দুরন্ত অক্ষর, ৪৮ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত

বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে(Australia) হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত(India Cricket Team)। জোড়া উইকেট ও ২১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছেন অক্ষর পটেল(Axar Patel)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বড় রান করতে না পারলেও, ওয়াশিংটন সুন্দর(Washington Sundar) এবং অক্ষর পটেলের(Axar Patel) দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করে ৪৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ১৬৭ রান টার্গেট করতে নেমে মাত্র ১১৯ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে এদিন খানিকটা চিন্তায় রয়েই গেল। এই ম্যাচ জেতার পরই ২-১ ফলাফলে সিরিজে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে এদিন ভারতকেই প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। শুরুটা ভালো করলেও, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় হঠাত্ই পরপর উইকেট হারাতে শুরু করে ভারত। বিশেষ করে ১২১ রানের মাথায় শুভমন গিল(Shubma Gill) ফিরতেই যেন ধস নামতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইনআপে। এদিন ৪৬ রানের ইনিংস খেলে গিল(Shubman Gill) যখন ফেরেন সেই সময় ভারতের রান ১৪.১ বলে ১২১। তখনও ভারতের বড় রানের প্রত্যাশাতেই ছিলেন সকলে। কিন্তু ব্যাটারদের তাড়াহুড়োতেই যেন সব শেষ। মাত্র ৪৬ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট খোয়ায় ভারত। ১৬৭ রানেই থেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে এই রান যে জয়ের জন্য যথেষ্ট নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানে আবার শুরু থেকে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতের বোলিং লাইনআপ এদিন ছিল দুরন্ত ফর্মে। অস্ট্রেলিয়া শিবিরে প্রথম আঘাতটা এনেছিলেন অক্ষর পটেল(Axar Patel)। ম্যাট শর্টকে ফেরান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে জশ ইঙ্গলিসকেও ফিরিয়ে গিয়েছিলেন অক্ষরই। এরপর থেকেই তাপ বাড়াতে শুরু করে ভারত। দলের ৭০ রানের মাথায় মিচেল মার্শ ফিরতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই সময়ও ছিলেন টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিসদের মতো তারকারা। তবে এই দুই তারকাকে বেশীক্ষণ দাঁড়াতে দেননি ওয়াশিংটন সুন্দর এবং শিবম দুবে। মার্কাস স্টয়নিসও ওয়াশিংটন সুন্দরেরই শিকার। শেষপর্যন্ত ১১৯ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ।
অস্ট্রেলিয়া পৌঁছতে বিরাট, গিলদের সময় বিভ্রাট

দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় একেবারে ভোরে অস্ট্রেলিয়া(Australia) পৌঁছল টিম ইন্ডিয়া(India cricket Team)। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হল শুভমন গিল(Shubman Gill), বিরাট কোহলিদের(Virat Kohli)। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিমান ছাড়তে দেরী করাতেই নাকি এতক্ষণ অপেক্ষা করতে হল ভারতীয় দলকে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় ভোর চারটের সময় পার্থে পৌছলেন রোহিত(Rohit Sharma), বিরাট(Virat Kohli), শ্রেয়সরা। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নামবে টিম ইন্ডিয়া। দীর্ঘদিন পর ফের বিরাটদের দেশের জার্সিতে দেখার অপেক্ষায় সকলে। অস্ট্রেলিয়ার তরফে জানা গিয়েছে দিল্লি থেকেই নাকি বিরাটদের(Virat Kohli) বিমান প্রায় চার ঘন্টা দেরীতে পৌঁছেছিল। আর সেটাই নাকি পার্থে পৌঁছতে দেরী হওয়ার প্রধান কারণ। আসল সমস্যাটা হয়েছিল সিঙ্গাপুরে বিমান রিশিডিউলিংয়ের জন্য। আর সেই কারণেই নাকি দিল্লি থেকে বিমান উড়তে প্রায় চার ঘন্টা দেরী হয়ে গিয়েছিল। বিরাট, রোহিত, গিল সহ গোটা দলই একেবারে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিমান বন্দরে। কিন্তু তাদেরকেও বিমানেই বসে থাকতে হল দীর্ঘক্ষণ সময়। টেস্ট ও টি টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার পর ভারতের হয়ে এখন শুধুমাত্র ওডিআই ফর্ম্যাটেই খেলতে দেখা যাবে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে। তাদের পারফর্ম্যান্সের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। বিশেষ করে আগামী ২০২৭ সালে রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপ। এই সিরিজটা যে বিরাট ও রোহিতের কাছেও বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার অন্যতম প্রধান মঞ্চ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজ দিয়ে ভারতীয় দলও যে ওডিআই বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা শুরু করে দিতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার আগে এই সময় বিভ্রাট-টা যে খানিকটা হলেও ভারতীয় ক্রিকেটারদের সমস্যা বাড়িয়েছে তা বেশ স্পষ্ট। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। এবার শুধুই মাঠে নামার অপেক্ষায় সকলে।
ভারতীয় দলের নতুন জার্সি স্পনসর অ্যাপলো টায়ার্স

