আইসিইউ থেকে বেরোলেন শ্রেয়সঃ আরও দু’দিন থাকতে হবে হাসপাতালে

তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই চোটের জেরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল শ্রেয়স আয়ারকে (Shreyas Iyer)। প্রথমে আইসিইউতে ভর্তি করানো হলেও সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ব্যাটারকে। জানা গিয়েছে, শ্রেয়সের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। রক্তক্ষরণও বন্ধ হয়েছে। ক্রিকবাযে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শ্রেয়স আপাতত বিপন্মুক্ত। মাটিতে সজোরে ধাক্কা খাওয়ার জন্যই রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। বোর্ডের (BCCI) চিকিৎসক রিজ়ওয়ান খান সবসময় রয়েছেন শ্রেয়সের পাশে। বাকি দল ক্যানবেরায় চলে গিয়েছে। শ্রেয়সের চিকিৎসা নিয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শ্রেয়সের পাশে থাকার জন্য তাঁর কিছু বন্ধুও সিডনির (Sydney) হাসপাতালে পৌঁছেছেন। ভিসা সমস্যা মিটলে তাঁর পরিবারেরও দ্রুত সিডনি পৌঁছে যাওয়ার কথা। নতুন সপ্তাহ সবে শুরু হওয়ায় ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে তাঁদের। সোমবার পর্যন্ত ঠিক নেই শ্রেয়স কবে দেশে ফিরবেন। বোর্ড, দল পরিচালন সমিতি, শ্রেয়সের পরিবার— কেউই দ্রুত দেশে ফেরাতে রাজি নন। তাই আগামী কয়েক দিন তাঁকে সিডনিতেই রাখা হতে পারে। আগামী অন্তত দু’দিন হাসপাতালে থাকবেন। পুরোপুরি সুস্থ হলে তবেই দেশের বিমান ধরবেন তিনি। ছেলের পাশে থাকতে চাইছেন বাবা সন্তোষ আয়ার এবং মা রোহিনী আয়ার। তাঁরা জরুরি ভিসার আবেদন করেছেন। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘ওঁদের যত দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর সব চেষ্টা করা হচ্ছে। বাবা-মা দু’জনেই যেতে পারবেন কিনা, এখনও নিশ্চিত নয়। তবে হাসপাতালে শ্রেয়সের কাছে পরিবারের কারও এক জনের থাকা প্রয়োজন। রবিবারই শ্রেয়সের বোনের সিডনি যাওয়ার কথা ছিল। কাগজপত্রের কাজও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্রেয়সের বাবা-মায়ের এক জন তাঁর সঙ্গে যাবেন। তাই শ্রেয়সের বোন রবিবার যেতে পারেননি।’’ উল্লেখ্য, তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ক্যারের ক্যাচ ধরতে গিয়ে পাঁজরে লাগে শ্রেয়সের। মাঠে কিছু ক্ষণ চিকিৎসা হয়েছিল শ্রেয়সের। তার পর হেঁটেই সাজঘরে ফেরেন শ্রেয়স। কিন্তু তার পরে তাঁর শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ভারতীয় দলের চিকিৎসক এবং ফিজিয়ো কোনও ঝুঁকি নেননি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ককে। তার পর থেকে আইসিইউ-তেই রয়েছেন শ্রেয়স।
শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ, আইসিইউতেই থাকবেন শ্রেয়স

গুরুতর অসুস্থ শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। পাঁজড় ভেঙে সিডনিতেই হাসপাতালে আইসিইউ-তে(ICU) ভর্তি রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। শোনাযাচ্ছে তাঁর নাকি ইন্টারনাল ব্লিডিং(Internal Bleeding) শুরু হয়েছিল। শেষ ম্যাচে অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচ নেওয়ার সময়ই বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। তাতেই পাঁজড়ে চোট পান ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। এরপরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্রেয়স আইয়ারকে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্ববধানেই রয়েছেন শ্রেয়স। শরীরের ভেতরের রক্ষক্ষরণ পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবেন তিনি। শোনাযাচ্ছে চোট এতটাই গুরুতর হয়ে গিয়েছিল যে সময় মতো চিকিৎসা না হলে নাকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত শ্রেয়স আইয়ারের(Shreyas Iyer)। পাঁজড়ের হাঁড় ভেঙে গিয়েছে তাঁর। সেইসঙ্গে অভ্যন্তরীন রক্ষক্ষরণও শুরু হয়ে গিয়েছিল শ্রেয়স আইয়ারের। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যওয়া হলে আইসিইউ-তেই রাখে হয়েছে ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটারকে। তবে শোনা যাচ্ছে এখন তাঁর পরিস্থিতিতে অনেকটাই স্থিতিশীল। কিন্তু এই খবরে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে কার্যত আতঙ্কের ছবিই দেখা গিয়েছিল। মাঠে পড়ে গিয়ে চোট পাওয়ার পরই তাঁকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছিল। এমনকি রক্তচাপও নামতে শুরু করেছিল। এরপরই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শোনাযাচ্ছে বোর্ডের(BCCI) তরফে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং যতটা দ্রুত সম্ভব তাদের সিডনিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। শোনাযাচ্ছে এখনও নাকি শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ চলছে। তবে পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই বদলে গিয়েছে। শোনাযাচ্ছে আগামী ৪৮ ঘন্টা তাঁকে হাসপাতালেই রাখা হবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে তাঁকে হাসপাতালে রাখা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে হাতপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও, আগামী একটা সপ্তাহ চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে থাকবেন শ্রেয়স আইয়ার। সিডনি এবং ভারত দুই জায়গাতেই চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে বিসিসিআইয়ের(BCCI) মেডিক্যাল দল। আপাতত দলের চিকিৎসকও শ্রেয়সের সঙ্গেই রয়েছেন হাসপাতালে।
তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে শ্রেয়স, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে অনিশ্চিত!

