ACC-র অফিস থেকে উধাও ট্রফি, কবে ট্রফি উঠবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাতে

সূর্যকুমার যাদবরা(Suryakumar Yadav) কবে হাতে পাবেন এশিয়া কাপের(Asia Cup) ট্রফি! এই নিয়েই তড়জা এখন তুঙ্গে। মাঠের লড়াইয়ে না পেরে, এবার মাঠের বাইরে লড়াইটা শুরু করেছে পাকিস্তান। তাও আবার সামনাসামনি নয়। গোপনে গোপনেই সেই লড়াই করছে তারা। ভারতকে ট্রফি না দেওয়ার জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের(ACC) হেড অফিস থেকেই ট্রফি উধাও করে দিলেন এসিসি প্রধান তথা পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নাকভি(Mohsin Naqvi)। তিনি আবার পাকিস্কানের আভ্যন্তরীন মন্ত্রীও। এশিয়া কাপ(Asia Cup) ট্রফি লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। আর তাতেই বিশ্ব ক্রিকেটে ফের হৈচৈ শুরু হয়েছে। ফাইনালে পাকিস্তানকে(Pakistan) হারিয়ে এবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত(India Team)। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ভারত নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য যেমন নয়। তেমনই কোনও পাক নাগরিকের হাত থেকে ট্রফি নিতেও অস্বীকার করেছিলেন সূর্যকুমার যাদবরা। প্রায় ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। এরপরই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের(ACC) প্রধান মহসিন নাকভি(Mohsin Naqvi) ডায়াস থেকে ট্রফি সরিয়ে দেন। এরপর থেকেই ট্রফি হাতে পাননি ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আর এবার তো এসিসির হেড কোয়ার্টার থেকেই ট্রফি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেটা করেছেন খোদ এসিসি(ACC) প্রধান মহসিন নাকভি(Mohsin Naqvi)। আবু-ধাবিতেই কোনও একটা জায়গায় নাকি রাখা হয়েছে সেই ট্রফি। কিন্তু কোন জায়গাতে রাখা রয়েছে তা বলছেন না মহসিন নাকভি। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক প্রতিনিধি এসিসির হেড কোয়ার্টার যাওয়ার পরই এই ব্যপারটা সকলের সামনে আসে। সেখানে গিয়ে তিনি ট্রফির খোঁজ করার পরই জানতে পারেন যে মহসিন নাকভি নাকি ট্রফি সরিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছেন। এরপরই উঠতে শুরু করেছে নানান প্রশ্ন। বিশেষ করে এসিসির চেয়ারম্যান হয়ে এমনটা তিনি করতে পারেন কেমনভাবে। আর কেনই ভাবে এসিসির ট্রফি লুকিয়ে রাখছেন তিনি। তবে কী ভারতকে ইচ্ছাকৃত ট্রফি দিতে চাইছে না বলেই এমনটা করছেন পাক মন্ত্রী। ক্রিকেট মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তড়জা। শেষপর্যন্ত কবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাতে ওঠে এশিয়া কাপ, সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
এগিয়ে থেকেও হার ভারতের, খালিদের দলের এশিয়া কাপের আশা প্রায় শেষ

ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না। সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ গোলে হেরে এশিয়া কাপে(Asia Cup) যোগ্যতা অর্জনের আশা প্রায় শেষই করে ফেলল ভারত(India)। শেষ মুহূর্তে গত ম্যাচের নায়ক রহিম আলিকে(Rahim Ali) নামিয়েও কোনও চমক দেখাতেই ব্যর্থ খালিদ জামিল(Khalid Jamil)। একরাশ হতাশাই ঘরের মাঠে ভারতের(India) সঙ্গী। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মধ্যে লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতের(Lallianzuala Changte) গোলে এগিয়ে যায় ভারত। এরপর থেকেই আরও চাপ বাড়াতে থাকে মেন ইন ব্লুজ ব্রিগেড। এই ম্যাচ জিততে পারলে যে খানিকটা হলেও বাড়তি অক্সিজেন পাবে খালিদ জামিলের(Khalid Jamil) ছেলেরা। প্রথম গোলের কিছুক্ষণের মধ্যে ফের সুযোগ। কিন্তু ছেত্রী(Sunil Chetri) সুযোগ হাতছাড়া করেন। ২৯ মিনিটের মাথায় ফের একটা সুযোগ। এবারও ব্যর্থ লিস্টন কোলাসো(Liston Colaco)। তবে ভারতের আক্রমণ থামেনি। মহেশের শটটা সেভ না হলে ব্যাবধান বাড়িয়ে ফেলতেই পারত ভারতীয় দল। চাপ বাড়াচ্ছিল সিঙ্গাপুরও। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সং উইঅংয়ের গোলে সমতায় ফেরে সিঙ্গাপুর। বিরতির পরও ভারতের সুযোগ নষ্টের খেলা ছিল অব্যহত। তারই খেসারত দিতে হল ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায়। আবারও সেই উইঅংয়ের গোলেই এগিয়ে যায় সিঙ্গাপুর। এরপরও যে সুনীল(Sunil Chetri), লিস্টনরা(Liston Colaco) সুযোগ পাননি তা নয়। কিন্তু চিত্রটা বদল হয়নি। বারবারই সুযোগ হাতছাড়া করতে দেখা গিয়েছে তাদের। সময় ক্রমশ শেষের দিকে। মরিয়া খালিদ(Khalid Jamil) তখন একের পর এক ছক বদলাতে ব্যস্ত। আর তাতেই একের পর এক ফুটবলার বদল করে চলেছেন তিনি। কিন্তু সাফল্য অধরাই রয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দলের। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে সুনীল, লিস্টনদেরও তুলে নেন খালিদ জামিল। সেই জায়গায় মাঠে আসেন গত ম্যাচে ভারতের নায়ক রহিম আলি। কিন্তু সময় ততক্ষণে চলে গিয়েছে। ম্যাচ কার্যত ভারতের হাতছাড়া। চেষ্টা ভারতীয় ফুটবলাররা করলেও গোলের মুখ তারা খুলতে পারেনি। ঘরের মাঠে সুযোগ থাকলেও সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ গোলে হেরে, সমস্ত আশাও কার্যত শেষ করে ফেলল খালিদ জামিলের মেন ইন ব্লুজ ব্রিগেড।
মাঠে যুদ্ধের ইঙ্গিত, নির্বাসনের মুখে হারিস রওফ

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের(Asia Cup) ফাইনাল। সেখানেই ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে বড়সড় ধাক্কার মুখে পাকিস্তান। দলের অন্যতম সেরা বোলার হারিস রওফ এবার নির্বাসনের মুখে। খেলার মাঠের যুদ্ধের ইঙ্গিত এবং সমর্থকদের সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য ৩ ম্যাচ নির্বাসিত হতে চলেছেন পাকিস্তানের তারকা পেসার। আর তাতেই ফাইনালেও কার্যত টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে নামতে পারবেন না হারিস রওফ(Haris Rauf)। ভারতের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচেই বারবার মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল হারিস রওফকে(Haris Rauf)। শুধুমাত্র তিনিই নন, পাকিস্তানের ব্যাটাররাও মাঠে খারাপ ইঙ্গিত করেছিল। ব্যটাররা ব্যাট নিয়ে বন্দুকের মতো ঈশারা করেছিল। হারিস রওফও মাঠে যুদ্ধের ইঙ্গিত করেছিল। এরপর সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে করেছিলেন কটুক্তি। আর এসবই আইসিসির নিয়ম বিরুদ্ধে। তাঁর এমন আচরণের জন্যই বড় শাস্তি দেওয়ার পথে এগোতে চলেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। পহেলগাম ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে খেলার মাঠেও কার্যত বয়কট করেছে ভারতীয় দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচেই হ্যান্ডশেক থেকে সৌজন্য বিনিময় বয়কট করেছিল ভারতীয় দল। আর তাতেই রেগে আগুন হয়েছিল পাকিস্তান। তারই প্রতিফলন ধরা পড়েছিল পাক ক্রিকেটারদের মধ্যে। বিশেষ করে হারিস রওফের আচরণ। তিনি স্লেজিংয়ের পাশাপাশি খারাপ আচরণ করেছিলেন। আর সেটাই ভালোভাবে নেয়নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। শোনা যাচ্ছে হারিস রওফকে তিন ম্যাচ নির্বাসনের পাশাপশি ১০০ শতাংশ নাকি ম্যাচ ফি কাটতে চলেছে। আর এমনটা হলে যে ফাইনালেও নামতে পারবেন না রওফ তাও স্পষ্ট। পাকিস্তান যে ফাইনালে নামার আগেই চাপে পড়ে গিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফাইনালে নামার আগে শ্রীলঙ্কা ম্যাচই প্রস্তুতি মঞ্চ সূর্যদের

এশিয়া কাপে(Asia Cup) দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল(India Team)। এখন পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে তারা। আর কয়েক ঘন্টা পরই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামছে তারা। ফাইনালে আগেই পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। তার আগে শ্রীলঙ্কার(Srilanka) বিরুদ্ধে এই ম্যাচ যে ভারতীয় দলের(India Team) কাছে ড্রেস রিহার্সাল তা বেশ স্পষ্ট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা দেখে নিতে চাইছে ভারতীয় শিবির। বিশেষ করে দলের বোলিংটাই যে এখন ভারতকে খানিকটা ভাবাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানের(Pakistan) বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্ব এবং সুপার ফোর দুই জায়গাতেই জিতেছে ভারত(India Team)। কিন্তু এবার ফাইনালে নামতে হবে