ব্যারেটো, সুনীলদের পর বিশাল-আপুইয়াদের হাত ধরে ২২ বছরের শাপমোচন, শুভেচ্ছা গোয়েঙ্কার

দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান। আপুইয়ার(Apuia) গোলে কামব্যাক এবং বিশালের(Vishal Kaith) বিশ্বস্ত হাতে ভর করে ডার্বি জিতে আইএফএ শিল্ড(Ifa Shield) মোহনবাগানের(Mohunbagan)। আর সেইসঙ্গেই ২২ বছরের শিল্ড জয়ের খরাও কাটাল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(Mohunbagan Supergiant)। এমন একটা সাফল্যের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দলকে শুভেচ্ছা জানালেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা(Sanjiv Goenka)। ২২ বছরের অপেক্ষার অবসানের কথা লিখতেও ভুলললেন না তিনি। ২০০৩ সালে শেষবার আইএফএ শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। সেবার দলে ছিলেন আরেক ব্রাজিলিয় ব্যারেটো। এবারও জিতলেন। তার স্বাক্ষী আরেক ব্রাজিলিয় রবসন রবিনহো। ব্যারেটো(Barreto), সুনীলদের(Sunil Chetri) পর বিশাল, আপুইয়াদের হাত ধরেই ফের একবার শিল্ডে উজ্জ্বল মোহনবাগান(Mohunbagan)। দীর্ঘদিন পর আবারও সিনিয়র পর্যায়ে এবার আয়োজিত হয়েছিল আইএফএ শিল্ড(Ifa Shield)। নানান টাল বাহানার পর যোগ দিয়েছিল মোহনবাগান। প্রথম দিন থেকেই মোলিনার মুখে ছিল একটাই কথা জিততে হবে। আর যখন ফাইনালটাই বদলে গিয়েছিল ডার্বির(Kolkata Derby) মঞ্চে, তখন তো হোসে মোলিনা(Jose Molina) বলেই দিয়েছিলেন এই ম্যাচটাই তাঁর কেরিয়ারে আপাতত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ২২ বছরের অপেক্ষার অবসানের সুযোগ এসেছিল। কিন্তু সেইসঙ্গে মোহনবাগানের সামনে এসেছিল একের পর এক চ্যালেঞ্জ। যুবভারতীতে একের পর এক সুযোগ নষ্ট। তারপর হামিদের গোলে পিছিয়ে পড়া। গ্যালারীতে থাকা মোহন জনতা তখন একেবারে চুপ। তাদের মুখে প্রথম হাসিটা ফোটালেন আপুইয়া(Apuia)। প্রথমার্ধের ৪৪ মিনিটের মাথায় তাঁর দুরন্ত গোল থেকে জয়ে ফিরল মোহনবাগান(Mohunbagan)। কিন্তু তখনও অনেকটা পথ চলা বাকি ছিল। আক্রমণে-পাল্টা আক্রমণের খেলায় শেষপর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাই ব্রেকারে। সেখানেই বিশাল কাইথের বিশ্বস্ত(Vishal Kaith) হাত। মোহনহবাগানের(Mohunbagan) ২২ বছরের আক্ষেপ মেটাল। খরা কাটাল শিল্ডের। আবারও সবুজ-মেরুন তাঁবুতে এল শিল্ড। মোহনবাগানের(Mohunbagan) পারফরম্যান্স দেখে আপ্লুত সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও(Sanjiv Goenka)। টুইট করে তিনি লেখেন, “ডার্বি জয় সবসময়ই বিশেষ। আর সেটা যদি ফাইনাল হয়, তবে তো আরও বিশেষ। ২১ তম আইএফএ শিল্ড জিততে ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান”। A derby win is special… a derby win in a final even more so. The 22-year wait for our 21st IFA Shield is over. #MBSG #JoyMohunBagan pic.twitter.com/mHtH69G64k — Dr. Sanjiv Goenka (@DrSanjivGoenka) October 18, 2025 সুপার কাপের আগে এই আইএফএ শিল্ড জয় যে মোহনবাগানের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাঝে দুদিনের বিশ্রাম। এরপরই শুরু সুপার কাপের প্রস্তুতি।
দলকে শিল্ড জিতিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ বিশাল কাইথের

