খালিদের দলে নেই একজনও মোহনবাগান ফুটবলার, বাদ সুনীলও

খালিদের(Khalid Jamil) ভারতীয় দলে জায়গা হল না মোহনবাগান(MBSG) ফুটবলারদের। সুযোগ হল না সুনীল ছেত্রীরও(Sunil Chetri)। আগামী ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে নামবে ভারতীয় দল। সেখানেই ২৩ জনের সম্ভাব্য দল গোষণা করেছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। সেখানে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) থেকে দুজন পুটবলার সুযোগ পেলেও, মোহনবাগানের(MBSG) একজনও সুযোগ পেলেন না খালিদের সেই দলে। আর তাতেই কার্যত হতবাক হয়েছেন অনেকে। ভারতের(Indian Football Team) আগামী ২০২৭ সালে হতে চলা এশিয়ান কাপের(Asian Cup) যোগ্যতা অর্জনের আশা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ যে নেহাতই একটা সৌজন্য সাক্ষাতের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানেই শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে। সেই ম্যাচেরই দল ঘোষণা করল এল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। সেখানেই মোহনবাগানের একজনও সুযোগ পেলেন না। এবারের সুপার কাপ চলাকালীন মোহনবাগান(MBSG) এবং ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) ম্যাচের সময় মাঠে হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় দলের তারকা কোচ(Khalid Jamil)। সেখানেই যে ফুটবলারদের মেপে নিয়েছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের মহেশ(Naorem Mahesh) ও আনোয়ার(Anwar Ali) তাঁর নজর কাড়লেও, মোহনবাগানের কেউই হয়ত নজর কাড়তে পারেননি। বরং বাদ পড়লেন শুভাশিস ও লিস্টন কোলাসোদের মতো নাম। শুধুমাত্র তারাই নন, ভারতের এই সম্ভাব্য দল থেকে বাদ পড়েছেন সুনীল ছেত্রীও(Sunil Chetri)। যদিও এচা সম্ভাব্য দল। আগামী ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। তার আগে খালিদের(Khalid Jamil) দলে কোনওরকম পরিবর্তন আসে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
২৯ নভেম্বর সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

২৯ নভেম্বরই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। কিন্তু তারা কী আদৌ কলকাতায় খেলতে পারবে। সেই সম্ভাবনা কিন্তু বিষশ বাও জলে। ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কলকাতায় খেলতে চাইলেও, সেখানে রয়েছে বিস্তর জটিলতা। সবচেয়ে বড় বাধা সুপার কাপের সম্প্রচারকারী স্বত্ত্ব যে কোম্পানির কাছে রয়েছে। কারণ তারাই নাকি কলকাতায় আসতে চাইছে না। তার কারণটা অবশ্যই বাড়তি খরচ। সেইসঙ্গে কোন মাঠে খেলবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেটা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। তারও কারণ আর্থিক দিকই। খানিকটা আর্থিক দিকের সামঞ্জস্য রেখেই মাঠ নিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। বাজেটের মধ্যে থাকলেও তবেই যে বিনিয়োগকারী সংস্থা এগোবে তাও একপ্রকার স্পষ্ট। সেইভাবে তারা চেষ্টাটা চালালেও, এখনও পর্যন্ত নাকি কোনও কিছুই সেভাবে নিশ্চিত হয়নি। হাতে সময়ও যে খুব একটা রয়েছে তেমনটা কিন্তু নয়। কারণ আগামী ২৯ নভেম্বর হবে সেমিফাইনাল। ক্লাবের তরফ থেকে ম্যাচ কলকাতায় চাওয়া হলেও, সেখানে বাজেটের দিকে নজর রয়েছে বিনিয়োগকারী সংস্থারও। এছাড়া অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল প্রতিপক্ষ শিবির। সেমিফাইনাল থেকে ফাইনাল যদি কলকাতায় করতে হয় সেক্ষেত্রে অন্যান্য দল গুলোরও একটা সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেও তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। তারাও যে রাজি হবে তাও কিন্তু নয়। তবে ইস্টবেঙ্গল তাদের মতো করে একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বাজেটের দিকটাও ভাবতে হচ্ছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টকে। আর যদি শেষপর্যন্ত না হয় তবে, গোয়াতেই খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। দিন ঠিক হয়ে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
