ডার্বি ড্র করেই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল, বিদায় মোহনবাগানের

সুপার কাপের ডার্বি(Kolkata Tderby) ড্র। আক্রমণের ঝড় তুললেও, গোল করতে ব্যর্থ অস্কারের(Oscar Bruzon) দল। অগোছালো ফুটবল খেলল মোহনবাগানও(MBSG)। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠে লাল-হলুদ উচ্ছ্বাস। মোহনবাগানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেই সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছলে গেল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেও, এত সুযোগ নষ্ট কিন্তু অস্কারের(Oscar Bruzon) চিন্তা খানিকটা হলেও রেখেই দিল। অন্যদিকে হোসে মোলিনার প্রথম একাদশ বাছা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে। শিল্ড জয়ের পর সুপার কাপ পাখির চোখ হলেও, ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) কাছেই আটকে গেল মোহনবাগানের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। অন্যদিকে মরসুমের প্রথম ট্রফি জয়ের থেকে আর মাত্র দু ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল। এদিন গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকেই নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। তাদের প্রয়োজন ছিল একটা ড্রয়ের। অন্যদিকে মোহনবাগানকে জিততেই হত। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই ভয়ঙ্কর আক্রমণ। দুই উইং দিয়ে মহেশ(Naorem Mahesh), বিপিনের(Bipin Singh) পারফরম্যান্স বারবারই সমস্যায় ফেলছিল মোহনবাগানকে(MBSG)। প্রথম ২৭ মিনিটের মধ্যেই দুটো সুবর্ন সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোহনবাগানের জালে জড়াতে পারেনি। মিগুয়েলের(Miguel) বাড়ানো বল বিপিন মাথায় ছোঁয়ালেও, তা বারে লেগেই ব্যর্থ হয়। মোহনবাগানের(MBSG) মাঝমাঠ সেভাবে আক্রমণের বিল্ডআপটাই করতে পারেনি। বরং বারবার ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ সামাল দিতেই ব্যস্ত ছিলেন অলড্রেড, রডরিগেজরা। যে লিস্টন(Liston Colaco) মোহনবাগানের উইংয়ে প্রধান ভারসা। প্রথমার্ধে বারবারই ব্যর্থ হতে দেখা গেল তাঁকে। ম্যাকলরেনও(Jamie Maclaren) সেভাবে কোনওরকম প্রভাব দেখাতে পারেননি। বরং উল্টো দিকে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) বারবারই হানা দিচ্ছিল মোহনবাগান বক্সে। মহেশ, হামিদ,মিগুয়েলরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যেতেই পারত। বিরতির পর থেকেই ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা ছিল মোহনবাগান। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের দাপটই ছিল বেশি। ম্যাচের বয়স যখন এক ঘন্টা সেই সময় থেকেই মোহনবাগান পরপর কামিন্স, দিমিত্রিদের মাঠা পাঠাতে শুরু করে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে তারা চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও, বারবারই আটকে যাচ্ছিল। তবে রবসন রোবিনহো নামার পর মোহনবাগান দুটো ভালো সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু জালে জড়াতে পারেনি। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের পাল্টা আক্রমণও ছিল দেখার মতো। হামিদের শট কাইথের হাতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্ণার থেকে জয় গুপ্তার জোড়ালো হেড, কিন্তু সেটাও আটকে দিলেন বিশাল কাইথ। তারই মাঝে হিরোশি এবং বিষ্ণুকে মাঠে নামিয়ে দিয়োছিলেন অস্কার। হিরোশির বাড়ানো বল বিষ্ণু যদি কাজে লাগাতে পারতেন, ডার্বির মঞ্চে একমাত্র গোলদাতা হিসাবে থাকতেই পারতেন তিনি। শেষ কিছুক্ষণ ইস্টবেঙ্গলের সময় নষ্টের খেলা। রেফারির বাঁশি বাজতেই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল।
ডার্বিতে গোল পেতে সেটপিস ও শুটিংয়েই ফোকাস মোলিনার

