কেএল রাহুলও হাতছাড়া নাইট রাইডার্সের!

কেএল রাহুলকে(KL Rahul) কী নিচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স(KKR)। কয়েকদিন ধরে জল্পনাটা শুরু হলেও শোনাযাচ্ছে সেই আশাও নাকি এখন অনেকটা ক্ষীণ। কেএল রাহুলকে(KL Rahul) নিতে গেলে যে সোয়াপ ডিল করতে হবে তাতে খুব একটা আগ্রহী নয় কলকাতা নাইট রাইডার্স(KKR)। বিশেষ কর সুনীল নারিনের(Sunil Narine) পরিবর্তে কেএল রাহুলকে(KL Rahul) নিতে একেবরেই রাজি নয় কেকেআর। কিন্তু এই মুহূর্তে একজন ব্যাটার এবং অধিনায়কের োঁজে রয়েছেন নাইটরা। দিল্লি ক্যাপিটালসের(DC) অধিনায়ক ছিলেন কেএল রাহুল(KL Rahul)। কিন্তু তাঁক এই মরসুমে ছেড়ে দেওয়া হবে। আবার নিলামের আগে এমনই একজন তারকা ক্রিকেটারের খোঁজে রয়েছে কেকেআরও। সেখানে কেএল রাহুল(KL Rahul) যে নাইটদের কাছে অন্যতম প্রধান পছন্দ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করেছিল নাইট শিবির। কিন্তু রাহুলকে ছাড়তে যে প্রস্তাব দিল্লির তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে সেটাই যেন চিন্তায় ফেলছে নাইট শিবিরকে। কেএল রাহুলকে ছাড়তে সরাসরি সুনীল নারিনকে চেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। কেকেআর তাদের সেরা অল রাউন্ডারকে ছাড়তে একেবারেই নারাজ। এরপর অঙ্গকৃশ রঘুবংশী এবং রিঙ্কু সিংকে(Rinku Singh) চেয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের তরফে। কিন্তু সদ্য কোচ হওয়া অভিষেক নায়ার একেবারেই রঘুবংশীকে ছাড়তে নারাজ। এরপর অঙ্গকৃষ রঘুবংশী ও হর্ষিত রানাকে নিয়েও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাহুলকে নিতে একসঙ্গে দুজনকে ছাড়তে একেবারেই নারাজ নাইট শিবির। এই মুহূর্তে কেকেআরের একজন অধিনায়কের পাশাপাশি প্রয়োজন রয়েছে উইকেটকিপার ব্যাটারের। সেই সবটাই সম্পূর্ণ হয়ে যেত কেএল রাহুলকে নিতে পারলে। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালস সোয়াপ ডিলে যে প্রস্তাব দিচ্ছে তাতে কোনওভাবেই রাজি হতে পারছে না নাইট রাইডার্স। অর্থাৎ কেএল রাহুল যে নাইটদের হাতছাড়া একপ্রকার হয়েই গেল তা বলাই যায়।
কুলদীপ, জাদেজাদের হাত ধরে হোয়াইট ওয়াশ সম্পূর্ণ ভারতের

ভারতের(India Team) জয়টা ছিল এদিন সময়ের অপেক্ষা। মঙ্গলবার সকালে মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে জয় তুলে নেন ভারতীয় দল। টেস্টের শেষ দিন ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫৮ রান। ক্রিজে ছিলেন কেএল রাহুল(KL Rahul)। তাঁর অর্শতরানে ভর করেই চূড়ান্ত সাফল্য ভারতের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়ের পাশাপাশি হোয়াইট ওয়াশটাও সম্পূর্ণ করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। সেইসঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্টটাও যে অনেকটা বাড়িয়ে ফেলল ভারতীয় দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও ম্যাচের নায়ক কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। দুই ইনিংস মিলিয়ে কুলদীপের(Kuldeep Yadav) পারফরম্যান্সটাই যে ভারতের জয়ের নেপথ্যে প্রধান কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়েই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। কার্যত ভারতীয় দলের এই ম্যাচ জয়ের অন্যতম নেপত্য কারিগড় কুলদীপ যাদবই। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন আট উইকেট। সেই কারণে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনিই। তবে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেলেও এই ইনিংসে কিন্তু বড় রান করতে ব্যর্থ অধিনায়ক শুভমন গিলও। বল হাতে কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav) একাই কাজটা করে দিয়েছিলেন। বাকিটা সামলে দেন কেএল রাহুল(KL Rahul)। চতুর্থ দিন থেকেই ক্রিজে ছিলেন এই তারকা ব্যাটার। পঞ্চম দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান সাই সুদর্শন(Sai Sudarshan)। কেএল রাহুলের সঙ্গে ক্রিজে থাকতে পারেননি শুভমন গিলও(Shubman Gill)। তিনি ফেরেন ১৩ রান করেই। তবে ভারতের জয় পেতে অবশ্য খুব একটা অসুবিধা হয়নি। কেএল রাহুলের চওড়া ব্যাটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। তবে ৯ উইকেটেই যদি এই ম্যাচ ভারতীয় দল জিততে পারত, তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে ভারতের পয়েন্ট আরও খানিকটা বেশি হত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জুরেল-জাদেজার হাত ধরে রানের পাহাড়ে ভারত

ধ্রুব জুরেল(Dhruv Jurel), রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja) হাত ধরে দ্বিতীয় দিন রানের পাহাড়ে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বোলারদের পর বিধ্বংসী মেজাজে ভারতীয় ব্যাটাররাও। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ৫ উইকেটে ৪৪৮। লিড ২৮৬ রানের। তৃতীয় দিন যে এই অঙ্কটা অনেকটাই বাড়তে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বিতীয় দিনের শেষে ক্রিজে ১০৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja)। তাঁর সঙ্গে ৯ রানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। প্রথম দিনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি ইনিংস হাঁকিয়েছিলেন ভারতীয় দলের তারকা কেএল রাহুল(KL Rahul)। তবে দ্বিতীয় দিন তাঁকে ১০০ রানেই। মাঝে শুভমন গিলের একটা অর্ধশতরানের ইনিংস। যদিও ভারতকে চাপে ফেলার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ধ্রুব জুরেল(Dhruv Jurel) এদিন দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। ভারতীয় হিসাবে টেস্টের মঞ্চে দ্রুততম সেঞ্চুরিও করার রেকর্ড গড়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। সেইসঙ্গে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja)। তাদের হাত ধরেই ভারত তখন বড় রানের পথে এগোতে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়ে তোলাই ছিল ভারতীয় ব্যাটারদের প্রধান লক্ষ্য। ১২৫ রানের ইনিংস খেলে ধ্রুব জুরেল(Dhruv Jurel) যখন সাজঘরে ফেরেন সেই সময় ভারতীয় দলের রান ৪২৪। ক্রিজে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেঞ্চুরি করেন তিনিও। দ্বিতীয় দিনের শেষে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার। সঙ্গে রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
জোড়া শতরানে টেস্টের প্রথম দিনে লেটার মার্কস তরুণ ভারতীয় দলের

