“ফুটবল খেলতে চাই”, কাতর আবেদন ভারতীয় ফুটবলারদের

আইএসএল(ISL) হওয়া এখন বিশ বাও জলে। বছর শেষ হতে চলল এখনও পর্যন্ত ফেডারেশনে জমা পড়েনি কোনওরকম বিড। তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ফের একবার দ্বারস্থ হচ্ছে। ভারতীয় ফুটবলের(Indian Football) অনিশ্চয়তায় ঘোর সমস্যায় পড়েছেন ভারতীয় ফুটবলাররা। সেই জন্যই এবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যে আইএসএল(ISL) আয়োজকদের কাছে এক বিশেষ আবেদন ভরতীয় ফুটবলারদের(Indian Footballers)। তাদের কথার অর্থ একটাই। পায়ের ফুটবলটা যাতে তাদের পা থেকে সরিয়ে না নেওয়া হয়। এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলের যে অবস্থা, তাতে সুপার কাপ(Super Cup) শেষ হওয়ার পর ভারতীয় ফুটবলে আর বল গড়াবে কিনা তা নিয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না। কারণ দেশের শীর্ষ লিগ ঘিরেই দেখা গিয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। আদৌ আইএসএল ভোরের আলো দেখবে কিনা তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে সকলে। এরইমাঝে এবার ময়দানে নামলেন ফুটবলাররা। সুনীল ছেত্রী(Sunil Chetri) থেকে গুরপ্রীত সিং সান্ধু(Gurpreet Singh Sandhu), শুভাশিস বোস(Shubhasis Bose), সাহাল আব্দুল সামাদরা ফেডরেশনের কাছে এক কাতর আবেদন রেখেছেন। সেই আবেদনের একটাই অর্থ তারা ফুটবলটা খেলতে চায়। যেমন ভাবেই হোক তাদের পায়ে ফুটবলটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তারা যে বিবৃতিতে লিখেছেন, আমাদের রাগ, হতাশা সমস্ত কিছুই এখন পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে মরিয়া ভাবে। যে খেলা আমরা খেলতে বাসি তার প্রতি মরিয়া, সেইসঙ্গে যাদের জন্য সমস্ত কিছু সেই সমর্থকদের সামনে খেলা। যারা এই খেলা আয়োজন করেন তাদের কাছেই আমাদের সবচেয়ে বেশি আবেদন। যেমন করেই হোক এই মরসুমে খেলাটা মাঠে আপনারা ব্যবস্থা করুন। ভারত এই প্রতিযোগিতা এখন যেকোনও কিছুর থেকে বেশি করে চাইছে। আইএসএলের অনিশ্চয়তার মাঝে যে ফুটবলাররাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তাদের পা থেকে যে বলটাই চলে যেতে চলেছে। ফুটবলারদের কাতর আবেদনেও শেষপর্যন্ত বরফ গলে কিনা সেটাই দেখার।
ভারতয়ী ফুটবলে স্পনসর বিসিসিআই!

