গিলের পর এবার ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন হার্দিক, তিন শব্দে বন্ধুত্বের বার্তা

নিজেদের মধ্যে ঝামেলার গুজব আগেই উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শুভমন গিল। এবার তিন শব্দের বার্তায় বন্ধুত্বের কথা জানিয়ে ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন পার্দিক পাণ্ডিয়া। শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়ে ছিলেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবার তার উত্তরে পোস্ট করলেন হার্দিক, সব সময় শুভু বেবি। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এবার একই কাজ করলেন হার্দিক। এর ফলে আইপিএলে গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটর ম্যাচের পর দুজনের যে ঝামেলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটার শেষ হল।
গিলের পর এবার ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন হার্দিক, তিন শব্দে বন্ধুত্বের বার্তা
নিজেদের মধ্যে ঝামেলার গুজব আগেই উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শুভমন গিল। এবার তিন শব্দের বার্তায় বন্ধুত্বের কথা জানিয়ে ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন পার্দিক পাণ্ডিয়া। শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়ে ছিলেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবার তার উত্তরে পোস্ট করলেন হার্দিক, সব সময় শুভু বেবি। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এবার একই কাজ করলেন হার্দিক। এর ফলে আইপিএলে গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটর ম্যাচের পর দুজনের যে ঝামেলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটার শেষ হল।
হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে গণ্ডগোলের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন শুভমন গিল

শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়েছেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছেন। এভাবেই ভারতীয় দলের সতীর্থ হার্দিকের সঙ্গে গণ্ডগোলের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। যে ম্যাচের ঘটনা নিয়ে এই জল্পনা শুরু হয়েছিল, শুক্রবার সেই এলিমিনেটরে গুজরাট টাইটানসকে ২০ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার টু-তে উঠে এসেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর ম্যাচের পরই দুই অধিনায়ক শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নিয়ে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। তবে এসব ঝেড়ে ফেলে সামনের ইংল্যান্ড সফরের দিকেই তাকিয়ে ভারতীয় দলের তারকারা।
ম্যাচ হারতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল আশিস নেহরার ছেলে আরুষ

বয়স বেশি নয়। শুক্রবার নিউ চন্ডীগড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটান্সের খেলা দেখতে সে মাঠে এসেছিল। কিন্তু গুজরাট হারতেই ভিআইপি গ্যালারির চেয়ারে বসে থাকতে পারল না আরুষ নেহরা। চলে এল রেলিংয়ের ধারে। চোখ জল। কান্নায় ভেঙ্গে পড়া ছেলেটির সঙ্গে আরও অনেককে কাঁদতে দেখা গেল। দেখে মনে হল, গুজরাট শিবির কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ন্সের কাছে ২০ রানে হেরে আইপিএল থেকে গুজরাট টাইটান্সের বিদায় নেওয়ার মুহুর্তকে কেউ মেনে নিতে পারছেন না। কী করে মানবেন! যারা গ্রপ লিগে দুর্দান্ত খেলে সবর আগে প্লে অফে ঢুকে পড়েছিল, তারা এভাবে কেন ভেঙ্গে পড়বে। যাদের গ্রুপে একনম্বরে থেকে শেষ করার কথা, তারা