নামধারীকে ক্লিন চিট AIFF-এর , রেলিগেশনের মুখে বেঙ্গালুরু !!!

বেঙ্গালুরুর আপিল নাকোচ করে দিলো AIFF আপিল কমিটি। আই লিগ ২০২৪-২৫ মরশুমে বড়সড় বিতর্কের অবসান ঘটাল AIFF-এর অ্যাপিলস কমিটি। ক্লেডসন দা সিলভা ‘ডে’-কে অবৈধভাবে খেলানোর অভিযোগে নামধারী এফসির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল SC বেঙ্গালুরু। অভিযোগ ছিল, সাতটি হলুদ কার্ড এবং একটি লাল কার্ড পাওয়ার পরেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে নামেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ‘ডে’। অথচ, তখন তাঁর সাসপেনশন খাটানো উচিত ছিল। কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিল AIFF! জানাল, ‘নামধারী ক্লাব “গুড ফেইথে” কাজ করেছে।’ কারণ ম্যাচের আগেই AIFF-কে মেল করে খেলার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে তারা। তাই ওই ম্যাচে নামধারীর ২-১ জয় এবং তিন পয়েন্টও বহাল থাকছে। তবে সতর্ক করে AIFF বলেছে, “পরবর্তী সময়ে নামধারী ক্লাব যেন নিজেরাই প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন ও সাসপেনশন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে। এই রায়কে ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে নজির হিসেবে ধরা যাবে না।” এদিকে এই রায়ে বড়সড় ধাক্কা SC বেঙ্গালুরুর। ১১ নম্বরে শেষ করে ইতিমধ্যেই রেলিগেশনের মুখে তারা। তাদের সঙ্গে আছে দিল্লি এফসি-ও। তবে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে – AIFF উভয় ক্লাবের অবনমন স্থগিত করেছে। দিল্লি অভিযোগ জানিয়েছে, AIFF-এর ডিসিপ্লিনারি কোড ও সংবিধান অনুযায়ী নিয়ম মানা হয়নি। AIFF-এর অতীত নজির, বিশেষ পরিস্থিতিতে রেলিগেশন মকুবের ইতিহাস এবং প্রক্রিয়ার অভাবে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে কমিটি। তবে চূড়ান্ত রায় এখনও বাকি। লড়াই এখন আদালতের ময়দানে—আত্মরক্ষায় কোমর বেঁধেছে দিল্লি ও বেঙ্গালুরু। ফুটবলের ময়দানে লড়াই এখন শুধু গোলের নয়, নিয়মেরও!
শার্দূল না কুলদীপ? সিদ্ধান্ত অধিনায়কেরই, কোচ নয়—সোজাসাপটা গাভাসকর

ম্যানচেস্টার টেস্টে ভারতের বোলিং রণনীতির চূড়ান্ত ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাসকর। শার্দূল ঠাকুরের পরিবর্তে কুলদীপ যাদবকে খেলানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি আরও সোজাসাপটা বলেন—“একাদশ নির্বাচনের পূর্ণ দায়িত্ব অধিনায়কের, কোচ নন।” গাভাসকরের মতে, “দিনের শেষে দায়ভার অধিনায়কের। ওটাই তাঁর দল। ওর সিদ্ধান্তেই চলা উচিত। যদি শুভমান গিল কুলদীপকে খেলাতে চাইতেন, তাহলে সেটাই হওয়া উচিত ছিল।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি জানি এইসব বিষয় বাইরের লোকজনের সামনে আসে না। সবকিছু ঠিকঠাক আছে দেখানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু সত্যিটা এড়ানো যায় না—দলের নেতৃত্ব ক্যাপ্টেনই দেন, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তাঁরই থাকা উচিত।” এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা চলাকালীন ইংল্যান্ডের ওপেনাররা যখন ভারতীয় বোলিংকে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তখনও শার্দূলকে মাত্র পাঁচ ওভার ব্যবহার করেন গিল। তিন-চার দিন মিলিয়ে শার্দূল বল করেছেন মাত্র ১১ ওভার—৫৫ রান খরচ করে একটি উইকেটও পাননি। অথচ কুলদীপের মতো বৈচিত্র্যময় স্পিনার বেঞ্চেই বসে রইলেন। গাভাসকর আরও বলেন, “ধোনি, গাঙ্গুলির মতো ক্যাপ্টেনরা দলকে বদলে দিয়েছিলেন। কারণ ওরা নিজের সিদ্ধান্তে চলতেন। কোচের উপর ভরসা নয়, নিজের সাহসে নেতৃত্ব দিতেন। ক্যাপ্টেনকে যদি শুধু পোস্টার বয়ের মতো বসিয়ে রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সংস্কৃতি ধ্বংস হবে।” গাভাসকরের এই মন্তব্য শুধু গম্ভীরের কোচিং কৌশল নয়, বরং গোটা টিম ম্যানেজমেন্টের রণনীতিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল। ওল্ড স্কুল হলেও আজও গাভাসকর এর মতো সরল, ধারালো বিশ্লেষণই ক্রিকেটের আসল স্পাইন।
বিতর্কিত সিনার এবার কোর্টে নামছেন

তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফের টেনিস কোর্টে ফিরতে চলেছেন জাহ্নিক সিনার। ২৬ জানুয়ারি শেষবার তাঁকে কোর্টে নামতে দেখা গিয়েছিল। তারপর ওয়াডার নির্দেশে পুরোপুরি টেনিস কোর্ট থেকে দূরে সরে যেতে হয়। সেই সিনার ওয়াডার ঘোষিত শাস্তির মেয়াদ কাটিয়ে ফিরতে চলেছেন টেনিস কোর্টে। ৪ মে শুরু হবে ইতালিয়ান ওপেন। সেই প্রতিযোগিতায় তিনি খেলবেন বলে জানিয়েছেন। হামবুর্গ ওপেনেও তঁার খেলার কথা। আসলে ফরাসি ওপেনে নামার আগে যতটা সম্ভব প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে চাইছেন। যাতে নিজেকে পুরোপুরি ম্যাচ ফিট হয়ে নিজের সুনাম বজায় রাখতে পারেন। সিনারের শাস্তি ঘোষণাকে কোনও টেনিস তারকা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তিনি নিষিদ্ধ ক্লোস্টেবল নিয়েছিলেন। দু-দুবার পরীক্ষায় দেখা যায় সিনার ব্যর্থ। ফলে ওয়াডা ইতালীয়কে িতন মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তঁার শাস্তির মেয়াদ শুরু হয় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। যার দরুন মরশুমের শুরুর দিকে তিনি খেলতে পারেননি। সিনারকে ওয়াডা জানিয়ে দিয়েছিল, ১৩ এপ্রিলের আগে তিনি কোনওমতে প্র্যাকটিশ করতে পারবেন না। স্বশাসিত ট্রাইবুনাল অনুমতি দেওয়ায় তিনি খেলতে পেরেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। এবং দুটোতেই চ্যাম্পিয়ন হন। কিন্তু ওয়াডা সিনারকে মাত্র তিন মাস সাসপেন্ড করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন টেনিস তারকারা। ওয়াডাকে দোষারোপ করে একের পর এক টেনিস তারকা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা যেমন বলেছিলেন, “খেলার উপর থেকে স্বচ্ছতা থাকার বিশ্বাসটাই উঠে গেল। এরপর থেকে টেনিসে স্বচ্ছতা থাকবে বলে মনে হয়না।” নিক কুরিয়র তো সরাসরি বলে দিয়েছিলেন,“টেনিসে সততা বলে আর কিছু নেই।” মেদভেদেভ ওয়াডার নাম এনে বলে ছিলেন, “এবার থেকে যারা নিষিদ্ধ কিছু সেবন করবে তারা শাস্তির কবলে পড়লে ওয়াডার সঙ্গে বসে যেতে পারে। তাহলে নিশ্চয় শাস্তির মেয়াদ কমে যাবে।” জকোভিচও পরে বলেছিলেন, “সিনারের শাস্তির মেয়াদ নিয়ে ওয়াডা যা করল তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বজুড়ে কেউই মেনে নিতে পারছে না। সিনারকে মাত্র তিন মাস শাস্তি দিয়ে ওয়াডা তার ভাবমূর্তি নষ্ট করল। ভাবমূর্তি নষ্ট হল টেনিসেরও। যথেষ্ট পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। কেউ নামী হলে তার শাস্তির মেয়াদ অন্যরকম হতে পারে না।” এমনিতেই সিনার কোনঠাসা। তারউপর শাস্তির মেয়াদ কাটিয়ে কোর্টে ফিরে আসছেন। ফলে তঁাকে যে আগের জায়গায় পাওয়া যাবে না তা নিশ্চিত। বিশ্ব ক্রমতালিকায় তিনি ছিলেন শীর্ষে। এখন তঁাকে ছন্দ খুঁজে পেতে সময় লাগবে। তাই সিনার বলেছেন, “প্র্যাকটিশে কোনও ফঁাকি দিইনি ঠিকই। কঠোর অনুশীলন করেছি। আশাকরছি ক্লে মরশুমের আগে হারানো গতি কিছুটা ফিরে পাব। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার পক্ষে পুরোন জায়গায় ফিরে আসা মোটেই সহজ হবে না।” ওয়াডা জানিয়ে দিয়েছিল ১৩ এপ্রিলের আগে তাঁর টিমকে নিয়ে তিনি আদৌ প্র্যাকটিশে নামতে পারবেন না। এমন কী তাঁর কোচ সিমোন ভ্যাগনোজির থেকে দূরে থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক ভাবে যাতে সক্রিয় থাকতে পারেন তারজন্য একটা বিস্তারিত প্ল্যান তৈরি করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি নিজেকে যতটা ফিট রাখা যায় তাই করার চেষ্টা করেছেন। তবে তিন মাসের মধ্যে অনেক কিছু ইতিবাচক দিক খঁুজে পেয়েছেন ইতালীয় তারকা। “তিন মাসের মধ্যে অনেক কিছু ইতিবাচক দিকও খুঁজে পেয়েছি। যাবতীয় ঝামেলা থেকে দূরে ছিলাম। পরিবার, বন্ধুদের সাথে যথেষ্ট সময় কাটিয়েছি। তাছাড়া নিজেকে খুঁজে পেলাম। চেষ্টা করেছি কোথায় দঁাড়িয়ে আছি তা খুঁজে বের করতে।”