চেন্নাইয়ের কাছে হেরে প্রথম দুইয়ে থাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল গুজরাটের

নিজেদের কাজটা নিজেরাই কঠিন করে তুলল গুজরাট টাইটানস। শেষ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে প্রথম দুইয়ে থাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল গিলদের। ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্টে শেষ করল গুজরাট। অন্যদিকে পঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দুটি দলেরই পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১৭। অর্থাৎ এই দুই দল যদি তাদের শেষ ম্যাচে জেতে তাহলে দুটি দলই পৌঁছে যাবে ১৯ পয়েন্টে। তখন আর প্রথম দুইয়ে থাকা সম্ভব হবে না গুজরাটের। অথচ রবিবার চেন্নাইকে হারালেই এক নম্বর জায়গাটা নিশ্চত হয়ে যেত গিলদের। এদিন ৫ উইকেটে ২৩০ রান করে সিএসকে। কিন্তু বড় রানের চাপে ভেঙে পড়ে ১৪৭ রানেই শেষ হয়ে যায় গুজরাটের ইনিংস। একমাত্র সাই সুর্দশন ৪১ রান করেন। ব্যর্থ গিল-বাটলাররা। ফলে চাপ বাড়ল গুজরাটের। এখন আরসিবি ও পঞ্জাবের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। গিলরা কোয়ালিফায়ারে খেলবেন না এলিমিনেটরে খেলবেন, সেটা বোঝা যাবে ওই দুটি ম্যাচের যে কোনও একটির ওপর।
বোঝাচ্ছেন সুদর্শন, জয়সওয়ালের মত তিনিও সব ফরম্যাটের ক্রিকেটার

এবারের আইপিএলের দিকে তাকান। দেখুন তাদের ওপেনিং জুটিকে। দুই ওপেনার শুভমন গিল ও সাই সুদর্শনের মধ্যে গিল তো প্রতিষ্ঠিত তারকা। কিন্তু অবাক করছেন তরুণ সুদর্শন। যেমন ধারাবাহিকতা, তেমনি টেকনিক, এবং টেম্পরমেন্ট। গুজরাট টাইটানস যে এবার তরতর করে এগোচ্ছে, তার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান দুই ওপেনারের। এক্ষেত্রেও আলাদা করে বলতে হচ্ছে সুদর্শনের কথা। একটা আলোচনা খুব জোরালোভাবেই হয়।সব ফরম্যাটের ক্রিকেটার যশস্বী জয়সওয়াল।একেবারে সঠিক কথা, কিন্তু পাশাপাশি এটাও তো ঠিক, সাই সুদর্শনও একই তকমা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এখনও কেন সেভাবে আলোচনা নেই? তবে খুব তাড়াতাড়িই যে এটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। আইপিএলে ভরদ্বাজ সাই সুদর্শনের পারফরম্যান্সটার দিকে তাকান। এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ৩৫টি ম্যাচ। রান করেছেন ১৫৩৮। স্ট্রাইক রেট ১৪৩.৭৪। গড় ৪৮.০৬। এবার রঞ্জির পারফরম্যান্সের দিকে তাকান। ১২ ম্যাচে করেছেন ৯০০ রান। গড় ৪৫.০০। বিজয় হাজারেতে ১৭ ম্যাচে ৮৫৬ রান। লক্ষ্য রাখুন গড়ের দিকে। ৫০.৩৫। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে খেলেছেন ১৮টি ম্যাচ। করেছেন ৪৬৪ রান। গড় ৩০.৯৩। বিদেশের মাটিতে। ইংল্যান্ডের মত আবহাওয়া, পরিবেশেও ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ইংলিশ কাউন্টিতে ৫টি ম্যাচ খেলে করেছেন ২৮১ রান। গড় ৩৫.১৩। শুধু পরিসংখ্যান নয়, প্রতিদিন, প্রতিটা ইনিংসে বুঝিয়ে চলেছেন তাঁর দক্ষতা। যেভাবে সাফল্য পাচ্ছেন, যেভাবে গড়ে তুলছেন তাঁর ইনিংসগুলিকে, তাতে খুব তাড়াতাড়িই জয়সওয়ালের মত তাঁর দক্ষতাও তাঁকে নতুন তকমা এনে দিতে চলেছে।