তাদের। সেই ম্যাচে নামার আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামছে টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচকে কার্যত নিজেদের প্রস্তুতি পর্ব হিসাবে দেখছেন সূর্যকুমার যাদবরা(Suryakumar Yadav)। তবে এই মুহূর্তে দলের বোলিং লাইনআপের ওপরই রয়েছে সবচেয়ে বেশি নজর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে ভারতীয় শিবির। এই এশিয়া কাপে(Asia Cup) অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মারা ভালো পারফরম্যান্স দেখালেও, বোলিংটা কিন্তু বারবারই সমস্যায় ফেলেছে টিম ইন্ডিয়াকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরেও খারাপ বোলিংয়ের জন্য প্রতিপক্ষ ১৭০ রানের গন্ডী টপকে গিয়েছিল। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহকে(Jasprit Bumrah) বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা রয়েছে একটা। সেই জায়গায় এই ম্যাচে ফের একবার দেখা যেতে পারে অর্শদীপ সিংকে(Arshdeep Singh)। যদিও সেভাবে তিনি পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও সেই অর্শদীপের ওপরই ভরসা রাখছে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতে অপরাজিত তকমা অক্ষুন্ন রেখেই ভারতীয় দল এগিয়ে যেতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
ওয়ার্কলোড নয়, দুটো টেস্টেই খেলবেন জসপ্রীত বুমরাহ

জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah) কী খেলবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। এশিয়া কাপের(Asia Cup) মাঝে এই নিয়েই চলছিল জোর জল্পনা। বিশেষ করে বুমরার(Jasprit Bumrah) ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথাই উঠে আসছিল বারবার। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জোড়া টেস্টেই দেখা যাবে ভারতীয় দলের তারকা পেসারকে। সেইসঙ্গেই সাংবাদিক সম্মেলন করে অজিত আগরকর(Ajit Agarkar) জানিয়েও দিলেন যে দুটো টেস্টেই নাকি ভারতীয় দলের হয়ে খেলকে দেখা যাবে জসপ্রীত বুমরাকে। অর্থাৎ তাঁকে যে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে তাও বেশ স্পষ্ট। এই মুহূর্তে এশিয়া কাপে(Asia Cup) খেলছেন জসপ্রীত বুমরাহ। সেখানে ইতিমধ্যে বিশ্রামও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। আবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও পাঁচ টেস্টের মধ্যে জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah) খেলেছিলেন মাত্র তিনটি টেস্ট। সেই সিরিজ শুরুর আগে থেকেই বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। বোর্ড এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও অবশ্য হয়েছিল। এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নামবে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের(WTC) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। সেখানেও কি ভারতীয় দলের এই তারকাকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য সব ম্যাচ খেলানো হবে না! এমনই নানান প্রশ্ন উঠছিল। সমস্ত জল্পনার জবাব দিয়ে বুমরাকে দুটো টেস্টেই খেলনোর কথা জানিয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর। দল নির্বাচনের সাংবাদিক সম্মেলনে জসপ্রীত বুমরাহ জানিয়েছেন, “এই স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে দুটো টেস্টের জন্য। আর জসপ্রীত বুমরাহ দুটো টেস্টেই খেলার মতো জায়গায় রয়েছেন। আমরাও যেমন বেশ বড়সড় বিরতি পেয়েছি, তেমন বুমরাকেও কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে খেলানো হয়নি। অর্থাৎ আমরা যথেষ্ট ভালো বিরতি পেয়েছি। এমনকি এশিয়া কাপের মাঝেও বেশ সময় পেয়েছি আমরা। বুমরাহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই সিরিজ খেলার জন্য নিজে থেকেই মুখিয়ে রয়েছেন”। চলতি এশিয়া কাপে খুব একটা ভালো ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন না জসপ্রীত বুমরাহ। তাঁর উকেট ঝুলিও এবার কিন্তু খুব একটা ভর্তি নয়। তবে ভারতীয় দলের প্রধান ভরসা যে তিনি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বুমরার দুটো ম্যাচ খেলাটা যে বাকি বোলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য।
