সামি, শাহবাজের দাপুটে বোলিংয়ে দুইয়ে দুই বাংলার

রঞ্জি ট্রফিতে(Ranji Trophy) এবার দুরন্ত ফর্মে বাংলা(Bengal)। দুইয়ে দুই। শাহবাজ আহমেদ(Shahbaz Ahmed), মহম্মদ সামির(Mohammed Shami) হাত ধরে ঘরের মাঠে গুজরাতকেও হেলায় হারাল বঙ্গ ব্রিগেড। সেইসঙ্গেই এক ম্যাচে ৮ উইকেট তুলে নিয়ে অজিত আগরকরকে ফের হয়ত ওকটা জবাব দিলেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। পরপর দুই ম্যাচেই ছয় পয়েন্ট তুলে নিল বাংলা। ইডেনে গুজরাতকে এদিল ১৪১ রানে হারাল বঙ্গ ব্রিগেড। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে গুজরাতের ব্যাটিং লাইনআপকে শেষ করে দিয়েছিলেন শাহবাজ আহমেদ(Shahbaz Ahmed)। লিড নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেছিল বাংলা। তিন পয়েন্ট আগেই পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্মীরতন শুক্লার(Laxmiratan Shukla) দলের লক্ষ্য ছিল ছয় পয়েন্ট। তবে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও কিন্তু বাংলার ব্যাটাররা খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। সুদীপ ঘরামির(Sudip Gharami) ৫৪ এবং অনুস্টুপ মজুমদারের(Anustup Majumdar) ৫৮ রান বাদ দিলে বাংলার অন্যান্য ব্যাটাররা অবশ্য সেভাবে সফল হতে পারেননি। লিড থাকার সুবাদে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা(Bengal)। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারানোর পরই ২১৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ(Abhimanyu Easwaran)। বাংলা লিড নিয়েছিল ৩২৮ রানের। ব্যাটাররা বড় রানের ঝলক না দেখাতে পারলেও, ইডেনের বাইশগজে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন বাংলার বোলাররা। সেইসঙ্গে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডার তিনি এবং শাহবাজ(Shahbaz Ahmed) মিলেই শেষ করে দেন। সামি একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। সঙ্গে তিন উইকেট শিকার শাহবাজের। ১৮৫ রানেই গুজরাতকে থামিয়ে দেয় বাংলা। সেইসঙ্গে দুই ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটাই এগিয়েও গেল বঙ্গ ব্রিগেড। তবে ম্যাচের সেরা হয়েছেন শাহবাজ আহমেদ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেটের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ২০ রানও রয়েছে তাঁর।
যুবভারতীর অ্যাস্ট্রো-টার্ফ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হতে পারে ৬ নভেম্বর; রাজগির পেল এএইচএফের অনুমোদন

বিহারের রাজগির স্পোর্টস অ্যাকাডেমির অ্যাস্ট্রো-টার্ফ এশিয়ান হকি ফেডারেশনের (এএইচএফ) অনুমোদন পেল। নালন্দায় ৯০ একর জমির ওপর তৈরি রাজগির স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অ্যাস্ট্রো-টার্ফে এখন হচ্ছে এশিয়ান কাপ। সেই উপলক্ষ্যে ওখানে উপস্থিত থাকা আর্ন্তজাতিক হকি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট তায়াব ইকরাম এই খবর জানিয়েছেন শুক্রবার। বাংলা থেকেও হকি বেঙ্গলের কর্মকর্তারা রাজগির যাচ্ছেন রবিবার। তাদের মূল উদ্দেশ্য এশিয়ান কাপে আসা বিদেশি দলগুলোর মধ্যে আসন্ন বেটন কাপের জন্য দল নির্বাচন করা। এবারের বেটন কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৬ থেকে ১৬ নভেম্বর। দেশের সেরা ১২টি দলের মধ্যে ১০টি দল তাদের অংশগ্রহণ ইতিমধ্যে নিশ্চিত করে ফেলেছে। কর্তাদের ইচ্ছে দুটো বিদেশি দলকে আনা। বাজেট আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে বলে স্পেন, জার্মানি, ইংল্যান্ডের মত হকি বিশ্বের প্রথম সারির দল হয়ত আনা সম্ভব হবে না। তাই কর্তারা চেষ্টা করবেন এশিয়া থেকে যদি বাজেটের মধ্যে দুটো ভাল দল আনা যায়। সেদিনই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে, ফুটবল স্টেডিয়ামের বাইরে তৈরি হওয়া হকির অ্যাস্ট্রো-টার্ফ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হওয়ার কথা। স্টেডিয়ামে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (এফআইএইচ) অনুমোদন কলকাতার এই স্টেডিয়াম গতবছরই পেয়েছে। আগামি সপ্তাহে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে হকি বেঙ্গলের কর্তাদের আলোচনায় বসার কথা। উদ্বোধনের ব্যাপারে চুড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করার কথা।
বিসি রায় ট্রফিঃ রাজদীপের হ্যাটট্রিকে শেষ চারে বাংলা

বাংলার ঝড়ে উড়ে গেল কেরল। অনূর্ধ্ব ১৬ জাতীয় জুনিয়র ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ড. বি সি রায় ট্রফির গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে কেরল কে ৪-১ গোলে হারালো ফাল্গুনী দত্তের প্রশিক্ষণে বাংলার ছেলেরা। গত ম্যাচে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের পর আবার কেরলের বিরুদ্ধেও হ্যাটট্রিক করে বাংলার রাজদীপ পাল। অন্য গোলটি দুর্গেশ তেওয়ারির। এই জয়ের ফলে টানা তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছল বাংলা। এদিকে, চলতি ডুরান্ড কাপের জন্য বাংলার রেফারি না পাওয়ার কারণে শনিবার ২৬ জুলাই কল্যানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলা কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস বনাম ইস্টবেঙ্গল এফসির ডার্বি ম্যাচ পরিচালনা করবেন ভিন রাজ্যের রেফারি। যদিও সহযোগী রেফারিরা সকলেই বাংলার।
তিন কোচকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত সিএবি-র, প্রশ্ন উঠছে সৌজন্যবোধের অভাব নিয়ে!