দুরন্ত শুরু। অনেক সংশয় ছিল। অনেক উদ্বেগ ছিল। অনেক সন্দেহও ছিল। কিন্তু তাগিদ, প্রয়োগ দক্ষতা ও দুর্দান্ত মানসিকতায় সেসব কিছুকে দূরে সরিয়ে দিয়ে হেডিংলে টেস্টের প্রথম দিনে শুধু সসম্মানে পাস করা নয় রীতিমত লেটার মার্কস পেয়ে পাস করল তরুণ ভারতীয় দল। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫৯। শতরান করলেন শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিয়ে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে নেমেছে তরুণ ভারতীয় দল। চাপ ছিল বৈকি! টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন রাহুল ও জয়সওয়াল। রাহুল ব্যক্তিগত ৪২ রানে ও সাই সুর্দশন শূন্য রানে আউট হলেও গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন যশস্বী জয়সওয়াল। শতরান করে ব্যক্তিগত ১০১ রানে আউট হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেটে জুড়ে দিয়েছেন ১২৯ রান। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ও কেরিয়ারের পঞ্চম শতরান করলেন জয়সওয়াল। এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক গিল ও সহঅধিনায়ক পন্থ। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট দুজনে যোগ করেছেন ১৩৮ রান। শুভমন গিল ১২৭ রান করে ও ঋষভ পন্থ ৬৫ রান করে অপরাজিত আছেন। গিল হলেন চতুর্থ ভারতীয় যিনি অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকেই শতরান করলেন। তাঁর আগে এই নজির আছে বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর ও বিরাট কোহলি। প্রথম দিনেই শুভমন গিলের তারুণ্যেভরা ভারতীয় দল এভাবে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেবে সেটা অনেক ভারতীয় যেমন ভাবেননি, তেমনি ইংল্যান্ড তো ভাবতেই পারেনি। প্রথম দিনেই গোটা সিরিজের জন্য অন্তত আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গেল গিলের ভারত।
সুদর্শন নয়, প্রথম টেস্টে রাহুলকে ওপেনে চান অশ্বিন

হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সাই সুদর্শনকে ওপেনে চান না জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সুদর্শনের জায়গায় তিনি কে এলে রাহুলকে ওপেনে চান। নিজের রাজ্যের ক্রিকেটার সুদর্শন। বরাবর ওপেন করেন। এমন কি আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে নিয়মিত ওপেন করেছেন। টুর্নামেন্টে সাতশোর উপর রানও করেছেন। কাউন্টি ক্রিকেটে সারের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেখানেও রান পেয়েছেন। তবু অশ্বিনের পছন্দ রাহুলকে। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে প্রথম টেস্টের প্রিভিউ করতে গিয়ে অশ্বিন বলেছেন, এটা ঘটনা যে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডারে রাহুলের পাকা জায়গা নেই। ওপেন থেকে শুরু করে ছয় নম্বর পর্যন্ত, সব অর্ডারে ব্যাট করেছে রাহুল। তবে ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে রাহুলকে শুরুর ঝড় সামলানোর কথা বলতে হচ্ছে। রাহুল এর আগেও জাতীয় দলের হয়ে ইংল্যান্ডে ওপেন করেছে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার মাঠেও রোহিতের অনুপস্থিতিতে রাহুলকে আমরা ওপেনে দেখেছি। রানও করেছে। তাই হেডিংলে টেস্টের আগে ওর মুখটাই সামনে আসছে। শুরুর ঝড় সামলে দিতে পারলে ভারতীয় দলের মিডলঅর্ডারের কাজটা সুবিধা হয়ে যাবে। ভারতের এই দলে অনেক নতুন