ছন্দ ধরে রাখতে পারলে প্লে অফে যাওয়া সম্ভব: পন্ডিত

দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়া সহজ ছিল না। দারুন লড়াই করে কেকেআর দুটি ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে নিজেদের একটা জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। এই জায়গা থেকে প্লে অফ খেলার স্বপ্ন দেখা যায়। সেই স্বপ্ন কেকেআরও দেখছে। মনে করছে, মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারলে শেষ চারের লড়াইয়ে ঢুকে পড়া সম্ভব। ক্রিকেটাররা সেই চেষ্টাই করছেন। এখন অপেক্ষা বুধবার ধোনিদের বিরুদ্ধে কেমন খেলে কেকেআর। মঙ্গলবার শেষ বিকেলে কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসে জানিয়ে গেলেন, শেষ দুটি ম্যাচ আমদের ছেলেরা যে ক্রিকেট খেলেছে, সেটাই ওদের আসল খেলা। অনেকদিন পর ওরা একটা দল হিসেবে খেলেছে। এটাই আমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি। সেই সাফল্য দেখতে ক্রিকেটপ্রেমীরা আবার মাঠে আসবেন। এবারও কি জয় দেখা যাবে। এখন তারা এমন একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেখানে একটি ম্যাচ হাতছাড়া হলে টুর্নামেন্টের বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে। সেটাও ক্রিকেটাররা জানেন। তাই প্রতিপক্ষ দলে কে আছেন, সেদিকে না তাকিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে চান। সেটা হলে জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না। পন্ডিত মানছেন। বলছেন, প্রতিপক্ষ ধোনির দল। ধোনি মাঠে নামলে গ্যালারির চেহারা কেমন হয়, তা আমরা জানি। ওদের দিকে সমর্থন তখন অনেকটাই চলে যাবে। তবু বলছি, আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবতে চাই। ওদের আলোচনায় আনার দরকার নেই। কে আছে বা কে নেই, সেদিকে নজর না দিয়ে নিজেরা সেরাটা তুলে ধরতে পারলে ম্যাচ জিতব। আমি এই নীতিতে বিশ্বাস করি-একটা দল হিসেবে খেলতে পারলে সাফল্য আসবেই। সেটাই এখন কেকেআরের মন্ত্র। এর বাইরে অন্য কিছু নেই। রাজস্থান ম্যাচে কেকেআরের ফিল্ডিং ভাল হয়েছে। ভাল ফিল্ডিংয়ের কারনেই তারা ম্যাচ জিতেছে, এমন বললেও ভুল হয় না। বৈভবের ক্যাচ রাহানে যেভাবে ধরলেন তাকে কী বলা যাবে। আবার রিঙ্কু সিং ফিল্ডিং দারুন জায়গায় নিয়ে যেতে না পারলে রাজস্থান ম্যাচ জিতে যায়। কী অসাধারন ফিল্ডিং করেছেন তাঁরা। অন্তত শেষ ওভারে রিঙ্কু শরীরকে স্লাইডিং করে যে বাউন্ডারি আটকে দেন, সেটাকে কী বলা যাবে। না হলে কেকেআর শেষ ওভারে ম্যাচ হারে। পন্ডিত সবই মানছেন। বলছেন, এটাই টিম গেম। একটা দলের সাফল্য নির্ভর করে তিনটি বিষয়ের উপর। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং। প্রথম দুটি ঠিক করে আপনি যদি ফিল্ডিংয়ে আলগা দেন, তা হলে ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। রাজস্থান ম্যাচে আমরা তা হতে দিইনি। তাই জিতেছি। আরও একট ব্যাপার আছে। সেদিন রাসেলকে পাঁচ নম্বরে নামিয়ে কেকেআর চমক দিয়েছে। এখন কি সেই ভাবনা সামনে রেখে কেকেআর ছুটবে। এবার কিন্তু অনেকটাই ব্যাকফুটে পন্ডিত। তিনি বলছেন, আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করব। রিঙ্কু, আইয়ারও ফিট। ওদেরও আগে নামিয়ে দেওয়া যেতে পারে। রাসেল তো আছেই। তাই এখনই বলা যাবে না আমাদের ব্যাটিং অর্ডার কেমন হবে। ম্যাচ যেভাবে চলবে, আমাদের ভাবনা সেভাবেই ছুটবে। তারপর অন্য ভাবনা।
