পুজোয় ইস্টবেঙ্গলের ছুটি তিন দিন

পুজোয়(Durga Puja) মাত্র তিনদিন ছুটি ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ফুটবলারদের। সপ্তমী পর্যন্ত প্রস্তুতি সারতে হবে কেভিন, মিগুয়েল, সৌভিক চক্রবর্তীদের(Souvik Chakraborty)। অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্তই ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল দলের হেডস্যার অস্কার ব্রুজোঁ (Oscar Bruzon)। একাদশী থেকেই ফের মাঠে নেমে পড়বে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের পাখির চোখ সুপার কাপ। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এখন হাল্কা প্রস্তুতিতেই রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ফুটবলাররা। সূত্রের খবর অস্কার নাকি পুজোয় বেশিদিন ছুটি দিতে চাননি প্রস্তুতির জন্য। তবে পরে নাকি তাঁকে বোঝানোর পরই অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত ছুটি দিয়েছেন তিনি। পুজোর পর থেকেই জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দেবে লাল-হলুদ। আইএসএলে নামার আগে অন্তত একটা ট্রফি জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে ঝাপালেও সেমিফাইনালে থামতে হয়েছিল তাদের। এবার ইস্টবেঙ্গলের সামনে রয়েছে সুপার কাপ। সেখানেই নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে মরিয়া অস্কার ব্রুজেোঁ(Oscar Bruzovn। সেই কারণে নাকি এবার দুর্গা পুজোয় বেশিদিন ছুটিই দিতে চাননি। কিন্তু কলকাতায় এই সময় পুজোর জোয়ারে গা ভাসান সকলে। এরপরই অস্কারকে বোঝানো হয়েছে। তারপরই নাকি সিদ্ধান্ত বদলেছেন লাল-হলুদের তারকা কোচ। অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত ছুটি দিয়েছেন তিনি। একেবারে একাদশী থেকেই নেমে পড়বেন প্রস্তুতিতে। অন্যদিকে গচত বৃহস্পতিবারই রাজডাঙা নব উদয় সংঘের পুজো উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার সহ তিন বিদেশি ফুটবলাররা। কলকতার এমন পুজো দেখে যে তারাও অভিভূত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পুজোর ঘোরাফেরায় লাল-হলুদ ফুটবলারদের বিধি নিষেধ!

দুর্গা পুজোয়(Durga Puja) ঘোরাফেরায় বিধি নিষেধ ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ফুটবলারদের। বিশেষ করে বিদেশি ও নতুন ফুটবলারদের ওপরই এই বিধি নিষেধ দেওয়া হয়ছে। পুজোয় জোয়ারে গা ভাসাবে গোটা শহর। সেখানেই দেদার ঘুরে বেড়াতে পারবেন না ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ফুটবলাররা। অর্থাৎ বাঙালি ফুটবলার সৌভিকদেরও(Souvik Chakrabarty) এবার পুজোয় দেদার ঘুরে বেড়ানো সম্ভব নয়। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের পুজোতে গতি বিধিও নাকি বেধে দেওয়া হয়েছে ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে। বিশেষ করে বিদেশি এবং নতুন ফুটবলার, যারা প্রথমবার পুজো দেখবে, তাদের জন্যই এই নিয়ম। বেশিরভাগ বিদেশি এবং নতুন ফুটবলাররা রয়েছেন নিউ টাউনেই। সেই কথা মাথায় রেখেই নিউটাউন এবং সল্টলেকের আশেপাশেই পুজোয় ঘোরাফেরার ছাড় দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে কলকাতার ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই নাকি বিশেষ করে বিদেশি ফুটবলারদের ঘোরা ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে কলকাতার পার্কস্ট্রিটে তাদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সময় কাটাতে পারবেন। গতবারের মতো এবারও পুজোর মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) প্রস্তুতি চলবে। শোনাযাচ্ছে সপ্তমি পর্যন্ত নাকি কোচ অস্কার ব্রুজোঁ ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনের সূচি রেখেছেন। কারণ পুজো মিটলেই সামনে রয়েছে সুপার কাপ এবং আইএফএ শিল্ড। সেই কারণেই দলকে বেশি দি বিশ্রাম দিতে নারাজ লাল-হলুদ শিবিরের হেডস্যার। অষ্টমী, নবমী এবং দশমিই ছুটি দেওয়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। অন্যদিকে বুধবার রাজডাঙায় পুজো উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। লাল-হলুদ ফুটবলারদের হাত দিয়েই হল সেই পুজোর উদ্বোধন। তবে এতকিছুর মধ্যেও লাল-হলুদের তারকা ফুটবলারদের কিন্তু কলকাতায় যাওয়ার ছাড় নেই।
সুরুচির পুজোয় হরভজন, ইডেন থেকে সৌরভকে নিয়ে আবেগতাড়িত ভাজ্জি