ঘোর অন্ধকারে ভারতীয় ফুটবল(Indian Football)। দেশের এক নম্বর লিগ আইএসএল(ISL) হবে কিনা সেটা নিয়েই এখন দেখা দিয়েছে সংশয়। ফেডারেশনের(AIFF) গ্লোবাল টেন্ডারে সাড়া দেয়নি কোনও সংস্থা। এমনকি এফএসডিএলও কোনওরকম আগ্রহ দেখায়নি। আর তাতেই ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিঁদূরে মেঘ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। সেই পরিস্থিতিতেই হঠাৎ করে উঠে আসছে বিসিসিআইয়ের নাম। ভারতীয় ফুটবলকে বাঁচাতে বিসিসিআইকেই(BCCI) স্পনসর চাওয়া হচ্ছে! না ফেডারেশন(AIFF) এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও কথাই বলেনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় বিসিসিআইকে(BCCI) ভারতীয় ফুটবলকে স্পনসর করার আবেদন করেছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। অন্তত আগামী চার থেকে পাঁচ বছর ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্ব নেওয়ারই আবেদন করছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থায় দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, যদি বিসিসিআই অন্তত চার থেকে বাঁচ বছর দায়িত্ব নেয় তবে ভারতীয় ফুটবলে এক বিশাল পার্থক্য লক্ষ করা যাবে। কারণ তাদের কাছে ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা সত্যিই বড় কোনও ব্যপার নয়। যদি বিসিসিআই দায়িত্ব নেয়, তবে ভারতীয় ফুটবল অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে। একটিও সংস্থা বিডে আগ্রহ না দেখানোয় ভারতীয় ফুটবলের প্রধান লিগই এখন অনিশ্চয়তায়। সেইসঙ্গে ঘোর অন্ধকারে ভারতীয় ফুটবলের ক্লাব গুলোও। ইতিমধ্যেই মোহনবাগান তদের ফুটবলের যাবতীয় প্রস্তুতি শিবির বাতিল করে দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলও সুপার কাপের পর তেমনই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে। ভারতীয় ফুটবল ঘিরে দেখা দিয়েছে দোলাচল। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে।
আইএসএলের বিড জমা পড়ল না, সংকটে দেশের একনম্বর লিগ!

আইএসএলের ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে। এখনও পর্যন্ত কোনও বিড জমা পড়েনি। প্রাথমিকভাবে বিড করার শেষ দিন ছিল ৫নভেম্বর। কিন্তু কোনও দরপত্র জমা না পড়ায় সেটা আরও দু’দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে কোনও সংস্থা বিড করেনি। ভাবা হয়েছিল শেষপর্যন্ত এফএসডিএল বিড জমা দেবে। শুক্রবার বিড করার শেষ তারিখ ছিল। কিন্তু কোনও বিডই জমা পড়েনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই আইএসএল (ISL) নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। চলতি ডিসেম্বরেই এফএসডিএলের (FSDL) সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে ফেডারেশনের (AIFF)। আইএসএলের জন্য টেন্ডার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফেডারেশন। সেই মতো টেন্ডার ছাড়াও হয়। বিডে অংশ নেওয়ার আগে ফেডারেশনের কাছে ফেডারেশনের টেন্ডার কমিটির কাছে ২৩৪টি প্রশ্ন লিখিত আকারে পাঠিয়েছিল এফএসডিএল। সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছে টেন্ডার কমিটি। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে টেন্ডার কমিটি। এফএসডিএলে যে প্রশ্নগুলি মূলত ছিল, সেগুলিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে আইএসএলের টেন্ডার কমিটি। যেমন বছরে ৩৭.