টি টোয়েন্টিতে ওপেনিং নিয়ে চিন্তায় গম্ভীর

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও, ওপেনিং স্লট নিয়ে কিন্তু চিন্তা কাটছে না ভারতীয় দলের কচ গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir)। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওপেনিং বাদ দিয়ে প্রতিটা স্লটেই ক্রিকেটারদের পজিশনে অদল বদল হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ওপেনিংয়ে সেভাবে কোনও বদল করেননি ভারতীয় দলের তারকা কোচ। টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে সেই কথাই শোনা গেল গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) মুখে। তাঁর সাফ বার্তা দলের ওপেনিং বাদ দিয়ে গোটা দলের ব্যাটিং লাইনআপই যথেষ্ট ওভাররেটেড। আর সেই কারণেই নাকি তিনি বারবার টি টোয়েন্টি দলের ব্যাটিং অর্ডারে এতবার রদবদল করেছিলেন। তবে ওপেনিং নিয়ে যে তিনি বেশ চিন্তায় রয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের ওপেনিংয়ে ছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill) ও অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। ভারতীয় দল ভালো খেললেও গিল কিন্তু সেভাবে ওপনিংয়ে সফল হতে পারেননি। শেষ ম্যাচে গিল(Shubman Gill) আক্রমণাত্মক খেললেও, শেষপর্যন্ত বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল সেই ম্যাচ। সেই জায়গায় অনেকেই যশস্বী জয়সওয়ালকেও খেলানোর কথাবার্তা বলতে শুরু করে দিয়েছে। এমন পরিস্থতিতে গম্ভীরও যে দলের ওপেনিং নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে গম্ভীরের কথা থেকেও। গম্ভীর জানিয়েছেন, “আমাদের ব্যাটিং অর্জার অত্যন্ত ওভাররেটেড। তবে দুজন ওপেনারকে বাদ দিয়ে। আমাদের দলের ব্যাটিং অর্ডার এত বদল হয় তার কারণ ফর্ম নয়। টি টোয়েন্টিতে ফর্ম কখনোই খুব একটা ম্যাটার করে না”।
হেজেলউডের না খেলার কথা শুনে স্বস্তিতে অভিষেক!

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতে হার। সেখানে ভারতীয় দলকে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল জশ হেজেলউড। কিন্তু সেই হেজেলউডই নেই তৃতীয় টি টোয়েন্টি থেকে। সেই কথা শোনার পরই যেন খানিকটা স্বস্তিতে ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। আর সেই ভিডিওই এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এদিন ভারতীয় দলের হয়ে একমাত্র সফল ব্যাটারের নাম অভিষেক শর্মা। ভারতীয় দলের সেরা তিন ব্যাটারকেই এদিন সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জশ হেজেলউডষ তাঁর সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেননি শুভমন গিল, সূর্যকুমার যাদবরা। যদিও অভিষেক শর্মা ছিলেন দুরন্ত মেজাজে। অজি বোলারদের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে অভিষেক হেজেলউডের কথা শোনার পরই যেন বেশ স্বস্তির সুর শোনালেন। অভিষেক শর্মা জানান, জশ হেজেলউড সত্যিই খেলবেন না। এটা অবশ্য আমি জানতাম না। তিনি যেকোনও ফর্ম্যাটেই দুরন্ত একজন বোলার। তবে একজন ব্যাটার হিসাবে এমন বিশ্বের সেরা বোলারদের চ্যালেঞ্জ সামলানোটাই তো আমার প্রধান কাজ। আর সেটাই আমি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সামনেই রয়েছে অ্যাশেজ। সেই কথা মাথায় রেখেই ভারতের বিরুদ্ধে বাকি ম্যাচগুলো না খেলার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন জশ হেজেলউড। সাংবাদিক সম্মেলনে এসেই সেই কথা জানতে পারেন অভিষেক শর্মা।