কিনা তিন নম্বরে দাঁড়িয়ে প্লে অফে এল। এটা বিশ্বাস করা যায়! তারপর টানা তিন ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। খেলা শেষে ক্যামেরা ধরেছিল দলের হেড কোচ আশিস নেহরার ছেলেকে। বারবার তাকে চোখ মুছতে দেখা গেল। মুখে অসহায়তার ছবি। এ কোন গুজরাট! যারা লিগে প্রথম ম্যাচ হেরেও দারুনভাবে ফিরে এসে সবাইকে চমকে দিয়েছিল। তারা কেন এভাবে বিদায় নেবে। এট মেনে নেওয়া যায় না। তবে বাস্তবকে তো মানতেই হবে। যে রোহিত শর্মা ৮১ রানে আউট হলেন, তিনি ইনিংসের শুরুতে ক্যাচ তুলেও জীবন পান। তিন ওভারের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। ডিপ ফাইনলেগে কোয়েতজার রোহিতের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। এখানেই শেষ নয়, এরপর উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসও একবার রোহিতের ক্যাচ হাতছড়া করেন। রোহিতের মতো ব্যাটসম্যানের ক্যাচ দুবার ফেলার খেসারত তো দিতে হবে। কুশল আরও একবার ক্যাচ ফেললেন। কোয়েতজারের বোলিংয়ে সুর্যকুমার যাদবের ক্যাচ ফেলে দেন কুশল। এমন দুর্বল ফিল্ডিং হলে কোনও দল ম্যাচ জিততে পারে। তাই গুজরাটও জেতেনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এসব দেখে হাসতে পারেন। ম্যাচ জিতে হাসছিলেনও। তবে গুজরাটের ব্যর্থতা হয়তো তাঁকে বেশি আনন্দ দিয়েছে। চারবছর আগে আইপিএলে প্রথমবার খেলতে দেখা যায় গুজরাট টাইটান্সকে। দলে বড় চমক ছিল অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে দায়িত্ব দিয়ে। ছিলেন মহম্মদ শামিও। কোচ করে নিয়ে আসা হয় আশিস নেহরাকে। শুরুতেই সবাইকে অবাক করে চ্যাম্পিয়ন হয় গুজরাট। দ্বিতীয় বছর ধোনিদের কাছে হেরে রানার্স। হার্দিক নিজে পারফরম্যান্স করেছেন। দল নিয়ে ছুটেছেন। দুবছর বোলিংয়ের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শামি। তঁর দাপুটে বোলিংয়ের কাছে ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। কিন্তু তারপর! তৃতীয় বছর (২০২৪) দল ভেঙ্গে গেল। হার্দিক অধিনায়ক হয়ে চলে এলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। সেখানে কিছু করতে না পারলেন না। গুজরাটের অবস্থাও একইরকম। তারা লিগ টেবিলে আট নম্বরে শেষ করল। এবার (২০২৫) কিছুটা ভাল পারফরম্যান্স করতে দেখা গেল। কিন্তু চার নম্বরে শেষ করল আশিস নেহরার দল। এর উত্তরে কি বলবেন আশিস। এটা তো অবিশ্বাস্য ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। যাঁরা তাদের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ধরে এগিয়েছিলেন, তাঁরা দেখলেন মুম্বইয়ের কাছে হেরে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে গুজরাট ক্রিকেটাররা। একটা ঘটনার কথা বলতে হবে। জাতীয় দলে খেলার জন্য তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা জোস বাটলারের সার্ভিস গুজরাট পায়নি। এটা তাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। কিন্তু বাকিরা কি করলেন! উত্তর নেই। তই চোখের জলে মাঠ ভাসিয়ে রাতে সবাই স্টেডিয়াম ছাড়লেন।
চূড়ান্ত সময়ে ছন্দ হারিয়ে বিদায়, ঘুরিয়ে মেনে নিলেন শুভমন গিল