৫ কোটি দেওয়ার প্রসঙ্গে জানিয়েছে, সেটা দিতেই হবে। অবনমন নিয়ে এফএসডিএল প্রশ্ন তুললে সেই প্রসঙ্গেও টেন্ডার কমিটি তাদের উত্তরে জানিয়ে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত নির্দেশে দেয়, দেশের এক নম্বর লিগে চ্যাম্পিয়নশিপ এবং রেলিগেশন দু’টোই থাকবে। এতদিন স্বাধীনভাবে আইএসএল পরিচালনা করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। কিন্তু এবার নতুনভাবে যে সংস্থা যুক্ত হবে, তাঁদের সামনে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। যা মানতে নারাজ তাঁরা। এফএসডিএলের কাছে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ অনেকটাই কমে যাবে নতুন চুক্তিতে। ভাবা হচ্ছে, সেই কারণেই আগ্রহ প্রকাশ করছে না তাঁরা। নতুন বিডাররাও আগ্রহ হারিয়েছে। এখন নভেম্বরের শেষের দিকেও যদি কারও হাতে কোনওভাবে আইএসএল চালানোর দায়িত্ব আসে, তাহলেও জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকের আগে লিগ শুরু করা প্রায় অসম্ভব।
একা এফএসডিএল নয়, আগ্রহী আরও তিন কোম্পানিও

সুদীপ পাকড়াশীঃ আইএসএলের কমার্শিয়াল পার্টনার হওয়ার দৌড়ে বিডিং-য়ের আগে অনলাইনে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিল চার কোম্পানির প্রতিনিধি। এফএসডিএল, যারা গত ১৫ বছর সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কমার্শিয়াল পার্টনার ছিল, আর তার সঙ্গে স্পোর্টা টেকনোলজি, রাক অ্যাডভাইসরি, এবং সুপারসাব ম্যানেজমেন্ট। ফেডারেশন সূত্রে জানা যাচ্ছে সুপারসাব ম্যানেজমেন্টের নেপথ্যে রয়েছে একটি বিদেশি কনসর্টিয়াম। এদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন কেপিএমজি, ফেডারেশনের প্রতিনিধি এবং সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিচারপতি নাগেশ্বর রাও। যার পর্যবক্ষণে আইএসএলের টেন্ডার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। আগামি ৫ নভেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে, ফেডারেশনের নতুন কমার্শিয়াল পার্টনার নির্ধারিত হওয়ার কথা যাদের হাতে আগামিদিনে আইএসএল চলবে। ফেডারেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল বৈঠকে বসা চার কোম্পানির প্রতিনিধিরাই বিডের শর্ত নিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন ফেডারেশন এবং কেপিএমজি-র প্রতিনিধিদের। এফএসডিএলের প্রশ্নের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। নতুন চুক্তি এবং বিড ডকুমেন্ট নিয়ে তারা প্রায় ১০০টি প্রশ্ন করেছেন। বিড ডকুমেন্ট অনুযায়ী সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে তাদের নতুন কমার্শিয়াল পার্টনার প্রত্যেক বছর ন্যনুতম ৩৭.৫ কোটি অথবা গ্রস রেভেনিউয়ের ন্যনুতম ৫ শতাংশ দেওয়ার নিশ্চয়তা দেবে। ফেডারেশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে এফএসডিএলের নতুনভাবে বিড ডকুমেন্ট যাচাই করার প্রচেষ্টায় সন্তুষ্ট হননি কেপিএমজি এবং ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা। বরং, বাকি তিন কোম্পানির প্রতিনিধিদের আইএসএলের স্বত্ব কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখে তারাও উৎসাহিত। তবে, শুধু এই চারটি কোম্পানি নয়, সরাসরি দরপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ অন্যান্য আগ্রহী কোম্পানিদেরও আগামি কয়েকদিনে আছে। গত দু’মরসুম আইএসএল কোনও টাইটেল স্পনসর পায়নি। অথচ, জিন্দাল স্টিলকে ওমান পেশাদার লিগ পেয়ে গেল তার টাইটেল স্পনসর হিসেবে। লিগটি এখন থেকে ওমান জিন্দাল লিগ নামে পরিচিত হবে। অন্যদিকে, এবার থেকে সর্বভারতীয় ইউথ লিগগুলিতে প্রত্যেক দলকে সর্বাধিক দু’জন পিআইও বা ওসিআই ফুটবলারকে রেজিস্ট্রেশন করানো ও খেলানোর অনুমতি দিয়েছে এআইএফএফ। এই নতুন নিয়মকে কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ডে পিআইও বা ওসিআই ফুটবলারদের জন্য ট্রায়ালের আয়োজন করেছে রঞ্জিত বাজাজের মিনার্ভা অ্যাকাডেমি। অনুর্দ্ধ-১৪, অনুর্দ্ধ-১৬ ও অনুর্দ্ধ-১৮ বিভাগে ফুটবলারদের জন্য এফসি খালসার সহযোগিতায় আগামী ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর, ইংল্যান্ডের রেডব্রিজ, হ্যারো ও লেস্টারে ট্রায়ালের আয়োজন করেছে মিনার্ভা অ্যাকাডেমি। এখান থেকে বাছাইকৃত ফুটবলাররা এমআইসি কাপে ও এআইএফএফ ইউথ লিগে খেলার সুযোগ পাবেন।
