ধোনিই তার উইকেটকিপিংয়ের শিক্ষক, অনুপ্রেরণা, জানালেন উর্ভিল

ইডেনে গুটিকয়েক দর্শক সেদিন অবাক হয়ে দেখেছিলেন তাকে। চোখের পলক ফেলার আগে, শাহবাজ আমেদের উইকেটের বেল ফেলে দেওয়ার ঘটনা দেশের ক্রিকেট সমাজে রাষ্ট্র হল অনেক পরে। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) বাংলা-গুজরাত ম্যাচ ছিল। শাহবাজ আমেদ (Shahbaz Ahmed) নিজেও কি ভাবতে পেরেছিলেন? বলটা খেলার পর শাহবাজের বাঁ পা-টা কতটা উঠেছিল সেটা বোধহয় একমাত্র তৃতীয় আম্পায়ার অ্যাকশন-রিপ্লে ক্যামেরায় দেখতে পেরেছিলেন। তার চোখেই পড়েছিল চোখের পলক ফেলার আগে শাহবাজের উইকেটের বেল পড়ে গিয়েছে! উর্ভিল প্যাটেল (Urvil Patel)। ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন এক তারা। কার কাছে শিখছেন উইকেটকিপিং? জানাতে দ্বিধা করেননি, গুজরাতের এই তরুণ ব্যাটসম্যান-উইকেটকিপার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই লিখেছেন, ‘বই পড়ে শিখিনি। কিংবদন্তির কাছেই শিখেছি, শিখছি নিখুঁত উইকেটকিপিং-এর টেকনিক।’ সেই সুযোগও উর্ভিল পেয়ে গিয়েছেন। চেন্নাই সুপারকিংস (Chennai Super Kings) তাকে সই করানোর পর। ২৭ বছর বয়স তার। বরোদার হয়ে ক্রিকেটজীবন শুরু করেছিলেন। ২০১৮-১৯-এর রঞ্জি ট্রফির আগে তিনি বরোদা থেকে গুজরাতে রেজিস্ট্রেশন করান। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দ্রুততম সেঞ্চুরিও উর্ভিলের দখলে। গতবছর ত্রিপুরার বিরুদ্ধে করেছিলেন। চেন্নাই সুপার কিংস তাকে নেওয়ার আগে উর্ভিল ছিলেন গুজরাত টাইটান্সে (Gujarat Titans) । কিন্তু খেলার সুযোগ পাননি। সিএসকে-তে যোগ দেন বংশ বেদী চোটে ছিটকে যাওয়ার পর। ২০২৫-এর আইপিএলে মাত্র ৩০ লক্ষ টাকায় তাকে নিয়েছিল সিএসকে। আইপিএল অভিষেকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ১১ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংসের পর সার্চলাইট তার দিকে ঘুরতে থাকে। আইপিএলের শেষ ম্যাচে তার পুরোনো দল গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ১৯ বলে ৩৭ রান করেছিলেন।
সামি, শাহবাজের দাপুটে বোলিংয়ে দুইয়ে দুই বাংলার

রঞ্জি ট্রফিতে(Ranji Trophy) এবার দুরন্ত ফর্মে বাংলা(Bengal)। দুইয়ে দুই। শাহবাজ আহমেদ(Shahbaz Ahmed), মহম্মদ সামির(Mohammed Shami) হাত ধরে ঘরের মাঠে গুজরাতকেও হেলায় হারাল বঙ্গ ব্রিগেড। সেইসঙ্গেই এক ম্যাচে ৮ উইকেট তুলে নিয়ে অজিত আগরকরকে ফের হয়ত ওকটা জবাব দিলেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। পরপর দুই ম্যাচেই ছয় পয়েন্ট তুলে নিল বাংলা। ইডেনে গুজরাতকে এদিল ১৪১ রানে হারাল বঙ্গ ব্রিগেড। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে গুজরাতের ব্যাটিং লাইনআপকে শেষ করে দিয়েছিলেন শাহবাজ আহমেদ(Shahbaz Ahmed)। লিড নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেছিল বাংলা। তিন পয়েন্ট আগেই পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্মীরতন শুক্লার(Laxmiratan Shukla) দলের লক্ষ্য ছিল ছয় পয়েন্ট। তবে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও কিন্তু বাংলার ব্যাটাররা খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। সুদীপ ঘরামির(Sudip Gharami) ৫৪ এবং অনুস্টুপ মজুমদারের(Anustup Majumdar) ৫৮ রান বাদ দিলে বাংলার অন্যান্য ব্যাটাররা অবশ্য সেভাবে সফল হতে পারেননি। লিড থাকার সুবাদে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা(Bengal)। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারানোর পরই ২১৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ(Abhimanyu Easwaran)। বাংলা লিড নিয়েছিল ৩২৮ রানের। ব্যাটাররা বড় রানের ঝলক না দেখাতে পারলেও, ইডেনের বাইশগজে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন বাংলার বোলাররা। সেইসঙ্গে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডার তিনি এবং শাহবাজ(Shahbaz Ahmed) মিলেই শেষ করে দেন। সামি একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। সঙ্গে তিন উইকেট শিকার শাহবাজের। ১৮৫ রানেই গুজরাতকে থামিয়ে দেয় বাংলা। সেইসঙ্গে দুই ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটাই এগিয়েও গেল বঙ্গ ব্রিগেড। তবে ম্যাচের সেরা হয়েছেন শাহবাজ আহমেদ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেটের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ২০ রানও রয়েছে তাঁর।
“রঞ্জি খেলতে পারলে, ওডিআইতেও খেলতে পারব”, ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিলেন সামি