শুরু থেকে শেষপর্যন্ত হাড্ডহাড্ডি লড়াই। শেষপর্যন্ত বিশাল কাইথের সোনার হাতেই ঐতিহ্যের শিল্ড জয় মোহনবাগানের(Mohunbagan)। ডুরান্ডের মধুর প্রতিশোধ সম্পূর্ণ। আর ম্যাচ শেষে সেই বিশাল কাইথই(Vishal Kaith) ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। বয়কটের ডাক দেওয়া সমর্থকরা যে সব ভুলে তাদের সমর্থন করতে এসেছিলেন, সেটাই নাকি শক্তি বাড়িয়েছিল মোহনবাগানের। ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) মতো চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড হাতে তুলতে পেরে আপ্লুত বিশাল কাইথও(Vishal Kaith)। আপুইয়ার(Apuia) গোলে সমতায় ফেরা। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বিশাল কাইথের দুরন্ত একটা সেভ। যুবভারতী মেতে ওঠে উল্লাসে। জয় গুপ্তা যখন শট নিতে যায় সেই সময় টাই ব্রেকারে স্কোর ৩-৩। এবারের ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম চমক ছিলেন এই জয় গুপ্তা। কিন্তু তাঁকেই আটকে দিলেন মোহনবাগানের তারকা গোলকিপার বিশাল কাইথ(Vishal Kaith)। কেন তাঁকে পেনাল্টি স্পেশ্যালিস্ট বলা হয় সেটা বোধহয় আবারও বুঝিয়ে দিলেন। তবে ম্যাচ শেষ বিশালের মুখে একটাই কথা। ডার্বিটা তাদের জিততেই হত। গোলের নীচে দাঁড়ানোর সময় একটাই কথা মাথায় ঘুরছিল, দলকে যেভাবেই হোক জেতাতে হবে। ম্যাচ শেষে বিশাল কাইথ(Vishal Kaith) জানান, যখন টাই ব্রেকার হচ্ছিল সেই সময় আমার মাথায় একটাই কথা ঘুরছিল। যেমনভাবেই হোক গোল বাঁচাতে হবে। আর সেটাই করতে পেরেছি। জিততে হবে এই ভেবেই এদিন মাঠে নেমেছিলাম। এদিন সমর্থকরা আমাদের ডাকে সারা দিয়ে মাঠে এসেছিলেন। তারা আমাদের পাশে থেকেছেন। সমর্থকদের অত্যন্ত ধন্যবাদ। তারা আমাদের পাশে থেকেছে বলেই তো এমনটা হয়েছে। এই জয় যেমন সমর্থকদের, তেমনই কোচ থেকে কর্তা সকলকে উতসর্গ করতে চাই। শেষ ম্যাচেও মোহনবাগানের সমর্থকরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। কিন্তু এটা যে ডার্বি জয়। রাগ থাকলেও, শনিবার রাত ৯ টার পর থেকে সে সবই মিটে গেল তা বলাই যায়। এখন সকলেই যে মেতে মোহনবাগানের ডার্বি, সঙ্গে শিল্ড জয়ের আনন্দে।
বিশালের বিশ্বস্ত হাতে শিল্ডের রং সবুজ-মেরুন, ব্যর্থ অস্কারের শেষ মুহূর্তের চমক

পেনাল্টি স্পেশ্যালিস্ট বিশাল কাইথ(Vishal Kaith)। তাঁর বিশ্বস্ত হাতেই শিল্ড এবার মোহনবাগানের(MBSG)। জয় গুপ্তার(Jay Gupta) শট বাঁচানর পর থেকেই শুরু হয়েছিল অপেক্ষাটা। মেহতাব সিং( Mehtab Singh)শেষ শট নিতেই যুবভারতীতে শুরু সবুজ-মেরুন উল্লাস। টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলকে(Eastbengal) ৫-৪ গোলে হারিয়ে দীর্ঘদিন পর ফের আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান(MBSG)। হিরোশি(Hiroshi Ibusuki) ম্যাজিক দেখতে পেল না যুবভারতী। শেষমুহূর্তে দেবজিতকে নামিয়েও চমক দিতে পারলেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। নির্ধারিত সময়ে এদিন ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। অবশেষে টাই ব্রেকারেই নির্ধারিত হয় শিল্ড চ্যাম্পিয়ন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ মহেশ হলেও, মোহনবাগান শিবিরের নায়ক যে বিশাল(Vishal Kaith) তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর হাত ধরেই তো ২১ তম শিল্ড(Ifa Shield) জিতল মোহনবাগান। এদিন ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) বিরুদ্ধে শুরু থেকেই গোল তুলে নিতে মরিয়া ছিল মোহনবাগান(MBSG)। ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় লিস্টন এবং ৮ মিনিটের মুখে ম্যাকলরেন(Jamie Maclaren) সহজ সুযোগ মিস না করলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যদিও তেমনটা হয়নি। ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) শুরু থেকে বলের দখল রাখলেও, বারবারই মোহনবাগান বক্সে আটকে যাচ্ছিল। ম্যাচের বয়স যখন ৩২ মিনিট। আনোয়ারের ভুলে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। যে কামিন্স(Jason Cummins) তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা, তিনি বল মারলেন বাইরে। এরপর থেকেই যেন গোল পেতে মরিয়া আক্রমণ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। মুহূর্মুহু ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে ৩৫ মিনিটের মাথাতেই সাফল্য। মহেশের বাড়ানো পাসে হামিদের(Hamid Ahadad) গোল। মোহনবাগানকে(MBSG) পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আগেই বারবার আক্রমণে যায় ইস্টবেঙ্গল। কখনও বিপিন তো কখনও মহেশের সাজানো পাস হামিদ মিস না করলে হ্যাটট্রিক করে ফেলেই পারতেন। মোহনবাগান গ্যালারী তখন চুপচাপ। অবশেষে তাদের ত্রাতা সেই আপুইয়া(Apuia)। