আরসিবি-র নতুন ঘোষণা, পদপিষ্টের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল জয়ের উবের সময় পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ১১ জনের প্রত্যেকটি পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ফ্র্যাঞ্চাইজি। গত ৪ জুন বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএল ট্রফি জয়ের উৎসব করে আরসিবি। কিন্তু স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড়ের চাপে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ১১ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনা নিয়ে এতদিন চুপ ছিল আরসিবি। প্রায় তিন মাস পর গত বৃহস্পতিবার তারা প্রথম মুখ খোলে। তার দু’দিন পর আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করে বিরাট কোহলির দল লিখেছে, ‘‘৪ জুন, ২০২৫ তারিখে আমাদের হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। আমরা আরসিবি পরিবারের এগারো জন সদস্যকে হারিয়েছি। তাঁরা আমাদেরই অংশ ছিলেন। এঁরাই আমাদের শহর, আমাদের সম্প্রদায় এবং আমাদের দলকে অনন্য করে তোলেন। এঁদের না-থাকাটা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে প্রতিধ্বনিত হবে। এঁদের শূন্যস্থান কোনও কিছু দিয়ে ভরাট করা সম্ভব নয়। তবু প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আরসিবি এঁদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছে।’’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার ‘আরসিবি কেয়ারস’ নামে একটি উদ্যোগের সূচনা করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু লিখেছিল, ‘‘এই নীরবতা অনুপস্থিতি নয়, শোকের জন্য ছিল। এই অ্যাকাউন্ট এক সময়ে আনন্দ, স্মৃতিতে এবং মুহূর্তে পরিপূর্ণ ছিল যা আপনারা সকলে উপভোগ করতেন। কিন্তু ৪ জুন সব বদলে দিয়েছে। ওই দিনটা আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। এই নীরবতা ছিল নিজেদের সামলে নেওয়ার।’ ‘এই নীরবতার মধ্যে আমরা শোকপালন করেছি, শুনেছি, বুঝেছি। ধীরে ধীরে আমরা এমন কিছু গড়ে তুলেছি যা শুধু একটা প্রতিক্রিয়া নয়, যাকে আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি। এ ভাবেই ‘আরসিবি কেয়ার্স’ জীবন পেয়েছে। সমর্থন সম্মান জানাতে এই প্রয়াস খুব দরকার ছিল। একটা মঞ্চ যা থাকবে শুধু আমাদের সমর্থকদের জন্য। আজ আমরা আবার ফিরলাম। উচ্ছ্বাস নয়, যত্ন নিয়ে। আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে, পাশে দাঁড়াতে, একসঙ্গে এগিয়ে যেতে।”
পদপিষ্ট কাণ্ডে বিরাটের পাশে বিজেপি

বেঙ্গালুরু পদপিষ্ট কাণ্ডের সব দায় আরসিবির উপর চাপিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। এমনকী ঘুরিয়ে বিরাট কোহলির নামও গোটা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে এবার কংগ্রেসকে পালটা জবাব বিজেপি-র। গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক তথা বিধানসভার উপ বিরোধী দলনেতা অরবিন্দ বেল্লাডের বক্তব্য, “আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল সরকার। এখন বিপাকে পড়ে বিরাট কোহলিকে দায়ী করছে। অরবিন্দ বেল্লাড বলছেন, “সেলিব্রেশনের জন্য শুধু যে আরসিবি লোক জড়ো করেছিল তেমন নয়। খোদ ডিকে শিবকুমার, সরকারি আধিকারিকরা এবং কংগ্রেসও ক্রিকেট ভক্তদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা টেলিভিশনে প্রকাশ্যে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন।” তাঁর দাবি, সরকার চাইলেই ওই সেলিব্রেশন বন্ধ করা যেত। কংগ্রেস সরকার ১৮ বছর বাদে আরসিবির ট্রফি জয়ের কৃতিত্বটা নিজেদের কৃতিত্ব হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এখন চাপে