রঞ্জি ট্রফি(Ranji Trophy) খেলতে বাংলা শিবিরে যোগ দিয়েছেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। আর সেখানেই অজিত আগরকরকে(Ajit Agarkar) একহাত নিলেন ভারতীয় দলের এই তারতা পেসার। তাঁর ফিটনেস নিয়ে আগরকরের কাছে কোনওরকম খবর না থাকার কথা জানানে হয়েছিল। সেই জবাবটাই এবার দিলেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। তাঁর থেকে ফিটনেসের তথ্য নাকি চাওয়াই হয়নি ভারতীয় দলের তরফ থেকে। সেইসঙ্গে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলার বিষয়েও মুখ খুললেন ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। সামির(Mohammed Shami) এমন মন্তব্যের পরই ভারতীয় ক্রিকেট মহল জুড়ে হৈচৈ। কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি(Champions Trophy) তো বটেই, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজেও ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি মহম্মদ সামির। সেখানেই অজিত আগরকরের সাফ জবাব ছিল যে মহম্মদ সামি(Mohammed Shami) এখন কতটা ফিট তা নাকে জানেন না তিনি। আর এতেই ক্ষুব্ধ ভারতীয় দলের এই তারকা পেসার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করা হয়নি। সাজা সাপ্টা উত্তর দিয়ে দিলেন মহম্মদ সামি। ইডিনে বুধবার রঞ্জি ট্রফিতে(Ranji Trophy) যাত্রা শুরু করবে বাংলা। প্রতিপক্ষ উত্তরাখন্ড। সেই ম্যাচের আগেই সামির মন্তব্যে ক্রিকেট মহল জুড়ে হৈচৈ। মহম্মদ সামি জানিয়েছেন, “ভারতীয় দলের তরফে আমার ফিটনেস সম্বন্ধে কোনও কিছু জানার জন্য চেষ্টাই করা হয়নি। আমি নিশ্চই নিজে থেকে জানাবো না আমার ফিটনেস আপডেট। আমি যদি চার দিনের রঞ্জি ট্রফির(Ranji Trophy) ম্যাচ খেলতে পারি, তূবে কেন ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে পারব না”। সামির এমন মন্তব্য কিন্তু ভারতীয় দল নির্বাচন ঘিরেও বহু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকেই চোটের জন্য ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন মহম্মদ সামি। আইপিএল দিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরও ভারতীয় দলের দড়জা খোলেনি। মাঝে টি টোয়েন্টি দলে এলেও, এখনও পর্যন্ত টেস্ট এবং ওডিআই দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি। বারবারই তাঁর ফিটনেস সমস্যা নিয়ে কথা উঠছে। সেখানেই মহম্মদ সামির(Mohammed Shami) যুক্তি, “আমি যদি ফিটই না থাকি, তবে তো এই সময় আমার এনসিএ-তে থাকার কথা। কিন্তু ব্যাপারটা তো তেমন নয়। আমি রঞ্জি ট্রফি খেলতে নামছি। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দল ঘোষণার পর থেকেই প্রাক্তন থেকে বিশেষজ্ঞরা গৌতম গম্ভীর এবং অজিত আগরকরের(Ajit Agarkar) দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে। মহম্মদ সামির এই মন্তব্যটা সেই সমালোচনার আগুনেই ঘি ঢালল তা বলার অপেক্ষা রাখে না”।