পাকিস্তানকে প্রতিদ্বন্দ্বী মানতে নারাজ সূর্যকুমার

এবার পাকিস্তানকে সরাসরি কটাক্ষ সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। পাকিস্তানকে এখন আর ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে নারাজ সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। সমস্ত সমর্থককে এই ম্যাচকে আলাদা নয়, বরং আর পাঁচটা ম্যচের মতোই দেখার বার্তা ভারতীয় টি টোয়েন্ট দলের অধিনায়কের। সূর্যকুমার যাদবের এই বার্তা যে বিশ্ব ক্রিকেট মহলে ফের একটা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নিয়েই চলছে এখন নানান জল্পনা। পাকিস্তানের(Pakistan) বিরুদ্ধে হ্যান্ডসেক বয়কট আগেই করেছে ভারত। এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচকে রাইভালরি বলতেও মানতে নারাজ তিনি। কার্যত ভারতীয় দল যে পাকিস্তান শিবিরে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না তাই সূর্যকুমার যাদব বুঝিয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এক পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করতেই তাঁকে কড়া জবাব দিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। পাকিস্তান যে ভারতের কাছে কোনও মতেই আর বড় প্রতিপক্ষ নয়, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপের(Asia Cup) সুপার ফোরের মঞ্চেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একপেশে ভাবেই ম্যাচ জিতেছে ভারত। ভারতের ওপেনিং পার্টনারশিপের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের বোলাররা। অভিষেক শর্মা থেকে শুভমন গিলের ঝোড়ো পারফর্ম্যান্সের সামনে মাথা নত করতে হয়েছে শাহিন আফ্রিদি, হারিস রওফদের মতো তারকা বোলারদের। এরপরই সূর্যকুমার যাদবের কড়া জবাব। পাকিস্তান দল এখন কোনও মতেই আর ভারতের কাছে কঠিন প্রতিপক্ষ নয়। এমনকি তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতাও নেই। সূর্যকুমার যাদবের সাফ বার্তা, “ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচকে ক্রিকেটের বাইশগজে এখন চির প্রতিদ্বন্দ্বীতা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রতিদ্বন্দ্বী তখনই বলা যায়, যখন ম্যাচ খুব হাড্ডহাড্ডি হয়। যখন ব্যাপারটা এমন হয় যে ১৫ ম্যাচের মধ্যে দুই দলের জয়ের পরিসংখ্যান ৮-৭। কিন্তু এখানে তেমনটা একেবারেই নয়। এখানে ফলাফল ১৩-১ কিংবা ১২-৩। যা কখনই প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে না”। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানে কিছুই করতে পারেনি পাক বোলাররা। পাক ব্যাটাররা ১৭১ রান করলেও, সেই রান তাড়া করতে ভারতের খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। বিশেষ করে অভিষেক এবং গিলের সামনে তারা তো অসহায় ছিল। এশিয়া কাপে এখনও ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে হবে ফাইনালে। কিন্তু ভারত পাকিস্তানকে কোনওমতেই আর গুরুত্ব দিতে নারাজ।
“ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”: পাকিস্তানকে নিশানা অভিষেকের

মাঠে কটুক্তি, জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিলেন ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগড় এই তরুণ ক্রিকেটার। হারিস রওফ(Haris Rauf) মাঠেই মেজাজ হারিয়ে শুভমন(Shubman Gill) এবং অভিষেককে(Abhishek Sharma) কটুক্তি করেন। তার জবাব দেওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে পাকিস্তানকে ক্রিকেটারকে দুষলেন অভিষেক শর্মা। তাঁর সাফ বার্তা “ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”। পাকিস্তানকে যে কড়া জবাব দিতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা কোনওরকম খামতি রাখবে তা ফের একবার স্পষ্ট। বহু বিতর্কের পর ফের একবার এশিয়া কাপে(Asia Cup) মুখোমুখি হয়েছিল দুই তির প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাদের সিদ্ধান্তে অটল। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নয়। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত হ্যাডশেক হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের উত্তক্ত করতে স্লেজিংয়ের শুরুটা করেছিলেন হারিস রওফ। জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিয়েছেন শুভমন গিল(Shubman Gill) এবং অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। ভারতের খারাপ ফিল্ডির এবং খারাপ বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে বড় রান তৈরি করছিল পাকিস্তান। ভারতকে চাপে রখার কৌশল নিয়েছিল তারা। কিন্তু তরুণ অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। যে শাহিনকে নিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি ভরসা এবং আত্মবিশ্বাস ছিল। তাঁকেই কার্যত নাস্তাবুদ করেছিলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার। ম্যাচের সেরার শিরোপাও তুলে নিয়েছেন নিজের মাথায়। এদিন তাঁর ব্যাট থেকে ছিল শুধুই চার ও ছয়ের বন্যা। আরও পড়ুনঃ অভিষেক-শুভমনের ঝোড়ো ইনিংসে পাক বধ ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যখন অভিষেক সাজঘরে ফিরছেন, সেই সময় ভারতের জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁর গোটা ইনিংসটা সাজানো ছিল ৬টি চার ও পাঁচটি ছয় দিয়ে। অভিষেকের তান্ডবের সামনে এদিন মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ। You talk, we win 🇮🇳 pic.twitter.com/iMOe9vOuuW — Abhishek Sharma (@OfficialAbhi04) September 21, 2025 সেই সময়ই মাঠে অভিষেক শর্মাকে(Abhishek Sharma) উদ্দেশ্য করে হারিস রওফ শুরু করেন স্লেজিং করাটা। মাঠে গিল এবং অভিষেক জবাবটা দিয়েছিলেন ঠিকই। তবে ব্যাটিংয়েই সবচেয়ে বেশি জবাব দিয়েছিলেন এই দুই তরুণ তারকা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারত। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে কার্যত পাক ক্রিকেটারদের নিশানা করেই অভিষেক শর্মার বিরাট বার্তা। সেখানেই তিনি লিখেছেন, “ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”। আর এই বার্তাটা যে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এশিয়া কাপের শুরু থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালেও ভারতের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে দেখা হলে এক প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক ভারত করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
রবিবার উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিতে চায় টিম ইন্ডিয়া

আবারও একটা পাকিস্তান ম্যাচ। এবার এশিয়া কাপের(Asia Cup) সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে ভারতীয় দল(India Cricket Team)। তার আগেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক বিরাট বার্তা সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav)। রবিবার ভারতীয় দলের সমর্থকদের একটা সুন্দর দিন উপহার দিতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে ভারতীয় দল (India Cricket Team) যে কার্যত আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সেটাই যেন বেড়িয়ে এল সূর্যকুমারের গলা থেকে। পাকিস্তানকে এখানেও হারাতে কার্যত প্রস্তুত ভারতীয় দল। সেইসঙ্গে হ্যান্ডশেক যে এই ম্যাচেও হবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। সাংবাদিক সম্মেলনে নাম নিলেন না প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদেরও। তবে বিশ্রাম কাটিয়ে এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই আবার ভারতীয় দলে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। চলতি এশিয়া কাপে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল। শেষ ম্যাচেও ওমানের বিরুদ্ধে জিতেছে ভারত। তবে সেই ম্যাচে ভারতের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু খানিকটা চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। ব্যাটাররা রান পেলেও, ওমানের মাত্র চার উইকেটই তুলতে পেরেছিলেন। যদিও সেই ম্যাচে ভারতের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah) খেলেননি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্শদীপ সিংয়ের(Arshdep Singh) জায়গায় তাঁকেই আবার ফেরাতে চলেছে ভারতীয় দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশে পরিবর্তন বলতে যে এটুকুই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। সেটাই সূর্যকুমার(Suryakumar Yadav), সঞ্জু স্যামসনদের(Sanju Samson) বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। এছাড়া দলের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স। ওমানের বিরুদ্ধে সঞ্জু স্যামসন পেয়েছেন অর্ধশতরান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ঝোরো ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। ভারতের ব্যাটিংয়ে একমাত্র চিন্তার জায়গাটা হতে পারে শুভমন গিলের(Shubman Gill) পারফরম্যান্স। তিন ম্যাচেই সেভাবে বড় রান করতে পারেননি তিনি। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তিনিই ভরসা। ম্যাচের আগে সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav) জানিয়েছেন, “রবিবার আমাদের পড়েছে। বহু মানুষ এই ম্যাচের দিকে চোখ রাখবেন। এই ম্যাচ তাদের কাছে উপভোগ্য হবে। এই ম্যাচেও আমাদের উন্মাদনা থেকে এনার্জিতে কোনওরকম পরিবর্তন থাকবে না। আমাদের সেরা খেলাটাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেখতে পাবে সকলে”। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান হলেও, তাদেরকে নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে যেন নারাজ ভারতীয় শিবির। তা কিন্তু সূর্যর হাবেভাবেই স্পষ্ট ছিল। এমন হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আদে প্রতিপক্ষ শিবিরের একজনেরও নাম মুখে নিলেন না সূর্যকুমার যাদব। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ভলোভাবেই দেখে নিয়েছে গৌতম গম্ভীরের দল। এছাড়া ওমান ম্যাচেও নিজেদের শক্তি, দুর্বলতা দেখা হয়ে গিয়েছে। সুপার ফোরে ফের একবার পাকিস্তানকে হারানোর লক্ষ্যেই টিম ইন্ডিয়া।
হতাশ নন, বাদ পড়াটাই ফেরার তাগিদ বাড়াচ্ছে যশস্বীর

এশিয়া কাপের(Asia Cup) আগে সবচেয়ে বেশি তাঁর নাম নিয়ে চর্চা হয়েছিল। কিন্তু সেই যশস্বী জয়সওয়ালই(Yashasvi Jaiswal) সুযোগ পাননি এশিয়া কাপের(Asia Cup) স্কোয়াডে। তাঁর জায়গায় ভারতীয় টি টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তাঁর কাঁধে আবার উঠেছে ভারতীয় দলের সহ অধিনায়কত্বের দায়িত্বও। যশস্বী সুযোগ না পেয়ে তিনি কী হতাশ হয়েছেন। যা শোনা যাচ্ছে তেমনটা কিন্তু নয়। বরং এই বাদ পড়াটাকেই ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন যশস্বী(Yashasvi Jaiswal)। ফিরে আসার খিদেটা এখন তাঁর আরও বেড় গিয়েছে। ভারতের টি টোয়েন্টি(T20) দলের হয়ে একসময় দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। কিন্তু সম্প্রতি সেই পারফরম্যান্স দেখাতে পারছেন না তিনি। টি টোয়েন্টিতেও নানান জায়গায় ব্যর্থ হতে দেখা গিয়েছিল। এমনকি সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি যশস্বী জয়সওয়াল। তবুও তাঁকে এশিয়া কাপে(Asia Cup) খেলানোর একটা কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে শেষপর্যন্ত এবারের এশিয়া কাপ থেকে ব্রাত্যই থেকেছেন যশস্বী। আরও পড়ুন: রোহিতের যোগ্য উত্তরসূরি সূর্যকুমার: মহম্মদ কাইফ বাদ পড়ায় খারাপ লাগাটা তো অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু তাতে ভেঙে পড়তে নারাজ ভারতীয় দলের এই তারকা ব্যাটার। ফিরে আসার চেষ্টাটা এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এক সংস্থায় যশস্বী জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “দলে সুযোগ পাওয়া না পাওয়াটা সম্পূর্ণ নির্বাচকদের ওপরই নির্ভর করে। টিম কম্বিনেশনের কথা মাথায় রেখেই দল গঠন করে তারা। আমাকে আমার কাজটা করে যেতে হবে। আমি জানি অবশ্যই একদিন না একদিন আমি দলে ফিরব। সেই সময় পর্যন্ত নিজেকে গড়ে তোলার কাজটা চালিয়ে যাব”। ভারতীয় দলের হয়ে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে কিন্তু বেশ নজরকাড়া পারফরম্যান্স যশস্বী জয়সওয়ালের। এখন পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ২৩টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে যশস্বী জয়সওয়ালের। সেখানেই তাঁর ঝুলিতে রান রয়েছে ৭২৩ এবং স্ট্রাইকরেট ১৬৪.