সব খেলা থেকেই শেখেন, ইডেনে আইপিএল ম্যাচ দেখতে এসে জানালেন সাউথগেট

প্রথম ভারত সফরে এসে চুটিয়ে ক্রিকেট উপভোগ করছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবল ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট। জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। রবিবার ইডেনেও দেখা গেল কেকেআর বনাম রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচে। হাড্ডাহাড্ডি, উত্তেজক ম্যাচ উপভোগ করলেন। সাউথগেটকে নিয়ে কৌতুহল ছিল দেখার মত। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবল ম্যানেজার জানালেন, তিনি ভালবাসেন ক্রিকেট। ছোটবেলায় নিয়মিত সারাদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট দেখতেন। সুনীল গাভাসকর, কপিল দেবদের সময় চুটিয়ে ক্রিকেট উপভোগ করতেন, ইডেনে দাঁড়িয়ে জানিয়ে গেলেন সাউথগেট। তিনি বলেন, “যখন আমি ইংল্যান্ডের হয়ে ফুটবল খেলছি, তখন অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাপ ছিল। গত বছর বেন স্টোকস এসেছিল ইংল্যান্ড শিবিরে। আসলে আমি সব খেলার বিভিন্ন কোচেদের থেকে শিখতে চাই, তাই আমি এখানে এসেছি। সব খেলাই দ্রুত বদলাচ্ছে। তাই বিভিন্ন খেলার কোচের থেকে অনেক কিছু শেখার থাকে। প্রথমবার ভারতে এলাম। দুর্দান্ত অনুভূতি।“ ইডেনে দুর্দান্ত একটা ম্যাচ দেখলেন। শেষ বলে ফয়সলা হল। কেকেআর ১ রানে জিতল। মাঠে বসে দেখলেন ১৬টি ওভার বাউন্ডারি হল। তাঁর ছক্কা মারার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হেসে ফেলে সাউথগেট নিজেকে এক নম্বরে রাখলেন।
রবিবার ইডেনে নায়ক হতে পারেন বৈভব, কেকেআরের লক্ষ্য পিচ

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনি….! আরও অনেকের নাম তালিকায় উঠে আসবে। ইডেনে খেলা থাকলে এই সব ক্রিকেটারের নাম লেখা জার্সি গায়ে সমর্থকরা ভিড় জমান। এই ছবি অনেকদিন আগে থেকে চোখে পড়েছে। কিন্তু এবার পরিচিত ছবির বড়ই অভাব। না হলে দুহাজার টাকার টিকিট কেন বারশো টাকায় বিক্রি হবে! এ কোন আইপিএল! তা হলে কি ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গিয়েছে! সেকথাই বা বলি কী করে। চাহিদা আছে। তবে গ্যাটের পয়স খরচ না করে যদি ইডেনে ঢোকা যায়, তার থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটেয় রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে কেকেআর। প্লে অফে যেতে হলে একদলের টার্গেট দুই পয়েন্ট। আর একদলের সামনে কোনও কিছু নেই। কারন রাজস্থান আগেই আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছে। হারানোর কিছু নেই বলে অনেক সময় এই দলগুলি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। এটাই ভয় কেকেআরের। ইডেন জয় করতে না পারলে তারাও রাজস্থানের মতো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে। দিল্লি জয় দলে বাড়তি অক্সিজেন দিলেও টেনশন কাজ করছে। যদি না হয়, এই ভয় রাহানেদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এই ম্যাচে কেকেআরের থেকেও রাজস্থানের দিকে সকলের নজর। কেন তা আলাদা করে বলার নেই। ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী এখন ক্রিকেট বিশ্বের বিস্ময় বালক। চারটি ম্যাচ মাত্র খেলেছেন। তারই মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন। কেকেআরের জয়ের পাশাপাশি বাংলা তাকিয়ে বৈভবের দিকে। তাঁদের চাহিদা বৈভবের কাছ থেকে একটা ভাল ইনিংস দেখা। কেকেআর জিতুক। আর বৈভব যেন মন ভরিয়ে দিতে পরে। বৈভব পারবেন ইডেন জয় করতে! পারবেন তিনি ইডেনের নায়ক হতে! তাঁকে নিয়ে অজানা কিছু নেই। তাঁরই জন্য বিহারের সমস্তিপুর ভারতীয় ক্রিকেট মানচিত্রে ঢুকে পড়েছে। ৩৪. ১৬, ১০১ এবং ০ করে বৈভব শনিবারের বারবেলায় ইডেনে পা ফেললেন। আট বছর আগে এই ইডেনেই খেলা দেখতে আসা ছেলেটিকে দেখতে এবার মানুষ আসবে টিকিট কেটে। এটা ভাবতে কেমন লাগে! না, বৈভবকে মিডিয়ার থেকে আড়াল করে রেখেছেন রাজস্থান রয়্যালসের কর্তারা। তাঁরা চাইছেন না সাত তাড়াতাড়ি মিডিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর মাথা ঘুরে যাক। মিডিয়া তাঁকে নিয়ে লিখবে। এটা তাদের পেশা। তাই আলাদা অনুরোধে লাভ নেই। কোচ রাহুলও চাইছেন না এসব কথা বলে মিডিয়াকে আটকাতে। তার থেকে বৈভবকে যতটা আড়াল করা যায়, ততই ভাল। ইডেনে এসে চারদিক ঘুরে দেখলেন বৈভব। যা দিয়ে মাঠের বাইশ গজে শাসন করেন, সেই ব্যাট হাতে নেটে ঢুকলেন। নকিং করলেন। নেটে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে বেরিয়ে এলেন। ঢুকলেন পাশের নেটে। সেখানে থ্রোয়ারদের ছোঁড়া বলে খেললেন। সেই মেজাজ। সেই অ্যাকশন। সব কিছুর রিপ্লে দেখা গেল বৈভবেব কাছ থেকে। একজন ১৪ বছরের ছেলের ব্যাটের সুইং এত ভাল হয় কি করে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে নিজেকে পরীক্ষায় বসিয়েছেন। সেখানে লেটার মার্কস পেয়ে পাশও করেছেন। যিনি কামিনসদের সামলে এসেছেন, তাঁর সামনে রানা বা অরোররা কি বড় বাধা হয়ে দাঁড়তে পারবেন! এই প্রশ্ন উঠছে। ইডেনের উইকেটে বল ছুটবে না। মন্থর উইকেটে স্ট্রোক খেলা কঠিন। আর বৈভব স্ট্রোক করে খেলতে ভালবাসেন। শুরুটা দেখে খেললে ভাল করবেন। এখানেই বৈভব ভুল করে ফেলেন। তিনি সব বল মাঠের বাইরে ফেলতে চান। টি২০ ফরম্যাট বলে মেরে উড়িয়ে দেব, এই মানসিকতা নিয়ে খেললে অনেক ক্ষেত্রেই বিপদকে ডেকে আনা হয়। বৈভবের বয়স কম। বুদ্ধিতে শান পড়লে মানসিক শক্তি বাড়বে। তখন এই সব ভুল হবে না। এখন দেখার অপেক্ষা ইডেনে বৈভব কি করেন। বাইশ গজের জমি যে তাঁর অপেক্ষায়। কেকেআর দুটি ঘটনাকে ভয় পাচ্ছে। এক বৃষ্টিতে ম্যাচ ধুয়ে গেলে সব শেষ হয়ে যেতে পারে। আর পিচ। এবার আইপিএলে অদ্ভুত এক জিনিস দেখা যাচ্ছে। হোম গ্রাউন্ডে কেউ ভাল রেজাল্ট করতে পারছে না। কেকেআরও তাই। দিল্লি ম্যাচের দলটিকে নিয়েই তারা মাঠে নামতে পারে। আগে ব্যাট করলে বোর্ডে দুশো রান তুলতে হবে। না হলে সুবিধা পাওয়া যাবে না। দিল্লির বিরুদ্ধে দুশো পার করে ম্যাচ জিতেছিল কেকেআর। ইডেনে আবার একটা দুশো রানের ইনিংস খেলতে হবে। তা হলে হয়তো কেকেআর ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে পারে। আরও একটা কাজ করতে হবে। আগে বলা হত শেহবাগকে তাড়াতাড়ি আউট কর। তা হলে ম্যাচ অর্ধেক তোমার পকেটে। বৈভব আর যাই হোক শেহবাগ নন। কিন্তু অনেকটা সেই মেজাজে খেলেন। তাই বৈভব উইকেটে থেকে গেলে অনেক কিছু হতে পারে। ম্যাচ জিততে হলে সেটা করতে দিলে চলবে না। কেকেআর কি শুনতে পাচ্ছে!
শহরে বৈভব, আইয়ারকে নিয়ে অস্বস্তিতে কেকেআর

এখন ১৪। আট বছর আগে বাবার সঙ্গে ইডেনে খেলা দেখতে এসেছিলেন বছর ছয়েকের বাচ্চা ছেলে বৈভব সূর্যবংশী। সেদিন কি ভেবেছিলেন একদিন তাঁর খেলা দেখতে মাঠে ভিড় জমাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দুনিয়ায় কখন কি ঘটে যায় তা কেউ জানেন না। জিন্দেগী মে সব কুছ হোতা হ্যায়। সেটাই শনিবার দুপুরে হতে চলেছে। যখন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ইডেনে প্র্যাকটিসে নামবেন আজকের ক্রিকেটের বিস্ময় বালক। রবিবার ইডেনে কি ঘটবে কেউ জানেন না। কেকেআরের সাফল্য দেখতে সবাই ভিড় করবেন ক্রিকেটের নন্দন কাননে। তারই মধ্যে অনেকের চাওয়ার শেষ নেই। তাঁরা চান বৈভবের একটি ভাল ইনিংস দেখতে। সঙ্গে অবশ্যই রাহানেদের জয়। এই দুয়ের মিশেলের কি দেখা মিলবে রবিবার শেষ বিকেলে ইডেনের বাইশ গজে! রাজস্থানের কাছে নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই। তারা আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছে। তবু পচ শামুকে পা কাটে। তেমন হলে রাহানেরা আইপিএল থেকে ছিটকে যাবেন। কারন এখন চারে চার করতে না পারলে প্লে অফ খেলার স্বপ্ন হারিয়ে যাবে। দিল্লি জয় করে বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে শহরে এসেছেন ক্রিকেটাররা। অক্ষর প্যাটেলদের বিরুদ্ধে ১৪ রানে জয় দলকে তাতাচ্ছে। ঘরের মাঠে আবার ধাক্কা দিতে চায় কেকেআর। সেটা কি সম্ভব হবে! তার আগে অনেকগুলি প্রশ্ন সামনে আসছে। প্রথমত কেকেআর অধিনায়ক কি রবিবার খেলতে পারবেন। দিল্লি ম্যাচে ডুপ্লেসির একটি শট আটকাতে গিয়ে হাতে বড় ধরনের চোট পান। হতে কয়েকটি সেলাইও পড়ে। ম্যাচ শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগেও রাহানে পুরো ফিট নন। তিনি নিজেও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না যে রাজস্থান ম্যাচ খেলবেন। তবে আশা করা হচ্ছে য়ে রাহানে খেলবেন। তিনি ন খেললে দের ব্যাটিংয়ে বড় ধাক্কা। কারন এবারের আসরে অধিনায়ক রাহানে দলের হয়ে সব থেকে ভাল পারফর্ম করছেন। তাই এমন অবস্থায় নিজেকে সরিয়ে নিতে রাজি হবেন না রাহানে। রাহানেকে নিয়ে বড় চিন্তা দেখা গেল না শিবিরে। দলে অস্বস্তি বাড়িয়েছে সহঅধিনায়ক বেঙ্কটেশ আইয়ারের ফর্ম। প্রায় ২৪ কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছে কেকেআর। কিন্তু বদলে তিনি কি করছেন। একটি বড় ইিংস খেলা ছাড়া বিশেষ কিছু করতে পারেননি আইয়ার। সেটা দলকে বেশি করে ভোগাচ্ছে। রাহানে অবশ্য তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। তিন জানিয়েছেন, একটি ম্য়াচ রান পেয়ে গেলে বেঙ্কিকে রোখা যাবে না। হয়তো রবিবারের ম্যাচে ওকে দারুন মেজাজে খেলতে দেখা যাবে। আমরাও চাই তাড়াতাড়ি রানে ফিরুক বেঙ্কি। তা হলে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শুক্রবার প্র্যাকটিসে বেঙ্কির সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে দেখা গেল সহকারি কোচ অভিষেক