শুক্রবার মাঝ রাতে শহরে তিন বিদেশি, শনিবার থেকে প্রস্তুতিতে অস্কার

দেশীয় ব্রিগেড এসে গেছে। শুক্রবার মাঝরাতেই শহরে পৌঁছচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) তিন সেরা বিদেশি কেভিন(Kevin), মিগুয়েল(Miguel) এবং সওল ক্রেসপো(Saul Crespo)। শনিবার থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে চলেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। শনিবারই শহরে এসে সরাসরি যোগ দেবেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ (Oscar Bruzon)। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সুপার কাপ(Super Cup)। মোহনবাগানের প্রস্তুতি চলছে। ২০ তারিখ থেকেই এবার প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলও(Eastbengal)। কিন্তু শহরে এলেও নিজেদের ঘরের মাঠে প্রস্তুতি সারবে না লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই পাণ্ডব বর্জিত সেন্টার অব এক্সিলেন্সই(NCE) পছন্দ লাল-হলুদ(Eastbengal) শিবিরের কোচ থেকে ফুটবলারদের। এবারই নতুনভাবে সেজে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) মাঠ। উদ্বোধন হয়েছে কলকতা লিগের ম্যাচ দিয়ে। সেই সময় থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে সুপার কাপের আগে বোধহয় ঘরের মাঠেই প্রস্তুতি সারবেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ক্লাব চাইলেও, ফুটবলার থেকে কোচের নাকি একেবারেই সেই ইচ্ছা নেই। দুরত্বের জন্যই নাকি তারা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে প্রস্তুতি সারতে চাননা। আর সেই কারণেই সেন্টার অব এক্সিলেন্সে প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হামিদ(Hamid) এবং রশিদ (Mohammed Rashid) আগেই শহরে চলে এসেছেন। শুক্রবার মাঝরাতেই ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) বাকি তিন বিদেশি কেভিন, মিগুয়েল এবং সওল ক্রেসপো শহরে পৌঁছে যাবেন। শনিবার সকালে শহরে পৌঁছেই প্রস্তুতিতে যোগ দেবেন ইস্টবেঙ্গলের হেডস্যার অস্কার ব্রুজোঁ (Oscar Bruzon)। তিনি সময় নষ্ট করতে একেবারেই নারাজ। শনিবার থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়বেন লাল-হলুদের তারকা কোচ। এরইমাঝে আবার শোনা যাচ্ছিল যে ইস্টবেঙ্গল নাকি সওল ক্রেসপোকে(Saul Crespo) ছেড়ে দিতে চাইছে। চেন্নাইয়িন এফসি নাকি তাঁকে নিতে আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। তবে এমনটা হচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের সূত্রে। চেন্নাইয়িন এফসির তরফ থেকে কোনওরকম প্রস্তাবই তো আসেনি ইস্টবেঙ্গলের কাছে। শনিবার থেকে দলের সঙ্গে প্রস্তুতিও শুরু করে দেবেন তিনি। আইএসএলের(Indian Super League) আগে এই সুপার কাপ (Super Cup) এখন ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) কাছে পাখির চোখ। ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছলেও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এবার সামনে রয়েছে সুপার কাপ। তাও আবার গোয়ার মাটিতে হবে খেলা। সুপার কাপের আগে অবশ্য কোনওরকম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই ইস্টবেঙ্গলের। ডুরান্ড ভুলে এবার সুপার কাপের দিকেই লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রধান নজর।