অবশেষে ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূক্ত’ দুই বিদেশি ফুটবলারকে পাচ্ছে সিনিয়র জাতীয় দল!

সিঙ্গাপুরের কাছে হারে, এশিয়ান কাপের মূল পর্ব থেকে ইতিমধ্যে ছিটকে গিয়েছে ভারতীয় পুরুষদের সিনিয়র জাতীয় দল। তাও ১৮ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ের ম্যাচ ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল! কারণ, বহুবছর ধরে চর্চিত এক প্রচেষ্টা হয়ত এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে। নীল জার্সির শক্তি বাড়াতে জাতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন দুই ‘বিদেশি’, অবনীত ভারতী এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফরওয়ার্ড রায়ান উইলিয়ামস। ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করবে তারা আদৌ মাঠে নামতে পারবেন কি না আর যদি নামেন তাহলে তাদের পারফরম্যান্স কতটা সমৃদ্ধ করল ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সকে। যদিও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচের জন্য ২৩ সদস্যের সম্ভাব্য দল ঘোষণা করেছিলেন হেডকোচ খালিদ জামিল, সেখানে নেই অবনীত এবং উইলিয়ামস। তাও দুই ফুটবলারকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা যেতে পারে ভারতীয় দল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেছেন, “ক্যাম্পে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলে তাঁরা অবশ্যই ঢাকা যাবেন।” বৃহস্পতিবার থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। ভারতীয় পাসপোর্টধারী ডিফেন্ডার অবনীত ভারতী বলিভিয়ার শীর্ষ স্থানীয় ক্লাব অ্যাকাডেমিয়া ডেল বলোমপি বলিভিয়ানোতে খেলেন। এর আগে তিনি আর্জেন্টিনার সোল ডি মায়োতেও খেলেছিলেন। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার পার্থে জন্মানো ৩১ বছর বয়সি উইলিয়ামস বেঙ্গালুরু এফসি’র ফুটবলার। সম্প্রতি ভারতীয় পাসপোর্ট পেয়েছেন তিনি। চেক ন্যাশনাল ফুটবল লিগের ক্লাব এফকে ভার্নসডর্ফ থেকে লোনে অবনীতকে কিনে নিয়েছিল বলিভিয়ার ক্লাব। ২৬ বছর বয়সি এই ফুটবলার খেলেন সেন্টার ব্যাক পজিশনে। বাবা চাকরি সূত্রে দূতাবাস কর্মী হওয়ায় বিভিন্ন দেশে কাটাতে হয়েছে অবনীতকে। ২০১৯-২০ মরশুমে আইএসএলে কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে খেলেছিলেন নেপালে জন্মানো এই ফুটবলার। যদিও কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময়টা দেশের বাইরেই খেলতে হয়েছে তাঁকে। ফেডারেশন সভাপতির সংযোজন, “ভারতী অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন ডিফেন্ডার। উইলিয়ামসের ক্ষেত্রে আমাদের ধৈর্য ধরতে হয়েছিল। ক্রীড়ামন্ত্রী মানসুখ মান্ডভিয়া এবং তাঁর মন্ত্রককে কৃতিত্ব দিতেই হয়। এ ব্যাপারে তাঁরা অনেক সাহায্য করেছেন।” উইলিয়ামসের মা অড্রে মুম্বইয়ের এক অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান পরিবারে জন্মেছিলেন। তাঁর বাবার জন্ম ইংল্যান্ডের কেন্টে। কিছু দিন আগে ভারতের জার্সি গায়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন উইলিয়ামস। চৌবে বলেন, “তারপর থেকে এটা নিয়ে এগিয়েছি। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে প্রায় ছ’মাস সময় লেগেছে।” প্রশ্ন হল, কবে তাঁরা জাতীয় শিবিরে যোগ দেবেন? জানা গিয়েছে, চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছেন উইলিয়ামস। তবে শীঘ্রই ভারতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা অবনীত ভারতীর।
বাংলাদেশে টিম-ইন্ডিয়াকে পাঠাতে চাইছে না বিসিসিআই

