ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে রোহিত, গড়লেন রেকর্ড

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ শেষ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন রেকর্ড রোহিত শর্মার(Rohit Sharma)। কেরিয়ারে প্রথমবার ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষস্থানে পৌঁছলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। শুধু তাই নয় বয়স্ক ক্রিকেটার হিসাবে তিনিই প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে শীর্ষস্থানে নিজের নাম লেখালেন। অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পরই এই নতুন পুরস্কার পেলেন রোহিত শর্মা। ওডিআই(ODI) সিরিজে ভারতের হয়ে অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে শুরুটা ভালোভাবে না হলেও, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওডিআই ম্যচে দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। শেষ ম্যাচে তো সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। সেই পারফরম্যান্স দেখার পর তেকেই রোহিত শর্মাকে নিয়ে সকলে উচ্ছ্বসিত। সেই সিরিজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই আইসিসির তরফে পুরস্কারও পেয়ে গেলেন বিশ্ব ক্রিকেটের হিটম্যান। আইসিসির ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় প্রথমবার শীর্ষস্থানে পৌঁছলেন তিনি। আইপিএল চলাকালীনই টেস্ট ফর্ম্যাট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন রোহিত শর্মা। চিয়ো টোয়েন্টি আগেই অবসর নিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই ফের একবার দেশের জার্সিতে নেমেছিলেন তিনি। তবে সেই সিরিজের আগেই আবার তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকেও সরানো হয়েছিল। সেই নিয়েও কম জল্পনা হয়নি। আদৌ রোহিত শর্মা বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও একটা জল্পনা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই সেই জবাবটা দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৩ রানের ইনিংস। আর শেষ ম্যাচে তো তাঁর সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারেননি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। তাঁর একের পর এক বড় শট পার করেছিল গ্যালারী। অপরাজিত সেঞ্চুরি ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। সেই পারফরম্যান্সেরই এবার পুরস্কার পেলেন রোহিত শর্মা। সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসির ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষস্থানে নিজের জায়গা পাকা করে ফেললেন তিনি। সেইসঙ্গেই কেরিয়ারে প্রথম এই মাইলস্টোনও ছুঁলেন রোহিত। সামনেই রয়েছে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ। সেখানেও রোহিতকে এই চেনা ছন্দে দেখা যায় কিনা সেটাই দেখার।
সিডনিতে দুরন্ত ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় বিরাট-রোহিতের

বড় রান পেলেন, সেইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার কেরিয়ারের শেষ খেলাটাও বোধহয় খেলে ফেললেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সিডনিতে শেষ ম্যাচ খেলেই আবেগতাড়িত দুই মহা তারকা। অস্ট্রেলিয়ায় এটাই যে তাদের শেষ ওডিআই ম্যাচ খেলা হয়ে গেল, তা এক প্রকার স্পষ্ট করে দিলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) থেকে বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। আবেগের সুর ঝড়ে পড়ল তাদের গলা থেকে। সিডনিকে বিদায় জানিয়েই মাঠ ছাড়লেন তারা। অস্ট্রেলিয়ায় এরপর আর হয়ত ক্রিকেটার হিসাবে দেখা যাবে না রোহিত এবং বিরাটকে। ভারতের পাশাপাশি এই দেশেও যে বিরাটের বহু ভক্ত। তা তো ম্যাচ শেষেই বোঝা গেল। বিরাটের কাছে মাইক যেতেও গ্যালারীতে চিৎকার। বিরাটও তখন আবেগতাড়িত। অবশেষে এই সিডনিতেই বিরাটের ব্যাটেও যে রান এসেছে। সেই বিরাট কোহলি ম্যাচ শেষে বলছেন, আমরা সবসময়ই এখানে খেলতে ভালোবাসি। আমাদের বেশ কিছু ভালো পারফরম্যান্সও তো এই দেশেই হয়েছে। সকলের থেকে সমর্থন পেয়েছি। ধন্যবাদ সকলকে। রোহিত শর্মা আর ঢাকতে পারলেন না। বলেই ফেললেন এটাই হয়ত তাদের শেষ ম্যাচ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়াতে। রোহিত শর্মা বলেন, আমি সবসময়ই অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে চেয়েছি। এটা সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ কটা জায়গা। সেই ২০০৮ সাল থেকেই বিশেষ। আমি নি্শ্চিত নই যে ফের এখানে আর কোনও দিন খেলার সুযোগ পাওয়ার ব্যপারে। সকলকে অনেক ধন্যবাদ।