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে আপুইয়ার(Apuia) দুরন্ত শট। সমতায় ফেরে মোহনবাগান। বিরতির পর কোন পক্ষ এগিয়ে যায় সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। কিন্তু প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও মোহনবাগানের সুযোগ নষ্টের খেলা ছিল অব্যহত। সেইসঙ্গে খানিকটা অনিয়ন্ত্রিত ফুটবলই যেন খেলছিল ইস্টবেঙ্গলও। আক্রমণে জোর বাড়াতে ৬৩ মিনিটে অস্কারের(Oscar Bruzon) একসঙ্গে তিনটি বদল। একসঙ্গে মাঠে আসেন হিরোশি এবং জয় গুপ্তা। কিন্তু যে হিরোশিকে নিয়ে এত হৈচৈ তিনি কিছুই করতে পারেননি। বেশ কয়েকটা হেড নিলেও তা ছিল নিস্প্রভ। অন্যদিকে মোলিনাও(Jose Molina) পরপর বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে আসেন রবসন(Robson Robinho)। মিগুয়েল(Miguel) বনাম রবসন লড়াই দেখার জন্য তখন সকলে মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু ডার্বির মঞ্চে দুই দলের ব্রাজিলিয় তারকাই কিন্তু সেভাবে নজর কাড়তে পারল না। রবসন কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি লিস্টন, ম্যাকলরেনরা। কিন্তু সকলের নজরই তখন ছিল দিমি কখন আসবে। মোহনবাগানের(MBSG) হয়ে বরাবরই ডার্বির নায়ক দিমিত্রি(Dimitri Petratos)। এত সুযোগ নষ্টের পরও কেন তাঁকে এত দেরীতে আনলেন মোলিনা, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে। এদিন মোহনবাগানের হয়ে অবশ্য দুরন্ত পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছেন সাহাল। জয় গুপ্তার সঙ্গে কড়া ট্যাকলে তাঁর চোখের পাশে কেটে গিয়ে রক্ত ঝড়লেও মাঠ ছাড়েননি এই তারকা ফুটবলার। বারবারই মোহনবাগানের আক্রমণে রসদ যোগাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু গোল হচ্ছিল না। 🏆🏆🏆 CHAMP21ONS 🏆🏆🏆#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/VCeSpa7o9x — Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) October 18, 2025 তেমনই উইং দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের খেলাটা চালাচ্ছিলেন নাওরেম মহেশ। প্রথমার্ধে বিপিন সিং দুরন্ত ছন্দে থাকলেও, বিরতির পর যেন খানিকটা দমে গিয়েছিলেন তিনি। বদলে গিয়েছিল তাঁর পজিশনও। অন্যদিকে হিরোশিকে আটকাতে ব্যস্ত ছিলেন অলড্রেড এবং রডরিগেজ। যদিও এদিন সেভাবে আক্রমণের ঝড় তুলতে পারেননি হিরোশি ইবুসুকি। রশিদ, মিগুয়েল কয়েকটা শট নিয়েছিল ঠিকই তবে সেগুলো গোল হওয়ার মতো নয়। নির্ধারিত সময়ে ১-১ ফলাফল। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। সেই অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে আসেন দিমিত্রি পেত্রাতস। সেই সময় কয়েকটা ভালো মুভমেন্ট তিনি করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বারবারই গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই বাজিমাত সেই বিশাল কাইথের(Vishal Kaith)। অস্কারের বাজি ছিলেন এদিন দেবজিত। হবে নাই বা কেব পেনাল্টি শট বাঁচানোর জন্য তাঁকেই তো বলা হত সেভজিৎ। কিন্তু ভাগ্য সহায় দেয়নি। মোহনবাগানকে একবারও আটকাতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে জয় গুপ্তাকে রুখে দিয়েই মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন বিশাল(Vishal Kaith)। মেহতাবের শট জালে জড়াতেই যুবভারতীতে শুরু সবুজ-মেরুন বিজয়োল্লাস।
শিল্ড ফাইনালে ডার্বির রেফারি হরিশ কুণ্ডু!

বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) ফাইনালে ডার্বির বাঁশি উঠতে চলেছে হরিশ কুণ্ডুর(Harish Kundu) মুখেই। আগামী শনিবার দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সেই ডার্বি(Kolkata Derby)। স্বভাবতই ডার্বি পরিচালনা করতে কলকাতার নয়, বাইরের রাজ্যেরই রেফারির ওপর ভরসা রেখেছে আইএফএ(IFA)। আর সেই সেখানেই দেখা যেতে চলেছে হরিশ কুণ্ডুকে। আর এই খবরটা ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) সমর্থকদের কাছে খুব একটা স্বস্তির নাও হতে পারে। কারণ শেষবারের আইএসএলে এই হরিশ কুণ্ডুর(Harish Kundu) বিরুদ্ধেই তো বারবার সরব হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। আবার ফাইনালে বাইরের রাজ্যের রেফারি হওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বাংলার রেফারিদের মধ্যেও। কানাভুসো শোনাযাচ্ছে বাইরের রেফারি আসায় তারা নাকি একেবারেই খুশি নয়। ইতিমধ্যে নাকি রাজ্য রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের কাছে তারা তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েওছে। পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ম্যাচ পরিচালনা নিয়েও নাকি বড়সড় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাঁটতে পারে তারা। কার্যত রেফারির টেন্টের অন্দরেও অসন্তোষের বাসা বেঁধেছে। এই মুহূর্তে শিল্ড(IFA Shield) ফাইনাল নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। সেখানেই ম্যাচের রেফারির দায়িত্বে কে থাকবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। বাইরে থেকে রেফারি আনা হয়েছে তা আগেই জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই রেফারির নাম কী, সেটা নিয়েই চলছিল জোর গুঞ্জন। আবারও সেই হরিশ কুণ্ডুই পরিচালনা করতে চলেছেন শিল্ড ফাইনালের ডার্বি। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে শহরে চলেও এসেছেন তিনি। শেষ কয়েকবছরে বারবারই ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচে বিতর্কে জড়িয়েছেন হরিশ কুণ্ডু। এবারও আইএফএ-র তরফে ফেডারেশনের কাছ থেকেই ডার্বির জন্য নিরপেক্ষ রেফারি চাওয়া হয়েছিল। আর সেখানেই ফের একবার ডার্বি পরিচালনা করতে চলেছেন হরিশ কুণ্ডু।
টিম বাসে এলে তবেই নিরাপত্তা, মোহনবাগানকে বার্তা

শনিবার যুবভারতীতে শিল্ড ফাইনালে(IFA Shield) ডার্বি(Derby)। তার আগেই নিরাপত্তা নিয়ে সাফ কথা বিধাননগর পুলিশের(Bidhannagar Police)। ব্যক্তিগত গাড়িতে নয়, টিম বাসে এলে তবেই নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। কোনওরকম ব্যক্তগত গাড়িতে আসতে পারবেন না ফুটবলাররা। কিশোরভারতীর ঘটনার পর এটা যে মোহনবাগানের(Mohunbagan) উদ্দেশ্যেই বার্তা তা বেশ স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুলিশের(Bidhannagar) সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় আইএফএ(IFA) কর্তাদের। সেখানেই নিরাপত্তার বিষয়ে দলকে টিম বাসেই আসার কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। তেমনটা না হলে তাদের পক্ষে যে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবেনা তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এবারের শিল্ডে(ifa shield) বাসে নয় আলাদা গাড়িতেই আসছে মোহনবাগানের ফুটবলাররা। পুলিশকে কিশোরভারতীর ঝামেলার কথা আইএফএ(IFA) সচিব অনির্বাণ দত্ত(Anirban Dutta) জানিয়েওছে। সেখানে তারা যে বাস দিতে চেয়েছিল এবং মোহনবাগান(Mohunbagan) নিতে চায়নি সেই কথাও আইএফএ স্পষ্ট করে দিয়েছে। আর তারপরই পুলিশের এমন সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তা নিয়ে মোহনবাগান প্রশ্ন তুললেও, এবার পুলিশের নির্দেশ যে তাদের মানতেই হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কার্।যত ঝামেলা এড়াতেই এমন বার্তা। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে মোহনবাগান(Mohunbagan) বনাম ইউনাইটেড স্পোর্টস ম্যাচ শেষে হঠাত্ই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। বিশেষ করে মোহনবাগান ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতস বেড়নোর সময় তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন মোহনবাগান সমর্থকরা(Mohunbagan Supporters)। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়ায় যে শেষপর্যন্ত পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়েছিল। এমন পরিস্থিতির পরই মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে আইএফএ-কে(IFA) চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা বিষয়ক কথা জানানো হয়। পর্যাপ্ত নিয়াপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। যদিও আইএফএ-ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তাদের কথা। এই সময়ই প্রশ্ন ওঠে যে মোহনবাগান কেন গাড়িতে, টিম বাসে আসেনি মাঠে। তখনই জানা যায় যে আইএফএ-র(IFA) তরফে থেকে বাসের কথা বলা হলেও মোহনবাগান(Mohunbagan) নাকি সেই বাস নিতে চায়নি। তারা নিজেরাই গাড়িতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আইএফএ-কে চিঠি দেওয়া হলেও, আইএএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তের(Anirban Dutta) স্পষ্ট বার্তা তরা বাস দিতে চেয়েছিল কিন্তু মোহনবাগান তা নেয়নি। তবে ডার্বির দিন আর তেমনটা হয়ত করতে পারবে না মোহনাবাগান সুপারজায়ান্ট। কারণ এবার পুলিশও সাফ জানিয়ে দিয়েছে বাসে এলে তবেই মিলবে নিরাপত্তা। এই প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত(Anirban Dutta) জানিয়েছেন, “আমরা বাসের কথা বলেছিলাম, মোহনবাগানই বলেছে গাড়ি করে আসবে। সেদিন একটা যেহেতু ঝামেলা হয়েছিল, সেই কারণে ওরা ওদের কনসার্নটা আমাদের জানিয়েছিল সেই মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বৃহস্পতিবার বিধানগর পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ওরা আমাদের বলে দিয়েছে যাতে টিম বাসে। নইলে আমরা কোনওরকম দায়িত্ব নেব না। আর বাকিটা ওরা পরিকল্পনা করছে। আমরা ওদের জানিয়ে দিয়েছি সম্প্রতি এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, সেই মতোই পরিকল্পনা করে আমাদের এগোতে হবে। যাতে কোনওরকম কোনও ঝামেলা না হয়”। প্রতিদিনই মোহনবাগানের(Mohunbagan) বিরুদ্ধে চলছে স্লোগান। ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে মোহনবাগান সমর্থকরা। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
দিমির গোল, শিল্ড ফাইনাল ডার্বি

সম্ভাবনা ছিলই। অপেক্ষাটা ছিল মোহনবাগানের(MBSG) জয়ের। ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে মোহনবাগান(MBSG) জয়ের পরই জমজমাট শিল্ড(IFA Shield) ফাইনাল। আগামী শনিবার যুবভারতীতে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) ফাইনালে ডার্বি(Derby)। ডুরান্ডের পর ফের একবার মুখোমুখি মোহনবাগান(MBSG) ও ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। বুধবার শিল্ডের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারাল হোসে মোলিনার(Jose Molina) সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস(Dimitri Petratos)। দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল আত্মঘাতী। ধারেভারে এগিয় থেকে নামলেও, এদিন মোহনবাগানকে(MBSG) আটকানোর জন্য প্রস্তুত ছিল লালকমল ভৌমিকের ইউনাইটেড স্পোর্টসও(United Sports)। লালকমলের(Lalkamal Bhowmik) রক্ষণাত্মক ছকের সামনে এদিন বারবারই কিন্তু মোহনবাগানের(MBSG) আক্রমণকে হোঁচট খেতে হচ্ছিল। দিমিত্রি(Dimitri Petratos), রবসনরা(Rosbon Robinho) বারবার ইউনাইটেডের বক্সে পৌঁছে গেলেও গোলের মুখ কিন্তু খুলতে পারছিলেন না। সেইসঙ্গে এদিন মোহনবাগানের রক্ষণে আশিস রাই(Ashis Rai) এবং মেহতাব সিং(Mehtab Singh) খানিকটা যেন ফর্মের বাইরেই ছিলেন। মোলিনার(Jose Molina) ছক অনুযায়ী প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলার পরিকল্পনা ছিল মোহনবাগানের(MBSG)। সেইজন্য শুরু থেকেই দিমিত্রি(Dimitri Petratos), কামিন্স(Jason Cummins) এবং রবসনকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন মোলিনা। কিন্তু বারবারই ইউনাইটেডের রক্ষণ তাদের আটকে দিচ্ছিল। সেইসঙ্গে মোহনবাগানের বহু সুযোগ হাতছাড়া। রবসন রোবিনহো বেশ কয়েকটি সুন্দর বল বাড়ালেও কখনও কামি্ন্স তো কখনও দিমিত্রি পেত্রাতোস(Dimitri Petratos), কিয়ান নাসিরিরা নিজেদের পজিশনে পৌঁছতে পারছিলেন না। অন্তত প্রথম আধ ঘন্টা তো মোহনবাগানের(MBSG) ফরোয়ার্ডদের সেভাবে সুবিধাই করতে দেয়নি ইউনাইটেড স্পোর্টস। বরং ম্যাচের ২০ মিনিটের মেহতাব সিংয়ের বল বাঁচানোর প্রচেষ্টা মোহনবাগানকে বিপদে ফেলে দিতেই পারত। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললেও ইউনাইটেড এদিন মাঝেমধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে যাচ্ছিল। সেখানে সুজল মিন্ডার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাল্টা আক্রমণে দিমিত্রির(Dimitri Petratos) সাজানো পাস কিয়ান নাজিরি মিস না করলে ৩৭ মিনিটের মধ্যেই গোলের মুখ খুলে ফেলতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু তা হয়নি। তবে শেষপর্যন্ত সেই দিমিত্রি পেত্রাতোসের(Dimitri Petratos) গোলেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ১-০ গোলেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে দিমিত্রিকে তুলে জেমি ম্যাকলারেনকে মাঠে নামান মোহনবাগান কোচ। ক্রমশই চাপ বাড়াতে শুরু করে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু তিন মিনিটের মধ্যেই গোল পায় মোহনবাগান। তবে আত্মঘাতী গোল। ম্যাচের ভবিষ্যৎ কার্যত তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। পিছিয়ে থাকলেও ইউনাইটেডও কিন্তু খুব সহজে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার দল এদিন ছিল না। মাঝেমধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে মোহনবাগান বক্সে হানা দেয় তারা, তবে কখনও অলড্রেড তো কখনও টেকচামদের দক্ষতায় রক্ষা পায় মোহনবাগান। সুযোগ পেলেও মোহনবাগান অবশ্য আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতে মাঠেই শুরু ফুটবলারদের উল্লাস। আগামী ১৮ অক্টোবর এবার ফাইনাল। আবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। মধুর প্রতিশোধ মোহনবাগান নিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
ফুটবলারদের ডুরান্ড সেমিফাইনালের কথা স্মরণ করিয়ে ফাইনালে নামার বার্তা অস্কারের

আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। কাপ আর ঠোটের মধ্যে দুরত্ব এখন শুধু একটা ম্যাচের। তার আগেই অতি সতর্ক লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। ফুটবলারদের ডুরান্ড সেমিফাইনালের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েই প্রস্তুত হওয়ার বার্তা অস্কারের(Oscar Bruzon)। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে অস্কারের একটাই কথা, ডুরান্ড সেমিফাইনালের কথা মাথায় রেখেই যেন ফুটবলাররা প্রস্তুত হন। শেষপর্যন্ত শিল্ড চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) হতে পারে কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। সুপার কাপের(Super Cup) আগে এই আইএফএ শিল্ডই(IFA Shield) ইস্টবেঙ্গলের পাখির চোখ। এখনও পর্যন্ত একটাও ট্রফি নেই অস্কারের(Oscar Bruzon)। ডুরান্ড কাপে শুরুটা ভাল করলেও সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল তারা। সেই স্মৃতিটাই যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে লাল-হলুদ শিবিরের হেড স্যার অস্কার ব্রুজোঁকে। ফুটবলাররা যাতে আত্মতুষ্ট হয়ে না পড়ে সেদিকেই বাড়তি নজর অস্কারের। নামধারীর বিরুদ্ধে ২ গোলে ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এখনও পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। কিন্তু ফাইনালে তাদের সামনে পড়তে পারে মোহনবাগান। তাই একটু অসাবধান হলেই যে সমস্যা বাড়বে তা মনে করাতে একটুও দেরি করেননি লাল-হলুদ কোচ। ফাইনালে পৌঁছনোর পরই ইস্টবেঙ্গল ড্রেসিংরুমে ফিরে সাফ বার্তা দিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। ডুরান্ড সেমিফাইনালের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েই ফুটবলারদের আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন অস্কার। তিনি বলেছেন, “আমরা ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু ডুরান্ড সেমিফাইনালে কী হয়েছিল তা ভুললে চলবে না। সেই কথা মনে করেই ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে হবে। জিততেই হবে আমাদের”। বুধবার প্রস্তুতিতে ছুটি দেওয়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে যাবে জোরকদমে প্রস্তুতি। দলের ফুটবলাররা ফর্মে রয়েছেন। তবুও কিছু কিছু জায়গায় ভুল হচ্ছে। সেগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুধরে নেওয়া যায় সেদিকেই এখন নজর রয়েছে অস্কার ব্রুজোঁর। একইসঙ্গে সকলের কৌতূহল ডার্বির মঞ্চে দলের নতুন তারকা হিরোশি ইবুসুকি খেলেন কিনা।
রশিদ, বিষ্ণুর গোলে শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

ড্র করলেই ফাইনালে জায়গা পাকা ছিল ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal)। কিন্তু অস্কারের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল ম্যাচ জিততেই হবে। রশিদ(Mohammed Rashid) এবং বিষ্ণুর(PV Bishnu) দুরন্ত গোল। নামধারীকে(Namdhari Fc) ২-০ গোলে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। তবে বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না হলে গোলের সংখ্যাটা ইস্টবেঙ্গল বাড়াতেই পারত। ম্যাচের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত খেলার দখল ছিল ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) পক্ষেই। মাঝেমধ্যে নামধারী কয়েকটা আক্রমণ চালালেও লাল-হলুদের জালে জড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। নামধারীর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে কয়েকটা পরিবর্তন এনেছিলেন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। দেবজিতের বদলে এদিন গোলে খেলানো হয়েছিল প্রভসুখন গিলকে(Prabhsukhan Gill)। সেইসঙ্গে হামিদকে রাখা হয়নি প্রথম একাদশে। এদিন শুরু থেকেই নামধারীর বিরুদ্ধে গোল পেতে মরিয়া ছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। শুরু থেকেই ছিল আক্রমণের ঝড়। কখনোও বিপিন, কখনও মিগুয়েলদের আক্রমণে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছিল নামধারীর রক্ষণ। ম্যাচের বয়স যখন ২৪ মিনিট সেই সময় লাল-হলুদ প্রথম সাফল্য। গোল দিলেন রশিদ। গোলটা মিগুয়েলেরই হতে পারত। কিন্তু তাঁর হেড বারে লেগে ফিরে আসে। তবে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি মহম্মদ রশিদ(Mohammed Rashid)। তাঁর দূর পাল্লার শটে প্রথম লক্ষ্যভেদ। এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। আর সেইসঙ্গেই প্রতিপক্ষ রক্ষণের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেন অস্কারের ছেলেরা। ৪ মিনিটের মধ্যেই ডেভিডের(David) দুরন্ত ভলি। সেহাজদেপের পায়ে লেগে আত্মঘাতী গোলই হতে চলেছিল। কিন্তু কোনওরকমে রক্ষা পায় নামধারী। এরপর অবশ্য আর বিষ্ণু(PV Bishnu) কোনওরকম ভুল করেননি। ৪১ মিনিটের মাথায় সেই ডেভিডের বাড়ানো বল থেকেই ফের নামধারীর জালে বল জড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এবার গোলদাতার নাম পিভি বিষ্ণু(PV Bishnu)। বিরতির পর ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ছিল আরও আক্রমণাত্মক। সেটা অবশ্য ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। ম্যাচের বয়স যখন ৬০ মিনিট সেই সময় ৯টি শট গোল লক্ষ করে নিয়ে ফেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। বিরতির চাপ বাড়াতে অস্কার(Oscar Bruzon) একের পর একর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে হামিদকে(Hamid Ahadad) মাঠে পাঠান অস্কার। ডেভিডের পরিবর্তে আসেন তরুণ জেসিন টিকে। ইস্টবেঙ্গল সুযোগও পাচ্ছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারছিল না। ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে জিকসন সিং, লালরিনডিকা এবং সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসঙ্গে মাঠে নামিয়ে দেন অস্কার ব্রুজোঁ। গোটা দ্বিতীয়ার্ধে নামধারির একটা দুটো বাদ দিলে আক্রমণ ছিল শুধুই ইস্টবেঙ্গলের। শেষপর্যন্ত ২-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হয়। ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেখানেই লাল-হলুদের সামনে পড়তে পারে মোহনবাগান। এই ম্যাচ জিতে গেলেও, সুযোগ নষ্ট নিয়ে কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচের খানিকটা চিন্তা রয়েই গেল।
