এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম হার রিয়াল মাদ্রিদের; লিগ টেবিলের শীর্ষে এখন বায়ার্ন

অ্যানফিল্ডে গিয়ে এবারও জেতা হল না রিয়াল মাদ্রিদের। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম হার তাদের। লিভারপুলের বিরুদ্ধে এক গোলে হেরেছে জ়াবি আলোন্সোর দল। অন্য দিকে, ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-২ ব্যবধানে হেরেছে প্যারিস সঁ জরমঁও। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের ৬১ মিনিটের গোলে জিতেছে লিভারপুল। তবে গোটা ম্যাচে তারা যা খেলেছে তাতে অনায়াসে আরও অনেক গোলে জিততে পারত। রিয়ালের লজ্জা বাঁচিয়েছেন গোলকিপার থিবো কুর্তোয়া। নিশ্চিত কিছু গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। শুধু ম্যাক অ্যালিস্টারের বেলায় কিছু করার ছিল না তাঁর। ভাল খেলেছে লিভারপুলের রক্ষণও। কিলিয়ান এমবাপে এবং ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে দাঁত ফোটাতে দেয়নি তারা। যদিও দ্বিতীয়ার্ধ্বে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন এমব্যাপে। ভিনিসিয়াসকে বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন কোনর ব্র্যাডলি। আট বছর লিভারপুলে খেলার পর প্রথম বার তাদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন ট্রেন্ট আলেকজ়ান্ডার আর্নল্ড। তাকে ম্যাচ চলাকালীন বহুবার বিদ্রূপ শুনতে হয়েছে। এদিকে, পিএসজি-র বিরুদ্ধে প্যারিসে গিয়ে বায়ার্ন দু’গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আধ ঘণ্টার মধ্যেই। জোড়া গোল করেন লুইস দিয়াজ়। তবে বিরতির আগেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবু প্যারিস জিততে পারেনি বায়ার্নের রক্ষণ মজবুত থাকার কারণে। জোয়াও নেভেস একটি গোল শোধ করলেও সমতা ফেরাতে পারেনি প্যারিস। অন্য ম্যাচগুলিতে টটেনহ্যাম ৪-০ হারিয়েছে কোপেনহেগেনকে, আতলেতিকো মাদ্রিদ ৩-১ হারিয়েছে ইউনিয়ন সাঁ জিলোয়াঁকে, অলিম্পিয়াকোস-পিএসভি এবং জুভেন্টাস-স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচ ১-১ ড্র হয়েছে। জিতে লিগ তালিকায় সবার উপরে চলে গিয়েছে বায়ার্ন। চার ম্যাচের প্রতিটিতে জিতে তাদের পয়েন্ট ১২। আর্সেনালও ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। এর পর রয়েছে প্যারিস, ইন্টার মিলান এবং রিয়াল মাদ্রিদ।
ন’জনে খেলেও বায়ার্নকে বিপর্যস্ত করে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ চারে পিএসজি; গুরুতর চোট মুসিয়ালার

ইন্টার মিয়ামিকে চার গোলের মালা পরিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালের মহারণে, বায়ার্নকে ২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল ফরাসি ক্লাব। তবে, ম্যাচের শেষার্ধ্বে ৯ জনের পিএসজি’কে পেয়েও গোল করতে পারেনি বায়ার্ন। গুরুতর চোট পেলেন বায়ার্নের তরুণ তারকা মুসিয়ালা। প্রথমার্ধের শেষ হওয়ার ঠিক আগে ভয়ানক চোটের কবলে পড়েন বায়ার্ন মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাঁর। স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় ২২ বছরের এই মিডফিল্ডারকে। বায়ার্ন মিউনিখের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ম্যাক্স এবারল খেলার পর জানিয়েছেন, মুসিয়ালাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “চোটের অবস্থা দেখে ভালো মনে হয়নি।” বায়ার্নের প্রধান কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির কথায়, “ছবি দেখে মনে হচ্ছে গোড়ালিতে বড় রকম আঘাত পেয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না।” দেজিরে দোয়ের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। এই গোলের পর আরও তেড়েফুঁড়ে ওঠে তারা। ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+৬ মি.) বায়ার্নের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন উসমান ডেম্বেলে। এক্ষেত্রে অবশ্য দায়ী বিপক্ষের রক্ষণ। প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবলারের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে বল জালে জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি তিনি। শেষের দিকে ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা ছিল চরমে। ৮২ থেকে ৯২ মিনিটের মধ্যে পিএসজি’র দুই ফুটবলার লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান। ৮২ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার উইলিয়াম পাচো। ৯০+২ মিনিটে লুকাস হার্নান্দেজকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। ফলে ম্যাচের শেষভাগে ৯ জন হয়ে যাওয়া পিএসজি’কে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় বায়ার্ন। তবে, সেমিফাইনালে নামার আগে দুই ফুটবলারের লাল কার্ড চিন্তায় রাখবে ফরাসি ক্লাবকে।
বায়ার্নের রেকর্ড, সমালোচনা তুঙ্গে
প্রতিবারে গোল করেই এভাবে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল বায়ার্নের ফুটবলাররা।