প্রণব রায়, শিবসাগর সিংহ ও চরণজিৎ সিংহ। বাংলার তিন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমান কোচ। এই তিন কোচকে আগাম কোনও বার্তা না দিয়েই সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএবি-র বর্তমান পরিচালন সমিতি। নজিরবিহীনভাবে এই কোচেরা সিএবি-র এই সিদ্ধান্তের অনুমান করছেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে আচমকা অপসারিত হওয়ার পর! তাঁদের পরিবর্ত কে হবেন, সেই নামও কার্যত চূড়ান্ত। যে খবর বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে ময়দানে। তিন কোচই মুখে কিছু বলেননি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু যেভাবে বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা তিন অভিজ্ঞ কোচকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে তারা যে অপমানিত হয়েছেন সেই নিয়ে সন্দেহ নেই। জানা গিয়েছে ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভ, হতাশাও প্রকাশ করেছেন। প্রণব রায় ছিলেন গত মরশুমে ছিলেন বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দলের হেড কোচ। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁর সঙ্গে সিএবি-র চুক্তি রয়েছে ৩১ জুলাই অবধি। প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার শিবসাগর ছিলেন বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ মহিলা দলের দায়িত্বে। আর অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দলের কোচ ছিলেন চরণজিৎ। প্রণব রায়কে যে বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ পুরুষ দলের দায়িত্বে রাখা হবে না, সেই ইঙ্গিত আগে থেকেই ছিল। সেই জায়গায় দেখা যেতে পারে ঋদ্ধিমান সাহাকে। গত মরশুমে অবসর নেওয়ার পর ঋদ্ধিমান পুরোদস্তুর কোচিংয়ে আসতে চলেছেন। বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগে তিনি সার্ভোটেক শিলিগুড়ি স্ট্রাইকার্সের মেন্টর ছিলেন। প্রণবের পাশাপাশি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে শিবসাগর ও চরণজিৎকেও। তাঁদের পরিবর্তে মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯ ও ২৩ দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে রুমেলি ধরকে। বাংলার ক্রিকেট মহলের প্রশ্ন, এই অসৌজন্য কি প্রাপ্য ছিল তিন কোচের? পদ্ধতিতে স্বছ্বতা আনা যেত নে? তিনজনের সঙ্গে সিএবি-র তরফ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ব্যক্তিগত স্তরেও কেউ কথাবার্তা বলেননি। বলা হয়নি যে, ধন্যবাদ। আপনাদের আর রাখা হচ্ছে না। তিন কোচই অপসারণের খবর জানতে পেরেছেন কোচ ও পদাধিকারীদের নিয়ে তৈরি সিএবি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সোমবার তাঁদের আচমকা সরিয়ে দেওয়ার পর। শোনা গেল, সিএবি-র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার চিন্ময় নায়েক তাঁদের গ্রুপ থেকে ‘রিমুভ’ করে দিয়েছেন। তিনজনের কাছে অপসারণের কোনও খবর ছিল না। অন্যদের ফোন পেয়ে তাঁরা গ্রুপ খুলে দেখেন। এবং আবিষ্কার করেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গল প্রো টি-২০ টুর্নামেন্টে গতবার চ্যাম্পিয়ন লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সের মহিলা দলের কোচ ছিলেন চরণজিৎ। শিবসাগর ছিলেন হারবার ডায়মণ্ডস মহিলা দলের কোচ। যে দল এবার সেমিফাইনালে খেলেছে। বাংলার মহিলাদের অনূর্ধ্ব ২৩ দলের দায়িত্বে শিবসাগর ছিলেন ২ বছর। তার মধ্যে একবার বোর্ডের ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলা। টি-২০ টুর্নামেন্টে একবার কোয়ার্টার ও একবার প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বাংলা। সিএবি-র একাংশ বলছে, পারফরম্যান্স চোখধাঁধানো না হলেও হেলাফেলা করার মতোও নয়। তিন কোচকে যে সরিয়ে দেওয়া হতে চলেছে, সোমবার এপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সিএবি থেকে যদিও বলা হচ্ছে, তিন কোচেরই চুক্তি ফুরিয়েছিল বেঙ্গল প্রো টি-২০ টুর্নামেন্টের আগেই। সেই চুক্তি আর নবীকরণ না করা হলে তাতে নিয়মে বাধা নেই। তবে বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কর্তা থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটার – একটা বিষয়ে সকলেই কার্যত একমত। কোচত্রয়ীর বিদায় আরও একটু সম্মানের হতে পারত।
অ্যাথলেটিক্সে ‘বাংলার মুখ’ এসিসি

সোদপুরের এসিসি এখন হয়ে উঠেছে বাংলার অ্যাথলেটিক্সের আশা-ভরসা।