যশপ্রীত বুমরাকে ওভাল টেস্টে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ মেডিকাল টিমের

চলতি ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের পঞ্চম এবং শেষ টেস্ট, ওভালে যশপ্রীত বুমরা সম্ভবত খেলবেন না। ভারতীয় ক্রিকেট দলের মেডিকাল টিম তাকে বিশ্রাম দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি ইংরিজি ওয়েবসাইট। এই সিরিজে বুমরার তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল এবং তার ৩টি টেস্ট খেলাও হয়ে গিয়েছে। ভারতের কাছে ওভাল টেস্টের অপরিসীম গুরুত্ব। জিতলে সিরিজে ১-২ পিছিয়ে থাকা ভারত সিরিজ ড্র করে ফিরতে পারবে। তাও, বুমরার পিঠের চোট এবং ওয়ার্কলোডের কথা ভেবে তাকে বিশ্রাম দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুমরা এখনও পর্যন্ত চলতি সিরিজের ৩ টেস্ট মিলিয়ে মোট বল করেছেন ১২০ ওভার। গতবছর অস্ট্রেলিয়া সফরে পিঠে চোট পাওয়ার পর চলতি ইংল্যান্ড সিরিজে তার প্রথম মাঠে নামা। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুমরাকে স্বমহিমায় দেখা যায়নি। অনেক কম গতিতে বল করেছেন। মুভমেন্টও আগের দু’টেস্টের মত ছিল না। এটাই হয়ত তার ওয়ার্কলোড বেশি হয়ে পড়ার প্রতিফলন ছিল। ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর অবশ্য দু’দিন আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বুমরার সঙ্গে তার এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে কথা হয়নি। কিন্তু ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, বুমরার পরিবর্তে আকাশদীপ সিং-এর প্রথম একাদশে ঢোকার সম্ভাবনা বেশি।
বল বিতর্কে বুমরার রসিকতা, ‘মুখ খুললে টাকা কেটে নেবে’!

লর্ডস টেস্টে বল-বিতর্ক গুরুত্বপূর্ন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত দ্বিতীয় দিনে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে বারবার দেখা গেল আম্পায়ারদের সঙ্গে বল নিয়ে কথা বলছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহম্মদ সিরাজ। কিন্তু এই বিতর্কে মুখ খুলতে নারাজ যশপ্রীত বুমরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফাস্ট বোলারের রসিকতা, “আমিকিছু বলতে চাই না। এই নিয়ে মুখ খুললে ম্যাচ-ফি কেটে নেবে! অনেক কষ্ট করে রোজগার করি।” টেস্টে প্রথম নতুন বল আসে ৮০ ওভারের শেষে। কিন্তু লর্ডসে ডিউকের তৈরি করা ৮০ বলও টিকছে না! শুক্রবার মাত্র ৬৪ ডেলিভারির পরই বদলাতে হল বল। আবার সেই নতুন বলও স্থায়ী হল মাত্র ৪৮ ডেলিভারি! আগেই ঋষভ পন্থ মুখ খুলেছিলেন নতুন বল দ্রুত নরম হয়ে যাওয়া নিয়ে। এদিন ম্যাচ চলাকালীন ভারত অধিনায়কও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে বলের আকার বদলে যাওয়া এবং বারবার বল বদলানোয় যে অসুবিধা হচ্ছে সেটা গোপন করেননি লর্ডসে পাঁচ উইকেট পাওয়া পেসার। বলছেন, “এবার বলটা আলাদা। আগের সফরগুলিতে এভাবে বারবার বল বদলাতে হয়নি। আগের বলটা দীর্ঘক্ষণ শক্ত থাকত। কিন্তু এখন শক্ত পিচ, গরম আবহাওয়া। হয়তো এসবের জন্য বল বারবার নরম হয়ে যাচ্ছে।”