ভারতীয় দলের(India Cricket Team) জার্সি স্পনসরের(Jersey Sponcor) সঙ্গে কথবার্তা প্রায় পাকা হওয়ার ইঙ্গিতটা কয়েকদিন আগেই দিয়েছিলেন রাজীব শুক্লা(Rajib Shukla)। অবশেষে সেটাই হল। এবার ভারতীয় দলের জার্সি স্পনসর হল অ্যাপলো টায়ার্স। মঙ্গলবারই বিসিসিআইয়ের তরফে অ্যাপলো টায়ার্সের(Apollo Tyres) সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধার কাজ যে হয়ে গিয়েছে তা সরকারীভাবে জানিয়ে দিল বিসিসিআই (BCCI)। আর অ্যাপলো টায়ার্সের হাত ধরেই নাকি এবার আরও বেশি লক্ষ্মী লাভ হতে চলেছে বোর্ডের(BCCI)। সব মিলিয়ে নাকি প্রতি ম্যাচে নাকি প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা পেতে চলেছে ভারতীয় দল। এমনটা হলে যে বিসিসিআইয়ের(BCCI) ভাঁড়ার আরও ভরতে চলেছে তা বলাই যায়। কয়েকদিন আগেই জার্সি স্পনসর(Jersey Sponsor) ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বিসিসিআই(বমমগ)। স্পোর্টস বিল(েজদীূে বগতত) পাস হওয়ার পরই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল বোর্ড কর্তাদের। নতুন বিল অনুযায়ী কোনওরকম বেটিং অ্যাপ কিংবা তার সঙ্গে জড়িত থাকা সংস্থাকে স্পনসর হিসাবে রাখা যাবে না। সেই নির্দেশিকা আসার পরই তড়িঘড়ি এক বছর বাকি থাকতেই ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ফেলেছিল বিসিসিআই। ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরই ভারতীয় দলের নতুন স্পনসর নিয়ে নানান গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে নতুন স্পনসর হিসাবে ভারতীয় দলের সঙ্গে কোন সংস্থা তা নিয়েই ছিল আলোচনা। এশিয়া কাপে ভারতীয় দল স্পনসরহীন নামার পর সেই আলোচনা আরও বেড়েছিল। যদিও বোর্ড কর্তারা ড্রিম ইলেভেন যাওয়ার পরই নতুন স্পনসরের খোঁজ করতে ময়দানে নেমে পড়েছিল। দু সপ্তাহ আগেই সরকারী ভাবে নতুন স্পনসরের খোঁজে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছিল বোর্ডের তরফে। এরপর থেকে নানান সংস্থার কথাবার্তা উঠতে শুরু করেছিল। এমন পরিস্থিতিতেই শেষপর্যন্ত বিখ্যাত টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাপলো টায়ার্সের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলল বিসিসিআই(BCCI)। একটি সর্বভারতীয় সংস্থার খবর অনুযায়ী ২০২৭ সাল পর্যন্ত নাকি এই টায়ার প্রস্তুত কারক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি পাকা হয়ে গিয়েছে বিসিসিআইয়ের। অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী ১৩০ ম্যাচ এই সময়ের মধ্যে খেলবে ভারতীয় দল। সেই সময় ভারতীয় দলের স্পনসর হিসাবে থাকবে এই টায়ার প্রস্তুতকারক দল। শুধুমাত্র তাই নয় ম্যাচ পিছু গত স্পনসরের থেকে নাকি বেশি টাকাও দেবে অ্যাপলো টায়ার্স। ভারতীয় দলের প্রতি ম্যাচে নাকি সাড়ে চার কোটি টাকা দেবে অ্যাপলো টায়ার্স। যেখানে গতবার স্পনরের থেকে ভারতীয় দল পেত চার কোটি টাকা। মনে করা হচ্ছে এশিয়া কাপের পরই হয়ত ঘোষণা হয়ে যাবে নতুন স্পনসরের নাম।
সুপার ফোরেও পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাবেন না সূর্যরা