রোহিত-কোহলির ব্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে হেলায় হারাল ভারত

সিডনিতে রো-কো শো। আর তাতেই বাজিমাত ভারতের(India Cricket Team)। সিরিজ হেলে গেলেও, শেষ ম্যাচে রোহিত(Rohit Sharma) এবং বিরাটের(Virat Kohli) চওড়া ব্যাটে ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে কার্যত হেলায় হারাল ভারতীয় দল। দীর্ঘদিন পর ফের একবার হিটম্যানের মেজাজে দেখা গেল রোহিত শর্মাকে(Rohit Sharma)। হাঁকালেন একের পর এক বড় শট। এদিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কেরিয়ারের নবম সেঞ্চুরি যেমন করলেন রোহিত শর্মা। তেমনই ৭৫ তম অর্ধশতরান করলেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর সিডনিতেই রানে ফিরলেন বিরাট কোহলি। আর তাদের সামনেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার তারকা বোলাররা। ১২১ রানে অপরাজিত রোহিত, সঙ্গে বিরাট কোহলি দাঁড়িয়ে ৭৪ রানে। ১২ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। টেস্ট, টি টোয়েনেটি থেকে অবসর নেওয়ার পর বিরাট(Virat Kohli) ও রোহিত(Rohit Sharma) দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই ওডিআই ফর্ম্যাটে নেমেছিলেন। সেখানে রোহিতের ব্যাটে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে রান এলেও, বিরাটের রানের খরা চলছিলই। অবশেষে বিরাট ভক্তদের মুখে হাসি ফুটল শনিবার। আর বিরাটের ব্যাট চললে যে বোলাররা কতটা অসহায় তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। ১৬৭ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ রোহিত-কোহলির। আর তাতেই সহজ জয় টিম ইন্ডিয়ার। A clinical bowling and fielding effort 👏 A magnificent partnership between 2️⃣ greats 🫡 📸 Moments to cherish from #TeamIndia‘s 9️⃣-wicket victory in Sydney! Updates ▶ https://t.co/omEdJjQOBf#AUSvIND | #3rdODI pic.twitter.com/uK7BJJeAUT — BCCI (@BCCI) October 25, 2025 টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ভারত এদিন প্রথম একাদশে দুটো বদল এনেছিল ভারত। কুলদীপ যাদব এবং প্রসিধ কৃষ্ণা এসেছিলেন দলে। তবে বল হাতে এদিন দুরন্ত ফর্মে ছিলেন হর্ষিত রানা। তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। তবে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডার ধসিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ ও ওয়াশিংটন সুন্দর। শর্ট, রেনেশকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। শেষপর্যন্ত ২৩৬ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া হলেও ভারতের সামনে তখন ছিল সহজ লক্ষ্য। ওপেনিংয়ে রোহিত ও শুভমন শুরুটা ভাল করলেও ২৪ রানেই থামেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। এরপরই মাঠে আসেন বিরাট কোহলি। শুরু থেকেই এদিন সচেতন ছিলেন ভারতীয় দলের তারকা ব্যাটার। তাঁর দিকেই তাকিয়েছিলেন এদিন সকলে। এদিন আর হতাশ করেননি তিনি। বরং তাঁকে পাশে পেয়ে ক্রমশই আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন রোহিত শর্মা। সময় যত বাড়ে, ততই রোহিতের ব্যাট থেকে আসতে শুরু করে একের পর এক বড় শট। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত বিরাট কোহলিরও। রোহিত শর্মার অর্ধশতরানের কিছুক্ষণ পরই বিরাট কোহলির ব্যাটেও এল অর্ধশতরানের ঝলক। ভারতের জয় তখন সময়ের অপেক্ষা। বারবার বোলিং বদল হলেও, রোহিতের আক্রমণ থামানো কঠিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ১৩টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে রোহিতের ইনিংস ১২১ রানের। অন্যদিকে বিরাট কোহলির ৭৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ৭টি চার দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার হোয়াইট ওয়াশের স্বপ্ন অধরাই রইল।
