ডার্বি জ্বরের মধ্যে কামিংসের ভবিষ্যদ্বাণীঃ এবারও টিম-স্পিরিটই হবে দলের সাফল্যের আসল কারিগর

এই মরশুমও ফর্মে শুরু করলেন জেসন কামিংস। চলতি ডুরান্ড কাপে তার প্রথম ম্যাচ ছিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। একটি গোল করলেন। আর একটি গোল করালেন। আগামি ১৭ অগস্ট ডুরান্ডে, মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি। যদিও ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান-দু’দলের কোচ বলেছেন, ডুরান্ড কাপটা তাদের কাছে দলের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট। বিশেষত সদ্য কলকাতায় আসা বিদেশি ফুটবলারদের কাছে। তাতে চিড়ে ভেজেনি। সমর্থক, সদস্য এবং কলকাতার সংবাদমাধ্যম যথারীতি এই ম্যাচের পারদ চড়িয়ে দিয়েছে। জেসম কামিংসকেও উত্তেজনার এই আবহে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে যে, মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বির আগে তার মানসিক প্রস্তুতি সম্পর্কে। এমবিএসজি টিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার এই স্ট্রাইকার জানিয়ে দিলেন, টিম-স্পিরিটই দলের সফল হওয়ার অন্যতম কারিগর। গত মরশুমে দলের দারুণ সাফল্যের পেছনেও সেটাই ছিল অন্যতম কারণ। এবারও সেই টিম-স্পিরিট ধরে রাখার মন্ত্রেই শুরু হয়েছে মরশুম। কামিংস বলেছেন, “দলের মধ্যে অটুট বন্ধন, দুর্দান্ত বোঝাপড়া ও মাঠের বাইরে ফুটবলারদের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্কই এই সাফল্যের উপাদান।” কাতার বিশ্বকাপ খেলে আসা অজি তারকা আরও বলেছেন, “সতীর্থদের সঙ্গে মাঠ এবং মাঠের বাইরের সম্পর্কটা খেলার সময় কাজ করে। নিজের সেরাটা মাঠে দেওয়া সহজ হয়ে যায়। আমার অভিজ্ঞতা বলে, সবচেয়ে সফল দল তারা হয় যাদের মধ্যে ভাল বাঁধন থাকে। ড্রেসিংরুমে আমাদের সম্পর্ক একেবারে পরিবারের সদস্যদের মতো”। কামিংসের সঙ্গে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসে আলবার্তো রদরিগেজ, টম অ্যালড্রেডের মত ফুটবলাররাও আছেন। সেটা কী বাড়তি সুবিধে দেয়? এই প্রশ্নে কামিংসের মুখে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ কথা। এখানে কোন ছোট ছোট গ্রুপ নেই। সবাই মিলে মিশে থাকে। ভারতীয় ফুটবলারদের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্ব গভীর।” আইএসএলে গত দু’মরশুমে ১৯ গোল করা এই অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ড সবুজ মেরুণ সমর্থকদের ভালবাসায় মুগ্ধ। কামিন্স বলেছেন, “ওদের উন্মাদনাই আমার অনুপ্রেরণা। এবারও ওদের প্যাশনকে সম্মান জানাতেই সফল হওয়ার শপথ নিয়েছি।”