তিনজন চিনা খেলোয়াড়কে দিব্যাংশীর হারানোর একটা রহস্যঃ বাড়িতে রোবটের সঙ্গে নিবিড় অনুশীলন!

এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ৩৬ বছর পর অনূর্ধ্ব-১৫-য় সিঙ্গলসে সোনা জিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল মুম্বইয়ের কান্দিভেলির ১৪ বছরের মেয়েটা। নাম দিব্যাংশী ভৌমিক। কমলেশ মেহতার মত ন’বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন, বর্তমানে টিটিএফআই-এর সাধারণ সম্পাদকও মুগ্ধ দিব্যাংশীর খেলায়। বলেছেন, “ওর মনের জোর প্রশংশনীয়। খেলার স্টাইলও খুব আধুনিক।” কোভিডের সময় দিব্যাংশীর বাবা রাহুল বাড়িতে একটা টেবিল টেনিস এনেছিলেন। রোজ প্রায় ৫ ঘন্টা করে বাড়িতে প্র্যাক্টিস করত মেয়েটা বাবা আর বোনের সঙ্গে। তারপরেও ওর প্রথম ন্যাশনালসে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিতে হয়েছিল। রাহুল ভৌমিক জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে, “লক্ষ্য করতাম চিনা খেলোয়াড়দের প্রধান সম্পদ ওদের বল কন্ট্রোল। তার জন্য ওরা যন্ত্রের মত অনুশীলন করে কন্ট্রোলটা বাড়ায়।” রাহুল ভৌমিক তারপরই বাড়িতে আনেন একটা পাওয়ার ওমেগা রোবট। শুরু হয় দিব্যাংশীর সেই রোবটের সঙ্গে অবিরাম অনুশীলন। রোবতে প্রোগ্রামিং করে দেওয়া হত বিশেষ বিশেষ শট। তার বিরুদ্ধে দিব্যাংশী হাজারটা করে শট মারত! এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে পরপর তিনজন চিনা খেলোয়াড়কে হারিয়ে সিঙ্গলসে সোনাজয়ের পর আজ দিব্যাংশী নিশ্চয়ই উপলব্ধি করছে রোবটের ভূমিকা। বাবার ভূমিকাও কম নয়। ২০২২-২৩-এ প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোয় অংশ নেওয়ার সময় দিব্যাংশীর কোনও স্পনসর ছিল না। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেছেন ওর বাবা। ২০২৪-এ একটু স্বস্তি আসে রাহুল ভৌমিকের যখন মুম্বইয়ের একটি স্পোর্টস ফাউন্ডেশন দিব্যাংশীর সঙ্গে চুক্তি করে। এর পাশাপাশি রাহুল জাতীয় কোচ ম্যাসিমো কনস্ট্যানটিনির কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ম্যাসিমো নিজে দিব্যাংশীর সঙ্গে অনুশীলন করতেন জাতীয় শিবিরে। চিনা খেলোয়াড়দের দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করতেন। তবে দিব্যাংশী কিন্তু উচ্ছ্বাসে ভাসছে না এরপরও। সে জানে সাফল্যের আসল মাপকাঠি সিনিয়র পর্যায়ে।