দুরন্ত ক্যাচ নেওয়ার পরই হাসপাতালে শ্রেয়স

দুরন্ত ক্যাচ নিলেন। কিন্তু সেই ক্যাচটাই যেন চিন্তা বাড়াল ভারতীয় দলের। গুরুতর চোট পেয়ে হাসপাতালে শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। বেকায়দায় পড়ে পাঁজড়ে চোট পান শ্রেয়স(Shreyas Iyer)। আর তাতেই চিন্তা বেড়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। অ্যালেক্স ক্যারির দুরন্ত ক্যাচ তিনি নিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সেই ক্যাচ নিতে গিয়েই পাঁজড়ে চোট পান শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। এরপরই মাঠ ছাড়তে দেখা যায় ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটারকে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় শ্রেয়সকে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই সফরেই ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক হয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। দ্বিতীয় ম্যাচে বারতীয় দল হারলেও সেখানে রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) পাশাপাশি বড় রান পেয়েছিলেন শ্রেয়সও(Shreyas Iyer)। ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে শেষ ম্যাচে আর ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পাননি তিনি। তবে এরপর ভারতীয় দলের হয়ে পরবর্তী সিরিজে তিনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তাঁর চোট পাওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। কতটা গুরুতর চোট পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। এরপরই বোর্ডের তরফ থেকে শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে বড়সড় আপডেট বোর্ডের। সেখানেই জানানো হয়েছে ক্যাচ নেওয়ার সময় চোট পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। এরপরই তাঁর চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে। তবে এএখন তিনি কেমন রয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তাঁর রিপোর্ট আসার অপেক্ষাতেই রয়েছেন সকলে। শ্রেয়সের চোট কতটা গুরুতর হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
রোহিতের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ! গম্ভীরের মন্তব্যে হৈচৈ

রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) উদ্দেশ্যে অবসরের বার্তা গম্ভীরের! দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) এই একটা মন্তব্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল। না এখনই রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) অবসর নেওয়ার খবর নেই। আর গম্ভীরের সেই মন্তব্যও ছিল একেবারেই মজা করে। রোহিত শর্মা যখন ম্যাচ শেষে বেড়োচ্ছিলেন সেই সময়ই গম্ভীরের(Gautam Gambhir) মুখে শোনা যায় রোহিতকে উদ্দেশ্য করে ফেয়ারওয়েল ম্যাচের কথা বলা। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চর্চা তুঙ্গে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ওডিআই সিরিজেই ফের দেশের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। প্রথম ম্যাচে সেভাবে সফল হতে না পারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিকও রোহিত শর্মাই(Rohit Sharma)। ৯৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের হিটম্যান। সেই রোহিত শর্মাকেই গম্ভীরের(Gautam Gambhir) ফেয়ারওয়েলের কথা! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ২ উইকেটে হেরেছিল ভারত। ম্যাচ শেষে ভারতীয় দল যখন স্টেডিয়াম থেকে বেড়োচ্ছে সেই সময়ই রোহিতের উদ্দেশ্যে গৌতম গম্ভীরের বার্তা। খানিকটা ইয়ার্কির সুরেই গৌতম গম্ভীর বলেন, “রোহিত সকলের মনে হচ্ছিল আজ বোধহয় তোমার ফেয়ারওয়েল ম্যাচ। আরে ছবি তো লাগিয়ে দাও অন্তত”। আর সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান যেমন রোহিত শর্মা করেছেন, তেমনই এই পারফরম্যান্স তাঁর আগামী বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রেও রাস্তা খানিকটা প্রশস্ত করেছে। তৃতীয় ওডিআইতেও রোহিত শর্মা তাঁর পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেন কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