চার বছর পর ইংল্যান্ড দলে আর্চার, বুমরাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবিটা কেমন দাঁড়াল। একপক্ষ বোলিংয়ের ধার বাড়াতে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল ছোটানো ক্রিকেটারকে দলে নিয়ে এল। আর এক পক্ষ দলের সেরা ক্রিকেটারকে এজবাস্টন টেস্টে খেলাবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধায়। বলা যায়, অনিশ্চয়তার মেঘ উড়ছে ভারতীয় শিবিরে। এবার খুলেই বলা যাক। চার বছর পর ইংল্যান্ড দলে ফিরলেন জোর্ফা আর্চার। তাঁকে নিয়ে আলদা করে বলার কিছু নেই। শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ভারতীয় দলের বিরুদ্ধেই। ২০২১ সালে আমেদাবাদ টেস্ট খেলার পর তিনি চোটের কারনে দলের বাইরে চলে যান। আইপিএলে আর্চারকে খেলতে দেখা গেলেও হতে চোট পেয়ে তিনি আবার মাঠের বাইরে চলে যান। দেশে ফিরে চিকিৎসা করিয়ে মাঠে ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দেয় যে কাউন্টি ম্যাচ না খেলে তাঁকে নিয়ে নির্বাচকরা ভাববেন না। তাই ডারহামের বিরুদ্ধে সাসেক্সের হয়ে তিনি মাঠে নেমে পড়েন। ব্যাট হাতে ৩১ রান করার পাশাপাশি ১৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে একটি উইকেট পান। পারফরম্যান্সের থেকেও নির্বাচকরা দেখতে চাইছিলেন আর্চার কতটা ছন্দে আছেন। সেই পরীক্ষায় পাশ করার পর জাতীয় দলে ঢুকে পড়তে অসুবিধা হয়নি। হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড বোলারদের বোলিংয়ে খুশি হতে পারেননি নির্বাচকরা। কারন তাদের বল পিটিয়ে ভারত তোলে ৪৭১ ও ৩৬৪। তাই ওকস, কার্স. টং ও স্টোকসকে নিয়ে গড়া বোলিং আক্রমনের ধার বাড়াতে তারা নিয়ে এলেন আর্চারকে। সম্ভবত তিনি এজবাস্টন টেস্ট খেলবেন। আর আর্চার খেলা মানে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কিছুটা হলেও চাপে পড়বেন। আবার নতুন করে পরীক্ষা বলা যেতে পারে। আর্চারকে নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে কিছুটা স্বস্তির হাওয়া বইলেও ভারতীয় দলে অনিশ্চয়তার মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে। কারন বুমরাকে ঘিরে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৪ ওভর বল করা বুমরাকে বিশ্রাম দিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁরা মনে করছেন এজবাস্টনের পর লর্ডস টেস্টে বুমরাকে খেলানো হবে। কিন্তু এজবাস্টনে সিরিজ ইংল্যান্ডের পক্ষে ২-০ হয়ে গেল বারত সিরিজে ফিরে আশতে পারবে তো! এমনটাই আশঙ্কা প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর। তিনি বলছেন, আমি সবসময় চাইব ইংল্যান্ডকে যেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া না হয়। বুমরা না থাকা না মানে মানসিক দিক থেকে স্টোকসরা বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকবে। প্রথম টেস্টে ভারতীয় বোলিং দেখে ওরা বুঝে গিয়েছে বুমরা সরে গেলে বাকিদের দিয়ে দারুন কিছু করে দেখাতে পারবে না ভারত। অনেকে বলছেন, বুমরাকে নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা দেশ ছাড়ার আগে কেন জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল! এর ফলে ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে তৈরি ছিল, বুমরাকে তিন টেস্টের বেশি খেলতে হবে না। এটা একটা অ্যাডভান্টেজ বলা যেতে পারে। সেটাই হয়তো শেষপর্যন্ত হতে চলেছে। বুমরা না খেললে কি হতে পারে! তিনি যদি খেলতে না পারেন তা হলে অর্শদীপের টেস্ট অভিষেক হবে। বাঁহাতি পেসারকে প্রথম টেস্টে দলে নেওয়া উচিত ছিল। কেন নেওয়া হয়নি তা নির্বাচকরা বলতে পারবেন। আর বলবেন গম্ভীর। অর্শদীপের সঙ্গে দলে আসতে পারেন কুলদীপ। শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় তিনি খেলতে পারেন। নায়ারকে সুযোগ দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ নায়ার। তিনি বাইরে গেলে নীতিশ আসবেন। আর একজনের কথাও উঠছে। শোনা যাচ্ছে, হেডিংলে টেস্টে হাতে চোচ পেয়েছেন সাই সুদর্শন। চোট না সারলে অভিমন্যু ঈশ্বরন খেলতে পারেন। প্রথম টেস্ট হারের পর প্রথম একাদশ থেকে একসঙ্গে এতজনকে বাইরে রাখা হবে! এ নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবে ২ জুলাই দ্বিতীয় টেস্ট শুরু। হাতে সময় আছে। জল কোনদিকে গড়ায় তার একটা আভাস কদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।
