প্রি-সিজন ট্রেনিংয়ের ফল এই পারফরম্যান্স, বলছেন অস্কার

সুপার কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে শুক্রবার ড্র করে শেষ চারে নিশ্চিত হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোর মনে হচ্ছে এই পারফরম্যান্সের অন্যতম কারণ, প্রাক-মরশুম ট্রেনিং। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার রাতে তার বিশ্লেষণ, “মে মাস থেকে পরিকল্পনায় বসেছিলাম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। শুধু বিদেশি ফুটবলার নেওয় নয়, কী ধরণের বিদেশি ফুটবলার নেওয়া হবে সেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। গত মরশুমের ব্যর্থতার পর সাবধানে, পরিকল্পনা করে বিদেশি নির্বাচন করা হয়েছে। বিদেশিদের মধ্যে শুধু সল ক্রেসপোকে রেখে দেওয়া হয়েছিল।” অস্কার একইসঙ্গে জানিয়েছেন, ডুরান্ড কাপের আগেই লাল-হলুদের দল গড়া শেষ হয়ে গিয়েছে এবার। গত মরশুমের বিদেশিদের মধ্যে ক্লাব ছেড়ে দিয়েছে দিয়ামান্তাকোস, মাদি তালাল, রিচার্ড সেলিস, মেসি বাউলি হিজাজি মাহের আর হেক্টর ইউস্তেকে। পরিবর্তে এসেছেন কেভিন সিবিলে, হামিদ আহদাদ, মিগুয়েল ফেরেরা, মহম্মদ রশিদ আর হিরোশি ইবুশুকি। “এই বিদেশিদের সঙ্গে অনেক মাস আগে থেকে আমরা কথা বলছিলাম, তাদের ফিটনেস লেভেল, সাম্প্রতিক ম্যাচের পারফরম্যান্স-সব খুটিঁয়ে খুঁটিয়ে দেখে তারপরই তাদের নেওয়া হয়েছে,” যোগ করলেন অস্কার। সুপার কাপের এখন বিরতি। নভেম্বেরের শেষ সপ্তাহে সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল হওয়ার কথা। তার আগে ইস্টবেঙ্গলে এখন এক সপ্তাহের বিশ্রাম। অস্কার বলছেন, “জুলাইয়েই আমরা শুরু করে দিয়েছিলাম প্রি-সিজন ট্রেনিং। তারই ফল দল সুপার কাপে পাচ্ছে। দলে বোঝাপড়া বেড়েছে। এবার আমরা সতর্ক হয়ে দল গড়েছি, প্রস্তুতিও নিয়েছি।” সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হলে আবার ইস্টবেঙ্গল এএফসি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ পাবে। কিন্তু স্প্যানিশ কোচ সতর্ক। জানাচ্ছেন, সাম্প্রতিক ব্যর্থতার পর ট্রফি নিয়ে কথা বলার অধিকার এখনও তাদের হয়নি! তাই তিনি ফুটবলারদের সবসময়ই সতর্ক করছেন এই বলে, “সুপার কাপে সেমি-ফাইনালে উঠে তৃপ্ত হওয়ার প্রশ্নই নেই। মরশুমের শুরু এখন। নিজেদের আরও সংগঠিত করার সময়।” সেমিফাইনালে ওঠার পর, দলের শক্তি সম্পর্কে তার একটাই মন্তব্য, “ভারতের যে কোনও বড় দলের সঙ্গে আমরা সমানে সমানে টক্কর দিতে পারি।”