গম্ভীর-গিলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন ‘ব্রাত্য’ কুলদীপের কোচ!

ইংল্যান্ডে চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি কুলদীপ যাদবের। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চলছে চতুর্থ টেস্ট। প্রবল ক্ষিপ্ত কুলদীপের কোচ কপিল পাণ্ডে। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও অধিনায়ক শুভমান গিলের বিরুদ্ধে! এক সর্বভারতীয় দৈনিককে বলেছেন, “কোনও কাকতালীয় ব্যাপার নয়। এটা ষড়যন্ত্র। এর পিছনে গম্ভীর-গিল জোটের হাত রয়েছে!” ২০১৭-য় ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কুলদীপের অভিষেক হয়েছিল। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৩টি টেস্ট খেলেছেন কুলদীপ। অথচ গড় ২২.১৬, উইকেট ৫৬টি, চারটে পাঁচ উইকেট। রেকর্ড বলছে: কুলদীপ যেখানেই খেলেছেন, পারফর্ম করেছেন। কিন্তু ভারতীয় টেস্ট দলে তিনি বরাবর উপেক্ষিত! গত বছর বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অবসর নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভাবা হয়েছিল তাঁর জায়গায় এবার দলে নিয়মিত সদস্য হবেন কুলদীপ। কিন্তু বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির পর প্রথম টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্কোয়াড সদ্য হয়েও কুলদীপ এখনও সাইডলাইনে। প্রথম একাদশে ব্রাত্য! অনেকেই এর আড়ালে ব্যাটিং অলরাউন্ডারের তত্ত্ব আনলেও কপিল পাণ্ডে তা মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘কুলদীপ যদি একজন বোলার হয়, তাহলে ওকে সেই জায়গায় খেলাও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ছ’টা টেস্টে ২১টি উইকেট নিয়েছে। রঞ্জি ট্রফিতে একটা সেঞ্চুরিও আছে। তিন বছর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪০ রানের ইনিংসও খেলেছে। তাহলে সমস্যা কোথায়?’ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৫ ম্যাচে ৭, আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ১৫ উইকেট। এমন একজন বোলার—যার দুটো ওয়ানডে হ্যাটট্রিক রয়েছে—তাকেই কী করে ভুলে গেল টিম ম্যানেজমেন্ট? আগের তিন টেস্টের ধারা মেনে চতুর্থ টেস্টেও জায়গা হয়নি কুলদীপের। হতাশ কপিল বলছেন, ‘ও প্রথম ম্যাচটা কিন্তু লর্ডসে খেলবে ভেবেছিলাম। কিন্তু চারটে টেস্ট হয়ে গেল, এখনও জায়গা হয়নি! পিচ সিমিং হোক বা স্পিনিং, কিছুই বিবেচনায় আনা হয়নি। অথচ ওর প্রস্তুতিতে কোনও খামতি ছিল না!’ তবে হাল ছাড়তে নারাজ কুলদীপের কোচ। ছাত্রের সামনে বেঁধে দিয়েছেন টার্গেট। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘ওকে ফের একটা পাঁচ উইকেট নিয়ে সবাইকে মনে করিয়ে দিতে হবে ২০১৯ বিশ্বকাপে কীভাবে বাবর আজমকে বোল্ড করেছিল। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালেও তো কুলদীপের বলে উইলিয়ামসন আউট হয়!’ নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তুলনার মোক্ষম জায়গা পেশ করেছেন কপিল। তাঁর যুক্তি, ‘ইংল্যান্ড তো শোয়েব বশিরকে তিনটে টেস্ট খেলিয়েছে। ওদের তো কুলদীপের মতো একজন ক্লাস স্পিনারও নেই। তাহলে আমাদের দল পিছিয়ে কেন?’ এই ‘কেন?’-র রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন নিজে। বলেছেন, ‘বশিরকে খেলানো হচ্ছে আর কুলদীপকে নয়—এই সিদ্ধান্ত কোচ বা ক্যাপ্টেনের অনুমতি ছাড়া নেওয়া সম্ভব নয়। আমি অন্য কারও সুযোগ পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখি না। কিন্তু সিরিজ নির্ধারণকারী ম্যাচে কাউকে হঠাৎ ফেলে দিলে, যদি ও ব্যর্থ হয়, তাহলে কেরিয়ারটাই শেষ হয়ে যাবে!’