বুমরার উপর চাপ দেওয়া হবে না, খেলবে আর দুটি টেস্ট ম্যাচঃ গম্ভীর

জসপ্রীত বুমরা কি এজবাস্টনে ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলবে! ২ জুলাই থেকে এজবাস্টন টেস্ট শুরু হচ্ছে। এখনও সপ্তাহখানেক বাকি। তার আগে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করে বলতে পারছে না যে বুমরাকে সেই টেস্ট ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে কিনা। হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের কাছে পাঁচ উইকেটে হারার পর মাইকেল আথারটনের প্রশ্নের উত্তরে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল বলেন, এখনই বলতে পারছি না। ওকে সময় দেওয়া হবে। মনিটরিং চলছে। দেখা যাক, তারপর কি হয়। শুভমান গিল পাশ কাটিয়ে গেলেও ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বুমরা সিরিজে তিনটির বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলবে না। এখানে আসার আগে আমরা জানতাম, ওকে পুরো সিরিজ পাওয়া যাবে না। আমারও ওর উপর বেশি চাপ দেব না। কারন এটাই আমাদের শেষ সিরিজ নয়। সামনে আরও অনেক খেলা আছে। তাই জোর করে খেলতে গিয়ে চোট লেগে গেলে ওকে ভবিষ্যতে নাও পাওয়া যেতে পারে। তবে বুমরা কোন তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে তা পরে আলোচনায় ঠিক করা হবে। ওর সঙ্গে এনিয়ে কথা বলা হবে। পরের টেস্ট ম্যাচ শুরু হতে এখনও এক সপ্তাহ বাকি। তাই বার্মিংহাম পৌঁছে আমরা এ নিয়ে আলোচনা করব। হেডিংলে টেস্ট ম্যাচ হারের পর ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন গম্ভীর। বলছেন, ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কথা নেই। ওরা ভাল পারফরম্যান্স করেছে। ম্যাচে পাঁচটি সেঞ্চুরি ওদের কাছ থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি। দুই ইনিংস মিলিয়ে আটশোর উপর রান দেখেছি। তাই টেস্টে ব্যাটসম্যানরা ওদের কাজ ঠিকভাবে করেছে। বোলারদের নিয়ে সমালোচনা করাও ঠিক নয়। কারন হেডিংলের উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক ছিল। শেষদিনেও উইকেট যেভাবে খেলেছে তা দেখে আমরা অবাক হয়েছি। ইংল্যান্ডে সাধারনত এমন উইকেট হয় না। তাই বোলাররা যা করেছে, তারপর ওদের নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। দলে অনেকের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। বুমরা ও সিরাজ ছাড়া কেউ বেশি টেস্ট খেলেনি। প্রথম টেস্টের পর ওোরা বুঝতে পারবে এখানে কীভাবে বল করতে হবে। এখনও অনেক খেলা বাকি। তাই বলার সময় পরে আসবে। এখানেই শেষ নয়, ক্রিকেট বিশ্ব ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ে হতাশ। কী করে সাতটি ক্যাচ টেস্ট পড়ল! গম্ভীর এবার পাশ কাটিয়ে গেলেন। বলেন, এটা ক্রিকেটের পার্ট অ্যান্ড পার্শেল বলা যেতে পারে। অনেক সময় এমনটা হয়ে যায়। কেউ খারাপ ফিল্ডার নয়। জাদেজাকে কীভাবে খারাপ ফিল্ডার বলা হবে। কিন্তু ম্যাচে অনেক সময় হাত থেকে বল বেরিয়ে যায়। সেভাবেই এখানে তাই হয়েছে। তবে এই টেস্ট থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আগামি টেস্ট ম্যাচগুলিতে নামার আগে এ নিয়ে আলোচনা করব। হয়তো পরের টেস্টে এসব আর দেখতে পাওয়া যাবে না।
