ACC-র অফিস থেকে উধাও ট্রফি, কবে ট্রফি উঠবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাতে

সূর্যকুমার যাদবরা(Suryakumar Yadav) কবে হাতে পাবেন এশিয়া কাপের(Asia Cup) ট্রফি! এই নিয়েই তড়জা এখন তুঙ্গে। মাঠের লড়াইয়ে না পেরে, এবার মাঠের বাইরে লড়াইটা শুরু করেছে পাকিস্তান। তাও আবার সামনাসামনি নয়। গোপনে গোপনেই সেই লড়াই করছে তারা। ভারতকে ট্রফি না দেওয়ার জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের(ACC) হেড অফিস থেকেই ট্রফি উধাও করে দিলেন এসিসি প্রধান তথা পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নাকভি(Mohsin Naqvi)। তিনি আবার পাকিস্কানের আভ্যন্তরীন মন্ত্রীও। এশিয়া কাপ(Asia Cup) ট্রফি লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। আর তাতেই বিশ্ব ক্রিকেটে ফের হৈচৈ শুরু হয়েছে। ফাইনালে পাকিস্তানকে(Pakistan) হারিয়ে এবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত(India Team)। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ভারত নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য যেমন নয়। তেমনই কোনও পাক নাগরিকের হাত থেকে ট্রফি নিতেও অস্বীকার করেছিলেন সূর্যকুমার যাদবরা। প্রায় ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। এরপরই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের(ACC) প্রধান মহসিন নাকভি(Mohsin Naqvi) ডায়াস থেকে ট্রফি সরিয়ে দেন। এরপর থেকেই ট্রফি হাতে পাননি ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আর এবার তো এসিসির হেড কোয়ার্টার থেকেই ট্রফি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেটা করেছেন খোদ এসিসি(ACC) প্রধান মহসিন নাকভি(Mohsin Naqvi)। আবু-ধাবিতেই কোনও একটা জায়গায় নাকি রাখা হয়েছে সেই ট্রফি। কিন্তু কোন জায়গাতে রাখা রয়েছে তা বলছেন না মহসিন নাকভি। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক প্রতিনিধি এসিসির হেড কোয়ার্টার যাওয়ার পরই এই ব্যপারটা সকলের সামনে আসে। সেখানে গিয়ে তিনি ট্রফির খোঁজ করার পরই জানতে পারেন যে মহসিন নাকভি নাকি ট্রফি সরিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছেন। এরপরই উঠতে শুরু করেছে নানান প্রশ্ন। বিশেষ করে এসিসির চেয়ারম্যান হয়ে এমনটা তিনি করতে পারেন কেমনভাবে। আর কেনই ভাবে এসিসির ট্রফি লুকিয়ে রাখছেন তিনি। তবে কী ভারতকে ইচ্ছাকৃত ট্রফি দিতে চাইছে না বলেই এমনটা করছেন পাক মন্ত্রী। ক্রিকেট মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তড়জা। শেষপর্যন্ত কবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাতে ওঠে এশিয়া কাপ, সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
ফের ব্যাটিং বিপর্যয়, অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হার ভারতের

আবারও ব্যাটারদের ব্যর্থতা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে অ্যাডিলেডে হারের সঙ্গেই সিরিজও হাতছাড়া ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ২ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া। শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইট ওয়াশের হাত থেকে শুভমন গিলরা নিজেদের রক্ষা করতে পারে কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। প্রথম ম্যাচের পর এদিনও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের চূড়ান্ত ব্যাটিং ব্যর্থতা। রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়স আইয়ার অর্ধশতরান পেলেও, বাকি কেউই সেভাবে বড় রান করতে পারেননি। এদিনও শূন্য রানেই ফিরতে হয়েছে ভারতের অন্যতম প্রধান ভরসা বিরাট কোহলি। অধিনায়ক গিল ফেরেন ৯ রানে। রোহিত শর্মা ক্রিজে টিকে থাকতে না পারলে ভারত এদিনও ২০০ পেড়োতে পারত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ৯৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। তিনি যখন ফেরেন সেই সময় ভারতের রান ১৩৫। শ্রেয়স আইয়ার করেন ৬৬ রান। আর শেষের দিকে অক্ষর পটেল ৪৪ রান করায় অবশেষে ২৬৪ রানে পৌঁছয় ভারত। যদিও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই রান একেবারেই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল না। অর্শদীপ, হর্ষিতরা অবশ্য লড়াইটা করতে শুরু করেছিলেন। একটা সময় পরপর কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে লড়াইয়েও ফিরিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ম্যাট শর্টের ৭৪ রানের ইনিংস এবং কনোলির শেষপর্যন্ত ৬১ রানে অপরাজিত থাকাটাই ভারতের সব আশা শেষ করে দিয়েছিল। ম্যাচ ৪৬ ওভার পর্যন্ত গড়ালেও, শেষ হাসি ফোটে অস্ট্রেলিয়ার মুখেই। শেষের দিকে বার্টলেট, স্টার্কদের তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফেরালেও, ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ অনেক আগেই বের করে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
