পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটারের!

ফরিদ হুসেন। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার ক্রিকেটার। গত ২০ অগস্ট একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তিনি । সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনার ভিডিও ও দুর্ঘটনার মুহূর্ত ধরা পড়েছে । ঘটনাটি ২০ অগাস্টের । সিসিটিভি ফুটেজ রীতিমতো ভাইরাল । কী হয়েছিল? হুসেন বাইক চালিয়ে আসছিলেন। এক ব্যক্তি আচমকাই তখন গাড়ির দরজা খুলে নামতে যান । ঠিক সেই সময়ই হুসেন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন । গাড়ির খোলা দরজায় ক্রিকেটার হুসেন ধাক্কা খান । সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছিটকে পড়েন । পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে হুসেন প্রাণ হারিয়েছেন। ফরিদ হুসেনের দুর্ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটেও শোকের আবহ। জম্মু কাশ্মীরের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এক কর্তা ফোনে জানালেন, ফরিদ রাজ্য দলের ক্রিকেটার ছিলেন না। কিন্তু পুঞ্চ জেলার হয়ে খেলে সম্প্রতি ক্রিকেট কোচদের নজর কাড়ছিলেন। বর্তমানে জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট দল বুচিবাবু টুর্নামেন্টে খেলছে। গত মরশুমে মুম্বই এবং বরোদাকে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির নক-আউট পর্বে পৌঁছে নতুন কীর্তি করেছিল দলটি।
শার্দূল না কুলদীপ? সিদ্ধান্ত অধিনায়কেরই, কোচ নয়—সোজাসাপটা গাভাসকর

ম্যানচেস্টার টেস্টে ভারতের বোলিং রণনীতির চূড়ান্ত ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাসকর। শার্দূল ঠাকুরের পরিবর্তে কুলদীপ যাদবকে খেলানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি আরও সোজাসাপটা বলেন—“একাদশ নির্বাচনের পূর্ণ দায়িত্ব অধিনায়কের, কোচ নন।” গাভাসকরের মতে, “দিনের শেষে দায়ভার অধিনায়কের। ওটাই তাঁর দল। ওর সিদ্ধান্তেই চলা উচিত। যদি শুভমান গিল কুলদীপকে খেলাতে চাইতেন, তাহলে সেটাই হওয়া উচিত ছিল।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি জানি এইসব বিষয় বাইরের লোকজনের সামনে আসে না। সবকিছু ঠিকঠাক আছে দেখানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু সত্যিটা এড়ানো যায় না—দলের নেতৃত্ব ক্যাপ্টেনই দেন, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তাঁরই থাকা উচিত।” এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা চলাকালীন ইংল্যান্ডের ওপেনাররা যখন ভারতীয় বোলিংকে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তখনও শার্দূলকে মাত্র পাঁচ ওভার ব্যবহার করেন গিল। তিন-চার দিন মিলিয়ে শার্দূল বল করেছেন মাত্র ১১ ওভার—৫৫ রান খরচ করে একটি উইকেটও পাননি। অথচ কুলদীপের মতো বৈচিত্র্যময় স্পিনার বেঞ্চেই বসে রইলেন। গাভাসকর আরও বলেন, “ধোনি, গাঙ্গুলির মতো ক্যাপ্টেনরা দলকে বদলে দিয়েছিলেন। কারণ ওরা নিজের সিদ্ধান্তে চলতেন। কোচের উপর ভরসা নয়, নিজের সাহসে নেতৃত্ব দিতেন। ক্যাপ্টেনকে যদি শুধু পোস্টার বয়ের মতো বসিয়ে রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সংস্কৃতি ধ্বংস হবে।” গাভাসকরের এই মন্তব্য শুধু গম্ভীরের কোচিং কৌশল নয়, বরং গোটা টিম ম্যানেজমেন্টের রণনীতিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল। ওল্ড স্কুল হলেও আজও গাভাসকর এর মতো সরল, ধারালো বিশ্লেষণই ক্রিকেটের আসল স্পাইন।
ওজন বেড়েছে, তাই জিমের সঙ্গে ডায়েটও শুরু করছে সূর্যবংশী

ওজন বেড়েছে। তাই জিমের ওপর জোর দিচ্ছেন সূর্যবংশী।
আফ্রিদিকে কঠিন জবাব শিখরের

আফ্রিদির বক্তব্যের সমালোচনা করলেন শিখর ধাওয়ান।
দুটি ইমেল, গম্ভীরকে প্রাণে মারার হুমকি

পহেলগাঁও কান্ডের মাঝেই আবার একটা হুমকি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ গৌতম গম্ভীরকে প্রাণে মারার হুমকি দিল আইএসআইএস। সংবাদসংস্থা এএনআই এই খবর জানিয়েছে। ২২ এপ্রিল গম্ভীর দুটি ইমেল পন। যেদিন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গীদের গুলিতে ২৬ জন নিরীহ মানুষ প্রান হারান, সেদিন বিকেলেই প্রথম ইমেল পান গম্ভীর। পরেরটি সন্ধ্যায়। এমন ইমেল পাওয়ার পর গম্ভীর ঝুঁকি না নিয়ে পুরো ব্যাপারটি বুধবার দিল্লি পুলিশকে জানান। প্রথমে তিনি রাজিন্দর নগর পুলিশ স্টেশনে যান। পরে সেন্ট্রাল দিল্লিতে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়ে পুরো ব্যাপারটি খুলে বলেন। এ নিয়ে তিনি একটি এফআইআরও করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সবরকম নিরাপত্তা দেখা হবে। বাড়িতে সিকিউরিটির ব্যবস্থাও থাকছে। এমন প্রাণে মারার হুমকি অবশ্য এর আগেও গম্ভীরের কাছে এসেছে। ২০২১ সালে যখন তিনি সংসদের সদস্য ছিলেন, তখনও তাঁকে এমন ইমেল করা হয়েছিল। পহেলগাঁওয়ে নাশকতার পর গম্ভীর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ২৬ জন নিরীহ মানুষকে কীভাবে মারা হল! এর থেকে ভয়ঙ্কর নিন্দাজনক ঘটনা আর হতে পারে না। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার ঘটনার পর জঙ্গীদের এমন কান্ড আবার দেখা গেল। আমি সেই সব মৃত মানুষের পরিবারের পাশে আছি। তাদের সমবেদনা জানাবার ভাষা আমার কাছে নেই। তবু এমন অবস্থায় সঙ্গে থাকাটাও বড় ব্যাপার। গম্ভীর এই মুহূর্তে দিল্লিতে নিজের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে আছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে দেশে ফিরে আসার পর তিনি পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। সেখান থেকে ফিরে বাড়িতেই আছেন। আগামি জুনে তাঁর কাজ শুরু হয়ে যাবে। ভারতীয় দল নিয়ে তিনি যাবেন ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্ট সিরিজ খেলতে। সেখানে ২০ জুন ভারতীয় দলের প্রথম টেস্ট ম্যাচ।