আইএসএলে উত্তীর্ণ হয়ে হোম-ম্যাচের ভেনু ঠিক করতে উত্তরপ্রদেশ ফুটবল সংস্থা, আইএসএলের আয়োজকদের সহায়তা চাইবে ইন্টার কাশী

সুদীপ পাকড়াশীঃ এই মরশুমের আইএসএলে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ১৩ থেকে বেড়ে ১৪ হল। বুধবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) তরফে গত মরশুমের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার কাশীকে (Inter Kashi) চিঠি দিয়ে জানানো হল তারা আইএসএলে উত্তীর্ণ হয়েছে। ফেডারেশনের তরফ থেকে আসা চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘দীর্ঘ আলোচনা এবং CAS-এর রায়কে মান্যতা দিয়েই এআইএফএফ ইন্টার কাশীকে আনুষ্ঠানিকভাবে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করছে। ফিফার সদস্য হিসেবে ফেডারেশন ক্যাসের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরিভাবে সম্মান করে। আই লিগ এবং ভারতীয় ফুটবলের গঠনতন্ত্রকে সম্মান জানিয়ে, এআইএফএফ এবার ইন্টার কাশীকে আগামী মরশুমের জন্য আইএসএল খেলার ছাড়পত্র দিচ্ছে। ইন্টার কাশী, আইএসএল-এর আর্থিক এবং টেকনিক্যাল সমস্ত নিয়মও পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।’ তবে আইএসএলে পা রাখার আগে ইন্টার কাশীর গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হোম-ম্যাচের ভেনু স্থির করা। গত দু’বছর ধরে বারাণসীর সিগরায় সম্পূর্ণানন্দ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ফুটবল স্টেডিয়ামটি ইন্টার কাশী লিজ নেওয়ার চেষ্টা করছে নিজেদের হোম ম্যাচের ভেনু করার জন্য। কিন্তু স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই মরশুমে সেই কাজ শেষ হওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা। ইন্টার কাশির প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীজিৎ দাস বুধবার প্যারালাল স্পোর্টসকে ফোনে বললেন, “সিগরায় স্টেডিয়ামের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এবছর শেষ হবে কি না সেই নিয়েও প্রবল অনিশ্চয়তা। তবে আগামি মরশুমে আমরা বারাণসীতেই আইএসএলের হোম-ম্যাচ খেলব।” গত দু’মরশুম ইন্টার কাশী কল্যাণী স্টেডিয়ামে আই লিগে হোম-ম্যাচ খেলেছিল। কিন্তু কল্যাণী স্টেডিয়াম আইএসএলের জন্য অনুমোদিত হয়নি। ক্লাব প্রেসিডেন্ট জানালেন তারা উত্তর প্রদেশ ফুটবল সংস্থা এবং এআইএফএফের সহায়তা চাইবেন এই বিষয়ে। “উত্তর প্রদেশ ফুটবল সংস্থা, আইএসএলের আয়োজক এবং সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমরা কথা বলব এই মরশুমের আইএসএলে আমাদের হোম-ম্যাচের ভেনু নিয়ে। ওরা এবছরটা একটু সহায়তা করুক। আমরা নিশ্চিত যে, পরের মরশুমে বারাণসীতেই আমাদের হোম-ম্যাচের ভেনু স্থির হয়ে যাবে। আই লিগে সুযোগ পাওয়ার পর ফেডারেশনকে আমরা কিন্তু বলেছিলাম যে পাঁচ বছরে আমাদের নিজস্ব মাঠ আর স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে যাবে,” বললেন পৃথ্বীজিৎ দাস। আইএসএলের দল কি নতুন হবে? দাসের জবাব, “যে ফুটবলারদের জন্য আমরা আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হলাম তাদের ছেড়ে দেওয়া কি মানবিক হবে? এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ ফুটবলারকেই রেখে দেওয়ার ভাবনা আছে, যদি না কেউ অন্য ক্লাব থেকে ভাল আর্থিক প্রস্তাবে চলে যায়। এছাড়া, কোচ হাবাসের পরামর্শে ভাল বিদেশি আনার চেষ্টা তো করবই।”
কলকাতা লিগের সম্প্রচারকে আইএসএলের মানে নিয়ে যেতে চায় শ্রাচী স্পোর্টস