দারুণভাবে শুরু করা। দুর্দান্তভাবে এগিয়ে যাওয়া। বেশ কিছুদিন টেবিলের শীর্যেও থাকা, তারপর এভাবে বিদায় নিতে হওয়ায় দৃশ্যতই হতাশ শুভমন গিল। চূড়ান্ত সময়ে ছন্দ হারাল গুজরাট টাইটানস। প্লে অফ নিশ্চিত করার পর হারের হ্যাটট্রিক। গোটা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নের মত খেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই ছন্দপতন। তাই বিদায় নিতে হল, ঘুরিয়ে মেনে নিলেন গুজরাট অধিনায়ক শুভমন গিল। এলিমিনেটরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ২০ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ গিলদের। ম্যাচের পর হতাশ অধিনায়ক বলেন, “দারুণ ক্রিকেট। শেষ তিন চার ওভার আমাদের জন্য ভাল গেল না, তবু দারুণ ম্যাচ।“ এদিন শুরুতেই রোহিত শর্মার দুটি ক্যাচ ফেলেন টাইটানস ফিল্ডাররা। সেই রোহিত ব্যাটে বিক্রম দেখালেন। গিল জানান, “অবশ্যই এভাবে ক্যাচ ফেললে বোলারদের পক্ষে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।“ তিনি ও কুশল মেন্ডিস আউট হওয়ার পর হাল ধরেছিলেন সাই সুদর্শন ও ওয়াশিংটন সুন্দর। সে প্রসঙ্গে শুভমন বলেন, “ওদের জন্য বার্তাটা ছিল খুব সহজ। যেভাবে খেলতে চাও সেভাবে খেলো ও দলকে জেতাও।“ তবে মেনে নিলেন, পরের দিকে শিশির পড়ায় তাঁদের কিছুটা সুবিধা হয়েছিল। তারপরই চূড়ান্ত হতাশায় বলেন, শেষ ২-৩টি ম্যাচ তাঁদের ভাল গেল না। অন্যদিকে এলিমিনেটর জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পঞ্জাবের সামনে মুম্বই। স্বভাবতই দারুণ খুশি অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষ তিন ওভারে ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই সময়েই আবার বুমরার হাতে বল তুলে দেন হার্দিক। সে প্রসঙ্গে ম্যাচের পর বলেন, “ব্যাপারটা খুব সহজ। তোমার হাতে যখন বুমরা আছে, তখন ম্যাচ বেরিয়ে যাচ্ছে দেখলেই ওকে নিয়ে এস। তাই ও মুম্বইয়ের হাউসিংয়ের মতই দামী।“ আইপিএলের হতাশা সরিয়ে এবার ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ ভারত অধিনায়ক শুভমন গিলের সামনে। কিছুটা ভাঙা মন নিয়েই ইংল্যান্ড যাচ্ছেন। আর হার্দিক-বুমরারা কী করবেন? সেটা রবিবার মুম্বইকর শ্রেয়স আইয়ারদের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই বোঝা যাবে।
চেন্নাইয়ের কাছে হেরে প্রথম দুইয়ে থাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল গুজরাটের

নিজেদের কাজটা নিজেরাই কঠিন করে তুলল গুজরাট টাইটানস। শেষ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে প্রথম দুইয়ে থাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল গিলদের। ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্টে শেষ করল গুজরাট। অন্যদিকে পঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দুটি দলেরই পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১৭। অর্থাৎ এই দুই দল যদি তাদের শেষ ম্যাচে জেতে তাহলে দুটি দলই পৌঁছে যাবে ১৯ পয়েন্টে। তখন আর প্রথম দুইয়ে থাকা সম্ভব হবে না গুজরাটের। অথচ রবিবার চেন্নাইকে হারালেই এক নম্বর জায়গাটা নিশ্চত হয়ে যেত গিলদের। এদিন ৫ উইকেটে ২৩০ রান করে সিএসকে। কিন্তু বড় রানের চাপে ভেঙে পড়ে ১৪৭ রানেই শেষ হয়ে যায় গুজরাটের ইনিংস। একমাত্র সাই সুর্দশন ৪১ রান করেন। ব্যর্থ গিল-বাটলাররা। ফলে চাপ বাড়ল গুজরাটের। এখন আরসিবি ও পঞ্জাবের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। গিলরা কোয়ালিফায়ারে খেলবেন না এলিমিনেটরে খেলবেন, সেটা বোঝা যাবে ওই দুটি ম্যাচের যে কোনও একটির ওপর।
আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেও শেষবেলায় বড় সাফল্য ঋষভদের

