কালীঘাটে গম্ভীর, প্রস্তুতি শুরু গিল, বুমরাহদের

দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগেই কালীঘাট মন্দিরে গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir)। মায়ের কাছে পুজো দিয়েই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে যাত্রা শুরু করতে চান ভারতীয় দলের কোচ। সেই জন্য মঙ্গলবার প্রস্তুতির পরই বিকেলের দিকে চলে গেলেন কালীঘাটের মন্দিরে(Kalighat Temple)। সেখানেই পুজো দিলেন তিনি। তবে সবটাই কড়া নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে। আগামী ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় দল। গত রবিবারই শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir), শুভমন গিলরা(Shubman Gill)। সোমবারই ভারতীয় দলের সকলে পৌঁছে গিয়েছিল। সময় নষ্ট করতে একেবারেই নারাজ ছিলেন গম্ভীররা(Gautam Gambhir)। মঙ্গলবার থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল ভারতীয় দল। তবে এদিন ছিল অপশনাল প্রস্তুতির সূচী। যদিও ভারতীয় দলের একাধিক প্রথম একাদশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুশীলনে। গৌতম গম্ভীরের তত্ত্বাবধানে এদিন অনুশীনলনে নেমে পড়েছিলেন সুভমন গিল(Shubman Gill), রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja) থেকে জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। স্পনসর বদলানোর পর এদিনই প্রথমবার ভারতের টেস্ট ফর্ম্যাটে প্রস্তুতির জার্সিও এল প্রকাশ্যে। প্রায় দু ঘন্টা এদিন প্রস্তুতি সারেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে ভারতের সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন দীর্ঘক্ষণ নেটে সময় কাটান শুভমন গিল(Shubman Gill)। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতেছিল ভারত(India Team)। সেই ধারাই এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ধরে রাখতে চান তারা। এদিন নজর বেশি ছিল জসপ্রীত বুমরার দিকে। সম্প্রতি সেভাবে তাঁকে ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। ইডেনের নেটে দীর্ঘক্ষণ সেই প্রস্তুতিও সারলেন এই তারকা ক্রিকেটার। ভারতের অপশনাল প্রস্তুতি থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু প্রথম দিন থেকেই পূর্ণ স্কোয়াড নিয়ে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। এডেন মার্করাম থেকে টেম্বা বাভুমা, স্টাবস, কেশভ মহারাজরা মঙ্গলবার থেকেই ইডেনে মহড়া শুরু করে দিয়েছেন।
দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরই কলকাতায় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ভারতীয় দল

দিল্লিতে ভয়াবহ ব্লাস্ট। সেইসঙ্গেই রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে মুম্বই(Mumbai), কলকাতাতেও(Kolkata)। এমন পরিস্থিতিতেই ইডেন গার্ডেন্সে(Eden Gardens) আগামী ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে নামছে ভারতীয় দল। গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir), শুভমন গিলদের(Shubman Gill) ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। কার্যত নিশ্ছিদ্র প্রহরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে ইডেন গার্ডেন্স(Eden Gardens) সহ টিম হোটেলকে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে দুই দলের জন্য। বাড়ানো হচ্ছে পুলিস ফোর্সের সংখ্যা। সেইসঙ্গে থাকছে বিশেষ পাইলট কারও। ইডেনে মঙ্গলবার থেকে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে দুই দলই। গোটা জায়গাটাই মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। বাড়ানো হয়েছে চেকিংয়ের ব্যবস্থাও। যা নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবস্থা হয়েছিল, সেইসঙ্গে আরও ২০০ অতিরিক্ত ফোর্সের(Extra Police Force) ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে একজন অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার(ACP) পদের অফিসার থাকছেন দায়িত্বে। এছাড়াও দুই দলের টিম বাসের সামনে থাকবে বিশেষ পাইলট কার। গত সোমবার সন্ধে বেলায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল লালকেল্লা(Red Fort) চত্বর। সেই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১১ জন। সেইসঙ্গে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩০ জনের মতো সাধারণ নাগরিক। এই ঘটনার সঙ্গ ইতিমধ্যেই জঙ্গি নাশকতার কোনওরকম ছক রয়েছে কিনা সেই নিয়েই তদন্তে নেমে পড়েছে এনআইএ এবং এনএসজি। দিল্লির পাশাপাশি মুম্বই এবং কলকাতাতেও জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। বিশেষ করে ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের ম্যাচে নামছে ভারত(India Team)। সেইজন্য এখন অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। হোটেলের পাশাপাশি টিম হোটেলেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বুধবার থেকে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে ভারতীয় দল(India Team)। তবে অপশনাল প্রস্তুতি ছিল এদিন। একইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাও(South Africa) শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতি শিবির। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে ভারত জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
টি টোয়েন্টিতে ওপেনিং নিয়ে চিন্তায় গম্ভীর

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও, ওপেনিং স্লট নিয়ে কিন্তু চিন্তা কাটছে না ভারতীয় দলের কচ গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir)। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওপেনিং বাদ দিয়ে প্রতিটা স্লটেই ক্রিকেটারদের পজিশনে অদল বদল হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ওপেনিংয়ে সেভাবে কোনও বদল করেননি ভারতীয় দলের তারকা কোচ। টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে সেই কথাই শোনা গেল গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) মুখে। তাঁর সাফ বার্তা দলের ওপেনিং বাদ দিয়ে গোটা দলের ব্যাটিং লাইনআপই যথেষ্ট ওভাররেটেড। আর সেই কারণেই নাকি তিনি বারবার টি টোয়েন্টি দলের ব্যাটিং অর্ডারে এতবার রদবদল করেছিলেন। তবে ওপেনিং নিয়ে যে তিনি বেশ চিন্তায় রয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের ওপেনিংয়ে ছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill) ও অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। ভারতীয় দল ভালো খেললেও গিল কিন্তু সেভাবে ওপনিংয়ে সফল হতে পারেননি। শেষ ম্যাচে গিল(Shubman Gill) আক্রমণাত্মক খেললেও, শেষপর্যন্ত বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল সেই ম্যাচ। সেই জায়গায় অনেকেই যশস্বী জয়সওয়ালকেও খেলানোর কথাবার্তা বলতে শুরু করে দিয়েছে। এমন পরিস্থতিতে গম্ভীরও যে দলের ওপেনিং নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে গম্ভীরের কথা থেকেও। গম্ভীর জানিয়েছেন, “আমাদের ব্যাটিং অর্জার অত্যন্ত ওভাররেটেড। তবে দুজন ওপেনারকে বাদ দিয়ে। আমাদের দলের ব্যাটিং অর্ডার এত বদল হয় তার কারণ ফর্ম নয়। টি টোয়েন্টিতে ফর্ম কখনোই খুব একটা ম্যাটার করে না”।
রোহিতের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ! গম্ভীরের মন্তব্যে হৈচৈ

রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) উদ্দেশ্যে অবসরের বার্তা গম্ভীরের! দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) এই একটা মন্তব্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল। না এখনই রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) অবসর নেওয়ার খবর নেই। আর গম্ভীরের সেই মন্তব্যও ছিল একেবারেই মজা করে। রোহিত শর্মা যখন ম্যাচ শেষে বেড়োচ্ছিলেন সেই সময়ই গম্ভীরের(Gautam Gambhir) মুখে শোনা যায় রোহিতকে উদ্দেশ্য করে ফেয়ারওয়েল ম্যাচের কথা বলা। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চর্চা তুঙ্গে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ওডিআই সিরিজেই ফের দেশের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। প্রথম ম্যাচে সেভাবে সফল হতে না পারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিকও রোহিত শর্মাই(Rohit Sharma)। ৯৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের হিটম্যান। সেই রোহিত শর্মাকেই গম্ভীরের(Gautam Gambhir) ফেয়ারওয়েলের কথা! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ২ উইকেটে হেরেছিল ভারত। ম্যাচ শেষে ভারতীয় দল যখন স্টেডিয়াম থেকে বেড়োচ্ছে সেই সময়ই রোহিতের উদ্দেশ্যে গৌতম গম্ভীরের বার্তা। খানিকটা ইয়ার্কির সুরেই গৌতম গম্ভীর বলেন, “রোহিত সকলের মনে হচ্ছিল আজ বোধহয় তোমার ফেয়ারওয়েল ম্যাচ। আরে ছবি তো লাগিয়ে দাও অন্তত”। আর সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান যেমন রোহিত শর্মা করেছেন, তেমনই এই পারফরম্যান্স তাঁর আগামী বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রেও রাস্তা খানিকটা প্রশস্ত করেছে। তৃতীয় ওডিআইতেও রোহিত শর্মা তাঁর পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেন কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
কুলদীপকে খেলানোর সওয়াল প্রাক্তন ভারতীয় পেসারের

অ্যাডাম জাম্পা(Adam Zampa) যখন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করছেন, সেই সময় ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে রয়েছেন কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। প্রথম দুই ওডিআই ম্যাচেই তাঁকে বসি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজও হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। এরপরই কুলদীপকে(Kuldeep Yadav) খেলানো নিয়ে সরব হয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার বরুণ অ্যারণ(Varun Aaron)। শেষ ওডিআই ম্যাচে কুলদীপ যাদবকে(Kuldeep Yadav) খেলানোর পরামর্শই দিচ্ছেন বরুণ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিং শক্তিই দেখে নিতে চেয়েছিল ভারতীয় দল। প্রথম দুই ম্যাচেই তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে ব্যাটিংয়ের ওপর জোর দিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেনি। বরং তাসের ঘরের মতোই বারবার ভেঙে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়ার(India Cricket Team) ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer) রান পেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত জিততে পারেনি। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অ্যাডাম জাম্পা(Adam Zampa)। তিনি একাই তুলেছিলেন চার উইকেট। সেই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল কুলদীপ যাদবকে(Kuldeep Yadav) না খেলানোর সিদ্ধান্তেই ছিল অনড়। এমন পরিকল্পনাটাই যেন বেশ অবাক করছে বরুণ অ্যারণকে। কেন কুলদীপকে খেলানো হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তিনি। সম্প্রচারকারী সংস্থার অনুষ্ঠানে বরুণ অ্যারণ জানিয়েছেন, “প্রথম ম্যাচ থেকেই কুলদীপকে(Kuldeep Yadav) খেলানো উচিৎ ছিল ভারতীয় দলের। সেক্ষেত্রে একজন ব্যাটারকে অবশ্য ছাড়তে হত। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের পিচে দুজন পেসার নিয়ে খেলাটাও খুব একটা যুক্তিযুক্ত নয়। কুলদীপ এমন একজন বোলার যিনি, যেকোনও পরিস্থিতিতে উইকেট তুলতে পারেন। এছাড়াও যে রান ব্যাটাররা করতে পারেননি, বল হাতে সেটা ম্যানেজ করতেও তিনি যথেষ্ট দক্ষ”। অস্ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াতে তিন অল রাউন্ডারে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। গম্ভীরদের সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের হাত থেকে সিরিজ হাতছাড়া আগেই হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ ম্যাচে ভারতের সামনে সম্মান রক্ষার লড়াই। সেখানেই শেষপর্যন্ত কুলদীপ যাদবকে খেলানো হয় কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সাফল্যে গম্ভীরকে নয়, দ্রাবিড়কে কৃতিত্ব রোহিতের

ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব হারানোর পরই উল্টো সুর রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) মুখে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব গৌতম গম্ভীরকে(Gautan Gambhir) নয়, রাহুল দ্রাবিড়কেই হঠাৎ দিলেন রোহিত শর্মা(Rohit sharma)। আর তাতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কী গম্ভীরের অঙ্গুলি হেলনেই ভারতীয় দলের নেতৃত্ব হারালেন রোহিত শর্মা! যদিও তা নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। তবে রোহিতের সাফ বক্তব্য, রাহুল দ্রাবিড়ের তৈরি করা মানসিকতাতে এবং পরিকল্পনাতে ভর করেই নাকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। রাহুল