নায়ারকে। তিনি নেটের পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন ঠিক কোথায় ভুল হচ্ছে আইয়ারের। নেটের পিছনে ছিলেন রাহানেও। তিনিও চাইছেন ভুল হলে সেটা প্র্যাকটিসের পর নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সমধান করতে। শুধু আইয়ার নয়। রিঙ্কু ও রাসেলের ব্যাটেও রানের দেখা মিলছে না। রিঙ্কু দিল্লি ম্যাচে রন পেয়েছেন। তবে তাঁকে আগের মেজাজে দেখা যাচ্ছে না। যেমন দেখা যাচ্ছে না রাসেলকে। এদের ব্যাটে রান না এলে দল কীভাবে বড় ইনিংস খেলতে পারবে। রাসেল নেটে কিছুটা সময় কাটিয়ে বাইরে চলে এলেন। বরং রিঙ্কু অনেকটা সময় ব্যাট করে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে চাইলেন। রবিবার যে পিচে খেল হবে, সেখানে তেমন ঘাস দেখতে পাওয়া গেল না। ধরে নেওয়া যেতে পারে স্লো টার্নার উইকেটে খেলতে হবে। তা হলে তিন স্পিনারে যেতে পারে কেকেআর। সুনীল ও বরুনের সঙ্গে আবার মইনকে খেলতে দেখা যাবে। আবার আগের ম্যাচে অনুকূল রায় খারপ বল করেননি। মইনের বদলে তিনি দলে ঢুকে পড়ত পারেন। কেকেআর শিবিরে এই সব যদি বা কিন্তুর প্রস্ন উঠে আসছে। সেটা নিয়ে কেকেআর মাঠ ছেড়ে হোটেলে ফিরে গেল।
পিচ বিতর্কের জের, হর্ষ ভোগলে ও সাইমন ডুলকে ইডেনে ব্যান করার দাবি জানাল সিএবি

আইপিএলের পিচ বিতর্কে এবার কড়া অবস্থান নিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। হর্ষ ভোগলে ও সাইমন ডুল – এই দুই ধারাভাষ্যকারকে ইডেনের ম্যাচে যাতে ব্যান করা হয়, তার জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে দাবি জানাল সিএবি। এই দুজন মন্তব্য করেছিলেন, ইডেনের পিচে যদি হোম অ্যাডভান্টেজ না পাওয়া যায়, তাহলে কেকেআরের উচিত ইডেন ছেড়ে অন্য কোথাও নিজেদের হোম বেস তৈরি করা। এই মন্তব্যেই বেজায় চটেছে সিএবি। সে কারণেই বোর্ডের কাছে হর্ষ ও ডুলকে ব্যান করার দাবি। যদিও বিসিসিআই এখনও কোনও কিছু জানায়নি তবে সূত্রের খবর সোমবার ইডেনে কেকেআরের ম্যাচে ধারাভাষ্য দেয়ার জন্য হয়ত থাকবেন না হর্ষ ভোগলে ও সাইমন ডুল। ঠিক কী বলেছিলেন ডুল? তিনি মন্তব্য করে ছিলেন, হোম টিমের চাহিদার কথা কিউরেটর ভাবছেন না। ফ্র্যাঞ্চাইজি স্টেডিয়ামের ভাড়া দেয়। যা যা খরচ সবই মেটায়, তবু যদি হোম টিমের চাহিদার কথা না ভাবা হয়, তাহলে তাদের এই স্টেডিয়াম ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়া উচিত। হর্ষ ভোগলেও ডুলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেছিলেন, যদি কেউ হোম গ্রাউন্ডে খেলে তাহলে তাদের সুবিধামত পিচ পাওয়া উচিত। সিএবি অবশ্য কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে, কারণ তারা মনে করে বিসিসিআইয়ের নির্দেশই পালন করেছেন কিউরেটর। পিচ কেমন হবে, সে ব্যাপারে কোনও ফ্রঞ্চাইজিই হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই বিতর্কের জেরেই হয়ত ইডেনে সাইমন ডুল ও হর্ষ ভোগলেকে ধারাভাষ্য দিতে দেখা যাবে না, যদিও এখনও তেমন কোনও সরকারি নির্দেশ এসে পৌঁছোয়নি।