কুলদীপকে খেলানোর সওয়াল প্রাক্তন ভারতীয় পেসারের

অ্যাডাম জাম্পা(Adam Zampa) যখন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করছেন, সেই সময় ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে রয়েছেন কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। প্রথম দুই ওডিআই ম্যাচেই তাঁকে বসি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজও হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। এরপরই কুলদীপকে(Kuldeep Yadav) খেলানো নিয়ে সরব হয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার বরুণ অ্যারণ(Varun Aaron)। শেষ ওডিআই ম্যাচে কুলদীপ যাদবকে(Kuldeep Yadav) খেলানোর পরামর্শই দিচ্ছেন বরুণ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিং শক্তিই দেখে নিতে চেয়েছিল ভারতীয় দল। প্রথম দুই ম্যাচেই তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে ব্যাটিংয়ের ওপর জোর দিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেনি। বরং তাসের ঘরের মতোই বারবার ভেঙে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়ার(India Cricket Team) ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer) রান পেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত জিততে পারেনি। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অ্যাডাম জাম্পা(Adam Zampa)। তিনি একাই তুলেছিলেন চার উইকেট। সেই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল কুলদীপ যাদবকে(Kuldeep Yadav) না খেলানোর সিদ্ধান্তেই ছিল অনড়। এমন পরিকল্পনাটাই যেন বেশ অবাক করছে বরুণ অ্যারণকে। কেন কুলদীপকে খেলানো হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তিনি। সম্প্রচারকারী সংস্থার অনুষ্ঠানে বরুণ অ্যারণ জানিয়েছেন, “প্রথম ম্যাচ থেকেই কুলদীপকে(Kuldeep Yadav) খেলানো উচিৎ ছিল ভারতীয় দলের। সেক্ষেত্রে একজন ব্যাটারকে অবশ্য ছাড়তে হত। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের পিচে দুজন পেসার নিয়ে খেলাটাও খুব একটা যুক্তিযুক্ত নয়। কুলদীপ এমন একজন বোলার যিনি, যেকোনও পরিস্থিতিতে উইকেট তুলতে পারেন। এছাড়াও যে রান ব্যাটাররা করতে পারেননি, বল হাতে সেটা ম্যানেজ করতেও তিনি যথেষ্ট দক্ষ”। অস্ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াতে তিন অল রাউন্ডারে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। গম্ভীরদের সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত ফ্লপ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের হাত থেকে সিরিজ হাতছাড়া আগেই হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ ম্যাচে ভারতের সামনে সম্মান রক্ষার লড়াই। সেখানেই শেষপর্যন্ত কুলদীপ যাদবকে খেলানো হয় কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
ফের ব্যাটিং বিপর্যয়, অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হার ভারতের