দ্রাবিড়ের(Rahul Dravid) কোচিংয়ে ঘরের মাঠে ২০২৩ সালে ওড়িআ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু জিততে পারেননি তারা। এরপরই ২০২৪ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) ভারত। সেখানেও কোচ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। তবে এরপরই ভারতীয় দলের কোচের হট সিটে বসেছিলেন গৌতম গম্ভীর। তাঁর কোচিংয়ে ভারতীয় দল ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই রোহিত(Rohit Sharma) নন, ভারতীয় দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল। এরপরই রোহিত শর্মার এমন একটা মন্তব্য। রাহুল দ্রাবিড়ের দেখানো পথেই নাকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তাদের সাফল্য এসেছে। সাফ বার্তা দিয়েছেন রোহিত শর্মা। একটি অনুষ্ঠানে রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, “যে দক্ষতা গুলো সেখানে দেখিয়েছিলাম, সেটাই আমরা সেখানে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। যই মাত্র আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছিলাম, এরপরই সেই স্মৃতি দূরে সরিয়ে রেখে, পরের ম্যাচের দিকে মন দিয়েছিলাম। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যে পরিকল্পনা গুলো আমরা করেছিলাম, সেটাই আমাদের এখানেও সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছিল”। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই ওডিআই অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক করবেন শুভমন গিল। দলে রয়েছেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য হঠাৎই ক্রিকেট মহলে শুরু করেছে নতুন জল্পনা। তবে কী গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সমস্যার জেরেই সরে যেতে হয়েছে রোহিত শর্মাকে। এই নিয়েই এখন জল্পনা কিন্তু তুঙ্গে পৌঁছেছে।
গিলদের ডিনারে আমন্ত্রণ গৌতম গম্ভীরের

আগামী ১০ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামতে চলেছে ভারতীয় দল(India Team)। দিল্লিতে এই টেস্ট জিততে পারলেই ক্যারিবিয়ান ব্রিগেডকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারবে টিম ইন্ডিয়া। তার আগেই ভারতীয় দলের ক্রিকেচটারদের নিজের বাস ভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ কোচ গৌতম গম্ভীরের। শোনা যাচ্ছে আগামী বুধবারই নাকি গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) বাসভবনে যাচ্ছেন শুভমন গিল(Shubman Gill) সহ টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রথম টেস্ট জিতে গেছে ভারতীয় দল। সেখানেই দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটার থেকে বোলাররা। এক ইনিংস ও ১৪০ রানে জিতেছিল ভারত। এবার দিল্লিতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে। তবে তার আগে ক্রিকেটারদের টিম বন্ডিং সেশনের ওপরই জোর দিচ্ছে ভারতীয় দলের হেড স্যার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এই দলের অনেকেই রয়েছেন সেই দলে। বিশেষ করে শুভমন গিলের ওপর গুরু দায়িত্ব উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই আবার ওডিআই অধিনায়ক হিসাবে যাত্রা শুরু করবেন তিনি। তার আগেই দলের প্রত্যেকের মধ্যে একটা ভালো টিম বন্ডিং সেশন তৈরি করতে চাইছেন গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir)। শোনাযাচ্ছে তাঁর বাস ভবনের বাগানেই নাকি এই গ্র্যান্ড ডিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১-০ ফলাফলে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও এগিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
ওডিআই দলে হর্ষিত রানা, স্বজন-পোষণের অভিযোগ প্রাক্তন নির্বাচকের