ক্রিকেটার আছে। তাই ওদের চাপের মধ্যে না ঠেলে কিছুটা সুবিধা করে দিলে ভাল হয়। সুদর্শন পরে এলে ভাল হয়। ওকে না হয় তিন নম্বরে ব্যবহার করা যেতে পারে। দলের এক থেকে পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যানের জায়গা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর কাছে প্রশ্ন উঠে এসেছে ছয় নম্বরে কে ব্যাট করবে! এই জায়গায় করুন নায়ারের নাম থাকলেও লড়াইয়ে অশ্বিন নিয়ে আসছেন দলের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলকে। জুরেলের ব্যাটের হাত ভাল। তাই বলছেন, নায়ার অনেকদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিল। শুরুতে মাঠে নেমে নিজেকে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হতে পারে। জুরেল ইংল্যান্ডে গিয়ে ভারতীয় এ দলের হয়ে রান করেছে। তাই ছয় নম্বরে ওকে ভাবা যেতে পারে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের পাশাপাশি ইংল্যান্ডে ভারতীয় এ দলের হয়ে নায়ারের ডবল সেঞ্চুরির কথা ভুলে যাব কিভাবে। পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখে নায়ারকে ছয় নম্বরে নিয়ে আসতে হচ্ছে। আট বছর পর জাতীয় দলে ফিরলেও ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাই শেষপর্যন্ত আমার পছন্দ নায়ার। সাত নম্বর জায়গা থেকে নানা প্রশ্ন অশ্বিনের মনে উঁকি দিচ্ছে। দলের প্রথম একাদশ বাছাই করতে বসে অশ্বিন বেছে নিয়েছেন ছয়জন ব্যাটসম্যান, তিনজন পেসার ও দুইজন অলরাউন্ডার। এ ব্যাপারে সাত ও আট নম্বরে দুই অলরাউন্ডারকে তিনি নিয়ে আসতে চান। প্রথমে রবীন্দ্র জাদেজার নাম উঠে আসছে। তারপর চলে আসছেন ভারতীয় ক্রিকেটের লর্ড। অশ্বিন বলছেন, জাড্ডুকে নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবে আট নম্বরে কাকে আনা যাবে। এখানে শার্দুল ঠাকুরের সঙ্গে লড়াইয়ে থাকবে নীতিশ। ভাল ব্যাট করে। শেষ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে সেঞ্চুরি করেছে। কিন্তু বোলিংয়ে দলকে কতটা ভরসা দিতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। তিন পেসারের পাশে একজন ভাল বোলার না থাকলে টেস্টে সমস্যা হয়ে যাবে। তাই শার্দুলকে আমি আনব। বোলিং ঠিকঠাক করে দেবে। ব্যাটের হাতও ভাল। এই তো কদিন আগে সাইড ম্যাচে সিরাজ, প্রসিদ্ধ, কুলদীপদের মেরে ১২২ রান করল। তাই টেস্টের আগে ওর নাম আলোচনায় নিশ্চিতভাবে চলে আসবে। সেকথা মাথায় রেখে নীতিশের জায়গায় শার্দুলকে নিয়ে আসব। একই কারনে কুলদীপকে পিছনে ফেলে জাড্ডু দলে থাকবে। তা হলে অশ্বিনের পছন্দের প্রথম একাদশ কেমন হল- কে এল রাহুল, যশ্বসী জয়সওয়াল, সাই সুদর্শন, শুভমান গিল, ঋষভ পন্থ, করুন নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ। অধিনায়ক শুভমান গিলের হাতে এই দলকে দিয়ে প্রথম টেস্ট ম্যাচে খেলতে চান অশ্বিন। এখানেই শেষ নয়, সিরিজে সব থেকে বেশি উইকেট কে পাবেন। অস্ট্রেলিয়ায় বুমরা সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে সেটা দেখতে পাচ্ছেন না অশ্বিন। তিনি বলছেন, বুমরা সব টেস্ট ম্যাচ খেললে ওকে সবার আগে রাখতাম। কিন্তু শুনছি বুমরা তিনটির বেশি টেস্ট খেলবে না। তাই ওকে এই লড়াইয়ে রাখা যাবে না। আমার ধারণা, মহম্মদ সিরাজ সব থেকে বেশি উইকেট পাবে। আর রান করার ক্ষেত্রে রাহুলকে