পড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দোষ দিচ্ছে। এমনকী বিরাট কোহলির মতো তারকাকেও দোষী করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, হাই কোর্টে পদপিষ্টের ঘটনার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কর্নাটক সরকার। প্রাথমিকভাবে সিদ্দারামাইয়ার সরকারের দাবি ছিল, ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। কিন্তু হাই কোর্ট জানায়, এই তদন্তের রিপোর্ট গোপন রাখার কোনও কারণ বা আইনি বৈধতা নেই। হাই কোর্ট সেই রিপোর্ট জনসমক্ষে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কর্নাটক সরকার পুরো ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট সব দায় চাপানো হয়েছে আরসিবির উপর। সরকারের দাবি, পুলিশ বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই এত বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সোশাল মিডিয়াতেও সেই নিয়ে পোস্ট করা হয়েছিল। যেহেতু সময় কম ছিল, তাই পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরসিবির সোশাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেলগুলিতে একের পর এক পোস্ট করে সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় চিন্নাস্বামীতে। সেই পোস্টগুলিতে বিরাট কোহলির ভিডিও-ও ছিল। তাতে বিরাটকেও দেখা গিয়েছে সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানাতে। এ হেন জনপ্রিয় ক্রিকেটার সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানানোটাও ভিড়ের অন্যতম কারণ। সব মিলিয়ে আরসিবির পোস্টগুলিতে ৪৪ লক্ষ ভিউ হয়েছিল!
আবার বিতর্কে আরসিবি; যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এফআইআর যশ দয়ালের বিরুদ্ধে

খেতাবজয়ের উৎসব পালন নিয়ে প্রবল বিতর্কে পড়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আবার এক নতুন বিতর্কে পড়ল। দলের অন্যতম প্রধান ক্রিকেটার, বাঁ-হাতি পেসার যশ দয়ালের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গাজিয়াবাদের এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন যৌন হেনস্থা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার। প্রতারণা ও মিথ্যে প্রতিশ্রুতির জন্য ন্যায় সংহিতার ৬৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এই ধারায় অভিযুক্তের দশ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। গাজিয়াবাদের অভিযোগকারিণী মহিলার বয়ান অনুযায়ী তিনি পাঁচ বছর যশের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তাঁর দাবি যশ তাঁর পরিবারের সঙ্গেও তাঁর দেখা করা করান এবং যশের পরিবার তাঁকে পুত্রবধূর মতোই স্বাগত করে, যার ফলে তাঁর ভরসা আরও বাড়ে। এফআইআরের বলা হয় এই ঘটনাগুলির গোটটাই মিথ্যে বোঝার পর অভিযোগকারিণী প্রতিবাদ করলে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়। এর পাশাপাশি অভিযোগকারিণী আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা আরও অভিযোগ করেছেন যে, যশ দয়াল তিনি ছাড়াও আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন এবং তাঁদেরকেও ওই ক্রিকেটার একইরকম আশ্বাস দিয়েছিলেন। যশ দয়ালের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাজিয়াবাদের এক তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। অনলাইনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে গাজিয়াবাদের সার্কেল ইন্সপেক্টরকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় দ্রুত নিষ্পতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগকারিণী তথা আরও মহিলা যারা এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়েন, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই গোটটায় দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানানো হয়েছে এফআইআরে। প্রসঙ্গত, এই যশ দয়ালই সেই বোলার, যাঁকে শেষ ওভারে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু সিংহ। তখন তিনি খেলতেন গুজরাত টাইটান্সে।