দুই প্রাক্তনের বার্তা নিয়ে বুমরাকে সঞ্জনা, পুরো সিরিজটা খেল

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলে জসপ্রীত বুমরা না খেললে ভারতীয় দল কোথায় গিয়ে দাঁড়াত। প্রশ্ন শেষ করতে না দিয়ে সবাই বলতেন, এতক্ষণে ভারতীয় দল চাপে পড়ে যেত। হয়তো প্রথম টেস্ট ম্যাচও হাতছাড়া হত। আসলে বুমরা আছে বলেই ভারতীয় দল মেজাজে আছে। না হলে তারা শুরুতেই শেষ হয়ে যেত। তাই হয়তো সনি টিভির অ্যাঙ্কর কমেন্ট্রি বক্স থেকে দৌড়ে মাঠে যাওয়ার মুহূর্তে দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার তাঁর পথ আগে দাঁড়ালেন। বললেন, আমাদের একটি বার্তা জসপ্রীতের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ওকে বলবে, পুরো সিরিজটা যেন খেলার চেষ্টা করে। আমরা চাই ইংল্যান্ডের মাঠে পাঁচটি টেস্টই বুমরা খেলুক। না হলে সব গরমিল হয়ে যাবে। সনি টিভির অ্যাঙ্কর সঞ্জনা গনেশন অনেকদিন থেকে এই কাজ করছেন। তারপর বুমরার সঙ্গে আলাপ। বাকিটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। বিয়ে হয়। দুবছর আগে তাঁদের ছেলে অঙ্গাদের জন্ম হয়। সঞ্জনা বলেন, অঙ্গাদ জন্মানোর পর বুমরার খেলা পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। ও এখন দলের ভরসা হয়ে উঠেছে। এই ভাবনা সঞ্জনার। কিন্তু তার আগেই বুমরাকে ভারতীয় দলে নিয়মিত খেলতে দেখা গিয়েছে। সেদিন থেকেই দলর ভরসা তিনি। তো মাঠে ঢুকে তিনি জসপ্রীত বুমরাকে ধরেন। স্ত্রী ইন্টারভিউ নেবে। তিনি কি সরে দাঁড়িতে পারেন। বুমরা তৈরি ইন্টারভিউ দিতে। সঞ্জনা প্রথমেই বলেন, আমি দুজনের বার্তা নিয়ে তোমার কছে এসেছি। একজন সুনীল গাভাসকর। অন্যজন চেতেশ্বর পুজারা। দুজনেই জানিয়েছেন, তুমি চেষ্টা কর যেন পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলে দেশে ফিরতে পার। বুঝতেই পারছ কেন ওঁরা তোমার কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে। তাঁরাও বুঝে পারছেন, তুমি ন থাকলে ভারতীয় দল চাপে পড়ে যাবে। বুমরা হাসলেন। তর আগে তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন, এখানে খেলতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। এখানে বেশ ভাল ঠান্ডা। তাই আমি কাহিল হয়ে পড়ছি না। নিজেকে অনেক ফ্রেশ লাগছে। দেখা যাক, এভাবে কতদিন নিজেকে সামনে নিয়ে যেতে পারব। গাভাসকর, পুজারাউ শুধু নন, তাঁদের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও আশা করেছেন, ইংল্যান্ড বলেই হয়তো বুমরা সহজে কাহিল হয়ে পড়বে না। আমি চাই বুমরা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলুক। ও থাকলে ভারতীয় দল সিরিজে মানসিক দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে শুরু করতে পারবে। না হলে ইংল্যান্ড ম্যাচ ধরে নেবে। প্রথম টেস্ট শুরুর আগে আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড গাওয়ার বলেছিলেন, ৭৫ ভাগ ফিট থাকলে বুমরা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলে দেবে। জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে সব ক্রিকেটার চায়। বুমরা সহজে হেরে যাওয়ার বান্দা নয়। তাই ড্রেসিরুম ও হোটেলে সাপোর্টস্টাফদের কাজ অনেক বেড়ে যাবে। ওকে সারাক্ষণ মনিটর করে যেতে হবে। তা হলে বুমরার পক্ষে মাঠে নামতে অসুবিধা হবে না।