রাখতে পারলে ভাল হত। কিন্তু আমার পছন্দে রাহুল ওপেন করবে বলে প্রথম ইনিংসে কিছুটা হলেও সমস্যা হবে। তাই ঋষভ পন্থকে আমি নিয়ে আসব। এর আগেও ইংল্যান্ডে গিয়ে ভাল খেলেছে ঋষভ। দুটি সেঞ্চুরি ওর কাছ থেকে আমরা পেয়েছি। তাই ভারতের পক্ষে সব থেকে বেশি রান করতে পারে ঋষভ। শুধু ভারতীয় দল নয়, এই লড়াইয়ে অশ্বিন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদেরও নিয়ে এসেছেন। সব থেকে বেশি উইকেট পাওয়ার লড়াইয়ে তিনি ক্রিস ওকসকে রাখছেন। বলছেন, ওকস অভিজ্ঞ বোলার। জানে পরিস্থিতি কীভাবে কাজে লাগাতে হবে। সেই সুযোগ নিয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ধাক্কা দিতে পারে। আর একজন আছে। সে হল শোয়েব বশির। স্পিনার হলেও ও চমক দিতে পারে। আর রানের বিচারে অশ্বিনের কাছে ইংল্যান্ডের অনেকে চলে আসছেন। অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরের মাঠে জো রুট খেলতে নামবে। আছে বেন ডাকেটও। এদের দুজনের মধ্যে কেউ একজন সবাৎ উপরে থাকবে।
কে এল নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছে: জয়রাজ

এই নামে অনকেই তাঁকে চেনেন না। প্রশ্ন করলে সবই জানতে চাইবেন এই স্যামুয়েল জয়রাজ কে! উত্তরে একটা কথাই বলার আছে, তিনি হলেন কে এল রাহুলের ছেলেবেলার কোচ। তাঁর হাত ধরেই ক্রিকেটে উঠে এসেছেন রাহুল। ইংল্যান্ডের মাঠে ৩৩ বছরের রাহুলের সেঞ্চুরির পর অনেক কথাই বললেন জয়রাজ। জাতীয় দলের খেলার কারনে এখন নিয়মিত যোগাযোগ নেই। জয়রাজের কাছে তালিমের প্রয়োজনও হয় না। নানা সময় নানা কোচকে তিনি পেয়েছেন। তবে জয়রাজ ভোলেননি রাহুলকে। তাঁর পুরো জার্সি জয়রাজের কাছে ছবির মতো স্পষ্ট। তাই তো তিনি বলতে পারছেন, রাহুল এখন নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছে। মেজাজে, টেকনিকে, পরিস্থিতি বিচারে, কোন কিছুতে আগের রাহুলের সঙ্গে আজকের রাহুলের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়, ২০২৪-এ টি ২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে রাহুলকে হতাশায় ভেঙ্গে পড়তে দেখেননি। রাহুলের মনে হয়েছিল, নিজেকে আরও ভালভাবে তৈরি করতে হবে। এমন খেলতে হবে য়া দেখার পর কেউ তাকে দরে বাইরে ফেলে দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে ফিরে এসে নিজেকে কীভাবে দাঁড় করিয়েছে রাহুল! এখন সবাই তা দেখতে পাচ্ছেন। তাই বলছিলাম, রাহুল নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছে। এটা ঘটনা য়ে টি২০ বিশ্বকাপে রাহুলকে ছেঁটে ফেলা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তার আগে ২০২৩-এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দারুন খেলেছিলেন রাহুল। ব্যাটিং বা কিপিংয়ে সকলের নজর তিনি কেড়েছেন। তারপর ছয় মাসের মধ্যে কি এমন ঘটল যা নির্বাচকদের খুশি করতে পারল না। টি২০ বিশ্বকাপে জায়গা না পেলেও টেস্ট সিরিজে জায়গা করে নিল। এমন কি দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কেমন খেললেন রাহুল তা কি আজ নতুন করে মনে করিয়ে দিয়ে হবে! জয়রাজ বলছিলেন, এটা ঘটনা যে টি২০ বিশ্বকাপে জায়গা না পেয়ে ওকে হতশ হতে দেখিনি। রাহুল বিশ্বাস করে হতাশা বাচ্চাদের মানায়। ওর মতো একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হতাশায় ডুবে গেলে মনে করতে হবে, তোমার