সম্ভবত তিন দশক পর কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিডশন লিগের সম্প্রচার হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায়। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের সুপার-সিক্স’ বা চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডের ম্যাচে ২০ জনের প্রোডাকশন দলের নেতৃত্বে ‘বিগ-লেন্স’ বক্স-লেন্স’ ক্যামেরার মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হল। ৯০-এর শেষের দিকে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ এবং আইএফএ শিল্ডের ম্যাচ লাইভ-স্ট্রিমিং করার সময়ও এরকম আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছিল আইএফএ-র সেই সময়ের কমার্শিয়াল পার্টনার ইএসপিএন। এই বিষয়ে শ্রাচী স্পোর্টসের কর্ণধার রাহুল টোডি বললেন, “কলকাতা এবং বাংলার ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে আমার মনে হয়েছে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের সম্প্রচারের মানকে এমন একটা পর্যায়ে উন্নত করতে হবে যাতে দর্শকদের মনে হয় তারা আইএসএল দেখছে। ‘সুপার-সিক্সের’ ম্যাচ আমাদের অ্যাপ এসএসইএনের মাধ্যমে যারা দেখলেন আজ তাদেরও এই অনুভূতিটাই হবে বলে আমার আশা। এর পর আমরা বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগও শুরু করব। সেই লিগের লাইভ-স্ট্রিমিংও অত্যাধুনিক মানেরই হবে।” আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তও টোডীর সঙ্গে একমত হয়ে বললেন, “বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডের ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং দেখে আমার মনে হল ভারতের টপ-টায়ার লিগের সম্প্রচারের সঙ্গে কলকাতা লিগের সম্প্রচারকে অনায়াসে তুলনা করা যায়।”
এই মরশুমের আইএসএল নিয়ে ফেডারেশন আর এফএসডিএলকে সুপ্রিম কোর্ট বসতে বলল; পাঁচ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে কোর্টকে!

এই মরশুমে আইএসএল কি হবে? দেশের ফুটবল ভক্তদের কাছে এখনও নিশ্চিতভাবে তার আশ্বাস নেই। শুক্রবার, নির্ধারিত শুনানির দিনে, সুপ্রিম কোর্টের দুই প্রধান বিচারপতি, মাননীয় পিএস নরসিমা এবং মাননীয় জয়মাল্য বাগচি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এবং আইএসএলের আয়োজক, এফএসডিএল নিযুক্ত আইনজীবীকে নির্দেশ দিলেন, এই মরশুমে আইএসএল আয়োজনের যে জট তৈরি হয়েছে তা ছাড়ানোর জন্য আলোচনায় বসতে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামি ২৮ অগস্ট কোর্টে যে শুনানি আছে সেখানে ফেডারেশন এবং এফএসডিএল-কে জানাতে হবে আইএসএল নিয়ে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, সিদ্ধান্তের জন্য মাত্র পাঁচ দিনের সময়ে খুশি নয় আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল! অতএব, ২৮ অগস্ট দেশের ফুটবল ভক্তদের কাছে ছবিটা পরিষ্কার হবে যে এই মরশুমে আদৌ আইএসএল হবে কি না। এর আগে আইএসএলের ক্লাবগুলি বর্ষীয়ান আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আইএসএলের অচলাবস্থা কাটাতে আবেদন করেছিল। তিনি টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য বিচারপতি পিএস নরসীমা এবং বিচারপতি অতুল চন্দুরকরের বেঞ্চের কাছে আবেদন করেন। একইসঙ্গে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা জানিয়েছেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি নিয়েও তাদের রায় তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। ২৮ অগস্ট রায় দেওয়ার আগে তারা ন্যাশনাল স্পোর্টস বিলে উল্লিখিত প্রশাসন সংক্রান্ত অংশটি আলোচনা করে তাদের রায়ে ঢোকাতে চান। আইএসএলের ১১টি ক্লাব সম্মিলিতভাবে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর এবার এফএসডিএল এবং ফেডারেশনের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ক্লাবগুলি। এখন দেখার, ২৮ আগস্টের মধ্যে আইএসএল নিয়ে এই অচলাবস্থা কাটে কি না।
ফিফা, আই-লিগ করানো রেফারিদের লেভেল-৬-এ নামিয়ে নতুন ‘পলিসি’ ফেডারেশনের!