আবারও ব্যাটারদের ব্যর্থতা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে অ্যাডিলেডে হারের সঙ্গেই সিরিজও হাতছাড়া ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ২ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া। শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইট ওয়াশের হাত থেকে শুভমন গিলরা নিজেদের রক্ষা করতে পারে কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। প্রথম ম্যাচের পর এদিনও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের চূড়ান্ত ব্যাটিং ব্যর্থতা। রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়স আইয়ার অর্ধশতরান পেলেও, বাকি কেউই সেভাবে বড় রান করতে পারেননি। এদিনও শূন্য রানেই ফিরতে হয়েছে ভারতের অন্যতম প্রধান ভরসা বিরাট কোহলি। অধিনায়ক গিল ফেরেন ৯ রানে। রোহিত শর্মা ক্রিজে টিকে থাকতে না পারলে ভারত এদিনও ২০০ পেড়োতে পারত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ৯৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। তিনি যখন ফেরেন সেই সময় ভারতের রান ১৩৫। শ্রেয়স আইয়ার করেন ৬৬ রান। আর শেষের দিকে অক্ষর পটেল ৪৪ রান করায় অবশেষে ২৬৪ রানে পৌঁছয় ভারত। যদিও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই রান একেবারেই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল না। অর্শদীপ, হর্ষিতরা অবশ্য লড়াইটা করতে শুরু করেছিলেন। একটা সময় পরপর কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে লড়াইয়েও ফিরিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ম্যাট শর্টের ৭৪ রানের ইনিংস এবং কনোলির শেষপর্যন্ত ৬১ রানে অপরাজিত থাকাটাই ভারতের সব আশা শেষ করে দিয়েছিল। ম্যাচ ৪৬ ওভার পর্যন্ত গড়ালেও, শেষ হাসি ফোটে অস্ট্রেলিয়ার মুখেই। শেষের দিকে বার্টলেট, স্টার্কদের তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফেরালেও, ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ অনেক আগেই বের করে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
শূন্য রানে ফিরতেই অবসরের ইঙ্গিত বিরাট কোহলির!

রোহিত বড় রান পেলেও, অ্যাডিলেডেও শূন্য হাতেই ফিরতে হল বিরাট কোহলিকে(Virat Kohli)। সেইসঙ্গে তিনি নিজেই যেন তাঁর অবসরের জল্পনাটা উস্কে দিলেন। বিরাট(Virat Kohli) মাঠ ছাড়ার সময় অ্যাডিলেডের গ্যালারীর উদ্দেশ্যে হঠাৎই বিদায় জানিয়ে হাত নাড়লেন। আর তাতেই ক্রিকেট মহল জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিরাটের(Virat Kohli) অবসর ঘিরে গুঞ্জন। এই অস্ট্রেলিয়া সফরই কী তবে দেশের জার্সিতে শেষ সিরিজ হচ্ছে ভারতের এই কিংবদন্তী ক্রিকেটারের। কারণ সিরিজ শুরুর আগে এমনই এক ইঙ্গিতবাহী পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছিলেন বিরাট কোহল। অ্যাডিলেডেও এদিন শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। অন্যদিকে অ্যাডিলেডে ৭৩ রানের ইনিংস খেললেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। হিটম্যানের স্বভাবচিত ইনিংস না হলেও, ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা বেশি সময় নিলেন না তিনি। ৯৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেললেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। তবে বেশ ধীর গতিতেই খেললেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। বিশ্বকাপের আগে অনেকেই মনে করছিলেন যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজ বিরাট(Virat Kohli) ও রোহিতের(Rohit Sharma) কাছে কঠিন পরীক্ষা। বিরাট প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও, রোহিত যে পাশ করে গেলেন এমনটা কিন্তু অনেকেই মনে করছেন। পার্থে আট বল খেলেছিলেন। কিন্তু রানের খাতা খুলতে পারেননি বিরাট কোহলি। অ্যাডিলেডে বিরাটের(Virat Kohli) সামনে ছিল নতুন ইতিহাসের হাতছানি। সেইসঙ্গে রানে ফেরার লড়াই। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ বিরাট কোহলি। এই ম্যাচে ২৫ রান করতে পারলেই অ্যাডিলেডে ১০০০ রানের মালিক হতেন বিরাট। কিন্তু এখানেই চার বলে শূন্য রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল বিরাট কোহলিকে। এখনও পর্যন্ত ওডিআই ফর্ম্যাট সহ কোনও ফর্ম্যাটেই বিরাট কোহলি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। এই প্রথমবার পরপর দুই ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হল বিরাট কোহলিকে। এরপরই তাঁর দর্শকদের উদ্দেশ্যে এমন একটা ইঙ্গিত। আর তা নিয়েই এখন সরগরম ভারতীয় ক্রিকেট মহল।