শুক্রবার ডার্বির(Kolkata Derby) মহারণ। তার আগে শুটিং এবং সেটপিসের ওপরই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন হোসে মোলিনা(Jose Molina)। ইস্টবেঙ্গলের থেকে পিছিয়ে থেকে নামছে মোহনবাগান(MBSG)। মরণ বাঁচন ম্যাচে জয় ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। সেই কারণেই চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে যাতে কোনওরকম ভুলের অবকাশ নেই। ম্যাচের আগের দিনের প্রস্তুতিতে সেই দিকেই বাড়তি নজর দিলেন হোসে মোলিনা(Jose Molina)। বিশেষ করে আক্রমণ ভাগের ফুটবলারদের শুটিংয়ের ওপরই দিলেন বাড়তি নজর। কারণ শেষ দুটো ম্যাচেই বারবার সুযোগ নষ্ট করতে দেখা গিয়েছে সবুজ-মেরুন(MBSG) ফুটবলারদের। গতম্যাচের ভুল এই ম্যাচে না হয় সেদিকেই বাড়তি নজর দিচ্ছিলেন হোসে মোলিনা(Jose Molina)। একইরকমভাবে সেটপিস পেলেও, এখনও পর্যন্ত সেগুলোকে একটাও গোলে কনভার্ট করতে পারেননি মনবীর(Manvir Singh), সাহালরা(Sahal Abdul Samad)। শেষ ম্যাচে সেই ছবি বারবার দেখা গিয়েছে। কোচ মোলিনা কিন্তু এই দিকটা নিয়েই সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। তাই তো ম্যাচের আগের দিন মোলিনার ফোকাস শুধুই শুটিং এবং সেটপিসের দিকে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ যে বাছা হয়ে গিয়েছে তা বেশ স্পষ্ট। গত ম্যাচে জেমি ম্যাকলরেনকে(Jamie Maclaren) প্রথম থেকে খেলাননি তিনি। রবসন(Robson Robinho), দিমি(Dimitri Petratos) এবং কামিন্সের(Jason Cummins) ওপরই বেশি ভরসা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই ছকে সাফল্য আসেনি। এদিন যে প্রথম একাদশে বেশ কিছু বদল আসতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুরু থেকে কামিন্স এবং ম্যাকলরেন শুরু করলে অবাক হওয়ার মতো কিছুই থাকবে না। সেইসঙ্গে রক্ষণে অলড্রেড এবং অ্যালবার্তো রডরিগেজকে শুরু থেকেই রক্ষণের দায়িত্বে দেখা যেতেই পারে। সেইসঙ্গে শুভাশিস, মেহতাব সিংরা তো রয়েছেনই। তবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে যে সাহাল ও লিস্টনের ওপর দায়িত্ব খানিকটা হলেও বেশি থাকবে তা বলাই যায়। শিল্ডের পর সুপার কাপের ডার্বির রংও সবুজ মেরুন হয় কিনা সেটাই দেখার।
সুযোগ নষ্টের খেলা, ডেম্পোর কাছে আটকে চাপ বাড়ল মোহনবাগানের

ইস্টবেঙ্গলের পর মোহনবাগানও(MBSG)। সেই ডেম্পোর কাছেই আটকে গেল। দিমিত্রি(Dimitri Petratos), কামিন্স(Jason Cummings), রবসনদের(Robson Robinho) শুরু থেকেও নামালেও, ব্যর্থ মোলিনার(Jose Molina) ছক। গোলশূন্য ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। একের পর এক আক্রমণে সুযোগ তারা তৈরি করল ঠিকই, কখনও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক তো কখনও আবার নিজেরাই লক্ষ্য ভ্রষ্ট হলেন মোহনবাগান(MBSG) তারকারা। আর তাতেই পয়েন্ট নষ্ট। ডার্বিতেই নির্ধারিত হবে পরের রাউন্ডে দুই প্রধানের মধ্যে কোন দল যাবে। এদিন ছক বদলেছিলেন ঠিকই, কিন্তু ধারেভাবে অনেক যোজন পিছিয়ে থাকা ডেম্পোর রক্ষণাত্মক ছকের কাছে থামতেই হল মোলিনার(Jose Molina) দলকে। সকলকে চমকে দিয়ে এদিন শুরু থেকেই রবসন(Robson Robinho), পেত্রাতোস(Dimitri Petratos) এবং কামিন্সকে মাঠে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন হোসে মোলিনা(Jose Molina)। সেইসঙ্গে রক্ষণেও বিদেশি হিসাবে রেখেছলেন শুধুমাত্র টম অলড্রেডকে। খানিকটা আক্রমণাত্মক ছকই সাজিয়েছিলেন সবুজ-মেরুন(MBSG) কোচ মোলিনা(Jose Molina)। কিন্তু কোনও লাভ হল না। সেইসঙ্গে পেত্রাতস, কামিন্স, সাহালদের একের পর এক সুযোগ নষ্ট। সব মিলিয়ে খানিকটা ছন্নছাড়া ফুটবলই যেন খেলল মোহনবাগান ব্রিগেড। ম্যাচের ২২ মিনিটে পেত্রাতোসের প্রথম আক্রমণ, কিন্তু ব্যর্থ। কিছক্ষণের মধ্যেই কামিন্সও আটকে যান রক্ষণের কাছেই। ম্যাচের বয়স যখন ৩৬ আশিস রাইয়ের কাছে সবচেয়ে ভালো সুযোগ, কিন্তু তাঁর হেড সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষক সিবির হাতে। রবসন, কামিন্স জুটি চেষ্টা করলেও প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি। বিরতির পর ফের ছক বদল হোসে মোলিনার(Jose Molina)। কিন্তু সুযোগ নষ্টের খেলার ছবিটা বদলায়নি। ৫৬ মিনিটের মাথায় রবসনের দুরন্ত ড্রিবল করে বক্সে ঢুকে শট, কিন্তু ডেম্পোর গোলরক্ষর বাঁচিয়ে দেন। পেত্রাতোসের বাড়ানো বল থেকে ম্যাকলরেনের শট। কিন্তু তাও বাইরেই যায়। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ম্যাকলরেনের পাশাপাশি ততক্ষণে আপুইয়া, মনবীরদেরও মাঠে পাঠাতে খুব একটা দেরী করেননি হোসে মোলিনা। কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেনি। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে মনবীর সিং সহজ সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন। আশিস রাইয়ের বাড়ানো বল থেকে তাঁর হেড, কিন্তু এবারও তা গোলরক্ষের দক্ষতায় ব্যর্থ হয়। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে মনবীরের হেড, কিন্তু এবার গোলের বাইরে। এই সুযোগ রাজে লাগাতে পারলে শেষ মুহূর্তে মোলিনার মুখে হাসি ফুটতেই পারত। ম্যাচ ড্র করে মোহনবাগান যে একটু হলেও চাপ বাড়িয়ে ফেলল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ডার্বিতেই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
ডেম্পোকে নিয়ে সাবধানী, আবহাওয়াই ভাবাচ্ছে মোলিনাকে

ইস্টবেঙ্গলকে রুখে দিয়েছিল। এবার সেই ডেম্পোর(Dempo Sc) সামনে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও, ডেম্পোকে কিন্তু একেবারেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না মোহনবাগান(MBSG) কোচ হোসে মোলিনা(Jose Molina)। কারণ গত ম্যাচে তারা দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিয়েছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই অত্যন্ত সতর্ক হোসে মোলিনা(Jose Molina)। ইস্টবেঙ্গলের করা ভুল গুলো যাতে তাঁর দল না করে সেদিকেই বাড়তি নজর দিচ্ছেন তিনি। সেইসঙ্গে গোয়ার আবহাওয়াটাও খানিকটা চিন্তায় রাখছে মোহনবাগান কোচ মোলিনাকে(Jose Molina)। কারণ গোয়ার বৃষ্টিতে বারবারই সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছিল মোহনবাগানকে। বিশেষ করে বল বাড়ানো এবং রিসিভ করার ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেই কারণে তো ভালোভাবেই ডেম্পোর ম্যাচ দেখেছে গোটা দল। সেইভাবেই নিজেদের ছকও প্রস্তুত করেছেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা(Jose Molina)। কিন্তু ডেম্পোকে নিয়ে যেন একটু বাড়তিই সতর্ক তারা। কারণ আবহাওয়া(Climate) যদি আগের দিনের মতোই থাকে, তবে লোকাল দল হিসাবে সেই সুযোগ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাবে ডেম্পো। সেই মতোই প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা মেপেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারল মোহনবাগান। শোনাযাচ্ছে এই ম্যাচেও নাকি দলে খুব একটা পরিবর্তন আনার ভাবনা নেই হোসে মোলিনার। গত ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন ম্যাকলরেন। সেইসঙ্গে লিস্টন, মনবীররাও ছিলেন ছন্দে। এই ম্যাচেও তাদের ওপরই হয়ত ভরসা রাখতে চলেছেন মোলিনা। শিল্ড জিতে এই মুহূর্তে মোহনবাগান যে বেশ আত্মবিশ্বাসী তা প্রথম ম্যাচেই বোঝা গিয়েছে। এখন তাদের লক্ষ্য সুপার কাপ। সেখানে চেন্নাইকে হারিয়ে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। এবার ডেম্পোকে হারাতে পারলেই কার্যত পরের রাউন্ডের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে তারা। সেই কারণেই তো মোলিনার মুখে বারবারই সাবধানতার কথা। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
ম্যাকলরেনের জোড়া গোলে যাত্রা শুরু মোহনবাগানের

জেমি ম্যাকলরেনের(Jamie Maclaren) জোড়া গোল। চেন্নাইয়িন এফসিকে(Chennaiyin Fc) হারিয়ে সুপার কাপে(Super Cup) দাপটের সঙ্গেই শুরুটা করল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। চেন্নাইয়িন এফসিকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিল হোসে মোলিনার(Jose Molina) দল। তাও আবার তিন বিদেশি নামিয়েও বাজিমাত করলেন তিনি। প্রথম একাদশে এদিন তিন বিদেশি রেখেই দল সাজিয়েছিলেন মোলিনা। চোট সারিয়ে ফিরে মনবীর(Manvir Singh) যেমন দুরন্ত ফর্মে। তেমনই শুভাশিস, থাপারাও ছিলেন নিজেদের সেরা ফর্মে। শুরুর দিকে চেন্নাইয়িন এফসি কয়েকটা আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও, সময় যত গড়ায় ততই ম্যাচ নিজেদের দখলে নিতে থাকে মোহনবাগান(MBSG)। ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথাতেই লিস্টনের(Liston Colaco) ফ্রিকিক থেকে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন অলড্রেড। তবে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ২১ মিনিটের মাথায় সাহাল লিস্টনের বাড়ানো বল কাজে লাগাতে পারলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু বৃষ্টি ভেজা মাঠে কিছু কিছিু হিসাব নিকাশ বারবারই গন্ডোগোল হয়ে যাচ্ছিল মোহনবাগানের। তবে প্রথম গোল পেতে বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। ৩৮ মিনিটের মাথায় সেই লিস্টনেরই বাড়ানো বল। এবার আর কোনও ভুল করেননি জেমি ম্যাকলরেন(Jamie Maclaren)। তাঁর দুরন্ত শট জড়িয়ে দেন জালে। Two goals. Clean sheet. Perfect start. ✅#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন #AIFFSuperCup #MBSGCFC pic.twitter.com/p2tXCjokmo — Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) October 25, 2025 এরপরও অবশ্য কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান(MBSG), তবে কাজে লাগাতে পারেনি। তবে প্রবল বৃষ্টিতে ভেজা মাঠ এদিন খানিকটা সমস্যায় ফেলেছিল মোলিনার দলকে। বারবারই বল বাড়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল তাদের। বিরতির পরও মোহনবাগনের আক্রমণই ছিল বেশি। মনবীর, শুভাশিস এবং লিস্টনদের হাত ধরে বারবার চেন্নাইয়ের ডিফেন্সকে পরীক্ষায় ফেলছিল মোহনবাগান। প্রীতম কোটালকে বাদ দিয়ে কেউই এদিন সেভাবে মোহনবাগানের আক্রমণকে আটকাতে পারছিলেন না। মনবীরেরই বাড়ানো পাস থেকে আবারও সেই ম্যাকলরেনেরই গোল। ম্যাচের বয়স তখন ৬৭ মিনিট। এরপরই ম্যাকলরেনকে(Jamie Maclaren) তুলে নিয়ে কামিন্সকে মাঠে পাঠান মোলিনা। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে কামিন্সও সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার। গোলের ব্যবধান এরপর আর মোহনবাগান বাড়াতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু শুরুতেই যে অনেকটা এগিয়ে গেল তারা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিশালের বিশ্বস্ত হাতে শিল্ডের রং সবুজ-মেরুন, ব্যর্থ অস্কারের শেষ মুহূর্তের চমক

পেনাল্টি স্পেশ্যালিস্ট বিশাল কাইথ(Vishal Kaith)। তাঁর বিশ্বস্ত হাতেই শিল্ড এবার মোহনবাগানের(MBSG)। জয় গুপ্তার(Jay Gupta) শট বাঁচানর পর থেকেই শুরু হয়েছিল অপেক্ষাটা। মেহতাব সিং( Mehtab Singh)শেষ শট নিতেই যুবভারতীতে শুরু সবুজ-মেরুন উল্লাস। টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলকে(Eastbengal) ৫-৪ গোলে হারিয়ে দীর্ঘদিন পর ফের আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান(MBSG)। হিরোশি(Hiroshi Ibusuki) ম্যাজিক দেখতে পেল না যুবভারতী। শেষমুহূর্তে দেবজিতকে নামিয়েও চমক দিতে পারলেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। নির্ধারিত সময়ে এদিন ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। অবশেষে টাই ব্রেকারেই নির্ধারিত হয় শিল্ড চ্যাম্পিয়ন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ মহেশ হলেও, মোহনবাগান শিবিরের নায়ক যে বিশাল(Vishal Kaith) তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর হাত ধরেই তো ২১ তম শিল্ড(Ifa Shield) জিতল মোহনবাগান। এদিন ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) বিরুদ্ধে শুরু থেকেই গোল তুলে নিতে মরিয়া ছিল মোহনবাগান(MBSG)। ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় লিস্টন এবং ৮ মিনিটের মুখে ম্যাকলরেন(Jamie Maclaren) সহজ সুযোগ মিস না করলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যদিও তেমনটা হয়নি। ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) শুরু থেকে বলের দখল রাখলেও, বারবারই মোহনবাগান বক্সে আটকে যাচ্ছিল। ম্যাচের বয়স যখন ৩২ মিনিট। আনোয়ারের ভুলে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। যে কামিন্স(Jason Cummins) তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা, তিনি বল মারলেন বাইরে। এরপর থেকেই যেন গোল পেতে মরিয়া আক্রমণ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। মুহূর্মুহু ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে ৩৫ মিনিটের মাথাতেই সাফল্য। মহেশের বাড়ানো পাসে হামিদের(Hamid Ahadad) গোল। মোহনবাগানকে(MBSG) পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আগেই বারবার আক্রমণে যায় ইস্টবেঙ্গল। কখনও বিপিন তো কখনও মহেশের সাজানো পাস হামিদ মিস না করলে হ্যাটট্রিক করে ফেলেই পারতেন। মোহনবাগান গ্যালারী তখন চুপচাপ। অবশেষে তাদের ত্রাতা সেই আপুইয়া(Apuia)। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে আপুইয়ার(Apuia) দুরন্ত শট। সমতায় ফেরে মোহনবাগান। বিরতির পর কোন পক্ষ এগিয়ে যায় সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। কিন্তু প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও মোহনবাগানের সুযোগ নষ্টের খেলা ছিল অব্যহত। সেইসঙ্গে খানিকটা অনিয়ন্ত্রিত ফুটবলই যেন খেলছিল ইস্টবেঙ্গলও। আক্রমণে জোর বাড়াতে ৬৩ মিনিটে অস্কারের(Oscar Bruzon) একসঙ্গে তিনটি বদল। একসঙ্গে মাঠে আসেন হিরোশি এবং জয় গুপ্তা। কিন্তু যে হিরোশিকে নিয়ে এত হৈচৈ তিনি কিছুই করতে পারেননি। বেশ কয়েকটা হেড নিলেও তা ছিল নিস্প্রভ। অন্যদিকে মোলিনাও(Jose Molina) পরপর বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে আসেন রবসন(Robson Robinho)। মিগুয়েল(Miguel) বনাম রবসন লড়াই দেখার জন্য তখন সকলে মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু ডার্বির মঞ্চে দুই দলের ব্রাজিলিয় তারকাই কিন্তু সেভাবে নজর কাড়তে পারল না। রবসন কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি লিস্টন, ম্যাকলরেনরা। কিন্তু সকলের নজরই তখন ছিল দিমি কখন আসবে। মোহনবাগানের(MBSG) হয়ে বরাবরই ডার্বির নায়ক দিমিত্রি(Dimitri Petratos)। এত সুযোগ নষ্টের পরও কেন তাঁকে এত দেরীতে আনলেন মোলিনা, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে। এদিন মোহনবাগানের হয়ে অবশ্য দুরন্ত পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছেন সাহাল। জয় গুপ্তার সঙ্গে কড়া ট্যাকলে তাঁর চোখের পাশে কেটে গিয়ে রক্ত ঝড়লেও মাঠ ছাড়েননি এই তারকা ফুটবলার। বারবারই মোহনবাগানের আক্রমণে রসদ যোগাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু গোল হচ্ছিল না। 🏆🏆🏆 CHAMP21ONS 🏆🏆🏆#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/VCeSpa7o9x — Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) October 18, 2025 তেমনই উইং দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের খেলাটা চালাচ্ছিলেন নাওরেম মহেশ। প্রথমার্ধে বিপিন সিং দুরন্ত ছন্দে থাকলেও, বিরতির পর যেন খানিকটা দমে গিয়েছিলেন তিনি। বদলে গিয়েছিল তাঁর পজিশনও। অন্যদিকে হিরোশিকে আটকাতে ব্যস্ত ছিলেন অলড্রেড এবং রডরিগেজ। যদিও এদিন সেভাবে আক্রমণের ঝড় তুলতে পারেননি হিরোশি ইবুসুকি। রশিদ, মিগুয়েল কয়েকটা শট নিয়েছিল ঠিকই তবে সেগুলো গোল হওয়ার মতো নয়। নির্ধারিত সময়ে ১-১ ফলাফল। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। সেই অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে আসেন দিমিত্রি পেত্রাতস। সেই সময় কয়েকটা ভালো মুভমেন্ট তিনি করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বারবারই গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই বাজিমাত সেই বিশাল কাইথের(Vishal Kaith)। অস্কারের বাজি ছিলেন এদিন দেবজিত। হবে নাই বা কেব পেনাল্টি শট বাঁচানোর জন্য তাঁকেই তো বলা হত সেভজিৎ। কিন্তু ভাগ্য সহায় দেয়নি। মোহনবাগানকে একবারও আটকাতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে জয় গুপ্তাকে রুখে দিয়েই মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন বিশাল(Vishal Kaith)। মেহতাবের শট জালে জড়াতেই যুবভারতীতে শুরু সবুজ-মেরুন বিজয়োল্লাস।
ডার্বি জিততে সমর্থকদের মাঠে আসার আহ্বান মোলিনার, ছক প্রস্তুত শুভাশিসদের