৩১। এই কটা ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি অর্ধশতরানও করে ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। সেঞ্চুরিও রয়েছে একটা। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং বরাবরই প্রতিপক্ষ বোলারকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে। আর সেটাই বারবার তাঁকে ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে সাহায্য করেছে। যদিও এবার সেটা হয়নি। কারণ এবারের এশিয়া কাপে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট তারুণ্যের থেকে অভিজ্ঞতার ওপরই জোর দিয়েছে বেশি। আর সেই কতা মাথায় রেখেই অভিষেক শর্মার সঙ্গে এশিয়া কাপের মঞ্চে ওপেনার হিসাবে শুভমন গিলকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও শুভমন গিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত এশিয়া কাপে বড় রান করতে পারেননি।
রোহিতের যোগ্য উত্তরসূরি সূর্যকুমার: মহম্মদ কাইফ

ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমেছে ভারত(India Cricket Team)। আর সেই সময়ই মহম্মদ কাইফ(Mohammed Kaif) প্রশংসায় ভরালেন ভারতীয় টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে(Suryakumar Yadav)। তাঁর মতে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নাকি যোগ্য উত্তসূরি সূর্যকুমার যাদবই। তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা থেকে নেতৃত্বের স্কীল, সবকিছুর মধ্যেই রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ছোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। এই মুহূর্তে সূর্যকুমার যাদবের হাত নেতৃত্বেই এশিয়া কাপের মঞ্চেও অপরাজিত তকমা রয়েছে ভারতীয় দলের। টি টোয়েন্টি(T20) অধিনায়ক হিসাবে এশিয়া কাপের (Asia Cup) মঞ্চেই সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় নেমেছেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। সেখানে যোগ্য নেতৃত্বতে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় দল। আর শুধু তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে ভারত জিতেছে, তাতে সূর্যকুমারকে ফুল মার্কস দিচ্ছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। সূর্যকুমার(Suryakumar Yadav) ভারতকে এশিয়া কাপ ট্রফিটা দিতে পারেন কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। এশিয়া কাপে(Asia Cup) ব্যাট হাতেও বেশ ভালো পারফরম্যান্সই দেখিয়েছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসাবেও বেশ সাফল্য পেয়েছেন। পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচে হ্যান্ডশেক কাণ্ড নিয়েও বহু হৈচৈ হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্যকুমারের জবাব দেওয়ার স্টাইলটা নজর কেড়েছে মহম্মদ কাইফের (Mohammed Kaif)। এরপরই সূর্যকে বিরাট প্রশংসাপত্র দিলেন প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটার। মহম্মদ কাইফ(Mohammed Kaif) জানিয়েছেন, “ব্যাটে হাতে উইনিং শট খেলেছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে সূর্যকুমার যাদবের হাত ধরেই জয়ের রাস্তায় এগিয়ে চলেছে ভারতীয় দল। এছাড়া যেভাবে সেদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন সামলেছেন সূর্য, তাতে একজন দক্ষ অধিনায়কের ছাপই দেখা যায়। ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচের দিনই হয় আসল পরীক্ষা। আর সেখানেই যেভাবে তিনি পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন তা একজন যোগ্য অধিনায়কই করতে পারেন। সেই কারণেই অধিনায়ক হিসাবে রোহিত শর্মার যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে তাঁকে দেখছি আমি”। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে সূর্যকুমার যাদব দলকে পরিচালনা করেছেন তা দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন মহম্মদ কাইফ। বিশেষ করে যেমনভাবে তিনি অভিষেক শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়াকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন। হার্দিককে দিয়েই তুলে নিয়েছিলেন প্রথম উইকেটটা। কার্যত এখন সূর্যতেই মজে রয়েছেন মহম্মদ কাইফ।