সেলিব্রেশনের গাইড লাইন তৈরি করতে ১৪ জুন মিটিংয়ে বসছে বিসিসিআই অ্যাপেক্স কাউন্সিল

বেঙ্গালুরু কাণ্ডের পর সেলিব্রেশন নিয়ে নতুন গাইড লাইন তৈরি করতে আলোচনায় বসছে বিসিসিআিই অ্যাপেক্স কাউন্সিল। আগামি ১৪ জুন মিটিংয়ে বসছে কাউন্সিল। সেখানেই ঠিক করে দেওয়া হবে ভবিষ্যতে কীভাবে হতে পারে সেলিব্রেশন। কী কী করা যাবে না, সেসবই ঠিক করে নেওয়া হবে। তবে আরসিবির শাস্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। অভিশপ্ত ৪ জুন। ১৮ বছরে প্রথমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আরসিবির সেলিব্রেশনে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। তারপরই নড়েচড়ে বসে বিসিসিআিই। তখনই ঘোষণা করা হয়েছিল ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে সেলিব্রেশন নিয়ে গাইড লাইন তৈরি করে দেওয়া হবে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ভারতীয় ক্রিকেটের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব তাদের, তাই তারা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। কিছু একটা করা হবে। এবার সেই পদক্ষেপই নিতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, “ভবিষ্যতে এমন ঘটনা কীভাবে এড়ানো যায়, আমরা সেসব নিয়েই আলোচনা করব। এবং কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। সেলিব্রেশন নিয়ে গাইড লাইন তৈরি করে দেওয়া হবে। তবে আমরা আরসিবিকে নির্বাসিত করা বা তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি না। আমরা গঠনাত্মক ও ইতিবাচকভাবেই আলোচনা করব, এবং দেখবো কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বিসিসিআইকে না জানিয়েই ওইভাবে সেলিব্রেশন করেছিল আরসিবি। আরসিবির সেলিব্রেশন নিয়ে বিসিসিআইয়ের কিছু করার ছিল না।“ তবে এটিই প্রধান অ্যাজেন্ডা হলেও মিটিংয়ে আরও অনেক ব্যাপারেই আলোচনা করবে অ্যাপেক্স কাউন্সিল।
বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট কান্ডে বিরাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট কান্ডে ১১ জনের মৃত্যুর জন্য বিরাট কোহলি কি গ্রেপ্তার হতে পারেন! এই ঘটনায় বিরাট কোহলিকে দায়ী করে বেঙ্গালুরুর কার্বন পার্ক থানায় অভিষোগ দায়ের করা হয়েছে। কর্নাটকের সমাজকর্মী এইচ এম বেঙ্কটেশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার বিরাট কোহলিকে দেখতে স্টেডিয়ামের বাইরে প্রায় আড়াই লাখ সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। আর সেখানেই প্রচন্ড ভিডে়র চাপে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জন প্রান হারান। অবাক কান্ড এটাই যে পদপিষ্ট হওয়ার কবর পাওয়ার পরও কেন স্টেডিয়ামে উৎসব চালিয়ে যাওয়া হয়েছিল! এগুলি জানাতে হবে। কার্বন থানার পক্ষথেকে জানানো হয়েছে বেঙ্কটেশের অভিষোগ খতিয়ে দেখা হবে। শোনা যাচ্ছে, তাঁর অভিষোগের ভিত্তিতে নাকি একটি এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলার সময় অভিষোগের সত্যতা যাচাই করা হবে। তবে এখনই বিরাটের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের অনুষ্টানের পর স্ত্রী অনুষ্কাকে নিয়ে বিরাট মুম্বই চলে যান। তারপর তিনি নাকি দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন। তবে বিরাটের ব্যাপারটি এখানে থেমে গেলে কথা ছিল না। কিন্তু সেটা