সুনীলকে ক্যাম্পে ডাকলেন না খালিদ; যোগ দিলেন ২২জন ফুটবলার

মানোলো মার্কুয়েজের ডাকে অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন সুনীল ছেত্রী। কিন্তু খালিদ জামিলের আমলে তিনি ব্রাত্য হয়ে পড়লেন। জাতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরে ডাক পেলেন না ভারতের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং প্রাক্তন অধিনায়ক। সেপ্টেম্বরে ভারত খেলবে কাফা নেশনস কাপে। এই টুর্নামেন্টই হবে সদ্য জাতীয় কোচ হওয়া খালিদ জামিলের প্রথম টুর্নামেন্ট। জাতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরে ৩৫ জন ফুটবলারের নাম ঘোষণা করেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছেন ২২ জন ফুটবলার। তবে ডুরান্ড চলার জন্য ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, জামশেদপুর এফসির মোট ১৩ জন ফুটবলার যোগ দিতে পারেননি শিবিরে। এআইএফএফ তরফে এই তিন ক্লাবের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে জাতীয় স্বার্থে তাদের ফুটবলারদের ছেড়ে দিতে। মোহনবাগান থেকে ডাক পেয়েছেন দীপক টাংরি, অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, লালেনমাওইয়া রালতে, বিশাল কাইথ ও সাহাল আবদুল সামাদ। ইস্টবেঙ্গল থেকে জাতীয় শিবিরে যাবেন নাওরেম মহেশ, আনোয়ার আলি ও জিকসন সিং। যারা ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে গিয়েছেনঃ গোলরক্ষক: অমরিন্দর সিং, গুরপ্রীত সিং সান্ধু, হৃতিক তিওয়ারি। ডিফেন্ডার: আকাশ মিশ্র, অ্যালেক্স সাজি, বরিস সিং থাংজাম, চিংলেনসানা সিং কনশাম, হামিংথানমাওইয়া রালতে, রাহুল ভেকে, রোশন সিং নওরেম, সন্দেশ ঝিঙ্গান, সুনীল বেঞ্চামিন। মিডফিল্ডার: আশিক কুরুনিয়ান, দানিশ ফারুক ভাট, নিখিল প্রভু, রাহুল ক্যানোলি প্রবীণ, সুরেশ সিং ওয়াংজাম, উদান্ত সিং কুমাম। ফরোয়ার্ড: ইরফান ইয়াদওয়াদ, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, রহিম আলি, বিক্রম প্রতাপ সিং। কোচ: খালিদ জামিল
পদপিষ্ট কাণ্ডে বিরাটের পাশে বিজেপি

বেঙ্গালুরু পদপিষ্ট কাণ্ডের সব দায় আরসিবির উপর চাপিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। এমনকী ঘুরিয়ে বিরাট কোহলির নামও গোটা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে এবার কংগ্রেসকে পালটা জবাব বিজেপি-র। গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক তথা বিধানসভার উপ বিরোধী দলনেতা অরবিন্দ বেল্লাডের বক্তব্য, “আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল সরকার। এখন বিপাকে পড়ে বিরাট কোহলিকে দায়ী করছে। অরবিন্দ বেল্লাড বলছেন, “সেলিব্রেশনের জন্য শুধু যে আরসিবি লোক জড়ো করেছিল তেমন নয়। খোদ ডিকে শিবকুমার, সরকারি আধিকারিকরা এবং কংগ্রেসও ক্রিকেট ভক্তদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা টেলিভিশনে প্রকাশ্যে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন।” তাঁর দাবি, সরকার চাইলেই ওই সেলিব্রেশন বন্ধ করা যেত। কংগ্রেস সরকার ১৮ বছর বাদে আরসিবির ট্রফি জয়ের কৃতিত্বটা নিজেদের কৃতিত্ব হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এখন চাপে পড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দোষ দিচ্ছে। এমনকী বিরাট কোহলির মতো তারকাকেও দোষী করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, হাই কোর্টে পদপিষ্টের ঘটনার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কর্নাটক সরকার। প্রাথমিকভাবে সিদ্দারামাইয়ার সরকারের দাবি ছিল, ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। কিন্তু হাই কোর্ট জানায়, এই তদন্তের রিপোর্ট গোপন রাখার কোনও কারণ বা আইনি বৈধতা নেই। হাই কোর্ট সেই রিপোর্ট জনসমক্ষে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কর্নাটক সরকার পুরো ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট সব দায় চাপানো হয়েছে আরসিবির উপর। সরকারের দাবি, পুলিশ বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এত বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সোশাল মিডিয়াতেও সেই নিয়ে পোস্ট করা হয়েছিল। যেহেতু সময় কম ছিল, তাই পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরসিবির সোশাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেলগুলিতে একের পর এক পোস্ট করে সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় চিন্নাস্বামীতে। সেই পোস্টগুলিতে বিরাট কোহলির ভিডিও-ও ছিল। তাতে বিরাটকেও দেখা গিয়েছে সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানাতে। এ হেন জনপ্রিয় ক্রিকেটার সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানানোটাও ভিড়ের অন্যতম কারণ। সব মিলিয়ে আরসিবির পোস্টগুলিতে ৪৪ লক্ষ ভিউ হয়েছিল!
প্রকাশ পাড়ুকোনের ৭০তম জন্মদিনে দীপিকার অঙ্গীকার, সবার জন্য ব্যাডমিন্টন

কিংবদন্তি বাবা প্রকাশ পাড়ুকোনের ৭০তম জন্মদিনে নতুন অঙ্গীকার মেয়ে দীপিকা পাড়ুকোনের। পাড়ুকোন স্কুল অফ ব্যাডমিন্টনকে গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করে দীপিকা জানান, সকলের জন্য ব্যাডমিন্টন এই ব্যাপারটাকে বাস্তবায়িত করতে তাঁরা দায়বদ্ধ। এবাবেই জন্মদিনে প্রকাশকে আবেগঘন সম্মান জানান বলিউড তারকা মেয়ে। গোটা দেশের ১৮টি শহরে মোট ৭৫টি শাখা কোচিং সেন্টার তৈরি হয়েছে, এ কথা ঘোষণা করে পোস্ট করেছেন দীপিকা। সেই পোস্টের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রণবীর সিং। বেঙ্গালুরু, মুম্বই, চেন্নাই, জয়পুরসহ ১৮টি শহরে এই কোচিং সেন্টার খোলা হল। দীপিকা বলেন, “পাড়ুকোন স্কুল অফ ব্যাডমিন্টন আশা করে সমাজের সব ধরণের মানুষের মধ্যে আনন্দ ও শৃঙ্খলা নিয়ে আসবে ব্যাডমিন্টন।“ ইনস্টাগ্রামে বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দীপিকা লেখেন, “এমন একজন যে ব্যাডমিন্টন খেলতে খেলতে বড় হয়েছেন, আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, খেলাটা কীভাবে একজন মানুষের শরীরকে, মনকে ও তাঁর আবেগকে প্রভাবিত করতে পারে। সমৃদ্ধ করতে পারে। একটা প্রজন্মকে তৈরি করতে এই স্কুল দায়বদ্ধ। বাবা, যারা তোমাকে জানে, এই সত্তর বছর বয়সেও খেলাটার জন্য তোমার প্যাশন, এখনও খাওয়া দাওয়া, ঘুমোনো, নিঃশ্বাস প্রশ্বাস – সব ব্যাডমিন্টন। আমরা তোমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দায়বদ্ধ। ব্যাডমিন্টন ফর অল, হ্যাপি সত্তরতম জন্মদিন বাবা।