ব্যর্থ অভিষেকের লড়াই, ৪ উইকেটে হার ভারতের

অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) চেষ্টা করলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিতে পারলেন না কেউই। আবারও একটা ব্যাটিং ব্যর্থতা। দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া(India Team)। শেষের দিকে বোলারদের হাত ধরে কামব্যাকের একটা চেষ্টা ভারতীয় দল করেছিল ঠিকই, কিন্তু এই অস্ট্রেলিয়া(Australia) দলের বিরুদ্ধে ১২৫ রান নিয়ে জেতাটা যে সত্যিই কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ হারে ভারতীয় দল। ভারতের হয়ে অভিষেক(Abhishek Sharma) এদিন সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেললেও, বাকিদের ব্যর্থতাতেই যে ভারতকে এমনভাবে হারতে হল তা বলাই বাহুল্য। সেইসঙ্গে সিরিজে ১-০ ফলাফলে পিছিয়েও গেল ভারতীয় দল। এদিন ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। অভিষেকের(Abhishek Sharma) সঙ্গে ওপেনিংয়ে এসেছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। কিন্তু শুরু থেকেই জশ হেজেলউডের একের পর এক চ্যালেঞ্জের সামনে সমস্যায় পড়ছিলেন ভারতের ওডিআই দলের অধিনায়ক। প্রথম ওভারে মাত্র তিন রান করতে পেরেছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তবে দ্বিতীয় ওভার থেকেই নিজের চেনা ফর্মে ছিলেন অবিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। শুরু থেকেই ছিলেন বিধ্বংসী ফর্মে। কিন্তু শুভমন গিলরা কেউই তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। পরপর শুভমন গিল, সঞ্জু স্যামসন(Sanju Samson) এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবদের(Suryakumar Yadav) সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন জশ হেজেলউড। এদিন হেজেলউড(Josh Hazlewood) যেন ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় দলের ব্যাটারদের সামনে। ৪৯ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই সময় অভিষেককে যদি হর্ষিত রানা(Harshit Rana) সঙ্গত না দিতেন তাহলে ভারত এদিন ১০০ রানের গন্ডী টপকাতে পারতেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায়। তবে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) এদিন কার্যত একা হাতেই দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাঁর ৩৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৮টি চার ও দুটো ছয় দিয়ে। সঙ্গে হর্ষিত রানার ৩৩ বলে ৩৫ রান। অভিষেক শর্মা ফিরতেই ম্যাচের ভাগ্য কার্যত নিশ্চিত। ভারতও শেষ হয়ে যায় ১২৫ রানে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সামনে তখন সহজ লক্ষ্য। শুরু থেকেই ট্রেভিস হেড এবং মিচেল মার্শ ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। শুরু থেকেই ভারতের জসপ্রীত বুমরা-রা ছিলেন নিস্প্রভ। অবশেষে বরুণ চক্রবর্তীই(Varun Chakravarthy) প্রথম উইকেটটা তোলেন ট্রেভিস হেডকে সাজঘরে ফিরিয়ে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছিল। পেসাররা না পারলেও স্পিনাররা অবশ্য এদিন লড়াইটা করেছিলেন। বরুণ এবং কুলদীপ মিলে তুলে নেন চার উইকেট। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এত কম রান নিয়ে শেষপর্যন্ত লড়াই করাটা সত্যিই খুব কঠি ছিল ভারতের কাছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে অভিষেক শর্মা!