দেশের আটটি রাজ্যের আটজন রেফারি। তাদের কেউ ফিফা ব্যাজ পেয়ে নিয়মিত আইএসএল, আই লিগ পরিচালনা করিয়েছেন। কেউ নিয়মিত আই লিগ করিয়েছেন। রেফারিং-এর ভাষায় বলা হয় তাদের ক্যাটেগরি-২ নম্বরে। হঠাৎ সেই রেফারিদের উদ্দেশে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি কমিটি একটি মেল পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এক বছরে, মানে গত বছরে দু’বার ফিটনেস পরীক্ষায় পাস না করতে পারার জন্য তাদের ৬ নম্বর লেভেলে নামিয়ে দেওয়া হল! মানে আই লিগ তো দুরের কথা, লেভেল-৬-এ নেমে যাওয়া রেফারিরা দেশের কোনও প্রথম সারির টুর্নামেন্টের ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন না! আশ্চর্যের বিষয়, এই ই-মেল কিন্তু গতবছর রেফারিদের ফিটনেস পরীক্ষার আগে পাঠানো হয়নি। আরও আশ্চর্যের বিষয়, যে আটজন রেফারিকে তাদের অর্জিত লেভেল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের কেউই কিন্তু দু’বার ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হননি! প্রথমবার পাস না করতে পারলেও একমাসের মধ্যে আবার হওয়া ফিটনেস পরীক্ষায় তারা পাস করেছেন। ১২ ল্যাপ দৌড়ে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় পাস করার উদাহরণও আছে। যার প্রতিফলনে, তারা তাদের ডিগ্রি অনুযায়ী প্রাপ্য ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বও পেয়েছেন। কেউ আই লিগের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। কেউ আইএসএলেও ম্যাচের রেফারিদের প্যানেলে নথীভূক্ত হয়েছেন। তারপর এই প্রহসন কেন? তাহলে কি এই আটজনের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র করা হল? ভারতীয় ফুটবলের চিফ রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটলের কাছে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকী, রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান কে.শঙ্করকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। আটজন রেফারি এখন বিচারের জন্য তাকিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবের দিকে। সম্মিলিতভাবে প্রেসিডেন্টকে তারা নথীপত্র-সহ মেল পাঠিয়ে জানতে চাইবেন কেন তারা অবিচারের শিকার হুলেন? তাতেও যদি বিচার না পাওয়া যায় তখন পরবর্তী পদক্ষেপ।
আইএসএলের সমাধানের মিটিংয়ে ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের মুখে ‘সুপার কাপের’ কথা!

এই মরশুমে আইএসএলের অনিশ্চয়তা কাটাতে ১৩টি ক্লাবের প্রতিনিধিকে নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে বৃহস্পতিবার বৈঠক করলেন দিল্লিতে। কিন্তু আইএসএল শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তার জট কাটাতে পারলেন না। ‘আইএসএল হবেই’ বলেও ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের মুখে শোনা গেল সুপার কাপের কথা! ১৩টা আইএসএল ক্লাবের মধ্যে আটটা ক্লাবই আইএসএলের জন্য দলগঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকী চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের বেতনও তারা স্থগিত করে দিয়েছে। এই অবস্থায় ক্লাব প্রতিনিধিরা নির্দিষ্টভাবে একটা আশ্বাস চেয়েছিলেন। কিন্তু ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট সেই আশ্বাস দিতে পারেননি। বরং সাংবাদিক বৈঠকে তার মন্তব্য, “আইএসএল