শুরুতে বুমরাকে নেতৃত্বে দেখতে চেয়েছিলেন মঞ্জেরেকর

ইংল্যান্ড সফরে অধিনায়কের লড়াইয়ে দুজন ক্রিকেটারের নাম ভেসে উঠেছিল। একজন শুভমান গিল। আর একজন জসপ্রীত বুমরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাজি জিতে গেলেন গিল। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচকদের ভোট পেয়ে গিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচ টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হয়ে গেলেন। সাদা বলের ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থাকলেও টেস্টে তাঁকে সেভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বিদেশের মাঠে ব্যাটসম্যান গিল ফ্লপ বলা যেতে পারে। না হলে বিদেশে ভারতের শেষ টেস্ট সিরিজে কেন প্রথম একাদশের বাইরে থাকবেন গিল। সেদিনও তো কোচের চেয়ারে ছিলেন গম্ভীর। সেদিন পছন্দ না হলে এখন কীভাবে গিল তাঁর ডায়েরিতে প্রথমেই উঠে এলেন। ভারতীয় কোচ ও নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জেরেকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইদানীং তিনি বিতর্ক তুলে দিতে পারেন। তাঁর মতের সঙ্গে অনেকেই কথার মিল খুঁজে পান না। তবে এক্ষেত্রে যুক্তি দিয়ে তিনি অধিনায়ক নির্বাচনের ব্যাপারটি বোঝাতে চেয়েছেন। তাঁর মতে রোহিত ও বিরাট দলে না থাকায় চাপ পড়বে। সিরিজ খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। এই ধরনের সিরিজ কেন একজন নতুন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে। বিদেশের মাঠে ব্যাটিংয়ে ঠিকভাবে ক্লিক করতে পারছে না গিল। তার উপর অধিনায়কের বোঝা কাঁধে চাপিয়ে কোনঠালা করে দেওয়া হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রোহিতের ডেপুটি ছিল বুমরা। প্রথম টেস্টে রোহিত না থাকায় বুমরা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। ভারতীয় দল জিতেওছিল। আবার সিডনি টেস্টে রোহিত সরে দাঁড়ানোয় বুমরা ফের দলকে নেতৃত্ব দেয়। সেই টেস্টের তৃতীয় দিন পিঠে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বুমরা। তারপর আর তাঁকে জাতীয় দলরে জার্সিতে খেলতে দেখা যায়নি। অনেকদিন বেঙ্গালুরুতে রিহ্যাব করর পর মাঠে ফিরে আসে। আইপিএলের শুরুতেও বুমরাকে খেলতে দেখা যায়নি। তারপর ফিরে এসে বুমরা চমক দিয়েছে। এই পারফরম্যান্স ইংল্যান্ডে ধরে রাখতে পারলে বুমরা দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। তাই বুমরা ছাড়া অন্য কাউকে অঝিনায়ক হিসেবে চোখে পড়েনি। এখানেই থেমে যাননি সঞ্জয়। বলছেন, শুনছি বুমরা নাকি পুরো সিরিজ খেলবে না। বোর্ডকে জানিয়েও দিয়েছে। সম্ভবত তিন বা চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। তা হলেও অসুবিধা কোথায়! প্রথম দুটি টেস্টের জন্য বুমরাকে অধিনায়ক করা যেতে পারত। ওর ডেপুটি থাকত গিল। বুমরা সরে গেলে গিল দলকে নেতৃত্ব দিত। অস্ট্রেলিয়ার মতো এক হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বুমরার। আসন্ন সিরিজে দল নিয়ে ঠিকই চলতে পারত। কিন্তু তাকে অধিনায়ক করা হল না। কেন! এই প্রশ্ন অনেকের। নির্বাচকরা বলছেন, তাঁরা পার্টটাইম অধিনায়ক রাখতে চান নি। বুমরা ফিট হলে হয়তো তাঁকে অধিনায়ক করা হত। কিন্তু দুটি বা তিন টেস্টর জন্য একজনকে অধিনায়ক করে পরে আবার নতু একজনের কাঁধে দায়িত্ব দিতে রাজি ছিলন না তাঁরা। তাই বুমরাকে সরিয়ে নির্বাচকরা গলকে বেছে নেন। সঞ্জয় বলছেন, এমনটা না করার কোনও মান নেই। একজন অদিনায়ক দুটি টেস্টর পর চোট পেয়ে বাইরে গেলে কি হত। অধিনায়কের কাজে গিলের থেকে বুমরা অনেকটা এগিয়ে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কটিন সিরিজে একজন আনকোরা অধিনায়ককে এনে হিতে বিপরীত হতে পারে। এটা কবে বোঝা যাবে।