শিল্ড ফাইনাল(Ifa Shield Final), তাও আবার ডার্বি(Kolkata Derby)। এই ম্যাচটাই এই মুহূর্তে মোহনবাগান(MBSG) কোচ হোসে মোলিনার(Jose Molina) কাছের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া সবুজ-মেরুন কোচ। সেইসঙ্গে বারবার সতর্কতার কথাও শোনা গেল তাঁর মুখে। মোহনবাগানকে এই ম্যাচ চ্যাম্পিয়ন করানোটা তাঁর কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেইসঙ্গে ডুরান্ডে হারের জ্বালা যে এখনও মেটেনি তাঁর। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা প্রমাণ করাটাই হোসে মোলিনার(Jose Molina) কাছে প্রধান লক্ষ্য। সেই জন্যই তো শনিবারের ডার্বির গুরুত্বটা মোলিনার কাছে সবচেয়ে বেশি। একইসঙ্গে সকলে যখন রবসন(Robson Robinho) বনাম মিগুয়েল লড়াইয়ের কথা বলছেন, সেটা শুরুতেই নস্যাত করে দিলেন মোলিনা(jOSE mOLINA)। একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ মোহন জনতাদেরও(Mohunbagan Fan) মাঠে আসার আহ্বান জানালেন হেসো মেলিনা(Jose Molina)। সমর্থকরা মোহনবাগান(MBSG) ম্যাচ বয়কট করেছেন। কিন্তু ডার্বির মতো মঞ্চে সমর্থকদের ভূমিকা যে কতটা তা ভালোভাবেই জানেন মোহনহাগান সুপারজায়ান্টের স্প্যানিশ কোচ। সেই কারণেই তো বারবার সেই টুয়েলভথ ম্যানদের মাঠে আসার অনুরোধ করছেন তিনি। ডার্বির আগে হোসে মোলিনা(Jose Molina) জানালেন, “লড়াইটা হবে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে। এই ম্যাচ জয় এখন আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। আমি বুঝতে পারছি সমর্থকরা খুবই অসন্তুষ্ট। তবে আমি চাইব সমর্থকরা আমাদের সমর্থন করুন। এই ম্যাচটা জিততে আমাদের সাহায্য করুক। সমর্থকরা নিশ্চই আমাদের সমর্থন করবেন”। শিল্ডে যোগ দেওয়া থেকে একের পর এক ম্যাচ জেতা। কিন্তু মোহনবাগানের পারফরম্যান্সের থেকেও বেশি চর্চা শুরু হয়েছে তাদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে। মাঝেমধ্যেই শোনা যাচ্ছে মোহনবাগান(MBSG) ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নাকি ভালো নেই। কিছু কিছু ফুটবলারের সঙ্গে নাকি কোচ সহ অন্যান্যদের দুরত্বও বেড়েছে। ডার্বিতে এর প্রভাব পড়বে না তো। মোহনবাগান ফুটবলার শুভাশিস বোসের(Subhasish Bose) সাফ জবাব। তাদের ড্রেসিংরুম নাকি একেবারেই স্বাভাবিক। ছন্দে রয়েছে। তবে ডার্বিতে দুই দলেরই অন্যতম প্রধান ভরসা সমর্থকরা। ক্ষুব্ধ সমর্থকদেরও ম্যাচে আহ্বান করলেন শুভাশিস(Subhasish Bose)। শুভাশিস বোসের সাফ জবাব, “বর্তমানে আমাদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো আছে। গোটা ম্যাচে আমরা আমরা চাই সমর্থকরা আমাদের সমর্থন করুন। আমি অবশ্যই মাঠে আমার সেরাটা দেব। তবে আমি একা কিছুই করতে পারব না। আমরা দল হিসেবে খেলতে পারলেই সাফল্য আসবে। সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ডার্বি সবসময়ই অত্যন্ত স্পেশ্যাল”। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। দলের সব জায়গাই দেখে নিয়েছেন হোসে মোলিনা(Jose Molina)। রবসন, দিমিত্রি(Dimitri Petratos), কামিন্সদের(Jason Cummins) নিয়ে যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছক সাজাচ্ছেন তা বেশ স্পষ্ট। তবে এই ম্যাচেও ম্যাকলারেনকে(Jamie Maclaren) শুরু থেকে ব্যবহার নাও করতে পারেন মোহন কোচ। মনবীর(Manvir Singh) অবশ্য ডার্বিতে অনিশ্চিত। তবে বাকিরা সকলেই প্রস্তুত। এখন শুধুই মাঠে নামার অপেক্ষায় মোলিনার সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে গুপ্তচর অস্কারের প্রাক্তন ছাত্র রবসন

অস্কারের(Oscar Bruzon) প্রাক্তন ছাত্রই এবার মোহনবাগানের(Mohunbagan) গুপ্তচর। ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) প্রস্তুতিতে গোপনে নজর রাখলেন রবসন রোহিনহো(Robson Robinho)। আর তাতেই কার্যত হৈচৈ। কলাতা ডার্বি(Kolkata Derby) মানেই উত্তেজনা, উন্মাদনা। আর পড়শী ক্লাব কী করছে তার দিকে নজর রাখার প্রবল চেষ্টা। কয়েকদিন আগে মোহনবাগানের ম্যাচে নিজের গুপ্তচর পাঠিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। এবার হোসে মোলিনার(Jose Molina) গুপ্তচর অস্কারেরই প্রাক্তন ছাত্র রবসন রোবিনহো। ডার্বির আগে লাল-হলুদের প্রস্তুতির সময় একেবারে ক্যামেরা হাতে হোটেল থেকে নজর রাখলেন তিনি। শিল্ডের ফাইনালের(Ifa Shield Final) পাশাপাশি এই ডার্বি হল মোহনবাগানের কাছে আবার ডুরান্ডের প্রতিশোধেরও মঞ্চ। অস্কারের ছক বুঝতে মরিয়া মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট কোচ হোসে মোলিনা(Jose Molina)। সেই কারণেই তো রবসন রবিনহোকে(Robson Robinho) কাজে লাগিয়েছেন তিনি। রবিনহো অতীতে অস্কারের কোচিংয়ে খেলেছেন। তাঁর থেকে যে মোলিনা তথ্য পেয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার অস্কারের(Oscar Bruzon) ওপর নজরও রাখছেন সেই রবসনই। এদিন সকালবেলা প্রস্তুতি রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সব মিলিয়ে মোট ৩০ মিনিট প্রস্তুতি সেরেছে তারা। অন্যদিকে আবার যুবভারতীয় লাগোয়া হোটেল হায়াতেই রয়েছে মোহনবাগান দল। ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কোচিং স্টাফেদের কয়েকজনের নজর পড়ে হায়াতের হোটেলের জানলায়। আর তাতেই চমকে যান তারা। অস্কারকে ডেকে দেখাতে একেবারেই দেরী করেননি তারা। সেই সময়ই ধরা পড়ে আসল ছবিটা। দেখা যায় হোটেলের জানলায় দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতির ভিডিও করছেন মোহনবাগানের ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন রোবিনহো(Robson Robinho)। অস্কারের নজর এলেও, তিনি অবশ্য দলের প্রস্তুতি থামাননি। তবে সময়টা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিলেন। মাত্র ১৫ মিনিট লাল-হলুদ ফুটবলারদের ঠিক ঠিক প্রস্তুতি হয়। সেই সময় অবশ্য সেটপিসই প্র্যাকটিস করেন হিরোশি, কেভিন থেকে রশিদ, আনোয়াররা। তবে সেটা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্যই করেন তারা। রবসনের ভিডিও করাতে অস্কারের কী খুব একটা অসুবিধা হয়ে গেল। ইস্টবেঙ্গল শিবিরের অন্দরের খবর অবশ্য তারা নাকি এটা নিয়ে খুব একটা ভাবছেই না।
দিমির গোল, শিল্ড ফাইনাল ডার্বি

সম্ভাবনা ছিলই। অপেক্ষাটা ছিল মোহনবাগানের(MBSG) জয়ের। ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে মোহনবাগান(MBSG) জয়ের পরই জমজমাট শিল্ড(IFA Shield) ফাইনাল। আগামী শনিবার যুবভারতীতে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) ফাইনালে ডার্বি(Derby)। ডুরান্ডের পর ফের একবার মুখোমুখি মোহনবাগান(MBSG) ও ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। বুধবার শিল্ডের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারাল হোসে মোলিনার(Jose Molina) সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস(Dimitri Petratos)। দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল আত্মঘাতী। ধারেভারে এগিয় থেকে নামলেও, এদিন মোহনবাগানকে(MBSG) আটকানোর জন্য প্রস্তুত ছিল লালকমল ভৌমিকের ইউনাইটেড স্পোর্টসও(United Sports)। লালকমলের(Lalkamal Bhowmik) রক্ষণাত্মক ছকের সামনে এদিন বারবারই কিন্তু মোহনবাগানের(MBSG) আক্রমণকে হোঁচট খেতে হচ্ছিল। দিমিত্রি(Dimitri Petratos), রবসনরা(Rosbon Robinho) বারবার ইউনাইটেডের বক্সে পৌঁছে গেলেও গোলের মুখ কিন্তু খুলতে পারছিলেন না। সেইসঙ্গে এদিন মোহনবাগানের রক্ষণে আশিস রাই(Ashis Rai) এবং মেহতাব সিং(Mehtab Singh) খানিকটা যেন ফর্মের বাইরেই ছিলেন। মোলিনার(Jose Molina) ছক অনুযায়ী প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলার পরিকল্পনা ছিল মোহনবাগানের(MBSG)। সেইজন্য শুরু থেকেই দিমিত্রি(Dimitri Petratos), কামিন্স(Jason Cummins) এবং রবসনকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন মোলিনা। কিন্তু বারবারই ইউনাইটেডের রক্ষণ তাদের আটকে দিচ্ছিল। সেইসঙ্গে মোহনবাগানের বহু সুযোগ হাতছাড়া। রবসন রোবিনহো বেশ কয়েকটি সুন্দর বল বাড়ালেও কখনও কামি্ন্স তো কখনও দিমিত্রি পেত্রাতোস(Dimitri Petratos), কিয়ান নাসিরিরা নিজেদের পজিশনে পৌঁছতে পারছিলেন না। অন্তত প্রথম আধ ঘন্টা তো মোহনবাগানের(MBSG) ফরোয়ার্ডদের সেভাবে সুবিধাই করতে দেয়নি ইউনাইটেড স্পোর্টস। বরং ম্যাচের ২০ মিনিটের মেহতাব সিংয়ের বল বাঁচানোর প্রচেষ্টা মোহনবাগানকে বিপদে ফেলে দিতেই পারত। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললেও ইউনাইটেড এদিন মাঝেমধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে যাচ্ছিল। সেখানে সুজল মিন্ডার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাল্টা আক্রমণে দিমিত্রির(Dimitri Petratos) সাজানো পাস কিয়ান নাজিরি মিস না করলে ৩৭ মিনিটের মধ্যেই গোলের মুখ খুলে ফেলতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু তা হয়নি। তবে শেষপর্যন্ত সেই দিমিত্রি পেত্রাতোসের(Dimitri Petratos) গোলেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ১-০ গোলেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে দিমিত্রিকে তুলে জেমি ম্যাকলারেনকে মাঠে নামান মোহনবাগান কোচ। ক্রমশই চাপ বাড়াতে শুরু করে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু তিন মিনিটের মধ্যেই গোল পায় মোহনবাগান। তবে আত্মঘাতী গোল। ম্যাচের ভবিষ্যৎ কার্যত তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। পিছিয়ে থাকলেও ইউনাইটেডও কিন্তু খুব সহজে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার দল এদিন ছিল না। মাঝেমধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে মোহনবাগান বক্সে হানা দেয় তারা, তবে কখনও অলড্রেড তো কখনও টেকচামদের দক্ষতায় রক্ষা পায় মোহনবাগান। সুযোগ পেলেও মোহনবাগান অবশ্য আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতে মাঠেই শুরু ফুটবলারদের উল্লাস। আগামী ১৮ অক্টোবর এবার ফাইনাল। আবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। মধুর প্রতিশোধ মোহনবাগান নিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
বিদেশিহীন আহালের কাছে বড় ধাক্কা মোলিনার মোহনবাগানের

দ্বিতীয়ার্ধে রবসন(Robson Robinho), ম্যাকলরেনকে(Jamie Maclaren) একসঙ্গে খেলিয়েও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থই হল মোহনবাগান(MBSG) সুপারজায়ান্ট। বিদেশিহীন আহাল এফকের(Ahal FK) কাছে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারতে হল হোসে মোলিনার(Jose Molina) মোহনবাগানকে(MBSG)। ঘরের মাঠের সুযোগ সেভাবে কাজে লাগাতেই পারল না মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। বরং একের পর এক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। আহালের ১৭ নম্বর জার্সিধারি যে ফুটবলারকে নিয়েই এবার সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছিল, তাঁর গোলেই হারতে হল মোহববাগানকে। এই ম্যাচের আগে রবসন রোবিনহোর(Robson Robinho) দিকে সবচেয়ে বেশি নজর ছিল সকলের। হবে নাই বা কেন ম্যাচের আগে তাকে যে কোচ দশে দশ নম্বর দিয়েছিলেন। কিন্তু রবসনকে প্রথম একাদশে রাখেননি তিনি। হয়ত রবসনকে নিয়ে শেষ মুহূর্তে চমক দেওয়ারই একটা পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে রবসনকে নামিয়েছিলেন এই মোলিনা। রবসনের শটটা মিস না হলে ম্যাচের ভবিষ্যত পাল্টাতেও পারত। কিন্তু সেটা হয়নি। শেষপর্যন্ত যুবভারতীতে তিন পয়েন্ট খুইয়েই মাঠ ছাড়তে হল মোলিনার(Jose Molina) ব্রিগেডকে। এদিন প্রথমার্ধের থেকে দ্বিতীয়ার্ধে বারবার চাপ তৈরি করলেও, বহু সুযোগ নষ্টের খেসারতই দিতে হল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডকে। প্রথমার্ধের শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু সেভাবে সুযোগ তারা তৈরি করতে পারেননি। কিয়ান নাসিরির একটা সুযোগ এবং লিস্টন কোলাসোর আক্রমণ ছাড়া সেভাবে চোখে পড়েনি মোহনবাগানের আক্রমণ। বরং আহাল কয়েকবার বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল মোহনবাগানকে। এদিনের ম্যাচে কয়েকবার তো বিশালের জন্যও বেঁচেছে মোহনবাগান। বিরতির পর ছক বদল মোহনবাগানের। আক্রমণে ঝাঁজও বেড়েছিল। কিন্তু বারবারই আটকে যাচ্ছিল তারা। পাল্টা আক্রমণও কিন্তু চালিয়ে যাচ্ছিল আহাল এফকে। মোহনবাগানকে নিয়ে যে তারা ভালোভাবেই প্রস্তুত হয়ে এসেছিল, তা বারবারই এদিনের ম্যাচে বোঝা যাচ্ছিল। একের পর এক সুযোগ নষ্টের চাপ বাড়াতে পরপর ম্যাকলরেন এবং রবসনকে মাঠে পাঠিয়ে দেন কোচ মোলিনা। রবসন রোবিনহো সুযোগ পেয়েও গিয়েছিলেন। তাঁর শট পোস্টে না লাগলে ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। ম্যাচের বয়স যখন ৮৩ মিনিট সেই সময় এনওয়ের আনায়ের গোলেই এগিয়ে যায় আহাল এফকে। মোহনবাগান আর ফিরে আসতে পারেনি ম্যাচে। প্রথম পর্বের ম্যাচে হেরে সবুজ-মেরুন যে খানিকটা চাপে পড়ে গেল তা বলাই যায়।