ডেম্পোকে নিয়ে সাবধানী, আবহাওয়াই ভাবাচ্ছে মোলিনাকে

ইস্টবেঙ্গলকে রুখে দিয়েছিল। এবার সেই ডেম্পোর(Dempo Sc) সামনে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও, ডেম্পোকে কিন্তু একেবারেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না মোহনবাগান(MBSG) কোচ হোসে মোলিনা(Jose Molina)। কারণ গত ম্যাচে তারা দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিয়েছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই অত্যন্ত সতর্ক হোসে মোলিনা(Jose Molina)। ইস্টবেঙ্গলের করা ভুল গুলো যাতে তাঁর দল না করে সেদিকেই বাড়তি নজর দিচ্ছেন তিনি। সেইসঙ্গে গোয়ার আবহাওয়াটাও খানিকটা চিন্তায় রাখছে মোহনবাগান কোচ মোলিনাকে(Jose Molina)। কারণ গোয়ার বৃষ্টিতে বারবারই সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছিল মোহনবাগানকে। বিশেষ করে বল বাড়ানো এবং রিসিভ করার ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেই কারণে তো ভালোভাবেই ডেম্পোর ম্যাচ দেখেছে গোটা দল। সেইভাবেই নিজেদের ছকও প্রস্তুত করেছেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা(Jose Molina)। কিন্তু ডেম্পোকে নিয়ে যেন একটু বাড়তিই সতর্ক তারা। কারণ আবহাওয়া(Climate) যদি আগের দিনের মতোই থাকে, তবে লোকাল দল হিসাবে সেই সুযোগ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাবে ডেম্পো। সেই মতোই প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা মেপেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারল মোহনবাগান। শোনাযাচ্ছে এই ম্যাচেও নাকি দলে খুব একটা পরিবর্তন আনার ভাবনা নেই হোসে মোলিনার। গত ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন ম্যাকলরেন। সেইসঙ্গে লিস্টন, মনবীররাও ছিলেন ছন্দে। এই ম্যাচেও তাদের ওপরই হয়ত ভরসা রাখতে চলেছেন মোলিনা। শিল্ড জিতে এই মুহূর্তে মোহনবাগান যে বেশ আত্মবিশ্বাসী তা প্রথম ম্যাচেই বোঝা গিয়েছে। এখন তাদের লক্ষ্য সুপার কাপ। সেখানে চেন্নাইকে হারিয়ে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। এবার ডেম্পোকে হারাতে পারলেই কার্যত পরের রাউন্ডের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে তারা। সেই কারণেই তো মোলিনার মুখে বারবারই সাবধানতার কথা। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
ছয় বিদেশিতেও শেষরক্ষা হল না, ড্র করে শুরুতেই চাপে অস্কার

মিগুয়েলের(Miguel) দুরন্ত গোলে এগিয়ে গেলেও, শেষরক্ষা হল না। সুপার কাপের(Super Cup) প্রথম ম্যাচ থেকেই যেন চাপে পড়ে গেল অস্কার ব্রুজোঁর ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। বিদেশিহীন ডেম্পোর(Dempo) সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ছয় বিদেশী নামিয়েও সাফল্য অধরাই রয়ে গেল অস্কার ব্রুজোঁর। ডেম্পোর সঙ্গে এই ফলাফলের পর ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। কারণ পরের ম্যাচগুলোতে যে প্রতিপক্ষ আরও কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ডেম্পোর বিরুদ্ধে পাঁচ বিদেশি নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। অন্যদিকে বিদেশীহিন ডেম্পো(Dempo)। কিন্তু এদিন শুরু থেকেই যেন খানিকটা ক্যাসুয়াল ছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। ডেম্পোকে যেন হাল্কা ভাবে নিয়েছিল তারা। তারই খেসারত দিল ম্যাচের ২৭ মিনিটে। দেবজিতের বিশ্রী ভুলে শুরুতেই এগিয়ে যায় ডেম্পো। এদিনও লাল-হলুদের তেকাঠির নীচে দেবজিতের ওপর ভরসা রেখেছিলেন অস্কার। কিন্তু তাঁর পরিকল্পনা ব্যর্থই। হিরোশি(Hiroshi Ibusuki) থেকে হামিদ(Hamid Ahadad), রশিদ(Mohammed Rashid), মহেশরা এরপর আক্রমণ বাড়ালেও গোলের মুখ কিন্তু খুলতে পারেননি। ডার্বির পর এদিনও কিন্তু নজর কাড়তে পারলেন না হিরোশি। তাঁর ধীর গতির ফুটবল বারবারই সমস্যায় ফেলেছে ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলেই। বিরতির পর জোড়া বদল অস্কারের(Oscar Bruzon)। নুঙ্গা এবং মিগুয়েলকে মাঠে পাঠান তিন। অর্থাৎ ম্যাচে ফিরতে ছয় বিদেশিকেই মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন অস্কার। শুরু থেকে চাপও বাড়িয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৪৬ মিনিটে মহেশের গোল। কিছুক্ষণের মধ্যেই মিগুয়েলের একেবারে সাইড লাইন থেকে দুর্ধর্ষ গোল। এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তাদের সুযোগ নষ্টের খেলা ছিল অব্যহত। মহেশ থেকে কেভিন, বিপিন এবং মিগুয়েলরা যে সব সুযোগ পেয়েছিলেন, তা কাজে লাগাতে পারলে ইস্টবেঙ্গল বড় ব্যবধান রাখতেই পারত। কিন্তু কখনও বারে লেগে, তো কখনও লক্ষ্য ভ্রষ্ট। বরং ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে ডেম্পোর গোল। তিন পয়েন্ট হাতছাড়া। আর এটাই লাল-হলুদের চিন্তা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে গেলে সব ম্যাচ জেতা ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের আর উপায় নেই। সেইসঙ্গে গোল পার্থক্যের দিকেও নজর দিতে হবে।