ফাইনালে নামার আগে শ্রীলঙ্কা ম্যাচই প্রস্তুতি মঞ্চ সূর্যদের

এশিয়া কাপে(Asia Cup) দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল(India Team)। এখন পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে তারা। আর কয়েক ঘন্টা পরই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামছে তারা। ফাইনালে আগেই পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। তার আগে শ্রীলঙ্কার(Srilanka) বিরুদ্ধে এই ম্যাচ যে ভারতীয় দলের(India Team) কাছে ড্রেস রিহার্সাল তা বেশ স্পষ্ট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা দেখে নিতে চাইছে ভারতীয় শিবির। বিশেষ করে দলের বোলিংটাই যে এখন ভারতকে খানিকটা ভাবাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানের(Pakistan) বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্ব এবং সুপার ফোর দুই জায়গাতেই জিতেছে ভারত(India Team)। কিন্তু এবার ফাইনালে নামতে হবে তাদের। সেই ম্যাচে নামার আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামছে টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচকে কার্যত নিজেদের প্রস্তুতি পর্ব হিসাবে দেখছেন সূর্যকুমার যাদবরা(Suryakumar Yadav)। তবে এই মুহূর্তে দলের বোলিং লাইনআপের ওপরই রয়েছে সবচেয়ে বেশি নজর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে ভারতীয় শিবির। এই এশিয়া কাপে(Asia Cup) অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মারা ভালো পারফরম্যান্স দেখালেও, বোলিংটা কিন্তু বারবারই সমস্যায় ফেলেছে টিম ইন্ডিয়াকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরেও খারাপ বোলিংয়ের জন্য প্রতিপক্ষ ১৭০ রানের গন্ডী টপকে গিয়েছিল। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহকে(Jasprit Bumrah) বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা রয়েছে একটা। সেই জায়গায় এই ম্যাচে ফের একবার দেখা যেতে পারে অর্শদীপ সিংকে(Arshdeep Singh)। যদিও সেভাবে তিনি পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। এবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও সেই অর্শদীপের ওপরই ভরসা রাখছে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতে অপরাজিত তকমা অক্ষুন্ন রেখেই ভারতীয় দল এগিয়ে যেতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
এশিয়া কাপে প্রথম একাদশে সঞ্জুকে নিয়ে জল্পনা

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের মঞ্চে প্রথম ম্যাচে নামবে ভারত। প্রথম ম্যাচেই তাদের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। কিন্তু সেই ম্যাচে ভারতীয় দলের(India Team) প্রথম একাদশ কী হবে। এই নিয়েই যত চিন্তা। বিশেষ করে ভারতীয় দলের টপ অর্ডার থেকে উইকেটকিপার ব্যাটার হিসাবে কাকে দেখা যাবে। এই নিয়েই এই মুহূর্তে যত চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রথম ম্যাচে নাকি ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কময় সঞ্জু স্যামসনের(Sanju Samson)। এশিয়া কাপেও সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক শুভমন গিল(Shubman Gill)। আবার সহ অধিনায়কের দায়িত্ব রয়েছে তাঁরই কাঁধে। তিনি যে প্রথম একাদশে অটোমেটিক চয়েজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একেবারে ওপেনিংয়েই অভিষেক শর্মার সঙ্গে দেখা যাবে তাঁকে। সেইসঙ্গে ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণ সামলানোর ব্যাটন থাকছে সেই জসপ্রীত বুমরার ওপরই। তবে এই ম্যাচে বুমরার(Jasprit Bumrah) অন্যতম সঙ্গী হতে চলেছেন অর্শদীপ সিং। Preps in full swing 💪 The countdown to 𝙈𝙖𝙩𝙘𝙝 𝘿𝙖𝙮 begins ⏳#TeamIndia | #AsiaCup2025 pic.twitter.com/3SC57XILxD — BCCI (@BCCI) September 7, 2025 কিন্তু সকলের মনে প্রশ্ন হল উইকেটের পিছনে দায়িত্ব কে সামলাবেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এবার এই ম্যাচে সেই দায়িত্বে সঞ্জু স্যামসন(Sanju Samson) নন বরং জীতেশ শর্মাকেই(Jitesh Sharma) দেখা যেতে চলেছে সেই জায়গায়। এই মুহূর্তে আইসিসির অ্যাকাডেমিতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারছে ভারতীয় দল। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে। দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় দলের প্রথম একাদশ কেমন হতে চলেছে। অভিষেক শর্মা শুভমন গিল তিলক বর্মা সূর্যকুমার যাদব অক্ষর পটেল হার্দিক পান্ডিয়া জীতেশ শর্মা কুলদীপ যাদব বরুণ চক্রবর্তী অর্শদীপ সিং জসপ্রীত বুমরাহ আইসিসির অ্যাকাডেমিতে(Icc Academy) এবার একসঙ্গে নয়, ভাগে ভাগেই গিয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় দল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগেই সিরিজ ড্র করে ফিরেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এবার চ্যালেঞ্জটা আরও একটু কঠিন। গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) কোচিংয়ে এই প্রথমবার এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতীয় দল। তাঁর কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারতীয় দল। অর্থাৎ গম্ভীরকে নিয়ে যে সকলের প্রত্যাশার পারদটা অনেকটাই তুঙ্গে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আইসিসির অ্যাকাডেমিতে এখন গম্ভীরের তত্ত্বাবধানেই শুরু হয়ে গিয়েছে সূর্যকুমার যাদবদের প্রস্তুতি। প্রথম ম্যাচে সহজ প্রতিপক্ষ হলেও, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট যে একেবারেই ঝুঁকি নিতে নারাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
জোড়া শতরানে টেস্টের প্রথম দিনে লেটার মার্কস তরুণ ভারতীয় দলের

দুরন্ত শুরু। অনেক সংশয় ছিল। অনেক উদ্বেগ ছিল। অনেক সন্দেহও ছিল। কিন্তু তাগিদ, প্রয়োগ দক্ষতা ও দুর্দান্ত মানসিকতায় সেসব কিছুকে দূরে সরিয়ে দিয়ে হেডিংলে টেস্টের প্রথম দিনে শুধু সসম্মানে পাস করা নয় রীতিমত লেটার মার্কস পেয়ে পাস করল তরুণ ভারতীয় দল। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫৯। শতরান করলেন শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিয়ে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে নেমেছে তরুণ ভারতীয় দল। চাপ ছিল বৈকি! টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন রাহুল ও জয়সওয়াল। রাহুল ব্যক্তিগত ৪২ রানে ও সাই সুর্দশন শূন্য রানে আউট হলেও গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন যশস্বী জয়সওয়াল। শতরান করে ব্যক্তিগত ১০১ রানে আউট হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেটে জুড়ে দিয়েছেন ১২৯ রান। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ও কেরিয়ারের পঞ্চম শতরান করলেন জয়সওয়াল। এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক গিল ও সহঅধিনায়ক পন্থ। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট দুজনে যোগ করেছেন ১৩৮ রান। শুভমন গিল ১২৭ রান করে ও ঋষভ পন্থ ৬৫ রান করে অপরাজিত আছেন। গিল হলেন চতুর্থ ভারতীয় যিনি অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকেই শতরান করলেন। তাঁর আগে এই নজির আছে বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর ও বিরাট কোহলি। প্রথম দিনেই শুভমন গিলের তারুণ্যেভরা ভারতীয় দল এভাবে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেবে সেটা অনেক ভারতীয় যেমন ভাবেননি, তেমনি ইংল্যান্ড তো ভাবতেই পারেনি। প্রথম দিনেই গোটা সিরিজের জন্য অন্তত আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গেল গিলের ভারত।
হর্ষিত রানাকে দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত

হর্ষিত রানাকে ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরানো হচ্ছে না। তাঁকে দলের সঙ্গে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল টিম ইন্ডিয়া। তিনি ভারতীয় এ দলের সঙ্গে ছিলেন। তিনি ছাড়া এ দলের বাকি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে আসছেন। হেডিংলির উইকেট সবুজে মোড়া। সেটাই হর্ষিতকে রেখে দেওয়ার ব্যাপারে প্রভাবিত করল। বুমরা সবকটি টেস্টে খেলবেন না, তাই ইংল্যান্ডে হর্ষিতের পেস ও বাউন্স খুব কাজে লাগতে পেরে ভেবেই তাঁকে ইংল্যান্ডে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। যদিও সরকারিভাবে রানাকে দলে যুক্ত করার কথা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। গত অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। দুটি টেস্টে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। অভিষেকে পার্থে ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড সফরে যদিও হর্ষিত রানাকে দলে রাখেননি অজিত আগরকরের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিটি। জসপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজের সঙ্গে দলে নেওয়া হয়েছে আকাশদীপ, অর্শদীপ সিং ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে। কেকেআর ও দিল্লির পেসার হর্ষিত এখনও পর্যন্ত ১৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নিয়েছেন ৪৮টি উইকেট। গড় ২৭.৭৯। ব্যাট হাতেও তাঁর গড় ৩২.৮০। একটি শতরান ও দুটি অর্ধশতরান করেছেন হর্ষিত। ২০২৪-এর আইপিএলে কেকেআরের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করার পরই জাতীয় দলে সুযোগ পান দিল্লির ছেলে রানা। তখন গৌতম গম্ভীর ছিলেন কেকেআরের মেন্টর।
মা গুরুতর অসুস্থ, ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে এলেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে বড় ধাক্কা ভারতীয় দলে। পারিবারিক কারণে দেশে ফিরে আসতে হল হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে। গত বুধবার গৌতির মা সীমা গম্ভীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সে কারণেই দেশে ফিরেছেন ভারতীয় দলের হেড কোচ। ১৭ জুন তাঁর ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার কথা। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে তাঁর মা কেমন থাকেন তার ওপর। আপাতত দিল্লির একটি হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে আছেন সীমা দেবি। গম্ভীর গত ৬ জুন দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে গিয়েছেন। এবং বেকেনহ্যামে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার থেকে ভারতীয় দল ইন্ট্রা স্কোয়াড চারদিনের ম্যাচ খেলছে। ৩৬০ ওভারের ম্যাচ। ফলে বোলাররাও ভাল ম্যাচ অনুশীলন পাবেন। এই ম্যাচ শেষ হলেই লিডসে উড়ে যাবেন গিলরা। হেডিংলিতে ২০ জুন থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে ২০২৫ থেকে ২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। এই সিরিজেই অধিনায়কত্বে অভিষেক হবে শুভমন গিলের। তার আগে কোচের দেশে ফিরে আসা চাপ বাড়ালো গিলের ওপর। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবসর নেওয়ায় ভারতীয় দলে নতুন জমানা শুরু হচ্ছে। কোচ গম্ভীর ও অধিনায়ক শুভমন গিলকে সামনে রেখে নতুন যুগের শুরু করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া।
ইংল্যান্ড সফরে ভারতের আসল প্লেয়ার জসপ্রীত বুমরা : সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শুভমন গিল নন, বা অন্য কেউ নন, ইংল্যান্ড সফরে ভারতের আসল প্লেয়ার জসপ্রীত বুমরা, মনে করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুমরার ফিটনেসের ওপরই এই সিরিজের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে, বিশ্বাস মহারাজের। তিনি মনে করেন বুমরাকে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরামর্শ, বুমরাকে দিনে ১২ ওভারের বেশি বল করানো উচিত নয়। সৌরভ সতর্ক করে দেন অস্ট্রেলিয়া সফরে যে ভুল হয়েছিল, ইংল্যান্ডে যেন সেই ভুল না করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় বুমরার ওপর অত্যাধিক চাপ পড়েছিল, সে কারণেই চোটের কবলে পড়েন তিনি। ইংল্যান্ডে দেখতে হবে যেন তাঁকে বেশি ধকল নিতে না হয়। বাকি বোলাররা চাপটা নিন, পরামর্শ মহারাজের। অস্ট্রেলিয়ায় ১৫০ ওভার বল করেছিলেন বুমরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০ ওভারের বেশি বল করেছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে চতুর্থ টেস্টে। দুই ইনিংসে বল করেন যথাক্রমে ২৮.৪ ওভার ও ২৪.৪ ওভার। আর তার ফলেই পিঠের ব্যথার জন্য শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে পারেননি। ছিটকে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে। তাই সৌরভ বলেন, এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে বুমরাকে ১২-১৩ ওভারের বেশি বল করতে না হয়। অস্ট্রলিয়ায় যেটা সমস্যা হয়েছিল, বুমরা সেভাবে সাপোর্ট পাননি। ইংল্যান্ডে অন্য পেসারদের বাড়ি দায়িত্ব নিতে হবে বলে মনে করেন সৌরভ।