হচ্ছে কোথায়! বলা হচ্ছে, বিরাটকে দেখতে সেদিন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। ৩৫ হাজার আসন বিশিষ্ট স্টেডিয়ামে লাখ মানুষের জায়গা হবে কী করে! আর এতেই বিপত্তি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও গ্রেপ্তার হতে পারেন। এই আশঙ্কায় কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় বিচারপতি জানিয়ে দেন পরবর্তী শুনানীর আগে পর্যন্ত কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবে তাঁদের এই মামলায় সহযোগিতা করতে হবে।
রোড শো পছন্দ করেন না, বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে কড়া মন্তব্য গৌতম গম্ভীরের

বেঙ্গালুরুতে আরসিবি ট্র্যাজেডি নিয়ে বেশ কড়া মন্তব্য করলেন গৌতম গম্ভীর। তিনি জানিয়ে দিলেন রোড শো তিনি কোনও দিনই পছন্দ করেন না। বলেন, রোড শো হওয়া উচিত নয়। ২০০৭-এ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরও একই কথা বলেছিলাম। ভবিষ্যতে আমাদের স্টেডিয়ামের মধ্যেই সেলিব্রেশন করা উচিত। মৃতদের পরিবারের জন্য গভীর সমবেদনা। তিনি হয়ত কারো নাম করেননি, সরাসরি কাউকে অভিযুক্ত করেননি, তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন আরসিবি ম্যানেজমেন্টের আরও ভালভাবে পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। জানান, ১১টা জীবনের মূল্য অনেক বড়। ইংল্যান্ড পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন সিরিজ নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি। জসপ্রীত বুমরা ইস্যুতে স্পষ্টই জানিয়ে দেন, বুমরা কতগুলি টেস্টে খেলবেন সেটা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করবেন। সিরিজ কীভাবে এগোচ্ছে তার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে। বুমরাও সিরিজের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, জানান জাতীয় দলের কোচ। পাশাপাশি গম্ভীর বলেন, বুমরার মত বোলারের ফাঁক ভরাট করা কঠিন তবে দলে অনেক প্রতিভা আছে। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে শ্রেয়স আইয়ারের বাদ পড়ার প্রসঙ্গ। গম্ভীর বলেন, যদি কেউ ভাল ফর্মে থাকে, পারফর্ম করে তাহলে যে কেউ ডাক পেতে পারে। আমরা শুধু ১৮ জনকে বেছেছি। তবে বিশ্বাস করি সকলের জন্য দরজা খোলা। আগামি ২০ জুন থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টর সিরিজ শুরু হবে।
পুলিশের চাঞ্চল্যকর দাবিতে আরসিবি ট্র্যাজেডিতে নতুন মোড়

আরসিবি ট্র্যাজেডির পর কেটে গেল বেশ কয়েক ঘন্টা। এখনও বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা দেশ। এখনও সকলের মনে ঘুরছে প্রশ্নটা, কী করে ঘটল এমন মর্মান্তিক ঘটনা? এবং সেই প্রশ্নটা, স্টেডিয়ামের বাইরে যখন এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে, তখনও কী করে ভিতরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলল? আরসিবি ম্যানেজমেন্ট অবশ্য জানিয়েছে, তাঁরা ঘটনার কথা জানতে পারার পরই অনুষ্ঠান ছোট করে দেন। উচ্চতম কর্তৃপক্ষ যা নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা সেইমতই কাজ করেছেন। বিরাট কোহলি ও অধিনায়ক রজত পাতিদার সমর্থকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠান। এই বিতর্কের মাঝেই অতুল ওয়াসন জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না বাইরে এমন ঘটনা ঘটেছ এটা কোহলি তখন জানতে পেরেছিলেন। কোহলি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, তিনি বাকরুদ্ধ। তিনি ক্ষতবিক্ষত। কোহলি ও অনুষ্কা বেঙ্গালুরু ছেড়ে মুম্বইয়ে ফিরে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুজনকে মুম্বই