জয় দিয়ে শিল্ডে অভিযান শুরু ইউনাইটেড স্পোর্টসের

রবিবার আইএফএ শিল্ডে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করলো এবারের কলকাতা লিগের রানার্স আপ ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। কল্যাণী স্টেডিয়ামে, গ্রুপ বি-র ম্যাচে তারা ১-০ গোলে গোকুলম কেরল এফসি-কে পরাজিত করলো। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ৫৪ মিনিটে অমিত বসাক একমাত্র গোলটি করেন। এর আগে, গোকুলম কেরল এফসি নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোহন বাগানের কাছে ১-৫ গোলে পরাস্ত হয়েছিলো। আজও হেরে পয়েন্টের খাতা না খুলেই বিদায় নিলো তারা। অপরদিকে ইউনাইটেড এসসি আজ জিতলেও গোলপার্থক্যে তারা মোহন বাগানের (+৪) থেকে পিছিয়ে থাকায় ফাইনালে যেতে গেলে আগামী ১৫ অক্টোবর, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের মোহন বাগানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে। ঐ ম্যাচ ড্র হলেও মোহন বাগান, গ্রুপ সেরা হয়ে ফাইনালে চলে যাবে। কোচ লালকমল ভৌমিক অবশ্য দলের খেলায় খুশি, বিশেষত দুই বিদেশি ক্রিষ্টোফার আর সেইলার পারফরম্যান্সে। ম্যাচের পর বললেন, “ওদের দুজনের পারফম্যান্স দেখে সন্তুষ্ট। শুধু আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ইসমাইলের ফিটনেস ভাল জায়গায় নেই।” ১৫ অক্টোবরের মোহনবাগান ম্যাচ না জিতলে শিল্ড থেকে বিদায় নিতে হবে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে। লালকমল বলছেন, “ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও ম্যাচটা কলকাতা লিগের ফাইনল ছিল। জিততেই হত। বুধবারও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে। ছেলেদের সামনে দারুণ এক সুযোগ নিজেদের চেনানোর। খাতায় কলমে মোহনবাগানের শক্তির সঙ্গে আমাদের কোনও তুলনাই হয় না। এককথায় ওরা ভারতের সেরা দল। আর সেটাই আমাদের ফুটবলারদের কাছে মোটিভেশন হওয়া উচিত। হারানোর কিছু নেই। আনন্দ করে খেলুক ছেলেরা।”
আইএফশীল্ডে লালকমলের নতুন ভরসা তিন বিদেশি

রবিবার কল্যাণীতে আইএফএ শিল্ডে অভিযান শুরু করার আগে ইউনাইটেড স্পোর্টসের নতুন ভরসা তিন বিদেশি ফুটবলার। ৩৪ বছর বয়সী নাইজেরীয় ফরোয়ার্ড চিজোবা ক্রিস্টোফার ইয়িকোবে, রিয়াল কাশ্মীরে খেলা সেনেগালের ডিফেন্ডার সেইলা টোরে এবং আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ইসমাইল। আইএফএ শিল্ডের জন্যই তাদের এনেছে এবারের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় হওয়া ক্লাব। শনিবার তারা অনুশীলনেও নেমেছিলেন। দলের কোচ লালকমল ভৌমিকের মনে হচ্ছে তিন ফুটবলারেরই যেহেতু ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তাই এরা কেউ নিরাশ করবেন না। বিশেষত, ক্রিষ্টোফারের অভিজ্ঞতার ওপর লালকমলের আস্থা একটু বেশিই মনে হলে। শিলং লাজং এফসি, মোহনবাগানের মতো নামী ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলা ছাড়াও মায়ানমার, বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার সর্বোচ্চ লিগেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ক্রিষ্টোফারের। লালকমল বললেন, “ক্রিষ্টোফারের অভিজ্ঞতার একটা প্রতিফলন শীল্ডে দেখা যাবে বলেই আমার আশা। খুব সম্প্রতি ম্যাচের মধ্যে না থাকলেও ফিটনেস খুব একটা খারাপ পর্যায়ে নেই। রবিবারের ম্যাচটায় বোঝা যাবে।” আইএফএ শিল্ডে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইউনাইটেড স্পোর্টস। একবার রানার্স। বায়ার্ণ মিউনিখের বিরুদ্ধে ফাইনালে হারা সেই ইউনাইটেড স্পোর্টসের সেবারের আবিষ্কারের নাম লালকমল ভৌমিক, দলের বর্তমান কোচ। ক্লাবের ডিরেক্টর নবাব ভট্টাচার্যের আশা দল প্রস্তুতির জন্য সময় পায়নি। তবু কলকাতা লিগের মতই শীল্ডেও তারা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লড়াই করবে। নবাব এ-ও মনে করছেন যে তিন বিদেশির অর্ন্তভূক্তিতে দলের শক্তি একটু হলেও বেড়েছে।