লখনউ সুপার জায়ান্টাস: ২ উইকেটে ২৩৫ (২০ ওভার) গুজরাট টাইটানস: ৯ উইকেটে ২০২ (২০ ওভার) এক সপ্তাহ স্থগিত থাকা আইপিএল ফের শুরু হওয়ার আগে লখনউ সুপার জায়ান্টাসের কর্নধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিরুপতি মন্দিরে। কেন! সেকথা জানা যায়নি। হয়তো ব্যক্তিগত কোনও কারনে, না হয় আইপিএলে দলের সাফল্যের জন্য মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া। তার ফল কিন্তু তিনি পেয়ে গেলেন। ফের চালু হওয়া আইপিএলের প্রথম ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে লখনউ। বিদায় নিলেও লিগের বাকি ছিল। সেখানে নিজেদের প্রমান করলেন ক্রিকেটাররা। এটাই তঁদের আসল চেহারা। যা হয়ে গিয়েছে, সেটা কল্পনা না হলেও বাস্তব নয়। আমেদাবাদে আসল লখনউকে দেখা গেল। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। এখানে তাঁরা জ্বলে উঠলেন। সেই আলোয় হারিয়ে গেল গুজরাট টাইটান্স। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ভাল মতো আছেন শুভমান গিলরা। সেই দলের বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করলেন মার্করান ও মার্শরা। বোলারদের লাইন গরমিল হয়ে গেল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিরাট রানের ইনিংস গড়লেন লখনউয়ের ওপেনাররা। সঙ্গে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা নিকোলাস পুরন। বাকিদের মাঠে নেমে কিছু করার ছিল না। আর এতেই যে রান তুলে দিলেন তা দেখে আন্দাজ করা গিয়েছিল এই ম্যাচ গুজরাট বের করতে পারবে না। সেটাই হল। ৩৩ রানে ম্যাচ জিতে গেল লখনউ। দল গঠনের সময় মনে হয়েছিল, লখনউয়ের ব্যাটিং যে কোনও দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ফর্মে থাকলে হয়তো লখনউ নিজেদের অনেক আগে খুঁজে পেত। গোটা টুর্নামেন্টে ঋষভের পিঠে ব্যর্থতার ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হল। ওপেনাররাও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। তাঁরা আলোয় ফিরলেন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর। এটাই হয়তো পাওয়ার খাতায় লেখা থাকবে। এক নম্বরে দলকে হারিয়ে তারা বিদায় নিয়েছে, এটাই বা কম কিসের। গুজরাট টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আমেদাবাদের উইকেটে বোলাররা কিছুই করতে পারলেন ন। প্রথম উইকেটে ৯.৫ ওভারে উঠল ৯১ রান। মার্করাম (৩৬) আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর মার্শের সঙ্গে জুটিতে পুরান প্রতিপক্ষ বোলরদের নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উঠল ১২১ রান। ম্যাচ তো সেকানেই শেষ। মিচেল মার্শ (৬৪ বলে ১১৭) সেঞ্চুরি পেলেন। ঋষভ এসে দুটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬ বলে ১৬ রান করলেন। এভাবেই উঠে এল ২৩৫রান। ব্যস আর কি চাই। বোলিংয়ে একটা কথা বলার আছে। একসময় এই ফরম্যাটে ভয়ঙ্কর রশিদ খান কেন নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। এই ম্যাচে ২ ওভারে দিলেন ৩৬ রান। ভাবা যায়! এই বিশাল রানের পাল্টা দিতে হলে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে হবে। সেই চেষ্টা করলেন ব্যাটসম্যানরা। সুদর্শন (১৬ বলে ২১) গিল (২০ বলে ৩৫), বাটলার (১৮ বলে ৩৩), রাদারফোর্ড (২২ বলে ৩৮), সরফরাজ খানরা ( ২৯ বলে ৫৭) ছুটেও পারলেন না। তবু রাদারফোর্ড ও সরফরাজ যতক্ষন ছিলেন, আশায় ছিল গুজরাট। কিন্তু তাঁরা আউট হওয়ার পর সব শেষ। তবে একটা কথা বলতেই হয়, প্লে অফ খেলতে যাওয়ার আগে এই ধাক্কা হয়তো গুজরাটকে ধাক্কা দিয়ে নতুন করে তৈরি হতে সাহায্য করবে। এই ম্যাচের পর গুজরাট ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। উল্টোদিকে কেকেআরকে পিছনে ফেলে লখনউ উঠে এল ছয় নম্বরে। তাদের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১২।
দশ উইকেটে জিতে গুজরাট প্লে অফে, রাহুলের পাল্টা সেঞ্চুরি সাইয়ের