এশিয়া কাপের(Asia Cup) মঞ্চ বলে শুদু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলছে ভারতীয় দলের(India Team Cricketers) ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রতি সূর্যকুমার যাদবরা যে কোনওরকম সৌজন্য প্রদর্শন(No Handshake) করবে না তা ফের একবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দলের(Indian Cricket Team) তরফে। এই ম্যাচের পরও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের মঞ্চে দেখা হওয়ার সুযোগ রয়েছে দুই দলের। সেখানেও যে ভারতীয় দল কোনওরকম সৌজন্যমূলক আচরণ দেখাবে না বোর্ডের তরফেও নাকি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পহেলগাম ঘটনার প্রতিবাদেই যে এমন সিদ্ধান্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপর্বের ম্যাচে নামার আগেই বহু হৈচৈ হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছিল বয়কটের ডাক। যদিও খেলার মাঠে সেই রাস্তায় হাঁটেনি ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু পহেলগাম ঘটনা তারা ভুলতে পারেনি। সেই জঘন্য ঘটনা ভোলারও নয়। তারই অন্যতম প্রতিবাদ ছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মেলানোর(No Handshake)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতেছে ভারত। সেই ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মেলানোরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর এই সিদ্ধান্ত নাকি একেবারে বিসিসিআইকে(BCCI) জানিয়েই নিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। এশিয়া কাপের মঞ্চে যেহেতু খেলা সেজন্য তাদের নামতেই হত মাঠে। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে তারা বেছে নিয়েছিলেন এমনই একটা পদ্ধতিকে। আলোচনা করেই নাকি ঠিক হয়েছিল যে একজনও পাক ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলানো(No Handshake) হবে না। বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, “যদি ক্রিকেটের রুলবুক দেখা হয় তবে সেখানে এমন কোনও নিয়মের কথা উল্লেখ নেই। হ্যাঁ ক্রিকেটাররা সৌজন্য দেখিয়েই একে অপরের সঙ্গে হাত মেলানো হয়। এমন কোনও নিয়ম যখন নেই সেখানেই ভারতীয় দলের ক্রিকেটারাও হাত না মিলিয়ে কোনওরকম নিয়ম ভাঙেনি বলেই মনে করছি আমরা”। এই গ্রুপ পর্বের পর পের একবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার সুযোগ রয়েছে ভারতীয় দলের। ভারত সুপার ফোরে পৌঁছে গিয়েছে ইতিমধ্যে। হিসাব যা বলছে পাকিস্তানও সেখানে পৌঁছতে চলেছে। আবারও একবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে পারে ভারতীয় দল। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। তবে সেখানেও যে ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাবে না তাও একপ্রকার ঠিক হয়ে গিয়েছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ ভারতীয় দলের অভিজ্ঞতা ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে

পহেলগাম(Pahelgam) ঘটনার এশিয়া কাপেই(Asia Cup) প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান(INDvPAK)। রবিবারের ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নানান হিসাব নিকাশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ ভারতীয় দলের(India Cricket Team) অভিজ্ঞতাই চিন্তার কারণ হতে পারে গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir)। ভারতীয় ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সটাই খানিকটা চিন্তায় রাখছে ভারতীয় টিম(Indian Cricket Team) ম্যানেজমেন্টকে। সেদিকেই যে এখন গম্ভীর(Gautam Gambhir) অ্যান্ড কো-এর মূল ফোকাস তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শাহিন আফ্রিদির(Saheen Afridi) বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বারবারই বেশ সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে ভারতীয় দলের ব্যাটারদের। এবারের এশিয়া কাপেও(Asia Cup) যে পাকিস্তানের বল হাতে প্রধান ভরসা সেই আফ্রিদি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানেই ভারতের চিন্ত খানিকটা বাড়াতে পারে ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। এই প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবেন তিনি। সঙ্গে শুভমন গিল(Shubman Gill) থাকলেও, তাঁরও যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার খুব একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে তেমনটা নয়। আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানকে আটকাতে ফিনিশার নিয়েই ভারতীয় শিবিরে আলোচনা অন্যদিকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সূর্যের ব্যাটেই রান এসেছে ৫ ম্যচে ৬৪। গড় মাত্র ১২। এই দিকটা যে ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়াতে পারে তা বলাই যায়। মিডল অর্ডারে তিলক বর্মারও একই অবস্থা। একমাত্র এই দলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হার্দিক পান্ডিয়া(Hardik Pandya)। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেমন দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তেমনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হার্দিকের পারফরম্যান্সই উল্লেখযোগ্য। ব্যাট হাতে যেমন রান রয়েছে হার্দিকের। তেমনই বল হাতেও হার্দিকের ঝুলিতে রয়েছে উইকেট। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ ম্যাচে ৯১ রান করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তেমনই আবার বোলিংয়ে তাঁর শিকার ১৩ উইকেট। হার্দিকের ওপর যে এই ম্যাচে দায়িত্ব অনেকটাই বেশি থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অন্যতম তুরুপের তাস জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। বরাবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ফর্মে থাকেন তিনি। অভিজ্ঞ বুমরার দিকে যে এই ম্যাচেও তাকিয়ে রয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বারবারই বুমরাহকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পাক শিবিরকে। এবারও সেই বুমরার নেতৃত্বেই পাক ব্যাটারদের ওপর যে ভারতের চাপ বাড়ানোর কৌশল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অর্শদীপ সিং ভালো ছন্দে রয়েছেন। সেইসঙ্গে স্পিন আক্রমণে কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী সিরিজের শুরুটা দুরন্ত ভাবে করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে যে ভারতই ফ্রন্টফুটে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।