অর্ধশতরান পেলেও রোহিতের ধীর গতির ব্যাটিং চিন্তা বাড়াচ্ছে

বিরাট কোহলি(Virat Kohli) আবার ব্যর্থ হলেও, রান পেলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। অ্যাডিলেডেই ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। কিন্তু হিটম্যানের অবতারে পাওয়া গেল না রোহিত শর্মাকে(Rohit Sharma)। বরং ১০ বছরের মধ্যে এটাই রোহিত শর্মার সবচেয়ে ধীর গতির অর্ধশতরান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে ৭৪ বলে অর্ধশতরান করলেন রোহিত শর্মা। সেইসহ্গে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেই থামলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। রান পেলেও, রোহিতের(Rohit Sharma) ধীর গতি নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের দল ঘোষণার আগেই ভারতীয় ওডিআই দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরানো হয়েছিল রোহিত শর্মাকে। তাঁর পরিবর্তে ভারতীয় ওডিআই দলের অধিনায়ক এখন শুভমন গিল(Shubman Gill)। সেই সময় থেকেই রোহিতদের(Rohit Sharma) দেশের জার্সিতে ওডিআই ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল নানান জল্পনা। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষাতে সকলে। রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) প্রথম ম্যাচে রান বা পেলেও, অ্যাডিলেডেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ৭৩ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু বল খেলেছিলেন ৯৭টি। হিটম্যানের খেলার সঙ্গে যা একেবারেই মানায় না। অর্ধশতরান করলেন ৭৪ বল খেলে। ২০১৫ সালের পর এটাই রোহিত শর্মার সবচেয়ে ধীর গতির অর্ধশতরান। রোহিত রান পেলেও তাঁর এই পারফরম্যান্স কিন্তু নানান প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে। যদিও রোহিত শর্মার হাত ধরে এদিন ভারত শুরুটা অবশ্য ভালোভাবে করতে পেরেছিলেন। বিরাট কোহলি এদিনও শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরেছিলেন। সেখানে দাঁডিয়ে রোহিতের এই পারফরম্যান্স তাঁর ওডিআই বিশ্বকাপে থাকার পথটা যে খানিকটা হলেও দৃড় করল তা বলাই যায়।
অধিনায়ক গিলের অভিষেক ম্যাচে ব্যর্থ রোহিত, কোহলি, শুরুতেই হার ভারতের

দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে শুরুটা একেবারেই ভালো হল না রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলির(Virat Kohli)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই ম্যাচে ৭ উইকেটে হারল ভারত। রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) করলেন ৮ রান। বিরাট কোহলি শূন্য রানেই ফিরলেন। সেইসঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্নও তুলে দিলেন তারা। এই ম্যাচ দিয়েই আূবার ওডিআই অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক হয়েছিল শুভমন গিলের(Shubman Gill)। কিন্তু হার দিয়েই যাত্রাটা শুরু করতে হল তাদের। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ। টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার। শুরু থেকেই ভারতের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ওপেনিংয়ে যেমন রোহিত শর্মা ব্যর্থ। তেমনই মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা বিরাট কোহলি আবারও সেই পুরনো দুর্বলতার কাছেই হার মানলেন। শূন্য রানেই ফিরলেন তিনি। অধিনায়ক গিল করেন ১০ রান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন কেএল রাহুল। ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৩৬ রানে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ওভার কমে দাঁড়িয়েছিল ২৬। সেখানে ভারতের ১৩৬ রান অস্ট্রেলিয়ার কাছে অনেকটাই সহজ লক্ষ্য ছিল। তাড়াতাড়ি অস্ট্রেলিয়া দুটো উইকেট হারালেও, মিচেল মার্শের ৪৬ রানের দুরন্ত ইনিংস। সেইসঙ্গে ফিলিপের ৩৭ এবং রেনেশর ২৪ রানে ভর করে ২৯ বলে বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।