টি টোয়ন্টির পর এবার ওডিআইয়ে অভিষেকের পথে অভিষেক শর্মার(Abhishek Sharma)। শোনা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে ওডিআই(ODI) সিরিজেই নাকি ভারতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক করতে পারেন অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। টি টোয়েন্টিতে দেশের জার্সিতে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। আর সেই পারফরম্যান্সই যে অভিষেক শর্মাকে ভারতীয় ওডিআই দলে সুযোগ পাওয়ার দকে অনেকটা এগিয়ে দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে। এই মুহূর্তে ভারতের হয়ে এশিয়া কাপে(Asia Cup) খেলছেন তিনি। সেখানেই ভারতের হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচেই দুরন্ত ফর্মে প্রদর্শন করেছেন অভিষেক(Abhishek Sharma)। এমনকি এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে এশিয়া কাপের মঞ্চে সর্বোচ্চ রানের মালিকও অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। এখনও পর্যন্ত ১৭৩ রান করেছেন তিনি। তবে সবচেয়ে যেটা নজর কেড়েছে সেটা হল অভিষেক শর্মার স্ট্রাইরেট ২০৮। এই সমস্ত কিছু দেখেই এবার অভিষেক শর্মাকে নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। কিন্তু তাঁকে ওপেনার হিসাবে ভারতীয় ওডিআই দলে নেওয়া হলে প্রশ্নও কিন্তু উঠতে শুরু করেছে কয়েকটা। শুভমন গিলের সঙ্গে অভিষেককে ওপেনার হিসাবে নিলে রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎ তবে কী হবে। তবে কী অস্ট্রেলয়া সফরের আগে ওডিআই থেকেই সরে যেতে পারেন রোহিত শর্মা। যদিও এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে ব্যাটিং পজিশন বদলাতে পারে রোহিত শর্মার(Rohit Sharma)। অন্যদিকে ভারতীয় দলের আরেকজন ওপেনারকে নিয়েও কিন্তু চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। যশস্বী জয়সওয়ালও কী তবে অস্ট্রেলয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে জায়গা পাবেন না! এবারের এশিয়া কাপেও ভারতীয় দল ওপেনিংয়ে ভরসা রেখেছে সেই অভিষেক শর্মার ওপর। অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও তাঁকে রাখা হলে যশস্বী জয়সওয়ালের চিন্তা বাড়াটাই স্বাভাবিক। আগামী মাস থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত ওডিআই সিরিজ। সেইসঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজও রয়েছে। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
গিলের সঙ্গে সফল পার্টনারশিপের রহস্য ফাঁস অভিষেকের

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরে ৬ উইকেটে জয়। ম্যাচের সেরা অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। পাকিস্তান বধের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে চলছে নানান আলোচন। শাহিন(Shaheen Afridi), হারিস রওফদের (Haris Rauf) বিরুদ্ধে যেভাবে তিনি ঝোড়ো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন কার্যত সকলে হতবাক। আবার অনেকেই তাঁকে ভবিষ্যতের তারকা বলতেও দ্বিধা করছেন না। কিন্তু কীভাবে এই সাফল্য! দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) সামনেই সেই তথ্য ফাঁস করলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ তারকা। শুভমনের সঙ্গে তাঁর ভালো বোঝাপড়াটাই নাকি সাফল্যের রাস্তায় এগিয়ে দিয়েছে তাঁকে। এশিয়া কাপেই অভিষেক শর্মার (Abhishek Sharma) সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি বেঁধেছেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। কিন্তু এটাই কী প্রথমবার? উত্তর হবে না। সেই অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট থেকেই নাকি শুভমন গিলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার কাজটা করে আসছেন অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। তাদের বোঝাপাড়াটা সেই ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়েছে। আর সেটাই এখন দেশের জার্সিতে সাফল্যের পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিষেক এবং শুভমনের। তারা দুজনেই নাকি তাদের খেলার ধরণ নিয়ে বেশ ওয়াকিবহাল। অর্থাৎ ম্যাচের আগে তাদের আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ অভিষেক এবং গিল নাকি জানেন কোন সময়ে তারা কেমন খেলবেন। সেভাবেই যে তারা অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট থেকে নিজেদের তৈরি করেছেন। অভিষেক শর্মা ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার যাদবকে জানিয়েছেন, “অনুর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট খেলার সময় আমরা যেমনটা করতাম, সেটাই কিন্তু এখনও করে চলেছি। খেলার মাঝে নিজেদের মধ্যে আলোচনা। আমরা দুজনই দুজনকে বেশ ভালোভাবে বুঝি। আমি খুব ভালোভাবে জানি যে কখন কী শট গিল খেলবেন। আবারও শুভমনও আমার ব্যপারটা জানে। আমাদের বোঝাপড়াটা বেশ ভালো। দুজনের চোখের ঈশারাটাই যথেষ্ট আমাদের জন্য”। পকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ৯ ওভরে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ তৈরি করেছিলেন শুভমন গিল এবং অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। তাদের হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল ভারতীয় দলের জয়ের রাস্তাটা। শাহিন আফ্রিদি থেকে হারিস রওফ, অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। সেখানেই বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন অভিষেক শর্মা। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। সেখানেই তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। শুভমন গিলও ছিলেন খোশ মেজাজেই। শাহিন আফ্রিদিকে এখ ওভারেই কার্যত বিধ্বস্ত করেছিলেন তিনি। অবশেষে দুই তারকার এমন সাফল্যের কাহিনী নিজেই ফাঁস করে দিলেন অভিষেক শর্মা। এবার ফাইনালেও তারা পারে কিনা সেটাই দেখার।
“ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”: পাকিস্তানকে নিশানা অভিষেকের

মাঠে কটুক্তি, জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিলেন ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগড় এই তরুণ ক্রিকেটার। হারিস রওফ(Haris Rauf) মাঠেই মেজাজ হারিয়ে শুভমন(Shubman Gill) এবং অভিষেককে(Abhishek Sharma) কটুক্তি করেন। তার জবাব দেওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে পাকিস্তানকে ক্রিকেটারকে দুষলেন অভিষেক শর্মা। তাঁর সাফ বার্তা “ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”। পাকিস্তানকে যে কড়া জবাব দিতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা কোনওরকম খামতি রাখবে তা ফের একবার স্পষ্ট। বহু বিতর্কের পর ফের একবার এশিয়া কাপে(Asia Cup) মুখোমুখি হয়েছিল দুই তির প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাদের সিদ্ধান্তে অটল। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নয়। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত হ্যাডশেক হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের উত্তক্ত করতে স্লেজিংয়ের শুরুটা করেছিলেন হারিস রওফ। জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিয়েছেন শুভমন গিল(Shubman Gill) এবং অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। ভারতের খারাপ ফিল্ডির এবং খারাপ বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে বড় রান তৈরি করছিল পাকিস্তান। ভারতকে চাপে রখার কৌশল নিয়েছিল তারা। কিন্তু তরুণ অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। যে শাহিনকে নিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি ভরসা এবং আত্মবিশ্বাস ছিল। তাঁকেই কার্যত নাস্তাবুদ করেছিলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার। ম্যাচের সেরার শিরোপাও তুলে নিয়েছেন নিজের মাথায়। এদিন তাঁর ব্যাট থেকে ছিল শুধুই চার ও ছয়ের বন্যা। আরও পড়ুনঃ অভিষেক-শুভমনের ঝোড়ো ইনিংসে পাক বধ ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যখন