এসে গেছে দুর্গা পুজো(Durga Puja)। গোটা বাংলা জুড়ে পুজোর আবহে গা ভাসিয়েছে ৯ থেকে ৯০ সকলেই। কলকাতার একের পর এক বড় পুজো প্যান্ডেলে নানান চমক। সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) পুজোয় বিশেষ অতিথি বিশ্বকাপ জয়ী তারকা হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। বাংলার দুর্গা পুজো এখন ইউনেস্কো হেরিটেজ। দুর্গা পুজোকে ঘিরে গোটা রাজ্যবাসী এই সময় মাতোয়ারা হয়। শুধু রাজ্যই, গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) উৎসব। তারই শরিক হতে পেরে আপ্লুত হরভজন সিং। কলকাতা শহর যে তাঁরও সেটাও শোনা গেল আবেগতাড়িত হরভজনের গলা থেকে। সুরুচি সংঘের পুজো মানেই সেখানে সেলিব্রিটিদের ভিড়। সেই পুজোর অন্যতম আকর্ষণই হল সেলিব্রিটি। দুর্গা পুজো শুরু হতে এখনও কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে। তার আগেই সুরুচির পুজোয় অতিথি হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। তাঁকে ঘিরেই এদিন সুরুচি সংঘে ছিল হৈচৈ। বাংলার দুর্গা পুজোর এই উৎসবে গা ভাসাতে চান সকলেও। সেই কারণেই তো অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) ডাকে কলকাতায় না এসে থাকতে পারেননি তিনি। হরভজন সিং (Harbhajan Singh) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমি যে এমন একটা উৎসব উপলক্ষে এখানে আসতে পেরেছি, সেই কারণে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ মা দুর্গার কাছে। এচাড়া ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তরফ থেকে বহু সম্মান এবং আতিথেয়তা পেয়েছি আমি। এমন একটা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। কলকাতায় যখনই আসি সেইসময় অসংখ্য ভালোবাসা পাই। এখানেও মা দুর্গার কাছে একটাই প্রার্থণা যে তিনি যেন সকলের ওপরই তাঁর কৃপা রাখেন”। ভারতীয় দলের হয়ে বহু সাফল্য রয়েছে ভাজ্জির ঝুলিতে। আর তার বেশিরভাগটাই পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) নেতৃত্বে। প্রিয় দাদি বরাবরই তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শহরে এসে আপ্লুত হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। এই ইডেন গার্ডেন্স থেকেই তো তাঁর সাফল্যের রাস্তায় হাঁটা। কোনওদিনই খালি হাতে ফেরেননি ইডেন। সেই শহরে এসে তিনি যে আবেগতাড়িত হবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হরভজন সিং বলছিলেন, “দাদা আমার কাছে একেবারে বড় ভাইয়ের মতো। তাঁকে নিয়ে যখনই কিছু বলতে যাই বলতেই হয় এই কথা গুলো। জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন কাউকে পাশে খুব প্রয়োজন হয়। আমার কাছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গা কতটা ওপরে তা হয়ত বলে বোঝাতে পারব না। তাঁর শহরেই এবার এসেছি। তবে এই শহরটা কিন্তু আমারও। কারণ ইডেনই তো আমায় হরভজন তৈরি করেছে”। কলকাতার প্রতি বারবরই একটা আলাদা টান রয়েছে হরভজন সিংয়ের। এবার সেই কলকাতার দুর্গা পুজোর অংশ হয়েছেন তিনি। খুশিটা যে এখন দ্বিগুন তা বলাই বাহুল্য।