সেমিতে পৌঁছেই ফুটবলারদের ধন্যবাদ অস্কারের, লম্বা ছুটির ঘোষণা কোচের

অবশেষে চাপ কাটিয়ে খানিকটা মুক্ত বাতাস। ডার্বি ড্র করে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে। মোহনবাগানের বিদায় ঘটিয়েছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এরপরই ড্রেসিংরুমে গিয়ে সাপোর্ট স্টাফ সহ প্রতিটি ফুটবলারদের ধন্যবাদ জানালেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। তিনি যে চাপ কাটিয়ে অবশেষে এখন খানিকটা স্বস্তিতে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন এই তারকা কোচ। এরপরই ফুটবলারদের দিলেন দীর্ঘ ছুটিও। শিল্ডের ফাইনালে ডার্বি হারের পর থেকেই অস্কারের ওপর যে চাপ বাড়তে শুরু করেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই আগুনেই ঘি ঢেলেছিল সন্দীপ নন্দীর(Sandip Nandy) সঙ্গে ঝামেলা এবং তার গোলকিপার কোচের পদ থেকে সরে যাওয়া। সেই নিয়ে বঙ্গ ফুটবল মহলে বিতর্ক তুঙ্গে পৌঁছেছিল। চলছিল জোর সমালোচনা। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন খোদ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। চাপটা তখন থেকেই বেড়ে গিয়েছিল। এরপর যখন ফের একটা ডার্বির(Kolkata Derby) সামনে পড়ে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal), চাপটা দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছিল অস্কারের। সেই কথাটাও যে ফুটবলারদের তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। ইস্টবেঙ্গলের শুরু থেকেই ছিল ভয়ঙ্কর আক্রমণ। গোল করতে না পারলেও শেষপর্যন্ত ড্র করে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দল। কোচের মুখ রেখেছেন ফুটবলাররা। ড্রেসিংরুমে ফিরেই তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানালেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। সাপোর্ট স্টাফ থেকে ফুটবলারদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এরপরি সকলকে লম্বা ছুটির নির্দেশ অস্কার ব্রুজোঁ। হিরোশির(Hiroshi Ibusuki) পরিবার আসবে বলে তিনি কলকতায় থাকবেন। তেমনই আবার রশিদও(Mohammed Rashid) এখানেই থাকছেন। কিন্তু বাকি বিদেশিরা ফিরে যাচ্ছেন। শহরে ফেরার পরই ছুটি কাটাতে চলে যাবেন কেভিন, মিগুয়েলরা। আপাতত বেশ কয়েকদিনের ছুটি। সেমিফাইনালের দিন ঘোষণা হলেই ফের ডাক পড়বে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের।
যুবভারতীতে সেমিফাইনাল খেলবে ইস্টবেঙ্গল!

মোহনবাগানের(MBSG) সঙ্গে ডার্বি ড্র। চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুপার কাপ থেকে ছিটকে দিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। কিন্তু সেমিফাইনাল কোথায় খেলবে লাল-হুদ ব্রিগেড? সবকিছু ঠিকঠাক চললে যুবভারতীতেই সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামতে পারে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। ইতিমধ্যে ফেডারেশনের(AIFF) সঙ্গে সেই কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছ। শুরু হয়ে গিয়েছে বাজেট প্রস্তুতির কাজ। খরচ ঠিকঠাক থাকলেই সুপার কাপের সেমিফাইনালে যুবভারতী স্টেডিয়ামে(Yuvabharati Stadium) নামবে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেও, কবে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত দিন ঠিক করেনি ফেডারেশন(AIFF)। তবে শোনা যাচ্ছে ২৯ কিংবা ৩০ নভেম্বর সেমিফাইনাল হতে পারে সেই মতো নাকি প্রস্তুতিও চলছে। এরইমাঝে এবার ঘরের মাঠে সেমিফাইনাল খেলার আবেদন ইস্টবেঙ্গলের। ঘরের মাঠে সমর্থকদের অ্যাডভান্টেজটা কাজে লাগানোর জন্যই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। ডার্বিত মোহনবাগানের(MBSG) সঙ্গে ড্রয়ের পরই নাকি ইস্টবেঙ্গলের তরফে সেই আবেদন করা হয়ে গিয়েছ ফেডারেশনের কাছে। ফেডারেশনও যে খুব একটা গররাজি তা কিন্তু নয়। তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে এমনটা যদি করতে হয় তবে সম্পূর্ণ খরচ বইতে হবে ইস্টবেঙ্গলকেও(Eastbengal)। একপ্রকার ইস্টবেঙ্গলও রাজি। সেই মতো ম্যানেজমেন্ট বাজেট করাও শুরু করে দিয়েছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তবে যুবভারতী স্টেডিয়ামেই সেমিফাইনালের আয়োজন হতে পারে। সেই মতো চেষ্টাই শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। একইসঙ্গে আগামী ২৯ কিংবা ৩০ নভেম্বর হতে পারে সেই এবারের সুপার কাপের সেমিফাইনাল। ঘরের মাঠে যদি সত্যিই সেমিফাইনাল হয়, সেটা যে ইস্টবেঙ্গলের কাছে একটা বড় পাওনা হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ডার্বি ড্র করেই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল, বিদায় মোহনবাগানের