এয়ারপোর্টে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় এবার নতুন বিতর্ক মাথা চাড়া দিল। বেঙ্গালুরু পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা নিরাপত্তার কারণে বুধবার কোনও উৎসব করতে নিষেধ করেছিলেন। অনুষ্ঠানটি রবিবার করার কথা বলেছিলেন। আরসিবি ম্যানেজমেন্ট ও রাজ্য সরকার – দুপক্ষের কাছেই এই অনুরোধ রাখা হয়েছিল, কিন্তু রাজি হয়নি আরসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজি। আরসিবি নাকি জানিয়েছিল, রবিবার পর্যন্ত তাঁদের বিদেশি ক্রিকেটাররা থাকবেন না, তাই বৃহস্পতিবারই অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নাকি ওপেন প্যারেড করতে নিষেধ করা হয়েছিল এবং সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পরিকল্পনা করেই অনুষ্ঠান করার কথা বলা হয়েছিল। এদিকে বিসিসিআইও জানিয়েছে, পরিকল্পনায় হয়ত বড় ঘাটতি ছিল। এখন এই বিতর্ক চলবে, তবে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেল। এখন সম্পূর্ণ তদন্ত করে কার ব্যর্থতায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল সেটা খুঁজে বার করারই চেষ্টা চলছে।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপৃষ্টে ১১ জনের মৃত্যু বিরাটকে ক্ষতবিক্ষত করেছে

মৃতের পরিবারদের পাশে আরসিবি। তাদের সঙ্গে কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা যৌথভাবে দিচ্ছে ৫ লাখ টাকা। কর্নাটক সরকার দিচ্ছে ১০ লাখ টাকা। তাহলে কি একজন মানুষের প্রাণের দাম ৫ লাখ টাকা! যারা আইপিএলে ক্রিকেটার দলে নেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেন, তাদের কাছে এই অর্থ দান মেনে নেওয়া যায় না। মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে অন্তত প্রত্যেককে ২৫ লাখ টাকা করে দেওয়া উচিত ছিল। একটা জীবনের দাম তাতেও পূরণ হয় না। তবু এই টাকা দিয়ে পরিবার কিছু করতে পারবেন। যাদের কাছে ছেলে বা মেয়ে ছিল একমাত্র সম্বল। সেখানে আরসিবির কাছ থেকে এই ভাবনা আশা করা যায় না। আরসিবি দেখাতে পারতো আমরা মাঠে নেমে ক্রিকেট খেলি। মাঠের বাইরে আমরা তোমাদের একজন। এই বার্তার সঙ্গে বড় অঙ্কের টাকা দিলে আরসিবি দেশের ক্রিকেট মহলেই নয়, ১৫০ কোটি মানুষের মন জয় করে নিতে পারত। সেটা আর হল কোথায়! https://x.com/RCBTweets/status/1930303952983339405?t=LB70yp0IcNYPNN1FClJuvA&s=19 বুধবার সন্ধ্যায় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) সংবর্ধনা অনুষ্টানের আগে বিরাট কোহলিরা জানতেও পারেননি কি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। চ্যাম্পিয়নদের দেখতে আসা ক্রিকেট ফ্যাানদের নিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি অনেক কথাই বললেন। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ক্রিকেট ফ্যানদের উৎসর্গ করলেন। মিনিট কুড়ির অনুষ্টানের পর ১১ জনের মৃত্যুর খবর তিনি পান। শুনে এতটাআই হতাশ হয়ে পড়েন যে কথা বলার ভাষা তিনি হারিয়ে ফেলেন। দেরি না করে ইনস্টাগ্রামে যা পোস্ট করলেন তা পড়লে প্রাক্তন অধিনায়কের মনের কথা জানা যায়। তিনি লিখলেন, একথা শোনার পর নতুন করে কোনও কথা বলার ভাষা আমার নেই। আমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের রাতের উৎসব বেঙ্গালুরুতে এসে বুধবার সন্ধ্যায় এভাবে অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যাবে তা আগে কে ভেবেছিলেন! কিন্তু সেটাই হল। উৎসব বিষাদে ঢাকা পড়ে গেল। ১১ জন ক্রিকেট ফ্যানের প্রান কেড়ে নিল আরসিবির বিজয় উৎসব। অনেকেই বলছেন, এর কি কোনও দরকার ছিল। এই অনেকের দলে আছেন তিরাশির বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য সৈয়দ কিরমানি। তিনি বলেন, আমাদের সময় এত মিডিয়া ছিল না। ছিল না এত টিভি চ্যানেল। এখন যুগ বদলেছে। আমরা অতি আধুনিক হয়ে পড়েছি। বলা যায়, তারই খেসারত দিতে হল। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এর দায় কে নেবে! আরসিবি ১৭ বছর পর (১৮ বছরের আইপিএল) আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের সকলের কাছে বড় খবর। ক্রিকেটারদের অবশ্যই সংবর্ধনা জানানো উচিত। কিন্তু তার আগে সব কিছু দেখে নিয়ে করা যেত। এটা তো জানাই ছিল, ক্রিকেটারদের সামনে থেকে দেখতে মানুষের ঢল নামবে। নিরাপত্তা অনেক বাড়িয়ে নিয়ে, হাতে একটু সময় নিয়ে এটা করা যেতেই পারত। কিন্তু তা আর হল কই। সব কিছু কেমন যেন তাড়াহুড়ো করে সারার চেষ্টা। আর তাতেই এই অঘটন। এর তো ব্যাখ্যা নেই। মঙ্গলবার রাতে রাজ্যের মানুষের প্রতিক্রিয়া প্রশাসন জেনে গিয়েছিল। অনেক রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় উৎসব হয়েছে। এরপর বিরাটরা শহরে এলে কি হতে পারে তার আন্দাজ কি প্রশাসনের কাছে ছিল না। একথ কেউ বিশ্বস করবেন না। খবর ছিল বলে বাস প্যারেড করার অনুমতি আরসিবির মেলেনি। তা হলে নিরাপত্তা বাড়ানো হল না। চিন্নাস্বামীতে সন্ধ্যার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হলে গেটপাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শোনা গেল, একজন নিরাপত্তা কর্মীকে সামলাতে হয়েছে ১০০ জন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষকে। এটা কী করে সম্ভব! স্টেডিয়মের গেট খোলার পর মানুষের ঢল এমনভাবে আসে যা কারোর পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব ছিল না। এবং তাতেই পদপৃষ্ট হয়ে প্রান হারালেন ১১ জন মানুষ। মৃতদের বয়স ১৩ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আহত হয়েছে অনেকেই। কারোর পা ভেঙ্গেছে। কারোর দেহের অন্য কোথাও লেগেছে। স্টেডিয়ামের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও ছিল না। দুটি অ্যাম্বুলেন্স কী করে আহ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাবে। এই কারনে অনেকে শ্বাসকষ্টে প্রন হারিয়েছেন। আগে থেকে পরিকল্পনা করে এগোতে পারলে হয়তো এমন অবস্থার মধ্যে পড়তে হত না। আহত মানুষের পাশে এখন দাঁড়িয়েছে সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আহতদের চিকিৎসার সব খরচ সরকার দেবে। কিন্তু মৃতদের পরিবার কি করবে। তাদের ১০ লাখ টাকা দিয়ে সব কিছু সারতে চাওয়া কি সঠিক পথ।
বিরাটদের অনেক দেরি হয়ে গেল, তবে পেয়েছে তো: সৌরভ

২০২৩ এর ১৯ নভেম্বর। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। ২০২৫ এর ৩ জুন। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। দুবছরের মধ্যে মোতেরার মাঠে প্রায় একই ঘটনা চোখে পড়ল। দুটির মধ্যে মিল যেমন আছে, তেমন অমিলও আছে। প্রথমটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর শুধু ভারতীয় ক্রিকেট দল নয়, কেঁদেছিল গোটা দেশ। আর দ্বিতীয়টি এখনও টাটকা। আইপিএল ফাইনালে বিরাট কোহলিরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিরাট কাঁদলেন। কাঁদল বিরাটের ফ্যানরাও। মোতেরা ব্যর্থতায় জলে চোখ ভরিয়ে দেয় না, আনন্দেও চোখে জল এনে দেয়। তাঁদের অপেক্ষার অবসান হল দীর্ঘ ১৮ বছরের মাথায়। একটু দেরিতে হলেও ট্রফি এল তো। সেটই মনে করিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানালেন, হ্যাঁ, সেরার শিরোপা জিততে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। তবে সাফল্য এল তো! সেটাই কম কিসের। আইপিএল একটা নতুন চ্যাম্পিয়নকে পেল। এটা মানতেই হবে, এবারের টুর্নামেন্টে ওরা শুরু থেকে ভাল ক্রিকেট খেলে এসেছে। ফাইনালেও একই ধারা ধরে