ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও জাদেজার দাপটে জয়ের সামনে ভারত

ব্যটাররা ব্যর্থ হলেও ইডেনে ভারতীয় বোলারদের(Indian Bowlers) দাপটে দ্বিতীয় দিনের শেষে জয়ের অনেকটাই কাছে ভারতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তৃতীয় দিন প্রথম সেশনের মধ্যে শেষ করে দিতে পারলে, ভারতের জয়টা যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বিতীয় দিন ভারত মাত্র ৩০ রানের লিডই নিতে পেরেছিল। কিন্তু বল হাতে এদিন ইডেনের পিচে বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja)। তিনি একাই চার উইকেট তুলে ভারতের জয়ের রাস্তা যে অনেকটাই প্রশস্ত করে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে কুলদীপের(Kuldeep Yadav) দুটো উইকেট এবং অক্ষর পটেলের(Axar Patel) এক উইকেট। ভারতের সামনে বাধা এখন শুধুই টেম্বা বাভুমা। দ্বিতীয় দিন ভারত শেষ হয় ১৮৯ রানে। জবাবে ব্যটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ উইকেটে ৯৩। ইডেনের(Eden Gardens) এই পিচে যে প্রথম সেশনটা দ্বিতীয় দিন ভারতীয় ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে চলেছিল সেই আভাসটা আগেই পাওয়া গিয়েছিল। হলও তাই। প্রথম দিন রাহুল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর(Washington Sundar) ক্রিজে থাকলেও, দ্বিতীয় দিন বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তারা। দ্বিতীয় দিন রাহুলের সঙ্গে মাত্র ১৮ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন ওয়াশিংটন সু্ন্দর। এরপরই ভারতীয় শিবিরে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা লাগে। ঘাঁরে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শুভমন গিলকে। কঠিন পরিস্থিতিতে গিলের চোটটা যে ভারতীয় শিবিরের চাপটা অনেকটাই বাড়িয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরপর কেএল রাহুল সাজঘরে ফিরতেই ভেঙে পড়ে ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনআপ। রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja) এবং ঋষভ পন্থ(Rishabh Pant) একটু চেষ্টা করলেও সেভাবে কিছুই করতে পারেননি। হারমারের স্পিনে তখন নাজেহাল ভারতীয় দল। তিনি একাই তুলে নেন ৪ উইকেট। শেষপর্যন্ত ১৮৯ রানেই শেষ ভারত। মাত্র ৩০ রানের লিড নিয়েই থামে ভারতের প্রথম ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই সময় বেশ অ্যাডভান্টেজেই ছিল। কিন্তু ম্যাচের ক্লাইম্যাক্স অপেক্ষা করছিল একটু পরে। রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja) স্পিনের সামনে ক্রমশই অসহায় হতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সবচেয়ে বিধ্বংসী দুই ব্যাটার মার্করাম এবং মুলডারকে ৩৮ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি। ডে জর্জি এবং ট্রিস্টিয়ান স্টাবসও তাঁরই শিকার। সেইসঙ্গে কুলদীপ যাদব এবং অক্যর পটেলের যোগ্য সঙ্গত। ৯৩ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে প্রোটিয়া শিবির। সেইসঙ্গে তাদের লিড মাত্র ৬৩ রানের। ভারতের এখন অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০০ রানের মধ্যে শেষ করে দেওয়া। ক্রিজে রয়েছেন টেম্বা বাভুমা। তৃতীয় দিনের শুরুতে যে ভারতের প্রথম লক্ষ্য বাভুমা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আইপিএলে এবার রাজস্থানের জার্সিতে নামবেন জাদেজা

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা(INDvSA) প্রথম টেস্ট চলাকালীনই শিবির বদলে ফেললেন ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের(CSK) সঙ্গে এতদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করে এবার রাজস্থান রয়্যালস(RR) শিবিরে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja)। আর তাতেই কার্যত হতবাক সকলে। এই মরসুমে সঞ্জু স্যামসনকে(Sanju Samson) পাওয়ার জন্যই এবার রবীন্দ্র জাদেজা এবং স্যাম কারানকে একসঙ্গে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাই সুপার কিংসের(CSK) সঙ্গে একেবারে আইপিএলের জন্ম লগ্ন থেকেই সম্পর্ক রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja)। চেন্নাইয়ের