সুপার কাপের ডার্বি(Kolkata Tderby) ড্র। আক্রমণের ঝড় তুললেও, গোল করতে ব্যর্থ অস্কারের(Oscar Bruzon) দল। অগোছালো ফুটবল খেলল মোহনবাগানও(MBSG)। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে লাল-হলুদ উচ্ছ্বাস। মোহনবাগানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেই সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছলে গেল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেও, এত সুযোগ নষ্ট কিন্তু অস্কারের(Oscar Bruzon) চিন্তা খানিকটা হলেও রেখেই দিল। অন্যদিকে হোসে মোলিনার প্রথম একাদশ বাছা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে। শিল্ড জয়ের পর সুপার কাপ পাখির চোখ হলেও, ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) কাছেই আটকে গেল মোহনবাগানের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। অন্যদিকে মরসুমের প্রথম ট্রফি জয়ের থেকে আর মাত্র দু ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল। এদিন গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকেই নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। তাদের প্রয়োজন ছিল একটা ড্রয়ের। অন্যদিকে মোহনবাগানকে জিততেই হত। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই ভয়ঙ্কর আক্রমণ। দুই উইং দিয়ে মহেশ(Naorem Mahesh), বিপিনের(Bipin Singh) পারফরম্যান্স বারবারই সমস্যায় ফেলছিল মোহনবাগানকে(MBSG)। প্রথম ২৭ মিনিটের মধ্যেই দুটো সুবর্ন সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোহনবাগানের জালে জড়াতে পারেনি। মিগুয়েলের(Miguel) বাড়ানো বল বিপিন মাথায় ছোঁয়ালেও, তা বারে লেগেই ব্যর্থ হয়। মোহনবাগানের(MBSG) মাঝমাঠ সেভাবে আক্রমণের বিল্ডআপটাই করতে পারেনি। বরং বারবার ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ সামাল দিতেই ব্যস্ত ছিলেন অলড্রেড, রডরিগেজরা। যে লিস্টন(Liston Colaco) মোহনবাগানের উইংয়ে প্রধান ভারসা। প্রথমার্ধে বারবারই ব্যর্থ হতে দেখা গেল তাঁকে। ম্যাকলরেনও(Jamie Maclaren) সেভাবে কোনওরকম প্রভাব দেখাতে পারেননি। বরং উল্টো দিকে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) বারবারই হানা দিচ্ছিল মোহনবাগান বক্সে। মহেশ, হামিদ,মিগুয়েলরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতেই পারত। বিরতির পর থেকেই ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা ছিল মোহনবাগান। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের দাপটই ছিল বেশি। ম্যাচের বয়স যখন এক ঘন্টা সেই সময় থেকেই মোহনবাগান পরপর কামিন্স, দিমিত্রিদের মাঠা পাঠাতে শুরু করে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে তারা চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও, বারবারই আটকে যাচ্ছিল। তবে রবসন রোবিনহো নামার পর মোহনবাগান দুটো ভালো সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু জালে জড়াতে পারেনি। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের পাল্টা আক্রমণও ছিল দেখার মতো। হামিদের শট কাইথের হাতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্ণার থেকে জয় গুপ্তার জোড়ালো হেড, কিন্তু সেটাও আটকে দিলেন বিশাল কাইথ। তারই মাঝে হিরোশি এবং বিষ্ণুকে মাঠে নামিয়ে দিয়োছিলেন অস্কার। হিরোশির বাড়ানো বল বিষ্ণু যদি কাজে লাগাতে পারতেন, ডার্বির মঞ্চে একমাত্র গোলদাতা হিসাবে থাকতেই পারতেন তিনি। শেষ কিছুক্ষণ ইস্টবেঙ্গলের সময় নষ্টের খেলা। রেফারির বাঁশি বাজতেই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল।