আমার মধ্যে এক মিনিটের বেশি হতাশা কাজ করে নাঃ বুমরা

ভারতীয় ড্রেসিংংরুমে বেশ কিছুদিন ধরে একটা ছবি বারবার সামনে আসছে। খেলার শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরতে সেরা ফিল্ডারের হাতে একটি পদক তুল দেওয়া হয়। বাকিরা হাততালি দিয়ে সেই সেরা ফিল্ডারকে অভিনন্দন জানান। কখনও দলের কোনও সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে এসে সেরা ফিল্ডারের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়। কখনও দলেরই সিনিয়র ক্রিকেটাররা সেই এক কাজ করেন। তার আগে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের একটি ছোট ভাষনও শোনা যায়। প্রশ্ন উঠছে, হেডিংলে টেস্ট শেষ হওয়ার পর সেই এক ছবি কি দেখতে পাওয়া যাবে! সেরা ফিল্ডারের হাতে কি এবারও পদক তুলে দেওয়া হবে! নিয়ম মেনে তাই যদি হয়, তা হলে এবার কে হতে পারেন সেরা ফিল্ডার! ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যে দলের ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ছটি ক্যাচ ফেলে, সেই দলের কাউকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া যায় না। গত পাঁচ বছরে ভারতীয় দল এত বাজে ফিল্ডিং করেছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। ফিল্ডিং ঠিকঠাক হলে বুমরার একাই ইংল্যান্ডকে শেষ করে দিতেন। তাঁকে পাঁচ উইকেট নিয়ে ড্রেসিংরুমে পিরতে হত না। শচীন থেকে শুরু করে গাভাসকর, শাস্ত্রীরা বলছেন, ভারতীয় দলকে এত বাজে ফিল্ডিং করতে সাম্প্রতিক অতীতে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। শচীন বলছেন, হেডিংলেতে বুমরার ৯ উইকেট পাওয়া উিচত ছিল। শাস্ত্রী জানাচ্ছেন, বুমরার দাপটে কোনঠাসা ইংল্যান্ড অন্তত ভারতের প্রথম ইনিংস ৪৭১ রানের থেকে ১৫০ রান পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ত। কিন্তু কোনটাই হল না। ইংল্যান্ড দুর্বল ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ভারতের থেকে মাত্র ৬ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস শেষ করে। যাঁকে নিয়ে এত কথা, সেই জসপ্রীত বুমরা এ নিয়ে কি বলছেন! তাঁর বোলিংয়ে অন্তত চারটি ক্যাচ পড়েছে। হতাশ করেছেন যশ্বসী জয়সওয়াল। তিনি দুটি ক্যাচ ফেলেছেন। দলের সেরা ফিল্ডার রবীন্দ্র জাদেজার হাত থেকেও ক্যাচ পড়েছে। এগুলি না হলে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই ইংল্যান্ড চাপে পড়ে যেত। ইংল্যান্ড ইনিংস শেষ হওয়ার পর বুমরাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয় তাঁর বোলিংয়ে এত ক্যাচ পড়ছে দেখে কি হতাশা গ্রাস করে না। বুমরা বলেন, হতাশা আসে। মনে হয়, ইস ক্যাচটি যদি ধরতে পারত। বলতে পারেন ক্ষোভও মনে জন্মায়। তবে তা মিনিট খানেকের বেশি আমার মধ্যে থাকে না। পরের বল করার আগে এটাই ভাবি যে কেউ তো আর ইচ্ছে করে ক্যাচ ফেলেনি। ও চেষ্টা করেছে। হাতে রাখতে পারেনি। তাই এমন হয়েছে। এটা নিয়ে বেশি ভাবতে গেলে পরে নিজেকে ঠিকভাবে মেলে ধরা যায় না। তবে অনেকদিন পর এভাবে অনেকগুলি ক্যাচ আমাদের হাত থেকে পড়ল। না হলে আমাদের ফিল্ডাররা অনেক ভাল ফিল্ডিং করে। এর পাশাপাশি বুমরা একটি ভাল খবরও জানিয়ে দিয়েছেন। বলছেন, ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় বল করতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। পিঠের অস্ত্রোপচারের পর অনেকদিন মাঠের বাইরে তিনি ছিলেন। ডাক্তাররা বলেছিলেন, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর রাখতে হবে। তাই হেডিংলেতে তিনি একটা স্পেলে চার থেকে পাঁচ ওভারের বেশি বল করছেন না। বুমরা বলছেন, ঠান্ডার কারনে নিজেকে কখনও কাহিল বলে মনে হচ্ছে না। এখন দেখা যাক, পরের ম্যাচগুলিতে কি হয়। এটাই ভারতীয় ড্রেসিংরুমকে চাঙ্গা করার পক্ষে যথেষ্ট। বুমরা যদি পাঁচটি টেস্ট খেলতে পারেন, তা হলে গোটা সিরিজে ইংল্যান্ড চাপের মধ্যে থাকবে। না হলে মানসিক দিক থেকে অনেক চাঙ্গা হয়ে তারা মাঠে নামবে। ফিল্ডারদের হতাশার দিনেও ভাল খবরের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন বুমরা। হেডিংলেতে পাঁচ উইকেট নিয়ে বুমরা ধরে বিদেশের মাঠে রেকর্ডও গড়লেন। তবে আর এক প্রাক্তন দীনেশ কার্তিক বলছেন, বুমরার স্ট্রাইক রেট দেখুন। বুঝতে পারবেন নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। ওর বোলিং গড় হিংসে করার মতো। দুশো উইকেট নিয়েছে ১৯.৩৩ গড় নিয়ে। ভাবা যায়! ওর পিছনে আছে কিংবদন্তী ম্যালকম মার্শাল। ক্রিকেট বিশ্বে মার্শাল, ম্যাকগ্রা, আক্রমরা আলাদা জায়গায় নিজেদের দাঁড় করিয়েছেন। বুমরা তাঁদের সঙ্গে এক সারিতে থাকবে। ভারতের সর্বকালের সেরা পেসার বললে কি বুমরার নাম চলে আসবে! আসতে পারে। ওকে বাইরে রেখে দল গড়া সম্ভব নয়।
পাশে কাউকে না পেলে বুমরা একা কতটা লড়বেঃ শাস্ত্রী

ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা মনে আছে তো ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলের। ভারতীয় দল ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তিন টেস্টের বেশি খেলতে পারবেন না বুমরা। সঙ্গে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিতে হবে। সেটা কি শুরু হয়ে গিয়েছে! প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরু হওয়ার পর গিল বাধ্য হয়ে বুমরাকে যেভাবে ব্যবহার করছেন, তারপর একথা না উঠে পারছে না। এমন চললে বুমরা তিন টেস্ট খেলতে পারবেন তো! পাশে কাউকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখা না গেলে তিনি আবার চোটে কাহিল হবেন। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে স্কাই স্পোর্টসে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী বলছিলেন, বুমরার পাশে কাউকে দেখতে পেলাম না। কেউ একজন বলল না যে আমি আছি। তুমি যতটা পার, চেষ্টা কর। বাকিটা আমরা সামলে দেব। কোথায় কি! একজনও এগিয়ে এল না। উল্টে রান দিয়ে ইংল্যান্ডকে ইনিংসকে সুবিধা করে দিল। বুমরা ১৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেল। বাকি চার বোলার দিল ১৫৪ রান। কোনও উইকেট নেই। তা হলে কি দাঁড়াল! ভারতীয় দলকে ম্যাচে চালকের আসনে বসাতে গেলে সেই বুমরাকে ছুটতে হবে। না হলে ব্যাটসম্যানরা যত রানই করুক না কেন, ভারত সুবিধা করতে পারবে না। ভারতের ৪৭১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংংল্যান্ড ৩ উইকেটে ২০৯। এটা ৪ উইকেট হতে পারত। শেষ ওভারে বুমরার একটি শর্ট বল পুল মারার চেষ্টা করেন হ্যারি ব্রুক। বল ব্যাটের উপরের দিকের কানায় লেগে মিডঅনের দিকে যায়। সিরাজ পিছনের দিকে ছুটে সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচটি ধরেন। ভারতীয় দলের উল্লাস থেমে যেতে বেশি সময় লাগল না। সেই ওভারে দুটি নো বল করেছিলেন বুমরা। আম্পায়ার নিশ্চিত হতে ব্রুককে থামিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। দেখা যায়, বলটি নো ছিল। সে যাত্রা বেঁচে যান ব্রুক। তারপরই খেলা শেষ হয়ে যায়। তা হলে কি দাঁড়াল। উইকেট