হবেই। কিন্তু আপাতত আমরা ভেবেছি সুপার কাপকে মরশুমের প্রথম টুর্নামেন্ট হিসেবে আয়োজন করার। আজ, ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল, এই মরশুমে তারা কীভাবে এগোবে, পরিকল্পনা করবে। ৩১ অগস্ট প্রথম ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হয়ে যাচ্ছে। তারপর প্রাক-মরশুমের ট্রেনিংও শুরু করতে হবে। ফুটবল তো বন্ধ থাকবে না। জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। সব কিছু ভেবেই আমরা সুপার কাপ দিয়ে মরশুম শুরু করার পরিকল্পনা করছি।” ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের এই আশ্বাসে চিড়ে যে ভিজেছে বলা কঠিন। কারণ, জানা গিয়েছে, ১৩টি ক্লাবের প্রতিনিধি বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন সুপার কাপ তারা খেলবেন, কিন্তু আইএসএল নিয়ে নির্দিষ্টভাবে আশ্বাস পাওয়ার পরই। ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এনএ হ্যারিসও আইএসএলের অনিশ্চয়তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলে দিয়েছেন, “সুপ্রিম কোর্টের হাতে সিদ্ধান্ত। আমরা দ্রুত সমাধান চাইলেও কিছু করার নেই আমাদের।” ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন আগামি ১০ দিনের মধ্যে আবার বৈঠক হবে সুপার কাপের ফর্ম্যাট ও সূচি নিয়ে।
ওড়িশা এফসি-র মালিক জানালেন, ক্লাব বন্ধ হচ্ছে না

ওড়িশা এফসি-র মালিক রোহন শর্মা জানিয়ে দিলেন তাঁরা ক্লাব বন্ধ করছেন না। ক্লাবের মহিলা দল চালু থাকছে। শুধু আইএসএল শুরু হওয়া নিয়ে এখনও অনিশ্চিয়তা জারি থাকায় তাঁরা ক্ষতি কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই প্রতিফলনে, পুরুষ দলের ফুটবলার ও কোচদের সঙ্গে আপৎকালীন ভিত্তিতে চুক্তি ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব কিছু স্বাভাবিক হলে ওড়িশা এফসি আবার দলগঠনের কাজে লেগে পড়বে। কিন্তু ব্যাপার হলো এভাবে কতদিন চলবে? আইএসএল শুরু না হলে কি ফুটবলই হবে না? অনেক বাধা সত্ত্বেও সেনাবাহিনী দৃঢ়তা দেখিয়ে এখন ডুরাণ্ড কাপ আয়োজন করছে। তাহলে এআইএফএফ কেন ফেডারেশন কাপ বা সুপার কাপের আয়োজনের ব্যাপারে পরিস্কার করে কিছু বলছে না? আইএসএল যদি এই মরসুমের জন্য আয়োজন না করা যায় অথবা যদি এফএসডিএলের সঙ্গে নতুন চুক্তি সই হওয়ার পর জানুয়ারি থেকে হয়, তাহলে মাঝের সময়টা ক্লাবগুলো ও ফুটবলারদের নিয়ে এআইএফএফের প্ল্যান বি কি রয়েছে, তারও কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই বলতে পারেন এফএসডিএলের থেকে টাকা না এলে এসব প্রতিযোগিতা কিছুই আয়োজিত হতে পারবে না। কিন্তু আগে তো এফএসডিএলের টাকা আসতো না, তখন একবছরের জন্যেও আই লিগ বা ফেডারেশন কাপ বন্ধ থাকতো? থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কোনো দেশেরই ফেডারেশনে তো এফএসডিএলের মতো বছরে ৫০ কোটি টাকা আসে না, তাদের লিগ বা কাপ কি বন্ধ থাকে? অন্যদিকে, নরওয়ে কাপে চ্যাম্পিয়ন হলো ভারতের মিনার্ভা অ্যাকাডেমি এফসি। ফাইনালে সেদেশের স্বেরেসবর্গ আইএফ দলকে ১৪-১ গোলে হারাল তারা। চলতি স্ক্যান্ডিনেভিয়া সফরে হেলসিঙ্কি কাপে রানার্স হওয়ার পর টানা গোথিয়া কাপ ও ডানা কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার নরওয়ে কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করে ভারতে ফিরছে মিনার্ভা অ্যাকাডেমি এফসি।