ফিফা, আই-লিগ করানো রেফারিদের লেভেল-৬-এ নামিয়ে নতুন ‘পলিসি’ ফেডারেশনের!

দেশের আটটি রাজ্যের আটজন রেফারি। তাদের কেউ ফিফা ব্যাজ পেয়ে নিয়মিত আইএসএল, আই লিগ পরিচালনা করিয়েছেন। কেউ নিয়মিত আই লিগ করিয়েছেন। রেফারিং-এর ভাষায় বলা হয় তাদের ক্যাটেগরি-২ নম্বরে। হঠাৎ সেই রেফারিদের উদ্দেশে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি কমিটি একটি মেল পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এক বছরে, মানে গত বছরে দু’বার ফিটনেস পরীক্ষায় পাস না করতে পারার জন্য তাদের ৬ নম্বর লেভেলে নামিয়ে দেওয়া হল! মানে আই লিগ তো দুরের কথা, লেভেল-৬-এ নেমে যাওয়া রেফারিরা দেশের কোনও প্রথম সারির টুর্নামেন্টের ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন না! আশ্চর্যের বিষয়, এই ই-মেল কিন্তু গতবছর রেফারিদের ফিটনেস পরীক্ষার আগে পাঠানো হয়নি। আরও আশ্চর্যের বিষয়, যে আটজন রেফারিকে তাদের অর্জিত লেভেল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের কেউই কিন্তু দু’বার ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হননি! প্রথমবার পাস না করতে পারলেও একমাসের মধ্যে আবার হওয়া ফিটনেস পরীক্ষায় তারা পাস করেছেন। ১২ ল্যাপ দৌড়ে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় পাস করার উদাহরণও আছে। যার প্রতিফলনে, তারা তাদের ডিগ্রি অনুযায়ী প্রাপ্য ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বও পেয়েছেন। কেউ আই লিগের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। কেউ আইএসএলেও ম্যাচের রেফারিদের প্যানেলে নথীভূক্ত হয়েছেন। তারপর এই প্রহসন কেন? তাহলে কি এই আটজনের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র করা হল? ভারতীয় ফুটবলের চিফ রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটলের কাছে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকী, রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান কে.শঙ্করকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। আটজন রেফারি এখন বিচারের জন্য তাকিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবের দিকে। সম্মিলিতভাবে প্রেসিডেন্টকে তারা নথীপত্র-সহ মেল পাঠিয়ে জানতে চাইবেন কেন তারা অবিচারের শিকার হুলেন? তাতেও যদি বিচার না পাওয়া যায় তখন পরবর্তী পদক্ষেপ।