ডার্বি জিতেই সেমিফাইনালে যাওয়ার বার্তা অস্কারের

শিল্ড ফাইনাল এখন অতীত। মোহনবাগানকে(Mohunbagan) একেবারেই ভয় পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ব্রিগেড। ডার্বিতে নামার আগেই সাফ বার্তা লাল-হলুদ কোচের। মোহনবাগান(Mohunbagan) আন্তর্জাতিক স্তরে খেললেও, তারাও যে এই মুহূর্তে ভারতের সেরা দলের তালিকায় নিজেদের নিয়ে চলে গিয়েছে তা স্পষ্ট ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর(Oscar Bruzon) কথায়। শেষ ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেই আত্মবিশ্বাস তো রয়েছেই। মোহনবাগানের শক্তি দুর্বলতা সম্বন্ধেও বেশ ওয়াকিবহাল ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। তারা যে প্রস্তুত সেই কথাই শোনা গেল অস্কারের(Oscar Bruzon) মুখে। ম্যাচের আগের দিন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon) জানান, “মোহনবাগানের সঙ্গে সবসময়ই আমাদের এক গ্রুপে রাখা হয়। শেষ ১১ টি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচ তাদের সঙ্গে খেলা হয়ে গিয়েছে আমাদের। আমরা ভালোভাবেই প্রস্তুত। শেষ ম্যাচে হেরেছি ঠিকই, কিন্তু এই ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারাতে আমরা প্রস্তুত”। শেষ ম্যাচে দুরন্ত ফর্মে ছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এই ম্যাচেও সেই উইনিং কম্বিনেশনই ধরে রাখতে চাইছেন অস্কার ব্রুজোঁ। প্রতিপক্ষের শক্তি দুর্বলতা দেখে নিজেদের তৈরিও করে ফেলেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ধারেভারে যে মোহনবাগান এগিয়ে রয়েছে তাও কিন্তু মানতে নারাজ অস্কার ব্রুজোঁ। তাঁর সাফ কথা মোহনবাগান আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা খেলার পাশাপাশি দেশের সেরা দল হলেও, তারাও কিন্তু সেই জায়গাতেই নিজেদের পৌঁছে দিয়েছে। অস্কার জানান, “মোহনবাগান এই মুহূর্তে দেশের সেরা দল হতে পারে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা খেলতে পারে ঠিকই, কিন্তু আমরাও নিজেদের সেরা জায়গায় নিয়ে গিয়েছি”।
ডার্বি জিততে অস্কারের বিশেষ ছক

শুক্রবার ডার্বি(Kolkata Derby)। সেই মহারণের আগে স্ট্র্যাটেজি গোপনে বিশেষ কৌশল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। ম্যাচের আগের মাত্র ২৫ মিনিটের প্রস্তুতি। তাও আবার শুধুই সেটপিস সারলেন হিরোশি(Hiroshi Ibusuki), মিগুয়েল(Miguel) থেকে মহেশ(Naorem Mahesh), আনোয়াররা(Anwar Ali)। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে নামছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। কিন্তু ডার্বির মঞ্চ সবসময়ই আলাদা। সেভাবেই নীলনক্সাও কষেছেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। সম্ভবত উইনিং কম্বিনেশন নিয়ে খুব একটা বদল করতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল কোচ। সেই কারণে তো মোহনবাগানের(Mohunbagan) বিরুদ্ধে ৪-৫-১ ছকেই নামার পরিকল্পনা করছেন তিনি। আক্রমণের আগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দলের রক্ষণকেই জমাট রাখতে চাইছেন অস্কার ব্রুজোঁ। এই ম্যাচ ড্র করতে পারলেই সেমিফাইনালের টিকিট পাকা হয়ে যাবে লাল-হলুদ ব্রিগেডের(Mohunbagan)। কিন্তু ডার্বির মঞ্চে জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। তবে সেইসঙ্গে বাড়তি সতর্কও অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। সেই কারণেই রক্ষণ খানিকটা শক্তিশালী করেই মাঠে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। আর সেইসঙ্গে গত ম্যাচের পারফরম্যান্সটা যে ইস্টবেঙ্গল শিবিরের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত ম্যাচের শুরু থেকেই মিগুয়েলকে(Miguel) ব্যবহার করেছিলেন অস্কার(Oscar Bruzon)। এই ম্যাচেও যে সেই পরিকল্পনা সেভাবে বদলাবেন না তা বলাই যায়। সেইসঙ্গে মোহনবাগানের শেষ ম্যাচে ভালোভাবে নজর রেখেছিলেন তিনি। তাদের