দিন শেষ হয়ে এসেছে। তাই নিজেকে পালিশ করে দারুনভাবে ফিরল রাহুল। এখন দল গড়তে হলে ওর নাম শুরুতেই লিখে ফেলতে হবে। গত দশ বছরের রাহুলকে বিচার করলে দেখা যাবে ও ভিষণ শান্ত। চাপের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে টেনে নিয়ে চলে। জয়রাজ সেকথা টেনে বলছেন, রাহুল এখন কম্পোজড। লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামলেও জানে কীভাবে খেলতে হবে। দেখবেন প্রথম চার বল খেলে স্ট্রোক করার পথে ছোটে। পঞ্চম বা শেষ বলে সিঙ্গলস নিয়ে পরের ওভারে শুরু থেকে খেলার সুযোগের চেষ্ট করে। ওকে দেখে কখনই মনে হবে না যে চাপে পড়ে গিয়েছে। আর এই মানসিকতা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়। আমি আশা করব, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নিজেকে একভাবে মেলে ধরবে।
দশ উইকেটে জিতে গুজরাট প্লে অফে, রাহুলের পাল্টা সেঞ্চুরি সাইয়ের

দিল্লি ক্যাপিটালস: ৩ উইকেটে ১৯৯ (২০ ওভার) গুজরাট টাইটান্স: বিনা উইকেটে ২০৫ (১৯ ওভার) আইপিএলের মাঝে ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড শপর নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে নির্বাচকদের মধ্যে। রোহিত শর্মা নেই। নেই বিরাট কোহলি। তাঁদের জায়গা কাঁরা নেবেন, এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে। তবে মোটামুটিভাবে কয়েকটি নাম হয়তো লেখা হয়ে গিয়েছে। একজন সাই সুদর্শন। তামিলনাড়ুর ওপেনার সুদর্শন আইপিএলে গত চারবছর ধরে ভাল পারফর্ম করছেন। বিশেষ করে গতবছর থেকে তাঁকে বেশি করে চোখে পড়েছে। পাঁচশোর উপর রান করেছেন। শুধু আইপিএল নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও সুদর্শন নিয়মিত পারফর্ম করে এসেছেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও নিজেকে আরও একবার প্রমান করলেন। নির্বাচক প্রধান হয়তো দিল্লি ম্যাচের পর রোহিতের জায়গায় সুদর্শনের নামও লিখে ফেললেন। কখন কীভাবে ব্যাটিং করতে সেটা দেখিয়ে দিলেন গুজরাট টাইটান্সের ওপেনার। শুরুতে নিজেকে ধরে রাখলেন। পাওয়ার প্লে-তেও বোঝা যায়নি ম্যাচটি একপেসশে হবে। কিন্তু ১২ ওভারের পর থেকে দিল্লির বোলাররা হালে পানি পেলেন না। তাই দিল্লির ১৯৯ রানের জবাবে গুজরাট টাইটান্স বিনা উইকেটে ২০৫ রান করে প্লে অফে চলে গেল। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। এই জায়গা থেকে অন্য কিছু ভাবার জায়গা নেই। তবু অধিনায়ক শুভমান গিল পরের ম্যাচগুলিতেও নিজেদের ধরে রাখতে চান। হাল ছাড়তে চান না। কারন তিনি জানেন ছন্দ একবার কেটে গেলে তার প্রভাব প্লে অফে পড়তে পারে। উল্টোদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে অফ খেলা কঠিন হয়ে পড়ল। মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জিততে না পারলে তারা আইপিএল থেকে ছিটকে যাবে। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রোহিতরা। একটি ম্যাচ বের করে আনতে পারলে তাদের শেষ চারের খেলা সহজ হয়ে যবে। ধরে নেওয়া যেতে পারে যে গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সম্ভবত প্লে অফ খেলবে। সে তো পরের কথা। তার আগে দিল্লি ম্যাচের কথায় আসা যাক। দিল্লি দুশোর দোরগোড়ায় তাদের রান নিয়ে যেতে পেরেছে রাহুলের অনবদ্য সেঞ্চুরির কারনে। কী অনবদ্য ইনিংস খেললেন কে এল। অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে তিনি টি২০ ক্রিকেটে আট হাজার রানের ক্লাব সদস্য হলেন। ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলি ২৪৩ ম্যাচে আট হাজার রান করে দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে নাম তুলেছিলেন। রহুল ২২৪ ম্যাচে সেই লক্ষ্যে ঢুকে পড়লেন। ক্রকেট বিশ্বে ক্রিস গেইল ২১৩ ম্যাচে, বাবর আজ ২১৮ ম্যাচে আট হাজার রানের ক্লাব সদস্য হয়েছেন। রাহুল হলেন তিন নম্বর ক্রিকেটার যিনি এমন কৃতিত্ব অর্জন করলেন। ইংল্যান্ড যাওয়ার আগে রাহুলের ইনিংস দলকে স্বস্তি দেবে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছিলেন। আইপিএলে সেঞ্চুরি করে সিরিজের আগে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন। ৬৫ বল খেলে রাহুল ১১২ রানে অপরাজিত থাকলেন। রাহুলের পাল্টা দিয়ে ৬১ বলে সাই সুদর্শন অপরাজিত ১০৮ রান করে ম্যাচের সেরা হলেন। বলা যায় তাঁর সঙ্গে অধিনায়ক শুভমান গিলের অপরাজিত ৯৩ রান গুজরাটকে সহজ জয়ে এনে দিয়েছেন। দিল্লির কোনও বোলার তাঁদের উপর চেপে বসতে পারেননি। তাই সহজ জয় পেয়ে গুজরাট প্লে অফে চলে গেল।
বুমরাকে অধিনায়ক করার কথা ভেবো না : রবি শাস্ত্রী

কে বসবেন রোহিত শর্মার হটশিটে? কে হবেন ভারতের পরবর্তী অধিনায়ক? চলছে আলোচনা। প্রাক্তনরা জানাচ্ছেন নিজের নিজের মতামত। আলোচনায় রয়েছে চারটি নাম। জসপ্রীত বুমরা, শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ ও কেএল রাহুল। আর ভারতের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক নিয়ে আলোচনার মধ্যেই রীতিমত বোমা ফাটালেন রবি শাস্ত্রী। শাস্ত্রী বলেন, জসপ্রীত বুমরাকে অধিনায়ক করার কথা একেবারেই ভেবো না। কারণ হিসাবে তিনি বুমরার চোট আঘাতের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি দলের সেরা বোলারের ওপর তিনি নেতৃত্বের বোঝাও চাপাতে চান না। তাহলে কাকে অধিনায়ক করা উচিত সে ব্যাপারেও শাস্ত্রী স্পষ্টভাবে নিজের মত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। এখন থেকেই শুভমন গিল বা ঋষভ পন্থকে অধিনায়ক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। তবে গিলের দিকেই কিছুটা ঝুঁকে রবি। যাঁরা গিলের অ্যাওয়ে পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের উড়িয়ে দিয়ে শাস্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে অনেক বেশি সাফল্য পাওয়ার দক্ষতা ও সম্ভাবনা গিলের আছে। এদিকে খবর ও ঘটনা প্রবাহ যেদিকে চলেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, ঋষভ পন্থ, জসপ্রীত বুমরা ও কেএল রাহুলকে টপকে ভারতের অধিনায়কত্বের দৌড়়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন শুভমন গিল। একদিকে যেমন খবর, অধিনায়ক হতে চলেছেন সম্ভবত গিল, তেমনি কিছু ইঙ্গিতবাহী ঘটনাও ঘটছে। সংবাদ সংস্থার খবর, গৌতম গম্ভীরের দিল্লির বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন গিল। অন্তত ৪-৫ ঘন্টা তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। এছাড়া গত ৬ মে মুম্বইয়ে আইপিএল ম্যাচের পর গিলের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছিলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। তাই হাওয়া বইছে গিলের অনুকূলেই।