দিল্লি ক্যাপিটালস: ৩ উইকেটে ১৯৯ (২০ ওভার) গুজরাট টাইটান্স: বিনা উইকেটে ২০৫ (১৯ ওভার) আইপিএলের মাঝে ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড শপর নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে নির্বাচকদের মধ্যে। রোহিত শর্মা নেই। নেই বিরাট কোহলি। তাঁদের জায়গা কাঁরা নেবেন, এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে। তবে মোটামুটিভাবে কয়েকটি নাম হয়তো লেখা হয়ে গিয়েছে। একজন সাই সুদর্শন। তামিলনাড়ুর ওপেনার সুদর্শন আইপিএলে গত চারবছর ধরে ভাল পারফর্ম করছেন। বিশেষ করে গতবছর থেকে তাঁকে বেশি করে চোখে পড়েছে। পাঁচশোর উপর রান করেছেন। শুধু আইপিএল নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও সুদর্শন নিয়মিত পারফর্ম করে এসেছেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও নিজেকে আরও একবার প্রমান করলেন। নির্বাচক প্রধান হয়তো দিল্লি ম্যাচের পর রোহিতের জায়গায় সুদর্শনের নামও লিখে ফেললেন। কখন কীভাবে ব্যাটিং করতে সেটা দেখিয়ে দিলেন গুজরাট টাইটান্সের ওপেনার। শুরুতে নিজেকে ধরে রাখলেন। পাওয়ার প্লে-তেও বোঝা যায়নি ম্যাচটি একপেসশে হবে। কিন্তু ১২ ওভারের পর থেকে দিল্লির বোলাররা হালে পানি পেলেন না। তাই দিল্লির ১৯৯ রানের জবাবে গুজরাট টাইটান্স বিনা উইকেটে ২০৫ রান করে প্লে অফে চলে গেল। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। এই জায়গা থেকে অন্য কিছু ভাবার জায়গা নেই। তবু অধিনায়ক শুভমান গিল পরের ম্যাচগুলিতেও নিজেদের ধরে রাখতে চান। হাল ছাড়তে চান না। কারন তিনি জানেন ছন্দ একবার কেটে গেলে তার প্রভাব প্লে অফে পড়তে পারে। উল্টোদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে অফ খেলা কঠিন হয়ে পড়ল। মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জিততে না পারলে তারা আইপিএল থেকে ছিটকে যাবে। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রোহিতরা। একটি ম্যাচ বের করে আনতে পারলে তাদের শেষ চারের খেলা সহজ হয়ে যবে। ধরে নেওয়া যেতে পারে যে গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সম্ভবত প্লে অফ খেলবে। সে তো পরের কথা। তার আগে দিল্লি ম্যাচের কথায় আসা যাক। দিল্লি দুশোর দোরগোড়ায় তাদের রান নিয়ে যেতে পেরেছে রাহুলের অনবদ্য সেঞ্চুরির কারনে। কী অনবদ্য ইনিংস খেললেন কে এল। অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে তিনি টি২০ ক্রিকেটে আট হাজার রানের ক্লাব সদস্য হলেন। ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলি ২৪৩ ম্যাচে আট হাজার রান করে দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে নাম তুলেছিলেন। রহুল ২২৪ ম্যাচে সেই লক্ষ্যে ঢুকে পড়লেন। ক্রকেট বিশ্বে ক্রিস গেইল ২১৩ ম্যাচে, বাবর আজ ২১৮ ম্যাচে আট হাজার রানের ক্লাব সদস্য হয়েছেন। রাহুল হলেন তিন নম্বর ক্রিকেটার যিনি এমন কৃতিত্ব অর্জন করলেন। ইংল্যান্ড যাওয়ার আগে রাহুলের ইনিংস দলকে স্বস্তি দেবে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছিলেন। আইপিএলে সেঞ্চুরি করে সিরিজের আগে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন। ৬৫ বল খেলে রাহুল ১১২ রানে অপরাজিত থাকলেন। রাহুলের পাল্টা দিয়ে ৬১ বলে সাই সুদর্শন অপরাজিত ১০৮ রান করে ম্যাচের সেরা হলেন। বলা যায় তাঁর সঙ্গে অধিনায়ক শুভমান গিলের অপরাজিত ৯৩ রান গুজরাটকে সহজ জয়ে এনে দিয়েছেন। দিল্লির কোনও বোলার তাঁদের উপর চেপে বসতে পারেননি। তাই সহজ জয় পেয়ে গুজরাট প্লে অফে চলে গেল।
সবরমতীর তীরে অ্যাকশন রিপ্লে, দুইয়ে পৌঁছে গিলরা বোঝালেন তাঁদের থামানো কঠিন