নিতে হলে গিলকে তাকিয়ে থাকতে হবে বুমরার দিকে। যা করার তিনি করবেন। বাকিরা আসবেন। মেডেন নেবেন বা রান দিয়ে ওভার শেষ রবেন। এভাবে একটা দল কতটা সামনের দিকে যেতে পারে। ইংল্যান্ডের মার্ক উড চোট থেকে সবে উঠে এসেছেন। তাঁকে এই সিরিজে নিয়ে আসা হলেও হেডিংলেতে তিনি নেই। খেলার শেষে বলছিলেন, বুমরা এখন বিশ্বের একনম্বর বোলার। ওর সামনে দাঁড়ালে ব্যাটসম্যানরা কেঁপে যায়। এটা ঘটনা, তার প্রমান দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের ইনিংসে দেখা গেল। শুধু উড নন, দুদিন আদে প্রাক্তন অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ার বলছিলেন, বুমরাকে মাঠের বাইরে রাখলে ব্যাটসম্যানরা খুশি হবে। আমি আজকের ইংল্যান্ড দলে থাকলে বুমরাকে খেলতে চাইতাম না। মনে হত কখন বুমরা বিশ্রামে যাবে। শুনছি বুমরা পুরো সিরিজ খেলতে পারবে না। তা হলে ইংল্যান্ড মানসিক দিক থেকে কিছুটা চাঙ্গা হয়ে মাঠে নামতে পারবে। তাই ভারতীয় দলের উচিত, বুমরাকে ঠিকঠাক রেখে পুরো সিরিজ খেলানো। সেটাই ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে মঙ্গল হবে। দ্বিতীয় দিনের খেলার মাঝে বুমরা মাঠ ছেড়ে বাইরে যান। ড্রেসিংরুমে গিয়ে সোজা কোচ গম্ভীরের পাশে বসে পড়েন। কি কথা হয়েছে তা কেউ জানেন না। তবে সতীর্থদের কথা নিশ্চয় তিনি বলেছেন। তাদের প্রত্যাশার কথা উঠতে বুমরা একরাশ হতাশা ছাড়া আর কিছু মেলে ধরতে পারেননি। এর বাইরে আর কি কথা থাকতে পারে!
শুরুতে বুমরাকে নেতৃত্বে দেখতে চেয়েছিলেন মঞ্জেরেকর

ইংল্যান্ড সফরে অধিনায়কের লড়াইয়ে দুজন ক্রিকেটারের নাম ভেসে উঠেছিল। একজন শুভমান গিল। আর একজন জসপ্রীত বুমরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাজি জিতে গেলেন গিল। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচকদের ভোট পেয়ে গিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচ টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হয়ে গেলেন। সাদা বলের ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থাকলেও টেস্টে তাঁকে সেভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বিদেশের মাঠে ব্যাটসম্যান গিল ফ্লপ বলা যেতে পারে। না হলে বিদেশে ভারতের শেষ টেস্ট সিরিজে কেন প্রথম একাদশের বাইরে থাকবেন গিল। সেদিনও তো কোচের চেয়ারে ছিলেন গম্ভীর। সেদিন পছন্দ না হলে এখন কীভাবে গিল তাঁর ডায়েরিতে প্রথমেই উঠে এলেন। ভারতীয় কোচ ও নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জেরেকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইদানীং তিনি বিতর্ক তুলে দিতে পারেন। তাঁর মতের সঙ্গে অনেকেই কথার মিল খুঁজে পান না। তবে এক্ষেত্রে যুক্তি দিয়ে তিনি অধিনায়ক নির্বাচনের ব্যাপারটি বোঝাতে চেয়েছেন। তাঁর মতে রোহিত ও বিরাট দলে না থাকায় চাপ পড়বে। সিরিজ খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। এই ধরনের সিরিজ কেন একজন নতুন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে। বিদেশের মাঠে ব্যাটিংয়ে ঠিকভাবে ক্লিক করতে পারছে না গিল। তার উপর অধিনায়কের বোঝা কাঁধে চাপিয়ে কোনঠালা করে দেওয়া হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রোহিতের ডেপুটি ছিল বুমরা। প্রথম টেস্টে রোহিত না থাকায় বুমরা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। ভারতীয় দল জিতেওছিল। আবার সিডনি টেস্টে রোহিত সরে দাঁড়ানোয় বুমরা ফের দলকে নেতৃত্ব দেয়। সেই