অভিষেক সাজঘরে ফিরছেন, সেই সময় ভারতের জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁর গোটা ইনিংসটা সাজানো ছিল ৬টি চার ও পাঁচটি ছয় দিয়ে। অভিষেকের তান্ডবের সামনে এদিন মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ। You talk, we win 🇮🇳 pic.twitter.com/iMOe9vOuuW — Abhishek Sharma (@OfficialAbhi04) September 21, 2025 সেই সময়ই মাঠে অভিষেক শর্মাকে(Abhishek Sharma) উদ্দেশ্য করে হারিস রওফ শুরু করেন স্লেজিং করাটা। মাঠে গিল এবং অভিষেক জবাবটা দিয়েছিলেন ঠিকই। তবে ব্যাটিংয়েই সবচেয়ে বেশি জবাব দিয়েছিলেন এই দুই তরুণ তারকা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারত। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে কার্যত পাক ক্রিকেটারদের নিশানা করেই অভিষেক শর্মার বিরাট বার্তা। সেখানেই তিনি লিখেছেন, “ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”। আর এই বার্তাটা যে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এশিয়া কাপের শুরু থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালেও ভারতের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে দেখা হলে এক প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক ভারত করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
অভিষেক-শুভমনের ঝোড়ো ইনিংসে পাক বধ ভারতের

অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) এবং শুভমন গিলের(Shubman Gill) সেঞ্চুরি পার্টনারশিপটাই এদিন ভিতটা গড়ে দিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে তিলক বর্মার ঝোরো ইনিংসে ভর করে ফের একবার পাকিস্তান বধ ভারতের। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল সূর্যকুমার যাদবের টিম ইন্ডিয়া। তবে এদিনের ম্যাচের নায়ক কিন্তু তরুণ অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ঝোড়ো ইনিংসটাই যে ভারতকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল হাতে ভাল পারফরম্যান্স দেখালেও, এদিন একের পর এক ক্যাত ফস্কে পাকিস্তানের বড় রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের ফিল্ডাররাও। আর তাতেই ভারতের বিরুদ্ধে এদিন ১৭১ রান পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল পাকিস্তান। শুরুর দিকেই অভিষেক এবং কুলদীপ দুটো সহজ ক্যাচ মিস না করলে, পাকিস্তান যে বড় রানের পথে এগোতে পারত না তা বলাই যায়। পাকিস্তানের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান করেন শাহিবজাদা ফারহান ৫৮। বুমরাহ(Jasprit Bumrah), হার্দিকরা(Hardik Pandya) ব্যর্থ হলেও, এদিন বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন শুবম দুবে। গুরুত্বপূর্ণ দুটো উইকেট শিকার তাঁরই। স্কোরবোর্ডে পাকিস্তানের ১৭১ রান। ব্যাট হাতে নামা থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। যোগ্য সঙ্গদ শুভমন গিলের(Shubman Gill)। যে শাহিনকে নিয়ে সকলেই নানান কথা বলেছিল, তাঁকেই এদিন সবার প্রথম বিধ্বস্ত করলেন এই ব্যাটার। ৯ ওভারের মধ্যেই অভিষেক এবং শুভমনের হাত ধরে ভারত ১০০ রানের গন্ডী টপকে যায়। অভিষেক ফেরেন ৭৪ রানে। শুভমন গিল করেন ৪৭ রান। তারা যখন সাজঘরে ফেরেন ভারতের জয় কার্যত পাকা। কিন্তু সঞ্জু স্যামসন এবং সূর্যকুমার পরপর আউট হলে ভারতের চিন্তা খানিকটা বেড়ে যায়। সেখানেই ত্রাতা তিলক বর্মা(Tilak Verma)। ১৯ বলে ৩০ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে ১ ওভার এক বল বাকি থাকতেই ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন তিলক।
রোহিতের এলিট তালিকায় অভিষেক শর্মা

টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ভারতীয় দলের ওপেনারের পজিশন পেয়েছেন অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজেকে প্রমাণ করে আসছেন। এবার রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) সঙ্গে এক আসনে নিজের জায়গাও করে নিলেন অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। সংযুক্ত ঈরব আমিরশাহীর(UAE) বিরুদ্ধে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন অভিষেক। প্রথম বলেই ছয় হাঁকান তিনি। আর তাতেই রোহিত শর্মাদের এলিট তালিকায় নিজের নাম তুলে ফেললেন এই তরুণ ক্রিকেটার। টি টোয়েন্টিতে এর আগে রোহিত শর্মা(Rohit Sharma), যশস্বী জয়সওয়াল এবং সঞ্জু স্যামসনের(Sanju Samson) এই রেকর্ড ছিল। গত বুধবার এশিয়া কাপের মঞ্চে সেই রেকর্ডটাই ভেঙে দিলেন অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। তাঁর হাত থেকে এল একের পর এক বড় শট। তবে প্রথম বলেই অভিষেকের লম্বা ছয় সকলকে কার্যত হতবাকই করে দিয়েছিল। এশিয়া কাপের মঞ্চে প্রথম দিন থেকেই যে সকলের নজর কাড়তে শুরু করেছে তিনি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যশস্বী জয়সওয়ালের এবার সুযোগ হয়নি। এশিয়া কাপে(Asia Cup) অভিষেক শর্মাকেই(Abhishek Sharma) সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকরা। প্রথম ম্যাচেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারতীয় দল। সেখানেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন ভারতীয় দলের বোলাররা। বিশেষ করে কুলদীপ যাদব এবং শিবম দুবে। এই দুজনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ৫৭ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সংযুক্ত আরব অমিরশাহী। ভারতের জেতাটা তখন ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা। সেখানে শুর থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন ভারতীয় দলের তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মা। প্রথম বলেই ছয় হাঁকান তিনি। সেইসঙ্গেই রোহিত শর্মার এলিট তালিকায় এই তরুণ তারকা ক্রিকেটার। তাঁর সঙ্গে শুভমন গিলও ছিলেন সমান মেজাজে। দুই তারকার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে মাত্র ২৭ বলে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারতীয় দল। সেটাও কিন্তু একটা বিরল রেকর্ড। টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে এত কম বল খেলে কোনও দলই এখনও পর্যন্ত জয়ের স্বাদ পয়ানি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে সেই রেকর্ডটা এশিয়া কাপের শুরুতেই করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। একইসঙ্গে অভিষেক শর্মার এই রেকর্ড। তিনি হয়ত শেষপর্যন্ত থাকতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু রেকর্ড বুকে নিজের নামটা পাকাপাকি করে ফেলেছিলেন অভিষেক। এর আগে টি টোয়েন্টিতে প্রথম বলেই ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোর রেকর্ড ছিল রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল এবং সঞ্জু স্যামসনের। চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন অভিষেক শর্মা। সামনে আরও ম্যাচ রয়েছে। অভিষেকের ব্যাটে নতুন রেকর্ড আসে কিনা সেটাই দেখার।
হার দিয়েই এবারের আইপিএল অভিযান শেষ হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের

শেষ ম্যাচেও হার। শুধু হার নয়, রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েই এবারের মত আইপিএল অভিযান শেষ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবারের মরসুমটা ভুলতে চাইবে। রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ১১০ রানে হারল ককেকেআর। অভিষেক-হেড-ক্লাসেনদের ব্যাটিং ঝড়ের সামনে রাতিমত নাস্তাবুদ নাইট বোলাররা। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৭৮ রানের বিশাল ইনিংস খাড়া করে কেকেআরকে তখনই ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেয় সানরাইজার্স। শুরু থেকেই তাণ্ডব। অভিষেক শর্মা করলেন ১৬ বলে ৩২। হেড ৪০ বলে ৭৬। তবে কোটলা মাতিয়ে দিলেন হেনরিচ ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকানের ব্যাটে যেন সাইক্লোন। ৩৭ বলে শতরান করে গড়লেন নজির। আইপিএলের যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম শতরান। তাঁর আগে আছেন ক্রিস গেইল। ৩০ বলে শতরান করেছিলেন তিনি। আর এবারই ৩৫ বলে শতরান করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ১৪ বছরের কিশোর বৈভব সূর্যবংশী। ক্লাসেনেরহ মতই ৩৭ বলে শতরান করেছিলেন ইউসুফ পাঠান। ২০১০ সালে। এমন ইনিংস খেলার পর ক্লাসেন জানান, দলের হতাশাজনক মরসুমের শেষে কিছুটা খুশি এল। সানরাইজার্সের ২৭৮ রান আইপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ টিম স্কোর। তারপর কেকেআরের আর কীই বা করার ছিল। রানের চাপে ভেঙে পড়ে ১৮.