সেই এক ছবি। সেই এক গল্প। যেন ম্যাচের পর ম্যাচ অ্যাকশন রিপ্লে। সাই-গিল-জস শুরুর এই তিন ব্যাটসম্যানই গুজরাটকে চালকের আসনে বসিয়ে দিচ্ছেন। তারপর তো প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা-সিরাজ-রশিদরা আছেনই। এদিন আবার নিজেকেও যেন ছাপিয়ে গেলেন কৃষ্ণা। নিট ফল সানরাইজার্সকে ৩৮ রানে হারিয়ে দুইয়ে পৌঁছে গেল টাইটানস। কী দুরন্ত ধারাবাহিকতা টপ থ্রির! এদিনও শুভমন করলেন ৩৮ বলে ৭৬, সাই সুদর্শন ২৩ বলে ৪৮ ও বাটলার ৩৭ বলে ৬৪। এরপর টোটাল যেখানে যাওয়ার সেখানেই গেল। ৬ উইকেটে ২২৪। সবচেয় বড় কথা সেনসেবল ব্যাটিং করেও যে বড় রান করা যায়, ম্যাচের পর ম্যাচ দেখিয়ে চলেছেন গুজরাটের এই থ্রি মাস্কেটিয়ার্স। উল্টোদিকে যেহেতু ছিলেন ট্রভিস হেড ও অভিষেক শর্মা নামের দুজন এবং তাঁদের দোসর হেনরিক ক্লাসেন, তাই তখনও ম্যাচটা শেষ হয়নি। সানরাইজার্সের দুই ওপেনার শুরুও করেছিলেন নিজেদের মেজাজেই, কিন্ত ২০ রান করে হেড ফিরে গেলেন। তবে যতক্ষণ অভিষেক ততক্ষণ শ্বাস। ১৪তম ওভারের শেষ বলে দলের ১৩৯ রানে যখন অভিষেক আউট হলেন ম্যাচটা আসলে তখনই শেষ হয়ে গেল। অভিষেক ফিরলেন ৪১ বলে ৭৪ রান করে। টাইট বোলিং ফিল্ডংয়ের সামনে দম বন্ধ হয়ে গেল সানরাইজার্সের। সবরমতীর তীরে আবার বাজল কৃষ্ণার বাঁশি। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট। ২২৫ রানের পুঁজি নিয়ে একজন এমন বোলিং করে দিলে এবং বাকিরা যোগ্য সঙ্গত দিলে যা হয়, তাই হল। ৬ উইকেটে ১৮৬-তে থেমে গেল হায়দরাবাদ। আপাতত লিগ টেবিলের দুইয়ে, তবে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে গিলের হাতে ট্রফিটা যেন দেখা যাচ্ছে। তা টি টোয়েন্টি যতই অনিশ্চয়তার খেলা হোক। এই সাই-গিল-বাটলার-কৃষ্ণাদের থামানো যে বেশ কঠিন কাজ!
বৈভবকে নিয়ে মন্তব্যে সমালোচনার মুখে শুভমন গিল

পরিণত মানসিকতার পরিচয় দিতে পারেননি গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক শুভমন গিল। যে বৈভবকে নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা দেশে, আবেগে, উচ্ছ্বাসে বৈভব বন্দনায় মুখর সকলেই, তখন তাঁকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শুভমন গিল, সেটাকে ভালভাবে নিতে পারেননি কেউ। সমালোচনা হচ্ছে গিলের মন্তব্য নিয়ে। ম্যাচের শেষে গিলকে বৈভবের বিস্ফারক ইনিংস নিয়ে বলতে বললে তিনি বলেন, এটা বৈভবের দিন ছিল, সেটাকে ও ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। আসলে বাটলার বৈভবের ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন, সেটাকেই ইঙ্গিত করেছেন গিল। এমন ইনিংসের পর, এমন অবিস্মরণীয় কৃতিত্বের পর সেই ইনিংস নিয়ে এমন মন্তব্য নিয়েই এখন চর্চা। শুধু শুভমন গিল কেন, গুজরাট টাইটানসের কেউই ভাবতে পারেননি ১৪ বছর ৩২ দিনের একটা কিশোরের কাছে এভাবে নাস্তানাবুদ হতে হবে। টাইটানসের কী সব বোলার! মহম্মদ সিরাজ, ইশান্ত শর্মা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, রশিদ খান – সব আন্তর্জাতিক বোলার, তাঁদের নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা করবে বাচ্চা ছেলেটা, কে ভেবেছিল! হ্যাঁ, মারতে গিয়ে ক্যাচ একটা তুলেছিলেন বৈভব, কিন্তু অবিস্মরণীয় ইনিংসে সেটা কি ভুলিয়ে দেননি বৈভব সূর্যবংশী? অথচ গিল কেন ভুলতে পারলেন না, সেটাই ভাবছেন সকলে। প্রাক্তন ক্রিকেটার অজয় জাদেজাও আশা করেছিলেন বৈভবের অনেক বেশি প্রশংসা করবেন শুভমন গিল, বিশেষ করে তিনি যখন ছিলেন প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক। গিল যেভাবে ভাগ্যের কথা নিয়ে এসেছেন, সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি জাদেজার। গিল যদি মন খুলে প্রশংসা করতেন তাহলে হয়ত সমালোচনার বদলে প্রশংসিত হতেন তিনিও।