ভারতীয় ফুটবলের ভালোর জন্য কল্যাণ চৌবের পদত্যাগ করা উচিত : বাইচুং ভুটিয়া

এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারত হংকংয়ের কাছে হারার পর ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাইচুং ভুটিয়া। রীতিমত আগুনে মেজাজে বাইচুং বলেন, ফেডারেশনের কোনও সিস্টেম নেই। কোনও কৌশল নেই। কোনও স্বচ্ছতা নেই। ভারতীয় ফুটবলের ভালর জন্য পদত্যাগ করা উচিত প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবের। হংকংয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, ম্যাচ জিততে পারলে ফুটবলারদের বিরাট অঙ্কের বোনাস দেওয়া হবে। এই ঘোষণার তীব্র বিরোধীতা করে সমালোচনা করেন। বাইচুং বলেন, “আমি খবরে দেখেছি, ফুটবলাররা এমনকী আড়াই হাজার টাকা দৈনিক ভাতাও পাচ্ছে না। ক্রিকেটারদের মত কোনও কেন্দ্রীয় চুক্তি নেই। সেখানে হঠাৎ করে এত বড় অঙ্কের বোনাস ঘোযণা করে দেওয়া হল। এই টাকাটা কোথা থেকে আসবে? যদি এই ম্যাচটা জিতত, তাহলে কি পরের চারটি ম্যাচেও এমন ঘোষণা করা হত? আসলে কোনও সিস্টেম নেই, কৌশল নেই, কোনও রকম স্বচ্ছতা ছাড়াই দুমদাম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।“ ২০২৩-এ খুব ভাল জায়গায় ছিল ভারতীয় দল। এক সময় র্যাঙ্কিংয়ে ৯৯ নম্বরে উঠে এসেছিল। কিন্তু তারপর খুব খারাপ পরিস্থিত। এই নিয়ে বাইচুং বলেন, “গত আড়াই-তিন বছরে কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বে দুঃসহ পরিস্থিতি। মাঠে খারাপ পারফরম্যান্স। বাইরে বিশৃঙ্খল অবস্থা। বিতর্কের পর বিতর্ক। সময় হয়েছে ভারতীয় ফুটবলের ভালর জন্য কল্যাণের পদত্যাগ করার।“
শ্রেয়স আইয়ারকে বাদ দেওয়ায় অজিত আগরকরদের একহাত নিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

ক্ষোভে, হতাশায় ভারতীয় নির্বাচক মণ্ডলীকে একহাত নিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ড সিরিজে ভারতীয় দল নির্বাচনের তীব্র সমালোচনা করলেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। শ্রেয়স আইয়ার বাদ পড়ায় তিনি রীতিমত বিস্মিত। সৌরভ উল্লেখ করেন গত এক বছর শ্রেয়স সব ফরম্যাটে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। ক্যাপ্টেন হিসাবে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন ও পঞ্জাবকে রানার্স করেছেন। রণজিতে দারুন পারফরম্যান্স করেছেন। মহারাজ আরও বলেন, শর্ট বল খেলা নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করে উন্নতি করেছেন শ্রেয়স। তাই শ্রেয়সের দলে না থাকা তাঁকে যেমন হতাশ করেছে, তেমনি ক্ষুব্ধও করে তুলেছে। এমনিতে বর্তমান নির্বাচক প্রধান প্রাক্তন ক্রিকেটার অজিত আগরকর বরাবরই সৌরভের খুব প্রিয়। তা সে তিনি অধিনায়ক থাকাকালীন ভারতীয় দলেই হোক বা কেকেআরেই হোক। তবু শ্রেয়স ইস্যুতে তিনি আগরকরের তীব্র সমালোচনা করতে একটুও দ্বিধা করেননি। শর্ট বলে একটু দুর্বলতা ছিল শ্রেয়সের। তাই টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু অনেক পরিশ্রম করে সেই দুর্বলতা কাটিযে উঠেছেন। ফিরেওছেন দারুনভাবে। একদিনের বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও রানের বন্যা বইয়েছেন। এবারের আইপিএলেও ১৭ ম্যাচে ৬০৪ রান করেছেন। এত কিছু সত্ত্বেও দল নির্বাচনী সভায় শ্রেয়সকে নিয়ে বেশি আলোচনাই হয়নি। কারণ নির্বাচকরা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে লাল বলের ক্রিকেটে শ্রেয়সকে আরও পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন ভারতীয় দলে শ্রেয়সের থাকা অবশ্যই উচিত ছিল, কারণ সব ফরম্যাটে তাঁর বর্তমান ফর্ম। সৌরভ বলেন, “শ্রেয়স চাপের মুখে রান করতে পারে। দায়িত্ব নিতে পারে। শর্ট বল এখন ভাল খেলছে। যদিও টেস্ট ক্রিকেট আলাদা তবু আমি হলে ওকে দলে রাখতাম, ও কী করতে পারে সেটা দেখার জন্য।“ দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট থাকাকালীন শ্রেয়সকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সৌরভ, ভালভাবেই জানেন শ্রেয়সের দক্ষতা কতটা, সে কারণেই এতটা ক্ষুব্ধ দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক।