“ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”: পাকিস্তানকে নিশানা অভিষেকের

মাঠে কটুক্তি, জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিলেন ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগড় এই তরুণ ক্রিকেটার। হারিস রওফ(Haris Rauf) মাঠেই মেজাজ হারিয়ে শুভমন(Shubman Gill) এবং অভিষেককে(Abhishek Sharma) কটুক্তি করেন। তার জবাব দেওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে পাকিস্তানকে ক্রিকেটারকে দুষলেন অভিষেক শর্মা। তাঁর সাফ বার্তা “ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”। পাকিস্তানকে যে কড়া জবাব দিতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা কোনওরকম খামতি রাখবে তা ফের একবার স্পষ্ট। বহু বিতর্কের পর ফের একবার এশিয়া কাপে(Asia Cup) মুখোমুখি হয়েছিল দুই তির প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাদের সিদ্ধান্তে অটল। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক নয়। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত হ্যাডশেক হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের উত্তক্ত করতে স্লেজিংয়ের শুরুটা করেছিলেন হারিস রওফ। জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিয়েছেন শুভমন গিল(Shubman Gill) এবং অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। ভারতের খারাপ ফিল্ডির এবং খারাপ বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে বড় রান তৈরি করছিল পাকিস্তান। ভারতকে চাপে রখার কৌশল নিয়েছিল তারা। কিন্তু তরুণ অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। যে শাহিনকে নিয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি ভরসা এবং আত্মবিশ্বাস ছিল। তাঁকেই কার্যত নাস্তাবুদ করেছিলেন ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটার। ম্যাচের সেরার শিরোপাও তুলে নিয়েছেন নিজের মাথায়। এদিন তাঁর ব্যাট থেকে ছিল শুধুই চার ও ছয়ের বন্যা। আরও পড়ুনঃ অভিষেক-শুভমনের ঝোড়ো ইনিংসে পাক বধ ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যখন অভিষেক সাজঘরে ফিরছেন, সেই সময় ভারতের জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁর গোটা ইনিংসটা সাজানো ছিল ৬টি চার ও পাঁচটি ছয় দিয়ে। অভিষেকের তান্ডবের সামনে এদিন মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ। You talk, we win 🇮🇳 pic.twitter.com/iMOe9vOuuW — Abhishek Sharma (@OfficialAbhi04) September 21, 2025 সেই সময়ই মাঠে অভিষেক শর্মাকে(Abhishek Sharma) উদ্দেশ্য করে হারিস রওফ শুরু করেন স্লেজিং করাটা। মাঠে গিল এবং অভিষেক জবাবটা দিয়েছিলেন ঠিকই। তবে ব্যাটিংয়েই সবচেয়ে বেশি জবাব দিয়েছিলেন এই দুই তরুণ তারকা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ভারত। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে কার্যত পাক ক্রিকেটারদের নিশানা করেই অভিষেক শর্মার বিরাট বার্তা। সেখানেই তিনি লিখেছেন, “ওরা কথা বলে, আমরা জিতি”। আর এই বার্তাটা যে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এশিয়া কাপের শুরু থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচেও তার অন্যথা হয়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালেও ভারতের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে দেখা হলে এক প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক ভারত করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
অভিষেক-শুভমনের ঝোড়ো ইনিংসে পাক বধ ভারতের

অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) এবং শুভমন গিলের(Shubman Gill) সেঞ্চুরি পার্টনারশিপটাই এদিন ভিতটা গড়ে দিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে তিলক বর্মার ঝোরো ইনিংসে ভর করে ফের একবার পাকিস্তান বধ ভারতের। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারাল সূর্যকুমার যাদবের টিম ইন্ডিয়া। তবে এদিনের ম্যাচের নায়ক কিন্তু তরুণ অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ঝোড়ো ইনিংসটাই যে ভারতকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল হাতে ভাল পারফরম্যান্স দেখালেও, এদিন একের পর এক ক্যাত ফস্কে পাকিস্তানের বড় রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের ফিল্ডাররাও। আর তাতেই ভারতের বিরুদ্ধে এদিন ১৭১ রান পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল পাকিস্তান। শুরুর দিকেই অভিষেক এবং কুলদীপ দুটো সহজ ক্যাচ মিস না করলে, পাকিস্তান যে বড় রানের পথে এগোতে পারত না তা বলাই যায়। পাকিস্তানের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান করেন শাহিবজাদা ফারহান ৫৮। বুমরাহ(Jasprit Bumrah), হার্দিকরা(Hardik Pandya) ব্যর্থ হলেও, এদিন বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন শুবম দুবে। গুরুত্বপূর্ণ দুটো উইকেট শিকার তাঁরই। স্কোরবোর্ডে পাকিস্তানের ১৭১ রান। ব্যাট হাতে নামা থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। যোগ্য সঙ্গদ শুভমন গিলের(Shubman Gill)। যে শাহিনকে নিয়ে সকলেই নানান কথা বলেছিল, তাঁকেই এদিন সবার প্রথম বিধ্বস্ত করলেন এই ব্যাটার। ৯ ওভারের মধ্যেই অভিষেক এবং শুভমনের হাত ধরে ভারত ১০০ রানের গন্ডী টপকে যায়। অভিষেক ফেরেন ৭৪ রানে। শুভমন গিল করেন ৪৭ রান। তারা যখন সাজঘরে ফেরেন ভারতের জয় কার্যত পাকা। কিন্তু সঞ্জু স্যামসন এবং সূর্যকুমার পরপর আউট হলে ভারতের চিন্তা খানিকটা বেড়ে যায়। সেখানেই ত্রাতা তিলক বর্মা(Tilak Verma)। ১৯ বলে ৩০ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে ১ ওভার এক বল বাকি থাকতেই ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন তিলক।
রবিবার উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিতে চায় টিম ইন্ডিয়া

আবারও একটা পাকিস্তান ম্যাচ। এবার এশিয়া কাপের(Asia Cup) সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে ভারতীয় দল(India Cricket Team)। তার আগেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক বিরাট বার্তা সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav)। রবিবার ভারতীয় দলের সমর্থকদের একটা সুন্দর দিন উপহার দিতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে ভারতীয় দল (India Cricket Team) যে কার্যত আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সেটাই যেন বেড়িয়ে এল সূর্যকুমারের গলা থেকে। পাকিস্তানকে এখানেও হারাতে কার্যত প্রস্তুত ভারতীয় দল। সেইসঙ্গে হ্যান্ডশেক যে এই ম্যাচেও হবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। সাংবাদিক সম্মেলনে নাম নিলেন না প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদেরও। তবে বিশ্রাম কাটিয়ে এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই আবার ভারতীয় দলে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। চলতি এশিয়া কাপে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল। শেষ ম্যাচেও ওমানের বিরুদ্ধে জিতেছে ভারত। তবে সেই ম্যাচে ভারতের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে কিন্তু খানিকটা চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। ব্যাটাররা রান পেলেও, ওমানের মাত্র চার উইকেটই তুলতে পেরেছিলেন। যদিও সেই ম্যাচে ভারতের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah) খেলেননি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্শদীপ সিংয়ের(Arshdep Singh) জায়গায় তাঁকেই আবার ফেরাতে চলেছে ভারতীয় দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশে পরিবর্তন বলতে যে এটুকুই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। সেটাই সূর্যকুমার(Suryakumar Yadav), সঞ্জু স্যামসনদের(Sanju Samson) বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। এছাড়া দলের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স। ওমানের বিরুদ্ধে সঞ্জু স্যামসন পেয়েছেন অর্ধশতরান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ঝোরো ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। ভারতের ব্যাটিংয়ে একমাত্র চিন্তার জায়গাটা হতে পারে শুভমন গিলের(Shubman Gill) পারফরম্যান্স। তিন ম্যাচেই সেভাবে বড় রান করতে পারেননি তিনি। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তিনিই ভরসা। ম্যাচের আগে সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav) জানিয়েছেন, “রবিবার আমাদের পড়েছে। বহু মানুষ এই ম্যাচের দিকে চোখ রাখবেন। এই ম্যাচ তাদের কাছে উপভোগ্য হবে। এই ম্যাচেও আমাদের উন্মাদনা থেকে এনার্জিতে কোনওরকম পরিবর্তন থাকবে না। আমাদের সেরা খেলাটাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেখতে পাবে সকলে”। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান হলেও, তাদেরকে নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে যেন নারাজ ভারতীয় শিবির। তা কিন্তু সূর্যর হাবেভাবেই স্পষ্ট ছিল। এমন হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আদে প্রতিপক্ষ শিবিরের একজনেরও নাম মুখে নিলেন না সূর্যকুমার যাদব। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ভলোভাবেই দেখে নিয়েছে গৌতম গম্ভীরের দল। এছাড়া ওমান ম্যাচেও নিজেদের শক্তি, দুর্বলতা দেখা হয়ে গিয়েছে। সুপার ফোরে ফের একবার পাকিস্তানকে হারানোর লক্ষ্যেই টিম ইন্ডিয়া।
সুপার ফোরেও ভারত-পাক ম্যাচের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট

পাকিস্তানের যাবতীয় দাবি উড়িয়ে সুপার ফোরেও ভারত বনাম পাকিস্তান(INDvPAK) ম্যাচের ম্যাচ রেফরি অ্যান্ডি পাইক্রফটই(Andy Pycroft)। হ্যান্ডশেক বিতর্কে (Handshake Row) এই অ্যান্ডি পাইক্রফটকে (Andy Pycroft) সরানো নিয়েই সরব হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এমনকি আইসিসির(ICC) দ্বারস্থও হয়েছিল তারা। কিন্তু তাদের কোনও কথাই কানে তুলল না বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। বরঞ্চ সুপার ফোরেও সেই পাইক্রফটকেই ভারত-পাক ম্যাচের গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তে যে পাকিস্তানের সরাসরি হার হয়েছে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। এশিয়া কাপের (Asia Cup) গ্রুপ পর্বে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল ভারত ও পাকিস্তান (INDvPAK)। আর সেই ম্যাচের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে গিয়েছিল একটাই বিতর্ক। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের কোনও ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয় দলের অধিনায়ক থেকে অন্যান্য ক্রিকেটাররা। আর সেটাই ঠিক হজম করতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে পাক বোর্ডের কর্তারা। এরপরই শুরু হয়েছিল হৈচৈ। এই ঘটনার জন্য ম্যাচের ম্যাচ রেফারি প্রাক্তন জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটার অ্যান্ডি পাইক্রফটকে (Andy Pycroft) কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এমনকি তাঁকে অপসারনের দাবি নিয়েও সরব হয়েছিল তারা। যদিও আইসিসি পাকিস্তানের দাবি নিয়ে একেবারেই কর্ণপাত করেনি। বরং আবারও সেই অ্যান্ডি পাইক্রফটকেই ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের ম্যাচ রেফারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ম্যাচে পাইক্রফটের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানকে অপমান করার অভিযোগ জানানো হয়েছিল পিসিবির তরফ থেকে। তবে আইসিসি পাকিস্তানের দাবি মানতে নারাজ ছিল। কারণ সেই ঘটনার পর মিস কমিউনিকেশনের কথা শোনা গিয়েছিল অ্যান্ডি পাইক্রফটের মুখে। একইসঙ্গে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন সেই ম্যাচের পর। যদিও পাকিস্তানের দাবি ছিল তাঁকে অপসারণ এবং ভারতকে শাস্তি দেওয়া। কিন্তু হাত মেলানো বা না মেলানো নিয়ে সেভাবে আইসিসির রুল বুকেই তেমন কিছু নেই। আর সেই কথা মনে করিয়েই পাকিস্তানের সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এরপর পাকিস্তান এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল। যদিও আইসিসির সঙ্গে আলোচনার পর সেই পথ থেকেও সরে আসতে হয়েছিল পাক ক্রকেট বোর্ডকে। সুপার ফোরে আবারও সেই ভারত-পাক লড়াই। সেখানেও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট। আইসিসির সাফ বার্তা এই প্রাক্তন জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটারই সামলাবেন ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব। ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে যে এটা পাক শিবিরের কাছে ফের একটা বড় ধাক্কা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সুপার ফোরেও পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাবেন না সূর্যরা

এশিয়া কাপের(Asia Cup) মঞ্চ বলে শুদু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলছে ভারতীয় দলের(India Team Cricketers) ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রতি সূর্যকুমার যাদবরা যে কোনওরকম সৌজন্য প্রদর্শন(No Handshake) করবে না তা ফের একবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দলের(Indian Cricket Team) তরফে। এই ম্যাচের পরও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের মঞ্চে দেখা হওয়ার সুযোগ রয়েছে দুই দলের। সেখানেও যে ভারতীয় দল কোনওরকম সৌজন্যমূলক আচরণ দেখাবে না বোর্ডের তরফেও নাকি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পহেলগাম ঘটনার প্রতিবাদেই যে এমন সিদ্ধান্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপর্বের ম্যাচে নামার আগেই বহু হৈচৈ হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছিল বয়কটের ডাক। যদিও খেলার মাঠে সেই রাস্তায় হাঁটেনি ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু পহেলগাম ঘটনা তারা ভুলতে পারেনি। সেই জঘন্য ঘটনা ভোলারও নয়। তারই অন্যতম প্রতিবাদ ছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মেলানোর(No Handshake)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতেছে ভারত। সেই ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মেলানোরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর এই সিদ্ধান্ত নাকি একেবারে বিসিসিআইকে(BCCI) জানিয়েই নিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। এশিয়া কাপের মঞ্চে যেহেতু খেলা সেজন্য তাদের নামতেই হত মাঠে। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে তারা বেছে নিয়েছিলেন এমনই একটা পদ্ধতিকে। আলোচনা করেই নাকি ঠিক হয়েছিল যে একজনও পাক ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলানো(No Handshake) হবে না। বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, “যদি ক্রিকেটের রুলবুক দেখা হয় তবে সেখানে এমন কোনও নিয়মের কথা উল্লেখ নেই। হ্যাঁ ক্রিকেটাররা সৌজন্য দেখিয়েই একে অপরের সঙ্গে হাত মেলানো হয়। এমন কোনও নিয়ম যখন নেই সেখানেই ভারতীয় দলের ক্রিকেটারাও হাত না মিলিয়ে কোনওরকম নিয়ম ভাঙেনি বলেই মনে করছি আমরা”। এই গ্রুপ পর্বের পর পের একবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার সুযোগ রয়েছে ভারতীয় দলের। ভারত সুপার ফোরে পৌঁছে গিয়েছে ইতিমধ্যে। হিসাব যা বলছে পাকিস্তানও সেখানে পৌঁছতে চলেছে। আবারও একবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে পারে ভারতীয় দল। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। তবে সেখানেও যে ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাবে না তাও একপ্রকার ঠিক হয়ে গিয়েছে।
পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়ে ক্রিকেট মাঠেও মধুর প্রতিশোধ ভারতের

সেনাবাহিনীর পর বাইশগজেও পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত(Indian Cricket Team)। এশিয়া কাপের(Asia Cup) মঞ্চে পাকিস্তানকে(Pakistan) বিধ্বস্ত করে এগিয়ে চলল ভারত(India)। কুলদীপ(Kuldeep Yadav), অক্ষরদের(Axar Patel) দাপুটে বোলিংয়ের সৌজন্যে সাত উইকেটে জয়ী ভারত। বাইশ গজে এ যেন সূর্যদের আরেকটা অপারেশন সিঁদুর। আর তাতেই পাকিস্তান ফের একবার ক্ষত বিক্ষত। পহেলগাম(Pahelgam) ঘটনায় প্রয়াতদের যেন আবারও একটা শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আবার পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও সম্পর্ক নয়, সেটাও বুঝিয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদবরা(Suryakumar Yadav)। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ, প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাতও মেলালেন না ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। পহেলগাম ঘটনার পর এটাই ছিল দুই দলের প্রথম সাক্ষাত ক্রিকেটের বাইশগজে। এই ম্যাচে ভারতের খেলা নিয়েও অনেকেই আপত্তি জানাচ্ছিলে। উঠেছিল বয়কটের ডাক। আসলে ভারতীয় দল চেয়েছিল পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারও একটা জবাব দিতে। কুলদীপ(Kuldeep Yadav), অক্ষরদের(Axar Patel) হাত ধরে সেটাই একেবারে নিখুঁতভাবে করল টিম ইন্ডিয়া। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মাঠে একেবারে একপেশে লড়াইয়ে পাকিস্তান বধ সম্পূর্ণ করল টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়কের প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। ভারতের বিরুদ্ধে বড় রানের পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা। কিন্তু ভারতীয় বোলিং লাইনআপের সামনে পাক ব্যাটাররা ছিলেন একেবারেউই অসহায়। শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিল টিম ইন্ডিয়া(Team India)। প্রথম ওভারেই হার্দিকের(Hardik Pandya) উইকেট। এরপর বুমরার(Jasprit Bumrah) ধাক্কা। ৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তখন থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছিল। যদিও ফখর জামন একটা চেষ্টা করেছিলেন লড়াইয়ে ফেরার। কিন্তু ভারতের এই বোলিং লাইনআপের সামনে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। 2⃣ wins on the bounce for #TeamIndia! 🙌 A dominating show with bat & ball from Surya Kumar Yadav & Co. to bag 2 more points! 👏 💪 Scorecard ▶️ https://t.co/W2OEWMTVaY#AsiaCup2025 pic.twitter.com/hM7iin7AAq — BCCI (@BCCI) September 14, 2025 পাওয়ার প্লে শেষ হতেই মাঠে শুরু কুলদীপের(Kuldeep Yadav) স্পিনের জাদু। আর তাতেই একে একে শাহিবজাদা, হাসান নওয়াজরা সাজঘরে ফেরেন। সেইসঙ্গে অক্ষর পটেল(Axar Patel) তুলে নেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ফখর জমনকে। পাকিস্তানের বড় রানের সমস্ত আশা শেষ। ১২৭ রানেই থামতে হয় পাক বাহিনীকে। ভারতের তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মা শাহিনকে কী সামলাতে পারবেন। এই প্রশ্নই তখন ঘুরপাক খাচ্ছিল। জবাবটা মাঠে নেমে শাহিনের প্রথম দুই বলেই দিয়ে দিলেন অভিষেক। প্রথম বলে চার। পরের বলই একেবারে ওভার বাউন্ডারি। পাক বোলিং নিয়ে এদিন ভারতীয় ব্যাটারদের চোখে মুখে চিন্তার কোনওরকম ছাপই ছিল না। অভিষেক অবশ্য ১৩ বলে ৩১ রানের ঝোরো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। গিল এদিনও বড় রান করতে ব্যর্থ। যদিও ভারতের জিততে কোনওরকম অসুবিধাই হয়নি। সূর্যকুমার যাদবের অপরাজিত ৪৭ রান এবং তিলক বর্মার ৩১ রানের ভর করে চার ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ ভারতীয় দলের অভিজ্ঞতা ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে

পহেলগাম(Pahelgam) ঘটনার এশিয়া কাপেই(Asia Cup) প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান(INDvPAK)। রবিবারের ম্যাচ ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নানান হিসাব নিকাশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে কোনওরকম খামতি রাখতে নারাজ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ ভারতীয় দলের(India Cricket Team) অভিজ্ঞতাই চিন্তার কারণ হতে পারে গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir)। ভারতীয় ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সটাই খানিকটা চিন্তায় রাখছে ভারতীয় টিম(Indian Cricket Team) ম্যানেজমেন্টকে। সেদিকেই যে এখন গম্ভীর(Gautam Gambhir) অ্যান্ড কো-এর মূল ফোকাস তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শাহিন আফ্রিদির(Saheen Afridi) বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বারবারই বেশ সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে ভারতীয় দলের ব্যাটারদের। এবারের এশিয়া কাপেও(Asia Cup) যে পাকিস্তানের বল হাতে প্রধান ভরসা সেই আফ্রিদি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানেই ভারতের চিন্ত খানিকটা বাড়াতে পারে ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। এই প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবেন তিনি। সঙ্গে শুভমন গিল(Shubman Gill) থাকলেও, তাঁরও যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার খুব একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে তেমনটা নয়। আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানকে আটকাতে ফিনিশার নিয়েই ভারতীয় শিবিরে আলোচনা অন্যদিকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav)। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই সূর্যের ব্যাটেই রান এসেছে ৫ ম্যচে ৬৪। গড় মাত্র ১২। এই দিকটা যে ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়াতে পারে তা বলাই যায়। মিডল অর্ডারে তিলক বর্মারও একই অবস্থা। একমাত্র এই দলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হার্দিক পান্ডিয়া(Hardik Pandya)। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেমন দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তেমনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হার্দিকের পারফরম্যান্সই উল্লেখযোগ্য। ব্যাট হাতে যেমন রান রয়েছে হার্দিকের। তেমনই বল হাতেও হার্দিকের ঝুলিতে রয়েছে উইকেট। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ ম্যাচে ৯১ রান করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তেমনই আবার বোলিংয়ে তাঁর শিকার ১৩ উইকেট। হার্দিকের ওপর যে এই ম্যাচে দায়িত্ব অনেকটাই বেশি থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অন্যতম তুরুপের তাস জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। বরাবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ফর্মে থাকেন তিনি। অভিজ্ঞ বুমরার দিকে যে এই ম্যাচেও তাকিয়ে রয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বারবারই বুমরাহকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পাক শিবিরকে। এবারও সেই বুমরার নেতৃত্বেই পাক ব্যাটারদের ওপর যে ভারতের চাপ বাড়ানোর কৌশল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অর্শদীপ সিং ভালো ছন্দে রয়েছেন। সেইসঙ্গে স্পিন আক্রমণে কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী সিরিজের শুরুটা দুরন্ত ভাবে করেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারলে যে ভারতই ফ্রন্টফুটে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাকিস্তানকে আটকাতে ফিনিশার নিয়েই ভারতীয় শিবিরে আলোচনা

উত্তাপের পারদ চড়ছে। রবিবার এশিয়া কাপে(Asia Cup) মেগা ডুয়েলে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান(INDvPAK)। রহেলগাম ঘটনা হওয়ার পর এই প্রথমবার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচের আগে ফিনিশারের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে সেটা নিয়েই এখন চিন্তায় ভারতীয় ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট। হাতে অপশন রয়েছে অনেক, কিন্তু কাকে সেই পজিশনে পাঠানো হবে তা নিয়েই চলছে নানান হিসাব নিকাশ। তবে মনে করা হচ্ছে যে সঞ্জু স্যামসন(Sanju Samson) কিংবা হার্দিক পাণ্ডিয়া(Hardik Pandya), এই দুজনের মধ্যেই কোনও একজন তারকাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সঞ্জু স্যামসনকে(Sanju Samson) নাকি পাঁচ নম্বরেও খেলোনোরও একটা ভাবনা রয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে। তবে ভারতীয় দলের ব্যটিং কোচ কিন্তু তাঁর ব্যাটিং লাইনআপকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক(Sitangshu Kotak) জানিয়েছেন, “আমাদের সকলেই যথেষ্ট প্রস্তুত যেকোনও জায়গায় ব্যাটিং করার জন্য ম্যাচ ফিনিশ করার জন্য। আমাদের দলে চার থেকে পাঁচজন আগ্রাসী ব্যাটাররা রয়েছেন। তারা যেকোনও পরিস্থিতিতে যেকোনও জায়গায় নিজেদের সেরাটা দিতে পারে। এমনও হতে পারে কোনও ম্যাচে সঞ্জু হয়ত পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করল”। এই ম্যাচ ঘিরে নানান কথাবার্তা শুরু হয়েছে। পহেলগাম ঘটনার জেরে অনেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ বয়কট করা নিয়েও আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে। সোশ্যাব মিডিয়া জুড়ে নানান স্লোগানও উঠছিল। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে বয়কটের জন্য আবেদনও হয়েছিল। যদিও পরে তা নাকোচ হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার প্রভাব কী ভারতীয় ক্রিকেটারদের ওপর পড়েছে। যদিও টিম ম্যানেজমেন্টের সাফ বার্তা, ক্রিকেটাররা এসবের থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন। সীতাংসু কোটাক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা ক্রিকেটের ওপরই প্রধান ফোকাস করছে। বাইরের কোনও কিছুর দিকেই তাদের নজর নেই। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল ভারতীয় দলের বোলার থেকে ব্যাটাররা। সেই ম্যাচে কুলদীপ যাদব ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। এই ম্যাচেও যে ভারতের প্রথম একাদশে খুব একটা বদল হবে না তা বলাই যায়। তবে প্রতিপক্ষ শিবিরে রয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। সেখানে ভারতের ওপেনার আবার একেবারেই তরুণ ক্রিকেটার অভিষেক শর্মা। তিনি কীভাবে সেই চ্যালেঞ্জ সামলান সেদিকেও যে সকলের নজর রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে গিলের মুখে বিরাট, সচিনের কথা

মাঝে আর একটা দিন। এরপরই এশিয়া কাপের(Asia Cup) গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় দল। সেই ম্যাচেই আবার সহ অধিনায়কের দায়িত্ব রয়েছে শুভমন গিলের(Shubman Gill) কাঁধে। দায়িত্ব যে তাঁর কাঁধে অনেকটাই বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে গিলের মুখে তাঁর দুই অনুপ্রেরণার কথা। সচিন তেন্ডুলকর(Sachin Tendulkar) এবং বিরাট কোহলির(Virat Kohli) কথা মাথায় রেখেই নাকি পাক বধের ছক কষছেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। পহেলগাম(Pahelgam) ঘটনার পর এই প্রথমবার ক্রিকেটের বাইশগজে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান(INDvPAK)। ম্যাচ ঘিরে যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাঠের বাইরের পর এবার বাইশ গজেও ভারতীয় দল অপারেশন সিঁদুর করতে পারে কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। তবে তার আগে শুভমন গিল(Shubman Gill) দুজনের কথা মাথায় রেখেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন। সচিন তেন্ডুলকর ছোট থেকেই শুভমন গিলের(Shubman Gill) কাছে অনুপ্রেরণা। ট্যাকটিকাল জিনিস এবং মানসিক পরিকল্পনায় যেমন সচিন তেন্ডুলকরের খেলা তাঁকে সাহায্য করেছেন। তেমনই আবার ক্রিকেটের বাইশগজে রান পাওয়ার যে খিদেটা রয়েছে, সেটা বিরাট কোহলির থেকেই শিখেছেন তিনি। একটি পডকাস্ট শো-এ শুভমন গিল(Shubman Gill) জানিয়েছেন, “আমার অনুপ্রেরণা দুজন। প্রথম জন হলেন সচিন তেন্ডুলকর। তিনি আমার বাবার প্রিয় ক্রিকেটার। তাঁকে দেখেই কার্যত আমার ক্রিকেট খেলতে আসা। সচিন তেন্ডুলকরের থেকে যতটা শিখেছি সেটা হল মানসিক শক্তি এবং নানান ট্যাকটিকাল জিনিস”। তিনি আরও জানান, “বিরাট কোহলিকে যখন দেখতে শুরু করেছিলাম, সেই সময় থেকেই তাঁর মধ্যে খেলার যে খিদে, দৃড়তা সেগুলোই শিখতে শুরু করেছিলাম”। এই এশিয়া কাপে(Asia Cup), বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটিং লাইনআপে যে ভারতীয় দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র শুভমন গিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কার্যত তাঁর কাঁধেই থাকছে রান করার গুরু দায়িত্ব। গ্রুপের সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে নামার আগে সেই শুভমন গিলের মুখে বারবারই সচিন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলির কথা। তাদের কথা মাথায় রেখেই হয়ত পাক বধের ছক কষছেন তিনি। ১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামছে ভারত। সেখানেই অভিষেক শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে থাকছেন শুভমন গিল। পহেলগাম ঘটনার পর এই ম্যাচের গুরুত্ব যে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যে ম্যাচ বয়কটের ডাক দিতে শুরু করেছেন অনেকে। ভারত মাঠে পাকিস্তানকে এবার কড়া জবাবটা দিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভারত!

বুধবার এশিয়া কাপের(Asia Cup) মঞ্চে প্রথম ম্যাচে নামছে ভারত। প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। কিন্তু সেই ম্যাচে নামার আগে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav) মুখে কিন্তু এখন থেকেই পাকিস্তান প্রসঙ্গ। শুরু থেকেই উত্তাপের পারদ চড়তে শুরু করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এখন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের বার্তাই সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav)। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে(Asia Cup) চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামছে ভারত। কাশ্মীর পহেলগাম ঘটনার পর এই প্রথমবার একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী(INDvPAK)। জঙ্গী হানার জোরালো জবাব পাকিস্তানকে আগেই দিয়েছে ভারত। এবার ক্রিকেট মাঠেও যে পাকিস্তানকে ভারতীয় দল শিক্ষা দিতে প্রস্তুত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কার্যত দুই শিবির ঘিরেই উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। শেষপর্যন্ত ভারত(Team India) অধিনায়কের মুখে হাসি ফোটে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে যে শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব দেখা যাবে তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই সূর্যকুমারের। সেভাবেই প্রস্তুতিও সারছে তারা। প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী যে ভারতের কাছে কার্যত একটা প্রস্তুতি ম্যাচই হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। সূর্যকুমার যাদব(Suryakumar Yadav) জানিয়েছেন, “মাঠে তো সবসময়ই আগ্রাসনের খেলা থাকবে। আগ্রাসী মনোভাব ছাড়া কখনোই মাঠে খেলা সম্ভব নয়। আগামীকাল থেকে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছি আমি”। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বেই দেখা হচ্ছে ভারতের। ১৪ সেপ্টেম্বর দুই প্রতিপক্ষ একে অপরের মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচ ঘিরে যেমন সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তেমনই দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যেও চড়ছে উত্তাপের পারদ। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে ভারতীয় শিবিরে। প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশ কেমন হতে পারে তা নিয়েই নানান হিসাব নিকাশ চলছে। বিশেষ করে ভারতের বোলিং লাইনআপ এবং উইকেটকিপার হিসাবে কাকে দেখা যাবে সেই নিয়েই চলছে নানান গুঞ্জন। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।