শক্তি দুর্বলতা দেখেই যে ছক সাজাচ্ছেন তা বলাই যায়। শেষ ম্যাচে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন নাওরেম মহেশ। এই ম্যাচেও যে অস্কারের বাজি হতে চলেছেন তিনি তা বলাই বাহুল্য। সেইসঙ্গে ফর্মে রয়েছেন ক্রেসপো, বিপিনদের মতো তারকারা। এই ম্যাচেও হয়ত প্রথম থেকে হিরোশিকে ব্যবহার করবেন না অস্কার। তবে গত ম্যাচে হিরোশি লাল-হলুদ জার্সিতে গোল পেয়েছেন। সেটা যে এই জাপানি তারকার আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে তা বলাই যায়। শুক্রবার শেষপর্যন্ত কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।
মোহনবাগানের ড্র-এ ফুরফুরে মেজাজে অস্কার

ডেম্পোর সঙ্গে মোহনবাগানের ড্র হতেই উচ্ছ্বাস ইস্টবেঙ্গল টিম হোটেলে। উচ্ছ্বসিত কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। না তবে সেটা ছিল সাময়িক কিছুক্ষণের জন্য। মনেপ্রাণে তারা চেয়েছিল যে মোহনবাগানকে(Mohunbagan) রুখে দিক ডেম্পো। অবশেষে সেটাই হয়েছে। আর এই ঘটনাটা যে লাল-হলুদ শিবিরে(Eastbengal) বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখে না বললেও, অস্কারের হাবেভাবে তা ছিল স্পষ্ট। ঘনিষ্ঠমহলে সেই উচ্ছ্বাসি তো ধরা পড়েছে অস্কারের(Oscar Bruzon)। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে নামছে ইস্টবেঙ্গল। তবুও সতর্ক লাল-হলুদ কোচ। মোহনবাগানের ম্যাচ দেখেই তৈরি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের নীলনক্সা। বুধবার প্রস্তুতিতে ছুটি। সোমবারই চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। শেষ ম্যাচ চার গোলে জেতায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। ডার্বির মতো হাই ভোল্টেজ ম্যাচে নামার আগে এটা যে বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল দলকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত মঙ্গলবার ম্যাচ শেষের পর থেকেই নিজের কোচিং স্টাফেদের নিয়ে অস্কার(Oscar Bruzon) চোখ রেখেছিলেন মোহনবাগান ম্যাচে। সেখানেই তাদের শক্তি দুর্বলতা মেপে নিয়েছেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। বুধবার প্রস্তুতি না থাকলেও, সারাদিনই কার্যত চলল ডার্বি জয়ের নানান ছক কষা। ফুটবলারদের হাল্কা জিম সেশনই ছিল টিম হোটেলে। ডার্বির আগে ফুটবলারদের একটু বিশ্রামেই রাখতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ। এছাড়া গোয়ায় প্রবল বৃষ্টি। রাস্তায় জল দাঁডিয়ে গিয়েছে। সেই কারণেও বাড়তি ঝুঁকি নিতে নারাজ তিনি। আগামী ৩১ অক্টোবর সুপার কাপের মঞ্চে মহারণ। সেখানেই শিল্ডের বদলা অস্কার নিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
চেন্নাই বধের পরই ডার্বির দামাম বাজিয়ে দিলেন অস্কার

চেন্নাইয়িন এফসিকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে। কিন্তু এতটুকুতেই উচ্ছ্বসিত হতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzo)। চেন্নাইকে ৪-০ গোলে হারানোর পরই ডার্বির দামামা বাজয়ে দিলেন লাল-হলুদ কোচ। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরেই অস্কারের(Oscar Bruzon) সাফ বার্তা। চেন্নাই ম্যাচ এখন তাদের কাছে অতীত হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে থেকে তাদের লক্ষ্য শুধুই ডার্বি। কারণ পরের ম্যাচেই যে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল। সেই কারণে তো হোটেলে ফিরেই সোজা মোহনবাগানের(Mohunbagan) ম্যাচ দেখতে বসে পড়েছিলেন অস্কার। এখন থেকেই চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মেপে নিতে চাইছেন তিনি। ডেম্পোর বিরুদ্ধে ড্র করলেও এদিন চেন্নাইয়িন এফসির(Chennaiyin Fc) বিরুদ্ধে শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে ছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। শুরু থেকেই মিগুয়েলকে খেলিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলেরই ছিক ছিল তাঁর। আর তাতেই এসেছে সাফল্য। চেন্নাইকে চার গোলে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ম্যাচ শেষে একেবারেই