হয়ে অধিনায়কও হয়েছিলেন এক মরসুমে। যদিও সাফল্য পাননি। এবার সেই জাদেজাকেই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধা্ন্ত নিল চেন্নাই সুপার কিংস(CSK)। এই মরসুমে নতুনভবে দল গড়ছে তারা। সেখানেই সঞ্জু স্যামসনকে(Sanju Samson) পেতে মরিয়া ছিল চেন্নাই। তার পরিবর্তে সোয়াপ ডিলে রাজস্থানকে স্যার জাড্ডু(Ravindra Jadeja) এবং স্যাম কারানকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলছেন রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja)। বল হাতে বেশ ছন্দেও রয়েছেন তিনি। ইডেন গার্ডেন্সেই ভারতীয় দলের জার্সিতে বিশ্ব টেস্ট টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে ঘরের মাঠে টেস্টে ২৫০ উইকেটও তুলে ফেললেন রবীন্দ্র জাদেজা। সেই দিনই আবার চেন্নাই সুপার কিংসও ছাড়লেন ধোনির প্রিয় স্যার জাড্ডু। চেন্নাই সুপার কিংসের বহু সাফল্যের সাক্ষী তিনি। চেন্নাইয়ের জার্সিতেও জাদেজার ঝুলিতে রয়েছে ১৫০টির ওপর উইকেট। এবার আর হলুদ নয়, গোলাপী জার্সিতেই মাঠে নামতে দেখা যাবে জাদেজাকে। একইসঙ্গে স্যাম কারাণকেও ছেড়ে দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। দুটো সিদ্ধান্ত নেওয়াই যথেষ্ট কঠিন হলেও, সঞ্জু স্যামসনের জন্যই এবার এই পথে হাঁটল চেন্নাই সুপার কিংস।
ইডেনের স্পিনিং ট্র্যাকে তিন স্পিনারে খেলার ভাবনা ভারতের, সতর্ক গিল-রা

ইডেনের(Eden Gardens) পিচ যে স্পিন(Spinning Track) সহায়ক হবে তার ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই দল গোছাতে ব্যস্ত ভারতীয় শিবির। শেষবার ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের(New Zealand) বিরুদ্ধে এই স্পিন আক্রমণের সামনেই পর্যুদস্ত হয়েছিল ভারতীয় দল। সেই কথা মাথায় রেখেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নিউ জিল্যান্ড সিরিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে টিম ইন্ডিয়া(India Team)। ইডেনের পিচ যে বরাবরই তৃতীয় দিন থেকে বদল হতে শুরু করে, তা সকলেরই জানা। এবারও তেমনটাই হওয়ার ইঙ্গিত। সেইসঙ্গে পিচে যে ক্র্যাক গুলো রয়েছে তা তৃতীয়, চতুর্থ দিনের পর থেকে বাড়তে পারে। একইসঙ্গে ভারতীয় শিবিরের তরফেও পিচে যাতে টার্ন থাকে সেই কথা নাকি বলা হয়েছে। সেই মতোই তো চলছে গম্ভীরের(Gautam Gambhir) নীল নক্সা সাজানো। কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরেও রয়েছেন সেরা স্পিনাররা। বিশেষ করে শেষবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা(South Africa)। দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে তিন স্পিনারেই খেলার ভাবনা রয়েছে ভারতীয় দলের। রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja), কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav) এবং ওয়াশিংটন সুন্দরকে(Washington Sundar) দেখা যেতে পারে প্রথম একাদশে। দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে শুরু থেকেই চাপ তৈরি করার পরিকল্পনাই করছে ভারতীয়(India Team) থিঙ্কট্যাঙ্ক। ব্যাটিংয়ে শুভমন গিল(Shubman Gill), কেএল রাহুলরা(KL Rahul) রয়েছেন ছন্দে। তবে ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের(Yashasvi Jaiswal) সম্প্রতি পারফরম্যান্স নিয়েই খানিকটা চিন্তা রয়েছে। সেই কারণে বারবারই তো যশস্বীকে(Yashasvi Jaiswal) নেটে বাড়তি প্রস্তুতি করতেও দেখা গেল। এই ম্যাচ দিয়েই আবার প্রথম একাদশে ফিরতে চলেছেন ঋষভ পন্থ(Rishabh Pant)। চোট সারিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে কামব্যাক হবে। যদিও ভারতীয় শিবির তাঁকে নিয়ে বেশ আশাবাদী। কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরেও রয়েছে স্পিনারদের আধিক্য। কেশভ মহারাজ, হারমারদের মতো তারকা স্পিনাররা রয়েছেন। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। এবার যেমন তেমন কিছু না হয়, সেদিকেই বাড়তি নজর। স্পিনারদের আক্রমণ রোখার দিকেই কার্যত বাড়তি মজর দিচ্ছে ভারত। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
কালীঘাটে গম্ভীর, প্রস্তুতি শুরু গিল, বুমরাহদের

দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগেই কালীঘাট মন্দিরে গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir)। মায়ের কাছে পুজো দিয়েই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে যাত্রা শুরু করতে চান ভারতীয় দলের কোচ। সেই জন্য মঙ্গলবার প্রস্তুতির পরই বিকেলের দিকে চলে গেলেন কালীঘাটের মন্দিরে(Kalighat Temple)। সেখানেই পুজো দিলেন তিনি। তবে সবটাই কড়া নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে। আগামী ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় দল। গত রবিবারই শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir), শুভমন গিলরা(Shubman Gill)। সোমবারই ভারতীয় দলের সকলে পৌঁছে গিয়েছিল। সময় নষ্ট করতে একেবারেই নারাজ ছিলেন গম্ভীররা(Gautam Gambhir)। মঙ্গলবার থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল ভারতীয় দল। তবে এদিন ছিল অপশনাল প্রস্তুতির সূচী। যদিও ভারতীয় দলের একাধিক প্রথম একাদশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুশীলনে। গৌতম গম্ভীরের তত্ত্বাবধানে এদিন অনুশীনলনে নেমে পড়েছিলেন সুভমন গিল(Shubman Gill), রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja) থেকে জসপ্রীত বুমরাহ(Jasprit Bumrah)। স্পনসর বদলানোর পর এদিনই প্রথমবার ভারতের টেস্ট ফর্ম্যাটে প্রস্তুতির জার্সিও এল প্রকাশ্যে। প্রায় দু ঘন্টা এদিন প্রস্তুতি সারেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে ভারতের সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন দীর্ঘক্ষণ নেটে সময় কাটান শুভমন গিল(Shubman Gill)। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতেছিল ভারত(India Team)। সেই ধারাই এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ধরে রাখতে চান তারা। এদিন নজর বেশি ছিল জসপ্রীত বুমরার দিকে। সম্প্রতি সেভাবে তাঁকে ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। ইডেনের নেটে দীর্ঘক্ষণ সেই প্রস্তুতিও সারলেন এই তারকা ক্রিকেটার। ভারতের অপশনাল প্রস্তুতি থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু প্রথম দিন থেকেই পূর্ণ স্কোয়াড নিয়ে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। এডেন মার্করাম থেকে টেম্বা বাভুমা, স্টাবস, কেশভ মহারাজরা মঙ্গলবার থেকেই ইডেনে মহড়া শুরু করে দিয়েছেন।
কুলদীপ, জাদেজাদের হাত ধরে হোয়াইট ওয়াশ সম্পূর্ণ ভারতের

ভারতের(India Team) জয়টা ছিল এদিন সময়ের অপেক্ষা। মঙ্গলবার সকালে মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে জয় তুলে নেন ভারতীয় দল। টেস্টের শেষ দিন ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫৮ রান। ক্রিজে ছিলেন কেএল রাহুল(KL Rahul)। তাঁর অর্শতরানে ভর করেই চূড়ান্ত সাফল্য ভারতের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়ের পাশাপাশি হোয়াইট ওয়াশটাও সম্পূর্ণ করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। সেইসঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্টটাও যে অনেকটা বাড়িয়ে ফেলল ভারতীয় দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও ম্যাচের নায়ক কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। দুই ইনিংস মিলিয়ে কুলদীপের(Kuldeep Yadav) পারফরম্যান্সটাই যে ভারতের জয়ের নেপথ্যে প্রধান কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়েই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। কার্যত ভারতীয় দলের এই ম্যাচ জয়ের অন্যতম নেপত্য কারিগড় কুলদীপ যাদবই। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন আট উইকেট। সেই কারণে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনিই। তবে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেলেও এই ইনিংসে কিন্তু বড় রান করতে ব্যর্থ অধিনায়ক শুভমন গিলও। বল হাতে কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav) একাই কাজটা করে দিয়েছিলেন। বাকিটা সামলে দেন কেএল রাহুল(KL Rahul)। চতুর্থ দিন থেকেই ক্রিজে ছিলেন এই তারকা ব্যাটার। পঞ্চম দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান সাই সুদর্শন(Sai Sudarshan)। কেএল রাহুলের সঙ্গে ক্রিজে থাকতে পারেননি শুভমন গিলও(Shubman Gill)। তিনি ফেরেন ১৩ রান করেই। তবে ভারতের জয় পেতে অবশ্য খুব একটা অসুবিধা হয়নি। কেএল রাহুলের চওড়া ব্যাটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। তবে ৯ উইকেটেই যদি এই ম্যাচ ভারতীয় দল জিততে পারত, তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে ভারতের পয়েন্ট আরও খানিকটা বেশি হত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দুই ইনিংসে কুলদীপের ৮ উইকেট, ভারতের জয় সময়ের অপেক্ষা

দ্বিতীয় ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করলেও ভারতের(India Team) বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। দীর্ঘদিন ১৪ বছর ভারতের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ(West Indies) করল ঠিকই। কিন্তু কুলদীপ(Kuldeep Yadav), বুমরাদের(Jasprit Bumrah) দাপটের সামনে এই ম্যাচেও হারের সামনেই ক্যারিবিয়ান ব্রিগেড। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করাটা এখন শুধুই ভারতের কাছে সময়ের অপেক্ষা। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন ভারতের প্রয়োজন আর ৫৮ রান। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ৬৩। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন কেএল রাহুল(KL Rahul) ও সাই সুদর্শন(Sai Sudarshan)। এদিন কুলদীপ(Kuldeep Yadav) এবং বুমরার দাপটে শেষপর্যন্ত ৩৯০ রানেই শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। দুই বোলারের ঝুলিতেই তিনটি করে উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে কুলদীপের(Kuldeep Yadav) একারই শিকার ৮ উইকেট। স্পিনারদের দাপটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে বিধ্বস্ত করেছিল ভারত। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ফলো অনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। সেখানে শুরুর দিকে পরপর দুই উইকেট তুলে নিলেও, সাই হোপ(Shai Hope) এবং ক্যাম্পবেলের(John Campbell) হাত ধরে বড় পার্টনারশিপ গড়ার কাজটা শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই উইকেটের বেশি আর তুলতে পারেনি ভারতীয় দলের(Indian Team) বোলাররা। তৃতীয় দিনের শুরু থেকেও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। অবশেষে সেই রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja) বোলিংয়েই ভাঙে সেই পার্টনারশিপ। ১১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন জন ক্যাম্পবেল। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২১২। কিন্তু তখনও ক্রিজে ছিলেন শাই হোপ। অবশেষে সিরাজের হাত ধরেই চাপমুক্তি ভারতের। হোপ ফিরতেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা আর বেশিক্ষণ মাঠে দাঁড়াতে পারেননি। ৩৯০ রানেই শেষ ক্যারিবিয়ান ব্রিগেড। ভারতের বিরুদ্ধে লিড তখন মাত্র ১২৮ রানের। ম্যাচের রাশ শুরু থেকেই ছিল ভারতের দখলে। তবে এই ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। ৮ রানেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন তিনি। ক্রিজে রয়েছেন কেএল রাহুল ও সাই সুদর্শন। রাহুল ২৫ রানে এবং সাই সুদর্শন ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
শুভমনের সেঞ্চুরি, জাদেজার হাত ধরে চালকের আসনে ভারত

যশস্বী জয়সওয়ালের(Yashasvi Jaiswal) দ্বিশতরান হাতছাড়া হলেও, ভারতের(India Team) কিন্তু বড় রানে পৌঁছতে খুব একটা বেশি অসুবিধা হয়নি। দ্বিতীয় দিন শুভমন গিলের(Shubman Gill) চওড়া ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪০। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই ম্যাচেও যে ভারতীয় দল বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম দিনই ভারতের বড় রানের ঝলকটা পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন ১৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। সঙ্গে ছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তবে দ্বিতীয় দিন শুরুতেই সাজঘরে ফিরতে হয় যশস্বীকে। রান আউট হয়ে ১৭৫ রানে থামতে হয়েছিল তাঁকে। তবে ভারতের রানেরগতি থমতে থাকেনি। শুভমন গিলের(Shubman Gill) চওড়া ব্যাটে ভর করেই বড় রানের পথে এগিয়ে যেতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। একা হাতেই কার্যত রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা শুরু করেন শুভমন গিল। এদিন কেরিয়ারের আরও একটা সেঞ্চুরি ইনিংস পেলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। ক্যারিবিয়ান বোলারই এদিন শুভমন গিলের সামনে সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। ১২৯ রানে শেষপর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারত ৫১৮ রানে পৌঁছনোর পরই ইনিংস ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ম্যাচে ইনিংসে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচেও সেই লক্ষ্যেই যে রয়েছে ভারতীয় দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কথা ভেবেই ডিক্লেয়ারও দিয়েছিলেন শুভমন গিল। এবার পরীক্ষাটা ছিল বোলারদের। ভাঙা পিচ। আর সেখানেই ভারতে হয়ে দাপুটে পারফরম্যান্স রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা তিন উইকেট তিনি একাই তুলে নিয়েছেন এদিন। বুমরাহ(Jasprit Bumrah), সিরাজরা অবশ্য উইকেট তুলতে পারেননি। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের স্পিন আক্রণই ছিল বিধ্বংসী ফর্মে। দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪০।
দুরন্ত জাদেজা, বিরাট জয় ভারতের

ম্যাচের ভবিষ্যতটা শুক্রবারই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। শনিবার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিল টিম ইন্ডিয়া(India Team)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে ১৪০ রানে জয় তুলে নিল ভারত। ব্যাটের পর বল হাতেও দুরন্ত ফর্মে রবীন্দ্র জাদেজা(Ravindra Jadeja)। একাই তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটরদের এদিন মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনওরকম সুযোগই দেননি ভারতীয় দলের বোলাররা। গত শুক্রবারই ধ্রুব জুরেল(Dhruv Jurel) এূবং রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jdeja) ব্যাটে এসেছিল জোড়া সেঞ্চুরি। সেই সময়ই ক্যারিবিয়ান ব্রিগেডের বিরুদ্ধে রানের পাহাড়ে পৌঁছে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয় দিন অবশ্য আর ব্যাট হাতে মাঠে নামেনি টিম ইন্ডিয়া। ইনিংস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক শুভমন গিল(Shubman Gill)। সেই সময়ই ভারতের লি়ডের সংখ্যাটাও ছিল বিরাট। ২৮৬ রানের লিড নিয়েই মাঠে মেমেছিল ভারতীয় দল। আর সেখানে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ভারতীয় দলের বোলাররা। শুরু থেকেই মাঠে ছিল স্পিনের জাদু। তবে শুরুটা হয়েছিল মহম্মদ সিরাজের(Mohammed Siraj) হাত ধরেই। ওপেনিং জুটিই ভাঙেন তিনি। সেই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছিল ভারতের ভয়ঙ্কর আক্রমণ। মহম্মদ সিরাজ একাই তুলে নেন তিন উইকেট। সেইসঙ্গে ক্যাম্পবেল, কিং এবং শাই হোপদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের সাজঘরের রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন এই রবীন্দ্র জাদেজা। কার্যত মধ্যাহ্নভোজের পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয়টা তুলে নিয়েছে ভারত।
রাহুল-পন্থের শতরান, শেষ দিন জাড্ডুর ভেল্কির আশায় টিম ইন্ডিয়া

ক্যাচ জেতো, ম্যাচ জেতো। ক্যাচ ফস্কাও, ম্যাচ ফস্কাও। ভারতীয় শিবিরে বোধহয় এই কথাটাই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণ অন্য কিছু নয়, হেডিংলে টেস্টের যা পরিস্থিতি, তাতে প্রথম ইনিংসে অতগুলো ক্যাচ না ফেললে প্রায় ম্যাচ জেতার জায়গায় থাকত টিম ইন্ডিয়া। সেক্ষেত্রে চতুর্থ দিন আরও আগে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করানোর সুযোগ থাকত। এখন যা পরিস্থিতি, পঞ্চম দিন জেতার জন্য সবকটি উইকেট হাতে নিয়ে ৩৫০ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। ভারতকে জেতার জন্য একদিনে ইংল্যান্ডর সবকটি উইকেট তুলে নিতে হবে। ম্যাচ অবশ্যই ভারতের দিকে ঝুঁকে। কিন্তু ওই ক্যাচগুলো না ছাড়লে এখন জয় আরও কাছে চলে আসত গিলদের। এবার আসতেই হবে কেএল রাহুল ও ঋষভ পন্থের প্রসঙ্গে। ইংল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় শতরান করে ফেললেন রাহুল। ১৪৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন কেএল। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে শতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পন্থ করলেন ১১৮ রান। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসাবে টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরান করলেন। সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে জবাবটা ভালই দিলেন ঋষভ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেলেন না ৮ বছর পর প্রত্যাবর্তন করা করুণ নায়ার। আউট হলেন ২২ রান করে। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারে দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ছবি। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পড়েছিল শেষ ৭ উইকেট। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ রানে পড়ল শেষ ৬ উইকেট। ৩৬৪ রানে শেষ হল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ৩৭১ রানের টার্গেট রাখলেন গিলরা। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ২১। পঞ্চম দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে রবীন্দ্র জাদেজার ভূমিকা। শেষ দিনের উইকেটে তিনি কি পারবেন ঘুর্ণি বলে স্টোকসের বিপাকে ফেলতে? অনেক কিছুই নির্ভর করছে তার ওপর। পাশে অবশ্য পাবেন যে কোনও উইকেটে, যে কোনও পরিস্থিতিতে জ্বলে উঠতে পারেন এমন একজনকে – জসপ্রীত বুমরা। ইংল্যান্ডের পক্ষে পঞ্চম দিনে ৩৫০ রান তোলা বেশ কঠিন। ড্র হতেই পারে ম্যাচ। তবে অনুকুল পরিস্থিতিতে জাড্ডু যদি ভেল্কি দেখাতে পারেন তাহলে স্মরণীয় জয়ের মুখ দেখতেই পারে টিম ইন্ডিয়া।
পন্থের শতরানের জবাব পোপের, বুমরার আগুনে বোলিং সত্ত্বেও ক্যাচ ফেলে সুযোগ হাতছাড়া ভারতের

প্রথম দিনটা যদি শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়ালের হয়, তাহলে দ্বিতীয় দিনটা ঋষভ পন্থ, জসপ্রীত বুমরা ও ইংরেজ ওলি পোপের। পন্থের শতরানের জবাব দিলেন পোপ। অপরাজিত শতরানে। তবে আগুনে বুমরার সামনে বিপদে পড়তে পারত ইংল্যান্ড, যদি না রবীন্দ্র জাদেজা ও যশস্বী জয়সওয়াল ক্যাচ ফেলতেন। গতদিনের ৩ উইকেটে ৩৫৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। গিল ও পন্থ প্রথম দিন যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু করেন। একই রকম আত্মবিশ্বাসী, জমাট ব্যাটিং। যশস্বী, গিলের পর এদিন পন্থও শতরান করলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় শতরান। একমাত্র ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে টেস্ট সাতটি শতরান করলেন। এখনই পিছনে ফেলে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। মাহি করেছিলেন ৬টি শতরান। ১৩৪ রান করে আউট হলেন। গিল করেন ১৪৭ রান। চতুর্থ উইকেটে দুজনে যোগ করেন ২০৯ রান। তারপরই বিরাট ধস। ৩ উইকেটে ৪৩০ থেকে ৪৭১ রানে অল আউট। শেষ সাতটি উইকেট পড়ল মাত্র ৪১ রানে। আর কোনও ব্যাটসম্যানই রান পেলেন না। ৮ বছর পর প্রত্যাবর্তনটা সুখের হল না করুণ নায়ারের। কোনও রান না করেই ফিরলেন। টং ও স্টোকস চারটি করে উইকেট নিয়ে ভেঙে দিলেন ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডার। এরপর বুমরার আগুনে বোলিং। শুরুতেই তুলে নিলেন জ্যাক ক্রলিকে। তারপরই বেন ডাকেটকেও পেয়ে যেতেন, যদি ক্যাচটা ধরতে পারতেন জাদেজা। সেই ডাকেট ৬২ রান করে গেলেন। ওলি পোপ শতরান করে বড় জবাবের দিকে নিয়ে গেলেন ইংল্যান্ডকে। দিনের শেষে স্টোকসদের রান ৩ উইকেটে ২০৯। কিন্তু জয়সওয়াল যদি ক্যাচ না ফেলতেন তাহলে সমস্যায় পড়তে পারত ইংল্যান্ড। একা লড়াই চালিয়ে গেলেন জসপ্রীত বুমরা। ইংল্যান্ডের তিনটি উইকেটই নিলেন তিনি। ৪৮ রানে ৩ উইকেট। কিন্তু বাকি বোলাররা কী করলেন? বুমরাকে যদি অন্যরা নূন্যতম সহযোগিতা না করতে পারেন, তাহলে আর স্পিডস্টারের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট হবে কী করে?