দলীপ ট্রফিতে আবার বাংলার হয়ে মাঠে ফিরতে পারেন শামি

চোট সারিয়ে আবার মাঠে ফেরার অপেক্ষায় মহম্মদ শামি। আসন্ন ঘরোয়া মরশুমের জন্য বাংলার ৫০ জন সম্ভাব্য খেলোয়াড়ের তালিকায় তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, তিনি পূর্বাঞ্চলের হয়ে ঘরোয়া মরশুমের প্রথম টুর্নামেন্ট দলীপ ট্রফিতেও খেলতে পারেন। ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে দলীপ ট্রফি। এই টুর্নামেন্টটি পুরনো আন্তঃজোনাল ফরম্যাটে ফিরে আসছে এবার। এমন পরিস্থিতিতে, এটি শামির কাছে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসার একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে পারে। উল্লেখ্য, সামি ৬৪টি টেস্ট, ১০৮টি ওয়ানডে এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তিনি শেষবার ২০২৫ সালের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন। ভারত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট জিতেছিল এবং শামি পাঁচ ম্যাচে নয় উইকেট নিয়েছিল। তবে, বাংলার এই পেসার টুর্নামেন্টে ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলারদের মধ্যেও ছিলেন, প্রতি ওভারে তাঁর রানের ইকোনমি রেট ৫.৬৮। বাংলার সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের তালিকায় শামি ছাড়াও অভিমন্যু ঈশ্বরণ, আকাশ দীপ, মুকেশ কুমার, শাহবাজ আহমেদ এবং অভিষেক পোড়েলের মতো প্রত্যাশিত সকলের নামই রয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন শামি। এরপর খেলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও আইপিএল। যদিও গত আইপিএলে নিজের ফর্মে খেলতে দেখা যায়নি সামিকে।
ইংল্যান্ডগামী দলে শামি অনিশ্চিত

শামির ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া নিয়ে ঘোর অনিশ্চিয়তা।
অবসর নিচ্ছি না, জানিয়ে দিলেন শামি

কদিন ধরে নানা মহলে কথাটা ঘুরপাক খাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চলেছেন মহম্মদ শামি। সম্ভবত ইংল্যান্ড সিরিজে যাবেন না। তিনি যাবেন না বললে ভুল হবে, তাঁর পারফরম্যান্স দেখে নির্বাচকরা হয়তো দলে নেবেন না। সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন শামি নিজেই। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লিখলেন, এমন খবর করার কোনও যুক্তি আছে বলে মনে হয় না। আমর সঙ্গে এ নিয়ে কেউ কোনও কথা বললেন না। নিজের মনে এমন কিছু লেখার কি দরকার ছিল। আসল রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অবসরের সিদ্ধান্ত জানার পর অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, সেই পথ ধরে হাঁটবেন শামিও। শোনা যাচ্ছিল, নির্বাচকরা তাঁর পারফরম্য়ান্সে খুশি নন। আইপিএলে মোটেও ছন্দে নেই তিনি। ২০২৩ বিশ্বকাপে শামি চার ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকার পর ফিরে এসে চমক দিয়েছিলেন। বলা যায়, ভারতীয় বোলিংকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হ্যাঁ, বুমরা থাকার পরও একথা বলতে হচ্ছে। তারপর চোটের কারনে হারিয়ে যান শামি। প্রায় দেড় বছর এভাবে কেটে যায়. এরপর ফিট হয়ে মাঠে ফিরে এসে সেই মেজাজে তাঁকে দেখা যায়নি। এমনকি আইপিএলেও পুরনো চেহারায় তিনি নেই। কেন এমন হচ্ছে! এটাই মাথাব্যথার কারন হয়ে উঠেছে নির্বাচকদের। তাঁদের চোখে বুমরা পুরো ফিট নন। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা মাথায় রেখে তাঁকে পুরো সিরিজ নাও খেলানো হতে পারে। তাঁর সঙ্গে শামির অবস্থাও যদি এমন হয়, তা হলে দলকে টানবেন কে! তাই শামিকে নিয়ে দ্বিধায় নির্বাচকরা। এ খবর বাইরে আসার পর সবাই ধরে নিয়েছিলেন, শামিও হয়তো রোহিত ও বিরাটের পথে হাঁটবেন। এর পিছনে কারনও ছিল। সত্যি এবারের আইপিএলে শামিকে আগের চেহারায় দেখা যায়নি। গুজরাট টাইটান্স প্রথমবার আইপিএলে আসার পর শামি দলের বোলিংকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেরা বোলারের শিরোপাও পেয়েছিলেন। টানা দুবছর ভাল পারফরম্যান্স করার পর থেকে শামি হারিয়ে গেলেন। চোট সারিয়ে দেশের হয়ে খেলতে নেমে চমক নেই। আইপিএলে সাড়ে দশ কোটি টাকায় তাঁকে কেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কিন্তু কোথায় কি! তাঁর শেষ ম্যাচের কথা খুব তাড়াতাড়ি ভুলতে চাইবেন। শামি সেই ম্যাচে চার ওভারে দেন ৭৪ রান। আর একটু হলে আইপিএল ইতিহাসে রেকর্ডের খাতয় তাঁর নাম উঠত। এই শামিকে কেউ চেনেন না। তাই প্রশ্ন, তিনি কি ইংল্যান্ড সিরিজে নিজেকে প্রমান করতে পারবেন। পারলে ভাল, না হলে তাঁকে কিন্তু দল থেকে ছিটকে যেতে হবে। জল সেদিকে গড়িয়ে চলেছে। ইংল্যান্ড সিরিজে পাঁচ বা ছয় পেসার নিয়ে ভারতীয় দল যাবে। বুমরা ও শামি ছাড়াও দলে থাকার সম্ভাবনা সিরাজ, প্রসিদ্ধ, মুকেশ, আকাশদীপরা। তাই জায়গা পাকা করতে হলে আগের মেজাজে ফিরতে হবে শামিকে। এবং সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়, তত ভাল।