বাংলাদেশ যাচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল! একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী ১৩ অগস্ট বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। সেখানে ১৭ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে তিনটি করে একদিনের আর্ন্তজাতিক ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজের সূচি মাস দু’য়েক আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত পায়নি বিসিসিআই৷ ফলত, সিরিজটি নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বাতিল হওয়ার পেছনে মূল কারণ দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাব। সূত্র আরও জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যৌথভাবে একটি বিবৃতি দেবে যেখানে এই সিদ্ধান্তকে বাতিল না বলে, ‘স্থগিত’ হিসেবে উল্লেখ করা হবে। গতবছর অগস্টে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং পরবর্তী কালে মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অর্ন্তবর্তী সরকার চালানোর সময়ে অনেকটাই বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক৷ বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অশান্তির পরিবেশকেই এই সফর বাতিলের অন্যতম কারণ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সেখানে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকদিনই নানারকমের হিংসাত্মক ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, ভারত-বিরোধী স্লোগান, হিন্দু মন্দির ভেঙে দেওয়ার মত উদ্বেগের ঘটনার খবরও নিয়মিত পাওয়া যাছে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে ভারত সরকার টিম ইন্ডিয়াকে বাংলাদেশে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না। আরও একটি অন্যতম কারণ, ওখানে হিন্দু বিদ্বেষের জন্য দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে রাজনৈতিক সম্পর্কও আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ভারত বিরোধী মন্তব্যও করেছেন। সব মিলিয়ে বিসিসিআইয়ের কাছে এই মুহুর্তে জাতীয় দলকে ওখানে না পাঠানোই শ্রেয় বলে মনে হচ্ছে।
ক্রিকেট মাঠে হাতাহাতি! লজ্জার ঘটনা ঘটালেন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ক্রিকেটার

ক্রিকেট মাঠে খুব খারাপ নজির। মারামারিতে জড়ালেন দুই ক্রিকেটার। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি! কলঙ্কিত হল ক্রিকেট। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং দলের খেলায় ঘটল এমন অনভিপ্রেত, লজ্জার ঘটনা। হাতাহাতিতে জড়ালেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান রিপন মণ্ডল ও দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার তসেপো এনতুলি। ঘটনার সূত্রপাত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১০৫তম ওভারে। এনতুলির প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান রিপন। তারপরই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুই ক্রিকেটার। এনতুলিকে দেখা যায় রিপনের হেলমেট ধরে টানাটানি করছেন। তাঁকে ধাক্কাও দিতে থাকেন। আম্পায়ার এগিয়ে এসে দুজনকে সরিয়ে দেন। ম্যাচ কমিশনার যদিও এখনও কোনও শাস্তি দেননি, কারণ এখনও মাঠের আম্পায়ারের কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি। তবে কড়া রিপোর্টই দিচ্ছেন তাঁরা। আশা করা যায় এমন লজ্জার ঘটনা ঘটানোর জন্য দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে খুব কঠোর সিদ্ধান্তই নেবে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। এটি ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ। আগের ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তার আগে একদিনের সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ম্যাচে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে ক্রিকেট মাঠে এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই দুই ক্রিকেটার যা সত্যিই বিরল ঘটনা। ২২ গজে বিতর্ক কম হয়নি। উত্তপ্ত পরিস্থিতি, তর্কাতর্কি সবই হয়ত হয়। কিন্তু হাতাহাতিতে জড়িয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন রিপন ও এনতুলি।
সাফে সেরা ভারত

বাংলাদেশকে হারিয়ে জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে গেলেন ভারতীয় জুনিয়র ফুটবলাররা।
পাক সফরে যেতে নারাজ বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাকিস্তান যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসেছেন ক্রিকেটাররা।
সাফ ফুটবল ঢেকে গেল কালো মেঘে

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল প্রতিযোগিতাকে ঘিরে অনিশ্চিয়তা তুঙ্গে
বাংলাদেশ সফর নিয়ে সংশয় বাড়ছে

ভারত-পাকিস্তান ২২ গজের লড়াই মনে হয়না ইদানীং আর দেখা যাবে। (ফাইল চিত্র)।