ডায়মন্ডহারবারকে মডেল করে এগোতে চায় রেনবো

কলকাতা লিগ শুরুর আগে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে দিল রেনবো এসি। বৃহস্পতিবার মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে নতুন লক্ষ্য নিয়ে পথ চলার অঙ্গীকার। অনির্বাণ আদিত্যসহ ম্যানেজমেন্টের সকলে তো ছিলেনই, উপস্থিত ছিলেন দলের ফুটবলাররাও। ছিলেন দলের টিডি দেবজিৎ ঘোষ। প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্ত হলেন রেনবো ক্লাবের সঙ্গে। তিনি জানিয়ে দিলেন ডায়মন্ডহারবার এফসিকে মডেল করে এগোবে রেনবো। কলকাতা প্রিমিয়র ডিভিসনের দল রেনবো এসি। টিডি দেবজিৎ ঘোযকে সামনে রেখে এগোচ্ছে তারা। এবার আরও কয়েকজন ভাল ফুটবলারকে নিয়ে দল গড়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে ফুটবলারদের হাতে জার্সি ও টুপি তুলে দেওয়া হল। ফুটবল দলকে নিয়ে নানান পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি হয়ে গেল। লিগের আগে ১৫ দিনের আবাসিক শিবির করবে রেনবো। রাজীব ব্যানার্জি জানান, তিনি ক্লাবের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে থেকেই কাজ করবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যেভাবে তিনি ডায়মন্ডহারবারকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, সেই মডেলেই এগোবে রেনবো। প্রসঙ্গত তিন বছরের মধ্যে আইলিগে ঢুকে পড়েছে ডায়মন্ডহারবার। কিবু ভিকুনাকে সামনে রেখে দ্রুত গতিতে উথ্থান। এটাই উদ্দীপ্ত করছে রেনবোর কর্মকর্তাদের। আগামি দিনে রেনবোকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।
বিমানবন্দরে আবেগে-উচ্ছ্বাসে বরণ নায়কদের, ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে ট্রফি তুলে দেবে ডায়মন্ডহারবার

আইলিগ টু-তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে রবিবার শহরে ফিরল ডায়মন্ডহারবার এফসি। বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানাতে অনেক আগে থেকেই ভিড় কয়েকশো সমর্থকের। ডায়মন্ডহারবার থেকে, বাটানগর মহেশতলা থেকে ক্লাবের জার্সি পরে চ্যাম্পিয়ন দলকে স্বাগত জনাতে সমর্থকদের আবেগ, উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত। ছিলেন কর্তারা। সচিব প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্যও এসেছিলেন ক্লাবের জার্সি পরে। দল ফিরতেই বিমানবন্দর চলে গেল ডায়মন্ডহারবারের দখলে একে একে বেরিয়ে এলেন সফল নায়করা। পুষ্পস্তবকে বরণ। কিবু থেক ফুটবলাররা সবাই তখন ভাসছেন আবেগে। কোচ কিবু ভিকুনহা জানান, এটা ক্লাবের সবার সাফল্য। তবে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। সচিব মানস ভট্টাচার্য কোচ কিবুকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ওঁর মত হাইপ্রোফাইল কোচ দায়িত্ব নিয়েছিলেন আমাদের প্রোজেক্ট দেখে। ফুটবলাররাও অনেক উথ্থান পতনের মধ্যে দিয়ে এই সাফল্য এনে দিলেন। তাই সচিব হিসাবে সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানালেন। আপাতত সোমবার থেকে দল আবার শেষ ম্যাচের মোডে চলে যাবে, জানিয়ে দিলেন কর্তারা। কারণ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া তাঁরা। ২৬ তারিখে শেষ ম্যাচ খেলেই ট্রফি হাতে পাবে ডায়মন্ডহারবার। সেদিন ক্রীমন্ত্রীর হাতে ট্রফি তুলে দেব তারা। কর্তাদের বক্তব্য, এটা বাঁলার সাফল্য। আর বাংলার সরকারের খেলাধুলোর মুখ ক্রীড়ামন্ত্রী, তাই তাঁর হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার ভাবনা। পরের দিন রোড শোর পর গোটা দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ক্লাবের চিফ পেট্রন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন প্রাক্তন ফুটবলাররাও। তারপরই কিবুকে সামনে রেখে আইলিগের ভাবনায় ডুবে যাবে ডায়মন্ডহারবার।
হুড খোলা বাসে রোড শো চ্যাম্পিয়ন ডায়মন্ডহারবার এফসি-র

আইলিগ টু-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েই আইলিগে গেল ডায়মন্ডহারবার এফসি। আইলিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল আগেই। শনিবার মিজোরামের জানমারি এফসি-কে ১-০ গোলে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় এক ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয়ন হয়েই আইলিগে যাচ্ছে কিবু ভিকুনার দল। কারণ দ্বিতীয় স্থানে থাকা জানমারির সঙ্গে তাদের পয়েন্টের তফাৎ ৭। তাই ৩৭ পয়েন্ট দাঁড়িয়ে থাকা ডায়মন্ডহারবার শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের সঙ্গে যাই করুক চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকাবে না। আগামি ২৬ এপ্রিল বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের সঙ্গে ম্যাচের পরই ট্রফি তুলে দেওয়া হবে ডায়মন্ডহারবারকে। মাঠেই একপ্রস্থ সেলিব্রেশন হবে। তবে তারপর দিন ২৭ এপ্রিল ক্লাবের চিফ পেট্রন অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায়ের নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারেই হবে জমকালো রোড শো। হুড খোলা গাড়িতে ঘোরানো হবে কিবু ভিকুনহা, নরহরি শ্রেষ্ঠাদের। সেখানে নিজে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচ, ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ – সবাই থাকবেন রোড শোতে। তিন বছরের মধ্যে ধূমকেতুর মত উঠে এল ডায়মন্ডহারবার এফসি। আইলিগ থ্রি থেকে তিন বছরের মধ্যে আইলিগের মূলপর্বে নিয়ে চলে গিয়েছেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ক্লাবটা করে ছিলেন অভিষেক। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, আইলিগ চ্যাম্পিয় হয়ে আইএসএলে খেলা তাঁর স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণ থেকে আর মাত্র এক ধাপ দূরে কিবু ভিকুনহা একমাত্র কোচ, যিনি আইলিগ থ্রি, আইলিগ টু ও আইলিগের মূলপর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনি বলেন, ডায়মন্ডহারবারের প্রোজেক্ট পছন্দ হয়েছিল বলেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তবে জানিয়ে দিলেন, এবার লড়াইটা অনেক বেশি কঠিন।