৪ ওভারে ১৬৮ রানে শেষ হল নাইটদের ইনিংস। হতাশাজনক মরহসুমের পর হয়ত কেকেআর ম্যানেজমেন্ট বুঝছে শ্রেয়স আইয়ার, ফিল সল্টদের ছেড়ে দেওয়া কত বড় ভুল ছিল।
ছিটকে গেল লখনউ, আইপিএল প্লে অফের লড়াইয়ে এখন মুম্বই বনাম দিল্লি

লখনউ সুপার জায়ান্টাস: ৭ উইকেটে ২০৫ (২০ ওভার) সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ৪ উইকেটে ২০৬ (১৮.২ ওভার) হারাধনের দশটি ছেলের গল্পের মতো আইপিএল প্লে অফে একটি দল হারিয়ে গেল। লড়াই এখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটলসের মধ্যে। মঙ্গলবার জানা যাবে দুটির মধ্যে কোন দল প্লে অফে খেলার যোগ্যতা পাবে। তিনটি দল আগেই প্লে অফে পৌঁছে গিয়েছে। তারা হল গুজরাট টাইটান্স, পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। একটি জায়গার জন্য লড়াই ছিল তিন দলের মধ্যে। কিন্তু সোমবার রাতে লখনউ সুপার জায়ান্টাস ছয় উইকেটে হেরে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। অনেক আগে ছিটকে যাওয়া কামিনসদের কাছে ঋষভ পন্থদের হারকে কেউ মেনে নিতে পারছেন ন। তার উপর প্রথমে ২০৫ রান করে কেন ম্যাচ ধরে রাখতে পারবে না। না পারার পিছনে অবশ্যই কারন আছে। ওভার প্রতি দশের উপর রান তুলে হায়দরাবাদ সেই কঠিন কাজকে সহজ করে ফেলল। তার জন্য অবশ্যই কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন ওপেনার অভিষেক শর্মা। তাঁকে আটকাতে হিমশিম খেলেন লখনউ বোলাররা। কোথায় গেল পেসারদের দাপট! একমাত্র নজর কাড়েন স্পিনার রাঠি। তিনি ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট পেলেন। বোলারদের সাফল্য বলতে এটুকুই। রাঠি ছাড়া কারোর নাম করা যাচ্ছে না। কামিনসদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে লখনউ ১১ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্টে ছিল। তিনটি ম্যাচ জিতলে তারা ১৬ পয়েন্টে যেত। তারপরও যে লখনউ প্লে অফ খেলার সুযোগ পেত, . তারও গ্যারান্টি ছিল না। তবু লড়াইয়ে থাকতেন ঋষভরা। কিন্তু হায়দরাবাদের কাছে হেরে তারা এমন জায়গায় দাঁড়াল, যেখান থেকে তাাদের শেষ চারের লড়াইয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকল না। গ্রুপ লিগের বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও তারা ১৪ পয়েন্টে দাঁড়াবে। কিন্তু ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ খেলার স্বপ্ন দেখা বাতুল ছাড়া কিছু হতে পারে না। সেটাই এখন লখনউকে ভাবাচ্ছে। উল্টোদিকে হায়দরাবাদেরও সুযোগ নেই। তারা ১৩ ম্যাচ খেলে ৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। তাই দিল্লি বনাম মুম্বইয়ের খেলার রেজাল্টের উপর নির্ভর করবে কারা চার নম্বর দল হিসেবে প্লে অফে যাবে। লিগের খেলা এখনও অনেক বাকি। কিন্তু তার আগেই প্লে অফের চার দলের নাম লেখা হয়ে যাবে। আগেই বলছিলাম, অভিষেক শর্মার কথা। তিনি শুরুতেই যে ঝড় তুললেন, সেখানেই লেখা হয়ে গেল লখনউ ম্যাচ বের করতে পারবে না। পাওয়ার প্লে-তে তারা করল ১ উইকেটে ৭২ রান। অভিষেক ২০ বল খেলে ৫৯ করলেন। ২৯৫ স্ট্রাইক রেট রেখে অভিষেক মাঠে ঝড় তুললেন। ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউন্ডারি। তিনি ম্যাচের সেরা পুরস্কার পেলেন। তারপর ইশান কিষান (২৮ বল খেলে ৩৫), ক্লাসেন (২৮ বল খেলে ৪৭),মেন্ডিসের ব্যাটিং (২১ বল খেলে ৩২) দাপটে হারিয়ে গেল লখনউ। একই সঙ্গে আইপিএল থেকে বিদায়ের টিকিটও কাটা হয়ে গেল। কামিনসরা এমন কাজ করলেন যে মুম্বই ও দিল্লির এগিয়ে যাওয়ার পথ সহজ করে দিলেন।