কামব্যাকের লড়াই চলছে! ঘরোয়া ক্রিকেটে ফের নজরকাড়া ইনিংস পৃথ্বীর

মহারাষ্ট্রের জার্সিতে আবার নজরকাড়া পারফরর্ম্যান্স পৃথ্বী শ’য়ের। বুচি বাবু টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর এবার হাফসেঞ্চুরিও করলেন তিনি। তামিলনাড়ু প্রেসিডেন্ট একাদশ প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৪ রান করে। জবাবে মহারাষ্ট্রের ইনিংসকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান পৃথ্বী। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫৭ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তৃতীয় দিনের প্রথম বলেই তিনরান নিয়ে হাফসেঞ্চুরি করেন। হর্ষল কেটের সঙ্গে ৯৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। শেষ পর্যন্ত ৯৬ বলে ৬৬ রান করে আউট হন পৃথ্বী। তবে তার ব্যাটিংয়ে আগের মত আগ্রাসন দেখা যাচ্ছে, আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে। সোজা ব্যাটে অফ সাইডে তার ড্রাইভগুলো মনে পড়িয়ে দিচ্ছে পৃথ্বীরই কেরিয়ারের শুরুর খেলাকে। চেন্নাইয়ে বুচিবাবু টুর্নামেন্টে মহারাষ্ট্রের হয়ে প্রথম ম্যাচেই ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে ১১১ রান করেছিলেন পৃথ্বী। ১৪টি চারের পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। চেহারা দেখেও মনে হয়েছিল, ফিটনেস নিয়ে যথেষ্ট খাটছেন। গত বছরের অক্টোবরে মুম্বইয়ের রনজি দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলার অভাব, ওজন নিয়ে সচেতনতার অভাবের মতো অভিযোগ ছিল। নতুন মরশুমে দলবদল করে চলে আসেন মহারাষ্ট্রে। একসময় যাঁরা পৃথ্বীর সতীর্থ ছিলেন, তাঁদের অনেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত। পৃথ্বী কি কামব্যাক করতে পারবেন?
পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটারের!

ফরিদ হুসেন। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার ক্রিকেটার। গত ২০ অগস্ট একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তিনি । সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনার ভিডিও ও দুর্ঘটনার মুহূর্ত ধরা পড়েছে । ঘটনাটি ২০ অগাস্টের । সিসিটিভি ফুটেজ রীতিমতো ভাইরাল । কী হয়েছিল? হুসেন বাইক চালিয়ে আসছিলেন। এক ব্যক্তি আচমকাই তখন গাড়ির দরজা খুলে নামতে যান । ঠিক সেই সময়ই হুসেন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন । গাড়ির খোলা দরজায় ক্রিকেটার হুসেন ধাক্কা খান । সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছিটকে পড়েন । পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে হুসেন প্রাণ হারিয়েছেন। ফরিদ হুসেনের দুর্ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটেও শোকের আবহ। জম্মু কাশ্মীরের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এক কর্তা ফোনে জানালেন, ফরিদ রাজ্য দলের ক্রিকেটার ছিলেন না। কিন্তু পুঞ্চ জেলার হয়ে খেলে সম্প্রতি ক্রিকেট কোচদের নজর কাড়ছিলেন। বর্তমানে জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট দল বুচিবাবু টুর্নামেন্টে খেলছে। গত মরশুমে মুম্বই এবং বরোদাকে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির নক-আউট পর্বে পৌঁছে নতুন কীর্তি করেছিল দলটি।
সেঞ্চুরি করলেন বুচি বাবু ট্রফিতে! ‘শূন্য থেকে কামব্যাকের’ শপথ পৃথ্বীর

মুম্বইয়ে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নিজেরই উশৃঙ্খলায়। প্রতিভায় মরচে পড়ে গিয়েছিল পরিশ্রমের অভাবে। তাই মুম্বই ছেড়ে মহারাষ্ট্রে যাওয়া, ক্রিকেট জীবনে আসা অধঃপতন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে। মঙ্গলবার, চেন্নাইয়ে বুচিবাবু ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের হয়ে ১৪১ বলে ১১১ রানের ইনিংস কি সেই ইঙ্গিত দিল? পিচ কঠিন ছিল। মহারাষ্ট্র ১৫ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল। পৃথ্বী আর সিদ্ধার্থ মাত্রের লড়াইয়ে মহারাষ্ট্রের ইনিংস ভদ্রস্থ অবস্থায় শেষ হয়। তারপরই ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটারের ঘোষণা, ‘কারও সহানুভূতির প্রয়োজন নেই।’ চেহারা দেখেও মনে হল, ফিটনেস নিয়ে যথেষ্ট খাটছেন।সোশ্যাল সাইটে লিখেছেন, “আমি কারও সহানুভূতি চাই না। আবার শূন্য থেকে শুরু করতে আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি অনেক উত্থানপতন দেখেছি। আমি বিশ্বাস করি, জীবনে সব কিছুই সম্ভব। আমি নিজে আত্মবিশ্বাসী। সেই বিশ্বাসটা বজায় রাখতে চাই। আশা করি, এই মরশুমটা আমার ও দলের জন্য ভালো যাবে। আমি বিরাট কিছু বদল করছি না। গোড়ার বিষয়গুলো নিয়েই পরিশ্রম করছি। যেরকম করে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পেয়েছিলাম। পরিশ্রম করছি, জিমে খাটছি, দৌড়চ্ছি। ১২ বছর বয়স থেকে এটাই করে চলেছি। সোশাল মিডিয়া থেকেও দূরত্ব বজায় রাখছি।”