ভারতীয় ড্রেসিংরুমে স্বজন পোষণের অভিযোগ! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই ফর্ম্যাটের দল ঘোষণার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। হর্ষিত রানার(Harshit Rana) ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা তথা প্রাক্তন নির্বাচক শ্রীকান্থ(Krishnamachariya Srikanth)। সরাসরি গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগ তুললেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর মতে গম্ভীরের ইয়েস ম্যন হওয়ার জন্যই নাকি ভালো পারফরম্যান্স না করেও ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে চলেছেন হর্ষিত রানা(Harshit Rana)। কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে এসিয়া কাপ। সেখানেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন ভারতীয় দলের এই পেসার। হর্ষিত রানার(Harshit Rana) পারফরম্যান্স নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে চলেছেন তিনি। এর পিছনে কী কারণ রয়েছে সেটাই যেন বুঝতে পারছেন না অনেকে। শুধুমাত্র এশিয়া কাপই(Asia Cup) নয়, তার আগের বিভিন্ন সিরিজ গুলোতেও ব্যর্থ হয়েছেন হর্ষিত রানা। শ্রীকান্থের মতে, “হর্ষিত রানা নানান সিনেমার মাত কার্যকর করেছেন। কিন্তু ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে তাঁকে ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। আর তিনি যা কিছু করেছেন তা সবই আইপিএলের মঞ্চে। আগ্রাসন দেখানোটা আলাদা। কিন্তু সেখানে শোঅফ করাটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা জিনিস”। এবারের এশিয়া কাপে তিনি রান যেমন দিয়েছেন, কিন্তু সেভাবে উইকেট তুলতে পারেননি। গোটা প্রতিযোগিতা ৭৯ রান দিয়েছেন। আর হর্ষিত রানা(Harshit Rana) উইকেট তুলতে পেরেছেন মাত্র দুটো। সেখানেই সুপার ফোরের মঞ্চে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫৪ রান দিয়ে মাত্র একটা উইকেট তুলতে পেরেছিলেন। কিন্তু এত কিছুর পরও ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েই চলেছেন হর্ষিত রানা। একসময় গম্ভীরের কোচিংয়ে নাইট রাইডার্সে খেলতেন তিনি। সেটাই কী হর্ষিতের ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার প্রধান কারণ, প্রশ্ন তুলছেন কৃষ্ণ্ণামাচারিয়া শ্রীকান্থ। তাঁর মতে আরও অনেক ভালো ক্রিকেটাররা সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু খারাপ পারফরম্যান্স করেও সুযোগ পাচ্ছেন হর্ষিত রানা। নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্তটাই বারবার হতবাক করছেন প্রাক্তন ভারতীয় বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে হর্ষিত রানা আদৌ সাফল্য পান কিনা সেটাই দেখার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ ভারতীয় দলের অভিজ্ঞতা ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে

পহেলগাম(Pahelgam) ঘটনার এশিয়া কাপেই(Asia Cup) প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান(INDvPAK)। রবিবারের ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নানান হিসাব নিকাশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ ভারতীয় দলের(India Cricket Team) অভিজ্ঞতাই চিন্তার কারণ হতে পারে গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir)। ভারতীয় ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সটাই খানিকটা চিন্তায় রাখছে ভারতীয় টিম(Indian Cricket Team) ম্যানেজমেন্টকে। সেদিকেই যে এখন গম্ভীর(Gautam Gambhir) অ্যান্ড কো-এর মূল ফোকাস তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শাহিন আফ্রিদির(Saheen Afridi) বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বারবারই বেশ সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে ভারতীয় দলের ব্যাটারদের। এবারের এশিয়া কাপেও(Asia Cup) যে পাকিস্তানের বল হাতে প্রধান ভরসা সেই আফ্রিদি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানেই ভারতের চিন্ত খানিকটা বাড়াতে পারে ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। এই প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবেন তিনি। সঙ্গে শুভমন গিল(Shubman Gill) থাকলেও, তাঁরও যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার খুব একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে তেমনটা নয়। আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানকে আটকাতে ফিনিশার নিয়েই ভারতীয় শিবিরে আলোচনা অন্যদিকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সূর্যের ব্যাটেই রান এসেছে ৫ ম্যচে ৬৪। গড় মাত্র ১২। এই দিকটা যে ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়াতে পারে তা বলাই যায়। মিডল অর্ডারে তিলক বর্মারও একই অবস্থা। একমাত্র এই দলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হার্দিক পান্ডিয়া(Hardik Pandya)। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেমন দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তেমনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হার্দিকের পারফরম্যান্সই উল্লেখযোগ্য। ব্যাট হাতে যেমন রান রয়েছে হার্দিকের। তেমনই বল হাতেও হার্দিকের ঝুলিতে রয়েছে উইকেট। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ ম্যাচে ৯১ রান করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তেমনই আবার বোলিংয়ে তাঁর শিকার ১৩ উইকেট। হার্দিকের ওপর যে এই ম্যাচে দায়িত্ব অনেকটাই বেশি থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অন্যতম তুরুপের তাস জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। বরাবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ফর্মে থাকেন তিনি। অভিজ্ঞ বুমরার দিকে যে এই ম্যাচেও তাকিয়ে রয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বারবারই বুমরাহকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পাক শিবিরকে। এবারও সেই বুমরার নেতৃত্বেই পাক ব্যাটারদের ওপর যে ভারতের চাপ বাড়ানোর কৌশল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অর্শদীপ সিং ভালো ছন্দে রয়েছেন। সেইসঙ্গে স্পিন আক্রমণে কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী সিরিজের শুরুটা দুরন্ত ভাবে করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে যে ভারতই ফ্রন্টফুটে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গিলকেই চাই, ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হয়ে গিয়েছে গম্ভীর রাজ

কদিন আগে এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে নিজের কলমে বিরাট কোহলিকে নিয়ে অনেক কথাই লিখলেন গ্রেগ চ্যাপেল। পুরো লেখায় বিরাট নিয়ে প্রশংসা ছাড়া আর কিছু দেখা গেল না। বিরাট কেমন, কীভাবে নিজের ইনিংস গড়েন। কীভাবে নিজেকে এভারস্টের চূ়ড়ায় তুলে আনলেন, এ সবই লেখায় পাওয়া গেল। কিন্তু বিরাট কেন অবসর নিলেন! তিনি কি অবসর নিতে বাধ্য হয়েছেন! না, এসব কিছু পাওয়া গেল না। এক্ষেত্রে নিজেকে আড়ালে রাখলেন গুরু গ্রেগ। তবে কি এর পিছনেও কোনও কারন আছে! হতে পারে। ভারতীয় দলের হেড কোচ বা নির্বাচকদের নিয়ে কথা বলতে গেলে ২০ বছর আগের কথায় যে তাঁকে ফিরতে হবে। সেদিন তিনি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ। তিন বছরের আখ্যানে তিনি কি করেছেন তা সকলের জানা। সেই পথ ধরে যে বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীর হাঁটা শুরু করেছেন তা নিশ্চয় বুঝতে অসুবিধা হয়নি গ্রেগের। গম্ভীরের মধ্যে হয়তো নিজেকে দেখতে পেয়েছেন গ্রেগ। না হলে কেন এসব আড়াল করবেন। পুরো লেখায় একবারও বিরাটের অবসরের কারন বিশ্লেষনে গেলেন না। কেন! এর ব্যাখ্যা নিশ্চয় এখন আর দেওয়ার দরকার নেই। কেন বলা হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটে গম্ভীর রাজ শুরু হয়ে গিয়েছে! একথা বলা যাবে না রোহিত ও বিরাট ফর্মে থাকা সত্বেও অবসর নিতে বাধ্য হয়েছেন। গত ১৩ মাসে ব্যাটে রান নেই। ঘরের মাঠে বা বিদেশে তাঁরা রান খুঁজে বেরিয়েছেন। কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। আর এই সুযোগ কাজে লাগালেন গম্ভীর। তিনি চাইছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটে তিনিই প্রথম ও শেষ কথা বলবেন। কিন্তু রোহিত ও বিরাট দলে থাকলে সেটা সম্ভব নয়। তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের জমিকে শক্ত করতে হবে। নির্বাচক প্রধান অজিত আগারকরকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজ করে ফেললেন। গম্বীর জানতেন, অধিনায়কের চেয়ার থেকে রোহিতকে সরিয়ে দিলে তিনি দলে থাকবেন না। অবসর নিতে বাধ্য হবেন। সেটাই হল। রোহিত সরে যাওয়ার পর টার্গেট বিরাট। তাঁকে কীভাবে সরাবেন। একই চালে মাত করার চেষ্টা। টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার আগে বিরাট কথা বলেছেন রোহিত ও শাস্ত্রীর সঙ্গে। তার আগে দলের অন্দরমহলের ছবি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এভাবে দলে থাকতে হলে মাথা নিচু করে সব কিছু মেনে নিতে হবে। যা বিরাটের মতো ক্রিকেটারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ঠিক করেছিলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন। পরে জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ স্বীকার করেছেন, বিরাটের সিদ্ধান্ত সঠিক। এটাই সঠিক সময়। কিন্তু মন থেকে কি শাস্ত্রী মেনে নিতে পেরেছিলেন! পারেননি। তাঁর এখনও বিশ্বাস বিরাট অনায়াসে আরও দুতিনবছর টেস্ট ক্রিকেটে নিজেক ব্যস্ত রাখতে পারতেন। আবার বিরাটের মনের কথা পড়ে এটাই বিশ্বাস হয়েছিল, এরপরও দলে থাকলে মান থাকবে না। তাই তিনি বিরাটের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন। অবাক লাগল নির্বাচক প্রধানের কাজে। তিনি কী করে অস্ট্রেলিয়ায় শেষ টেস্টের আগে বিরাটের কাছে ভবিষ্যত জানতে চেয়েছিলেন। এটা কি একজন নির্বাচক প্রধানের কাজ। সেখানে পাশে বসেছিলেন কোচ গম্ভীর। তিনি কোনও কথা বলেননি। এর থেকে পরিস্কর হয়ে গিয়েছিল, গম্ভীরের মনের কথা অজিতের মুখ থেকে শুনতে হচ্ছে। তাই হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় সতীর্থদের বারবার বলতেন, এবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবেন। আর খেলবেন না। দলের ব্যর্থতায় কোচের দায় থাকে না। এটা ভারতীয় ক্রিকেটে হয়ে আসছে। না হলে গম্ভীরের কাজ নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠবে না। ঘরের মাঠে ও বিদেশে দলের ব্যর্থতা এসেছে তাঁরই কোচিংয়ে। তাঁকে কি প্রশ্ন করা হয়েছিল, দল কেন এমন খেলছে! হয়নি। তার উপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর রোহিত ও বিরাটদের নিয়ে তিনি উল্লাস করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। অনেকে বলছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রপি না জিতলে গম্ভীরকে নিয়ে প্রশ্ন উঠত। সাফল্য পেলে কোচের কৃতিত্ব, আর ব্যর্থতার দায় ক্রিকেটারদের! কেন এমন বিচার কেন হবে। একথা একবারও বলা হচ্ছে না যে রোহিত ও বিরাট দারুন খেলে দলে জায়গা ধরে রেখেছিলেন। তাঁদের ব্যাটে রান ছিল না। সেই দায় কার। তিনি কি রোহিত ও বিরাটকে নিয়ে আলাদা করে বসেছিলেন। এমন কথা কিন্তু শোনা যায়নি। আরও শোনা যায়নি বিরাটের অবসরের সিদ্ধান্ত শোনার পর তাঁর কাজের নমুনা। তাঁকে কখনও বলতে শোনা যায়নি যে কেন বিরাট সরে দাঁড়াবে। আমি নিজে ওর সঙ্গে কথা বলব। ওকে বোঝাব, ইংল্যান্ড সিরিজ খেল। তারপর যা করার করবে। এ পথে গম্ভীর হাঁটেন নি। উল্টে অবসরের কথা জানার পর তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন-উই মিস ইউ। ভাবা যায়! গ্রেগ দায়িত্ব পাওয়ার পর ভিশন ২০০৭ করে এগোতে চেয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বকাপ ছিল। তাই দলের দায়িত্ব পেয়েই সিনিয়র ক্রিকেটরদের ক্রিকেটারদের ছেঁটে ফেলার চেষ্টা করলেন। বিশ্বকাপে ভারত প্রথম রাউন্ডে ছিটকে গেল। তারপর তিনি দলে নিয়ে এলেন জে পি যাদব, বেনুগোপাল রাওদের। ওঁরা কতদিন ক্রিকেট খেলেছেন। ইরফান পাঠানকে অলরাউন্ডার বানাতে গিয়ে বোলিং ভুলিয়ে দিলেন। তারপর নিজের ভুল বুঝতে পেরে চাকরি হারালেন। গম্ভীরও চান সিনিয়রদের সরিয়ে নিজেই বিগ বস হয়ে বসবেন। টি২০ ক্রিকেটে সফল হওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে টেস্টে ভাল কিছু করার ভাবনা। সফল হতে পারবেন তো! গম্ভীরের কাজ কিন্তু গ্রেগের মতো কঠিন নয়। তাঁর লবি ভাল। তিনি কিভাবে কোচ হলেন সেকথা এখন বলে লাভ নেই। সফল হলে বলবেন, আমার ভাবনা ঠিক ছিল। এভাবে এগিয়ে একটি নতুন দল তৈরি করতে চেয়েছি। আর হারলে বলবেন একট নতুন দল তৈরি করতে গেলে সময় দিতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। এই ভাবে আড়াই বছর কেটে গেল ক্ষতি কি! চাকরির মেয়াদ তো আর আড়াই বছর। তাই না! প্রথম কাজে সফল হয়ে তিনি নেমে পড়লেন অধিনায়ক নির্বাচনে। গিলকে অধিনায়ক করতে হবে। গোঁ ধরে বসলেন। এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা অন্য নাম নিয়ে এলেও গম্ভীরর কাছে টিকতে পারলেন না। গিল কমবয়সী ছেলে। গম্ভীর যা বলবেন, তাই শুনবেন। তিনি তো এটাই চাইছিলেন। সেটাই হতে চলেছে। প্রথম হার্ডল সাফল্যের সঙ্গে পার করতে পারলে আর তাঁকে কে পায়। সেভাবেই চলে দলে নিজের রাজ প্রতিষ্টিত করতে চাইবেন। সেটা হয়তো শুরুও হয়ে গিয়েছে। গ্রেগের ভিশন ২০০৭ ছিল। গম্ভীরের ২০২৭। দেখা যাক, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় কিনা।