রেখেছে। তাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সৌরভের কাছে আইপিএল পর্ব এখানেই শেষ। কিন্তু ক্রিকেট শেষ হল না। সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ। ভারতীয় দলে খেলতে দেখা যাবে না বিরাট ও রোহিতকে। তাঁদের অবর্তমানে ভারতীয় দল কতটা ভাল পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারে তা দেখার ব্যাপার। তাদের সামনে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। প্রসঙ্গ উঠতে সৌরভ বলছিলেন, ভারতীয় দল আশা করি ভাল ক্রিকেট খেলবে। এবারের দলটিকে কেন নতুন বলে মনে হচ্ছে। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ভারতের যে দলটি খেলছিল, সেখানেও তো অনেক করুন ক্রিকেটার ছিল। তা-ও ভারতীয় দল সিরিজ জিতেছিল। সেদিনের কথা কেউ একবারও বলছেন না। তাই এবার কিছু একটা হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। অপেক্ষায় আছি বুমরা কতটা ফিট হয়ে খেলতে পারবে। বুমরা যদি পাঁচটি টেস্ট খেলতে পারে, তা হলে ভারত কিছু একটা রে দেখাতে পারে। ইংল্যান্ডের কথা উঠলে আমার ১৯৯৬ সালের কথা মনে পড়ে। আমার সঙ্গে রাহুলেরও সেই সিরিজে অভিষেক হয়েছিল। আমরাও ভাল ক্রিকেট খেলেছিলাম। এবার কেউ হয়তো সেভাবে আলোচনায় চলে আসতে পারে। করুন নায়ারকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ভারতীয় এ দলের হয়ে ডবল সেঞ্চুরি করলেন নায়ার। টেস্ট সিরিজে বিরাটের জায়গায় তাঁকে কি খেলানোর কথা ভাবা যেতে পারে! সৌরভ এই সিদ্ধান্তটি গিলর উপর ছেড়ে দিলেন। বললেন, আইপিএলে গিল গুরাটকে ভাল নেতৃত্ব দিল। আশা করি জাতীয় দল নিয়েও এমনভাব চলতে পারবে। নায়ার খেলবে কি খেলবে না, সেটা পুরোপুরি গিলের উপর নির্ভর করবে। গিল চাইলে খেলবে, নইলে নয়। আরও অনেকে তো দলে আছে। তাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন চার নম্বরে চলে আসবে। এখনও সময় আছে। তাই আলাদা করে ভাবনা চিন্তার সময়ও আছে। এখনই আলোচনা করার দরকার নেই।
আরসিবির আইপিএল ট্রফি জয়ে উঠে এল অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গ

১৮ বছরের চেষ্টার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গলোরের ঘরে এল আইপিএল ট্রফি। স্বপ্নপূরণ হল বিরাট কোহলির। মাঠ থেকে হোটেল – মঙ্গলবার রাত থেকে উচ্ছ্বাসে ভাসছে আরসিবি। ড্রেসিংরুমে ফিরেও হয়েছে সেলিব্রেশন। তারই মধ্যে ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট মো বোবাট আবেগঘন বক্তব্য রাখলেন। সেলিব্রেশনের মধ্যেও সাজঘরের আবহ ছিল নতুন শুরুর। নতুন শপথের। বোবাট বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ওয়েল ডান। আমরা যা অর্জন করলাম, তার জন্য দারুণ গর্বিত। কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, অ্যানালিস্ট- সকলের সাফল্য। আলাদা করে বিরাট কোহলির উদ্দেশে তিনি বলেন, “জানি একজনকে তুলে ধরা তুমি পছন্দ কর না। বিরাট, তোমাকে তো বিশেষ ধন্যবাদ। অন্য যে কারও চেযে এটা তোমার প্রাপ্য ছিল।“ অধিনায়ক রজত পাতিদার, ফিল সল্ট, জস হ্যাজলউডদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান বোবাট। তারপরই আগামির স্বপ্ন। তিনি বলেন, “আগামি বছর বেঙ্গালুরুতে ফাইনাল। আমাদের আবার চ্যাম্পিয়ন হতে হবে।“ ফাইনালের পর আরসিবি সাফল্যে উঠে এল অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ। হেড কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার জানিয়ে দিলেন, ওই সময় খেলা বন্ধ থাকায় তাঁদের দারুণ সুবিধা হয়েছে।তিনি মনে করেন, এই সময়টা পেয়ে যাওয়ার জন্যই রজত পাতিদার, জস হ্যাজলউডরা চোট সারিয়ে ওঠার সময় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই এটাকে একটা টার্নিং পয়েন্ট বলছেন ফ্লাওয়ার।