তৃপ্ত হতে নারাজ কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। কারণ সামনে এখন বড় ম্যাচ। পরের ম্যাচেই সুপার কাপে ডার্বি। আর পরবর্তী পর্বে পৌঁছতে হলে সেই ম্যাচ জেতাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচ জয়ের পর সেটাই কার্যত ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন অস্কার ব্রুজোঁ। পারফরম্যান্সে খুশি তো অবশ্যই হয়েছেন। কিন্তু এখন আর চেন্নাই ম্যাচ নিয়ে ভাবতে নারাজ তিনি। ফুটবলারদে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে সামনের ম্যাচে এখন থেকেই ফোকাস করতে হবে। ড্রেসিংরুমে ফিরেই সেই কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। নিজেও এখন থেকেই বোধহয় ছক কষতে আরম্ভও করে দিয়েছেন। ম্যাচ শেষেই হোটেলে ফেরার তাড়া। কারণ একটাই, মোহনবাগানের ম্যাচ দেখা। হোটেলে ফিরেই চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। মোহনবাগান বনাম ডেম্পো ম্যাচেই নজর ছিল তাঁর। এখন থেকেই প্রতিপক্ষকে ভালো করে দেখে নিতে চাইছেন তিনি। বুধবার ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে ছুটি। বৃহস্পতিবারই ডার্বির প্রস্তুতিতে নেমে পডড়বে ইস্টবেঙ্গল।
দুরন্ত মহেশ, বিপিনের জোড়া গোলে অক্সিজেন পেল ইস্টবেঙ্গল

বিপিনের(Bipin Singh) জোড়া গোল। গোল পেলেন কেভিন, হিরোশিও(Hiroshi Ibusuki)। তবে ইস্টবেঙ্গলের ঘুরে দাঁড়ানোর এই লড়াইয়ে নায়ক কিন্তু নওরেম মহেশ(Naorem Mahesh)। প্রথমার্ধ থেকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত যেভাবে একের পর এক আক্রমণ তিনি তৈরি করলেন, তাতে অস্কারের বাজি যে এদিন মহেশ ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জিতল অস্কারের(Oscar Bruzon) লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) শিবিরে ফিরল স্বস্তিও। এবার সামনে ডার্বি সেখানে জিততে পারলেই পরের রাউন্ড কার্যত পাকা লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ডেম্পোর বিরুদ্ধে ড্র করে খানিকটা চাপে থেকেই মাঠে নেমেছি ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। গত ম্যাচে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন অস্কারের(Oscar Bruzon) প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন মিগুয়েল এবং প্রভসুখন গিলও। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই লাল-হলুদের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন নাওরেম মহেশ(Naorem Mahesh)। শুরুর দিকে কিছুক্ষণ একটু অগোছালো। যদিও সেই সময় থেকেই সুযোগ তৈরি করা শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এরপর ম্যাচের সময় যত এগোয় ততই চেন্নায়িন রক্ষণের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড। একদিক থেকে মহেশ(Naorem Mahesh)। লেফট উইং থেকে বিপিন সিং(Bipin Singh)। তবে এদিন রশিদ এবং মিগুয়েল খানিকটা নিস্প্রভ ছিল। ম্যাচের আধ ঘন্টা হওয়ার আগেই সুযোগ চলে এসেছিল। তবে গোল হয়নি। ৩৫ মিনিটের মাথাতেই প্রথম সাফল্য। মহেশের(Naorem Mahesh) বাড়ানো বল থেকে কেভিনের(Cavin) দুরন্ত হেড। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের একটা আক্রমণ। এবারও সেই মহেশেরই সাজানো পাস, যা জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি বিপিন সিং। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে আবারও বিপিনের গোল। এবারও অ্যাসিস্টের তালিকায় নাম সেই মহেশের। বিরতির পরও ইস্টবেঙ্গলের চাপই ছিল বেশী। চেন্নাই ঘর সামলে সেভাবে আক্রণে যাওয়ার সুযোগই করতে পারেনি। বরং একটু অতিরক্ষণাত্মকই ছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধেই আসেন হিরোশি ইবুসুকি। মিগুয়েলের বাড়ানো পাস থেকে তিনি গোলটি পেয়ে গেলে, এদিন ম্যাচের সেরা গোল যে সেটি হতেই পারত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও তা হয়নি। তবে শেষের দিকে সেই হিরোশিই হাসিল করে নেন পেনাল্টি। গোলও করেন তিনি। ৪ গোলে ম্যাচ জয় যে ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে তা বলাই যায়।