টেস্টের তৃতীয় দিন পিঠে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বুমরা। তারপর আর তাঁকে জাতীয় দলরে জার্সিতে খেলতে দেখা যায়নি। অনেকদিন বেঙ্গালুরুতে রিহ্যাব করর পর মাঠে ফিরে আসে। আইপিএলের শুরুতেও বুমরাকে খেলতে দেখা যায়নি। তারপর ফিরে এসে বুমরা চমক দিয়েছে। এই পারফরম্যান্স ইংল্যান্ডে ধরে রাখতে পারলে বুমরা দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। তাই বুমরা ছাড়া অন্য কাউকে অঝিনায়ক হিসেবে চোখে পড়েনি। এখানেই থেমে যাননি সঞ্জয়। বলছেন, শুনছি বুমরা নাকি পুরো সিরিজ খেলবে না। বোর্ডকে জানিয়েও দিয়েছে। সম্ভবত তিন বা চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। তা হলেও অসুবিধা কোথায়! প্রথম দুটি টেস্টের জন্য বুমরাকে অধিনায়ক করা যেতে পারত। ওর ডেপুটি থাকত গিল। বুমরা সরে গেলে গিল দলকে নেতৃত্ব দিত। অস্ট্রেলিয়ার মতো এক হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বুমরার। আসন্ন সিরিজে দল নিয়ে ঠিকই চলতে পারত। কিন্তু তাকে অধিনায়ক করা হল না। কেন! এই প্রশ্ন অনেকের। নির্বাচকরা বলছেন, তাঁরা পার্টটাইম অধিনায়ক রাখতে চান নি। বুমরা ফিট হলে হয়তো তাঁকে অধিনায়ক করা হত। কিন্তু দুটি বা তিন টেস্টর জন্য একজনকে অধিনায়ক করে পরে আবার নতু একজনের কাঁধে দায়িত্ব দিতে রাজি ছিলন না তাঁরা। তাই বুমরাকে সরিয়ে নির্বাচকরা গলকে বেছে নেন। সঞ্জয় বলছেন, এমনটা না করার কোনও মান নেই। একজন অদিনায়ক দুটি টেস্টর পর চোট পেয়ে বাইরে গেলে কি হত। অধিনায়কের কাজে গিলের থেকে বুমরা অনেকটা এগিয়ে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কটিন সিরিজে একজন আনকোরা অধিনায়ককে এনে হিতে বিপরীত হতে পারে। এটা কবে বোঝা যাবে।
বুমরায় উচ্ছ্বসিত বোল্ট, বোলিংয়ের ব্র্যাডম্যান বললেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট

বৃহস্পতিবার জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে বল হাতে ঝড় তুলে দেন জসপ্রীত বুমরা। চোট থেকে সেরে উঠে আবার নিজের ছন্দে বুম বুম বুমরা। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১৫ রানে নিলেন ২ উইকেট। ঈর্ষণীয় ইকনমি রেট। তাঁকে এভাবে ফর্মে ফিরতে দেখে উচ্ছ্বসিত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সতীর্থ ট্রেন্ট বোল্ট। কিউয়ি পেসার বলেন, এই হল জাত বোলার। ঠিক সময়ে জ্বলে উঠতে জানে। এভাবেই সতীর্থকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বোল্ট। অস্ট্রেলিয়ান লেজেন্ড অ্যাডাম গিলক্রিস্ট তো বুমরায় আরও মজেছেন। মুগ্ধ গিলি বলেন, বুমরা হল বোলিংয়ের ডন ব্র্যাডম্যান। আইপিএলে যেভাবে বল করছেন বুমরা, তাঁর যা ইকনমি রেট ও ডট বলের সংখ্যা, তাতে মুগ্ধ প্রাক্তন অজি উইকেটরক্ষক ব্যাটার। শুধু টি টোয়েন্টি নয়, সব ধরণের ক্রিকেটেই বুমরা সেরা, মনে করেন গিলক্রিস্ট। টেস্টে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের যেভাবে সমস্যায় ফেলেছিলেন সে কথাও মনে করছেন গিলি। পিঠের চোটের জন্য আইপিএলের প্রথম চারটি ম্যাচে খেলেননি বুমরা। তিনি ফিরে আসার পরই অন্যরকম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অসাধারণ ৬.৯৬ ইকনমি রেট। ইনিংস প্রতি প্রায় দশটা ডট বল। সব প্রতিপক্ষই তাঁর বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক খেলার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। আর এসব দেখেই গিলক্রিস্ট বলে ফেললেন বুমরা হলেন বোলিংয়ের ডন ব্র্যাডম্যান।