচেই ছয় পয়েন্ট বাংলার

দুরন্ত মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। মুখের পর এবার মাঠ থেকে প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরকে(Ajit Agarkar) জবাবটা দিলেন মহম্মদ সামি(Mohanmmed Shami)। একাই তুলে নিলেন দুই ইনিংস মিলিয়ে সাত উইকেট। উত্তরাখন্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ম্যচেই ছয় উইকেট তুলে নিল বাংলা। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ(Abhimanyi Easwaran)। ম্যাচ শেষেই মহম্মদ সামিদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন বঙ্গ অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এই পিছনে যে দলের বোলারদের কৃতিত্ব অনেকটাই তা বলতে দ্বিধা করলেন না বাংলার তারকা অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত অভিমন্যু ঈশ্বরণ(Abhimanyu Easwaran) জানালেন, “মরসুমের প্রথম জয়। সেইসঙ্গে প্রথমেই ছয় পয়েন্ট। শুরুটা আমরা ভালোভাবেই করতে পারলাম। এদিন আমাদের বোলাররাও দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। তাদের হাত ধরেই কার্যত আমরা কামব্যাক করি। সামি, সূরজরা অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন। প্রথম ম্যাচেই ছয় পয়েন্ট পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি”। প্রথম ইনিংসে ভালো ভাবে না পারলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বেশ ছন্দে ছিলেন উত্তরাখন্ডের ব্যাটাররা। সেই জায়গা থেকেই মহম্মদ সামির(Mohammed Shami) দুরন্ত পারফরম্যান্স বাংলাকে ম্যাচে ফেরায়। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। সঙ্গে দুটো করে উইকেট ঈশান পোড়েল(Ishan Porel) এবং আকাশদীপের(Akashdeep)। তাদের হাত ধরেই ২৬৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল উত্তরাখন্ড। বাংলার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫৫ রান। সেখানেই প্রথম ইনিংসে না পারলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যাপ্টেন্স নক খেলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেইসঙ্গে সুদীপ ঘরামির ৪৬ রান। মাত্র দুই উইকেট খুইয়েই ম্যাচ জিতে নেয় বঙ্গ ব্রিগেড। রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচেই ৬ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা।
শ্রেয়সের টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কাটছে না চিন্তা

