মোহনবাগান দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

মোহনবাগান দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবস পালিত হয়। ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে যায় আবেগ। এবার হয়ত আবেগের মাত্রা একটু বেশি। কারণ, ‘মোহনবাগান রত্ন’ পুরষ্কার পাচ্ছেন ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি টুটু বোস। মুখ্যমন্ত্রীর পত্রযোগে শুভেচ্ছা বার্তা সমর্থকদের কাছে মোহনবাগান দিবসের তাৎপর্য নিশ্চয়ই আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মোহনবাগান দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘আজ ২৯ জুলাই। মোহনবাগান দিবস নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উদযাপন করা হবে জেনে খুবই আনন্দিত। কেবল মোহনবাগানের ইতিহাসেই নয়, ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসেও দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯১১ সালের এই দিনেই মোহনবাগান প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে ব্রিটিশ দলকে হারিয়ে ঐতিহ্যশালী আইএফএ শিল্ড জিতেছিল। যা খেলাধুলার ঊর্ধ্বে গিয়ে জাতীয় গর্বের প্রতীক হয়ে ওঠে। এটি নিছকই কেবল জয় নয়, বরং এক অপরিসীম গৌরবের মুহূর্ত ছিল। যা লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে দেশপ্রেমের উচ্ছ্বাস জাগিয়ে তুলেছিল।’ তিনি আরও লেখেন, ‘গর্বের এই মুহূর্তে আমি সমগ্র মোহনবাগান পরিবারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাই। শতাব্দী প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানটি আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে আরও উচ্চতায় আসীন হবে।’ উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর থেকে একে একে অনুষ্ঠান রয়েছেন মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে। শুরুতে দুপুরে ক্লাবের অমর একাদশে মাল্যদান। তারপর ক্লাবের পতাকা উত্তোলন। সব শেষে ক্লাব মাঠে প্রাক্তন ফুটবলারদের ফুটবল ম্যাচ। যেখানে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতি বছর প্রাক্তন ফুটবলাররা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। বলতে গেলে মোহনবাগান ডে হচ্ছে, প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলারদের ‘রি-ইউনিয়ন।’
অবসরের পর প্র্যাকটিসে রোহিত, এরপর রাজনীতিতে!

রোহিত শর্মা কি নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন! ক্রিকেট মাঠের বাইরে এমনই গুঞ্জন। বলা হচ্ছে, এবার রাজনীতিতে নামতে পারেন রোহিত শর্মা। হঠাৎ করে কেন একথা ছড়িয়ে পড়ল! বুধবার সকালে মহারাস্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনাবিশের বাড়িতে যান রোহিত। সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার ছাড়া কিছু নয়। রোহিতের হাতে মুখ্যমন্ত্রী ফুলের বুকে তুলে দেন। তাঁরা দুজনে বেশ কিছু সময় গল্প করে কাটান। কী কথা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আসেনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিত দেখা করতে এলে যা হয়, সেটাই হয়েছে। ক্যামেরার ঝলকানি। মিষ্টি মুখ। কোনও কিছু বাদ গেল না। এখানে ব্যাপারটি শেষ হয়ে গেলে এত কথার কিছু ছিল না। কিন্তু সেটা হল কোথায়! তাঁর বাড়ি থেকে রোহিত বেরিয়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র বিভিন্ন ছবি পোস্ট করে দেন। আর এখানেই চমক। দুয়ে দুয়ে চার হতে বেশি সময় লাগল না। হঠাৎ করে কেন রোহিত কেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। তবে কি রাজনীতিতে নামার পরিকল্পনা আছে হিটম্যানের। তিনি নিজে এ নিয়ে কোনও কথা বলেননি। আলাদা করে কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্রও। কিন্তু তাতে কি হয়েছে। টি২০ ক্রিকেট থেকে গতবছর অবসর নিয়েছেন। এবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। পড়ে রইল শুধু ওয়ান ডে ক্রিকেট। সেটাই বা কতদিন চলবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি! আর তো কিছু করার থাকছে না। আইপিএল চালিয়ে গেলেও সেটাই বা কতদিনের বছরে দুই থেকে আড়াই মাস। বাকি সময় রোহিত করবেন কি! এখান থেকে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। রোহিত হয়তো রাজনীতিতে নামতে পারেন। সে যাই হোক, রাজনীতিতে এলেও এখনই তা সম্ভব নয়। সেটা হয়তো আর দুবছর পার করে হতে পারে। রোহিত নিজে কি চাইছেন, সেটাও জানার ব্যাপার আছে। সরকারের কাছ থেকে কিছু দাবিও থাকতে পারে তাঁর। অ্যাকাডেমি করতে চান রোহিত। তার জন্য সরকারের কাছ থেকে জমি চাইতে পারেন। কিন্তু সেটাই বা হয় কি করে। রোহিতের অ্যাকাডেমি আছে। তিনি নিজে সেভাবে দেখভাল করতে পারেন না। তাঁর ভাই দায়িত্ব নিয়ে দেখেন অ্যাকাডেমি। তাই এমন কিছু ভাবনা তাঁর আছে বলে কেউ মনে করছেন না। যাই হোক, আগামিদিনে হয়তো রোহিতের পরিকল্পনা জানা যাবে। সকালে মুখ্যমুন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসার পর আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের খেলার প্রস্তুতিতে নেমে পড়েন রোহিত। প্র্যাকটিসে কোনও কিছু খামতি ছিল না। বোঝা গিয়েছে, মানসিক দিক থেকে তিনি নিজেকে অনেক সামলে নিয়েছেন। প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন থেকে শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে। তার প্রথম ধাপ আইপিএল। ২১ মে ওয়াংখেড়েতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে তাঁরা খেলতে নামবেন। পরের ম্যাচ পাঞ্জাব কিংস। লিগ টেবিলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চার নম্বরে রয়েছে। ১২ ম্যাচে তারা ১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। প্লে অফ খেলতে হলে তাদের অন্তত একটি ম্যাচ জিততেই হবে। তাই প্রথম টার্গেট দিল্লির বিরুদ্ধে জয়। রোহিতের লক্ষ্যও তাই। হিটম্যানের কেরামতি ২১ মে থেকে শুরু হয়ে গেল।