সময়টা সত্যিই ভালো যাচ্ছে না শ্রেয়স আইয়ারের(Shreyas Iyer)। ঘরের মাঠে অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামার কথা রয়েছে ভারতের। কিন্তু তার আগে অস্ট্রেলিয়া-এ(Australia-A) দলের বিরুদ্ধে শ্রেয়স আইয়ারের পারফরম্যান্স কিন্তু চিন্তা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে মাত্র আট রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে শ্রেয়স আইয়ারকে(Shreyas Iyer)। শ্রেয়সের এমন পারফরম্যান্সেই তাঁর ভারতীয় দলে কামব্যাক নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান গুঞ্জন। শেষবার ২০২৪ সালে ভারতের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকেই আর ভারতীয় দলে দেখা যায়নি এই তারকা ক্রিকেটারকে। মাঝে অবশ্য চোটের জন্য বেশ কয়েকদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেললেও টেস্টে কিন্তু দেখা যায়নি শ্রেয়সকে(Shreyas Iyer)। এই অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধেই নেমেছিলেন সাদা জার্সিতে। কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখতে পেলেন না শ্রেয়স। সাই সূদর্শন ৭৩ রানে আউট হওয়ার পরই এদিন মাঠে আসেন তিনি। শুরুটাই করেছিলেন একটা অসাধারণ বাউন্ডারি দিয়ে। কিন্তু সেই ফর্ম বেশিক্ষণ দেখাতে পারেননি। মাত্র ১৩ বল খেলেই থামতে হয় ভারতীয়-এ দলের অধিনায়ককে। কোরি রচিকোইয়ের বলেই এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরের রাস্তায় ফিরতে হয় শ্রেয়স আইয়ারকে। আর এই পারফরম্যান্সটাই কিন্তু তাঁকে টেস্ট দলে ফেরা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া দলিপ ট্রফিতেও একেবারে ফর্মে ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। দলিপের মঞ্চে শ্রেয়সের ব্যাট থেকে রান এসেছিল ২৫ এবং ১২। এরপরই ভারতীয়-এ দলের হয়ে মাঠে নেমছিলেন অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে। ম্যাচের ৫৯ তম ওভারে নেমেছিলেন তিনি। ৬৩ তম ওভারেই শেষ হয়েছিল শ্রেয়স আইয়ারের ইনিংস। আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার বাদ দিলে শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে কিন্তু সেভাবে বড় রানের ইনিংস দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত। সেই ম্যাচে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। এরপর থেকেই শ্রেয়সের ব্যাটে যেন রানের খরা। তবে শ্রেয়স আইয়ার বাদে বাকি ব্যাটারদের ব্যাটে কিন্তু রান এসেছে। বিশেষ করে অভিমন্যু ঈশ্বরণ(Abhimanyu Easwaran) এবং নারায়ন জগদীশন ওপেনিংয়েই তৈরি করেছিলেন ৮৮ রানের পার্টনারশিপ। এছাড়া ভারতীয়-এ দলের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান করেছিলেন দেবদূত পাড়িক্কল ৭৬। তাঁর পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ৭৩ করেন সাই সূদর্শন। এতকিছুর মধ্যেও চিন্তা শুধু একটাই। শ্রেয়স আইয়ারের পারফরম্যান্স।
ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল, সহঅধিনায়ক ঋষভ পন্থ, দলে বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণ, বাদ সামি

জল্পনার অবসান। ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল। সহঅধিনায়ক ঋষভ পন্থ। বাংলার জন্য ভাল খবর, দলে সুযোগ পেয়েছেন বঙ্গ ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। কয়েকদিন ধরে অধিনায়ক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। কে হবেন টেস্টে রোহিত শর্মার উত্তরসূরী সেটা নিয়ে জল্পনা চললেও শুরু থেকেই দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন গিল। জসপ্রীত বুমরা, কেএল রাহল, ঋষভ পন্থদের নাম নিয়ে আলোচনা চললেও গিল যে কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ ছিলেন, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শনিবার সরকারভাবে অধিনায়ক হিসাবে শুভমন গিলের নাম ঘোষণা করা হল। ভারতের ৩৭তম অধিনায়ক হলেন গিল। এবং সাম্প্রতিক সময়ে কনিষ্ঠ অধিনায়ক। এর আগে ২০২৪-এ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টিতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সফলভাবে আইপিএলে গুজরাট টাইটানসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাছাড়া টি টোয়েন্টি ও একদিনের ম্যাচে রোহিত শর্মার ডেপুটি হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এবার অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ৩২টি টেসেট খেলার পর মাথায় উঠল নেতৃত্বের মুকুট। ইংল্যান্ডে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হবে এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেল। ঋষভ পন্থ সহঅধিনায়ক হলেন। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট, ভারতীয় এ দলে নিয়মিত পারফরম্যান্স করার পুরস্কার পেলেন ঈশ্বরণ। আবার সুযোগ পেলেন সিনিয়র দলে। বাংলা থেকে আকাশদীপও সুযোগ পেলেন। তবে বাদ পড়লেন মহম্মদ সামি। এদিন যে ১৮ জনের দল ঘোষণা করা হবল, তাঁরা হলেন, শুভমন গিল(অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (সহঅধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, কেএল রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করণ নায়ার, নীতীশ কুুমার রেড্ডি, রবীন্দ্র জাদেজা, ধ্রব জুরেল, ওয়াশিংন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, আকাশদীপ, অর্শদীপ সিং ও কুলদীপ যাদব।