শনিবারের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। সেই চোট অন্তত তিন সপ্তাহের জন্য ক্রিকেট থেকে ছিটকে দিল তাঁকে। তার বেশি সময়ও মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে তিনি অনিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়েই তাঁকে এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ক পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেই সিরিজ়ের শেষ ম্যাচে চোট পেলেন তিনি। বোর্ডের এক কর্তা ‘পিটিআই’-কে বলেছেন, “ম্যাচের সময়েই শ্রেয়সকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ওর পাঁজরে একটা বড় ঝাঁকুনি লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত তিন সপ্তাহ ওকে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে।” ওই কর্তা আরও বলেন, “চোট সারানোর পর আগে বোর্ডের উৎকর্ষ কেন্দ্রে যেতে হবে। সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে কি না তা বোঝা যাবে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেখার পরেই। যদি হাড়ে চিড় ধরে থাকে তা হলে সারতে আরও সময় লাগতে পারে।” দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে কি তিনি খেলতে পারবেন? ওই কর্তা বলেন, “এখনই তা বলা যাচ্ছে না। যদি সারতে তিন সপ্তাহ লাগে তা হলে ৩০ নভেম্বর প্রথম ম্যাচের ঠিক আগে ও সেরে উঠতে পারে।” শ্রেয়স এই মুহূর্তে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দলে নেই। খেলেন শুধু এক দিনের ক্রিকেটেই। সম্প্রতি লাল বলের ক্রিকেট থেকে ছ’মাসের বিরতি নিয়েছেন। এই চোট তাঁকে আরও সমস্যায় ফেলে দিল। তখন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ৩৪তম ওভার চলছিল। শর্ট থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং করছিলেন শ্রেয়স। হর্ষিত রানার একটি বল আলেক্স ক্যারের ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায়। শ্রেয়স দৌড়তে থাকেন ক্যাচ ধরবেন বলে। পিছনে ছুটতে ছুটতে তিনি ক্যাচটি ধরেও ফেলেন। তবে টাল সামলাতে না পেরে খারাপ ভাবে মাটিতে পড়েন। তাঁর কোমর মাটিতে আছড়ে পড়ে।
দুরন্ত ক্যাচ নেওয়ার পরই হাসপাতালে শ্রেয়স

দুরন্ত ক্যাচ নিলেন। কিন্তু সেই ক্যাচটাই যেন চিন্তা বাড়াল ভারতীয় দলের। গুরুতর চোট পেয়ে হাসপাতালে শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। বেকায়দায় পড়ে পাঁজড়ে চোট পান শ্রেয়স(Shreyas Iyer)। আর তাতেই চিন্তা বেড়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। অ্যালেক্স ক্যারির দুরন্ত ক্যাচ তিনি নিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সেই ক্যাচ নিতে গিয়েই পাঁজড়ে চোট পান শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। এরপরই মাঠ ছাড়তে দেখা যায় ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটারকে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় শ্রেয়সকে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই সফরেই ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক হয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। দ্বিতীয় ম্যাচে বারতীয় দল হারলেও সেখানে রোহিত শর্মার(Rohit Sharma) পাশাপাশি বড় রান পেয়েছিলেন শ্রেয়সও(Shreyas Iyer)। ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে শেষ ম্যাচে আর ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পাননি তিনি। তবে এরপর ভারতীয় দলের হয়ে পরবর্তী সিরিজে তিনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তাঁর চোট পাওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। কতটা গুরুতর চোট পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। এরপরই বোর্ডের তরফ থেকে শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে বড়সড় আপডেট বোর্ডের। সেখানেই জানানো হয়েছে ক্যাচ নেওয়ার সময় চোট পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। এরপরই তাঁর চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে। তবে এএখন তিনি কেমন রয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তাঁর রিপোর্ট আসার অপেক্ষাতেই রয়েছেন সকলে। শ্রেয়সের চোট কতটা গুরুতর হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
টেস্ট থেকেই সরে যাওয়ার পথে শ্রেয়স!

এবার কী টেস্ট থেকে সরে যেতে চাইছেন শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। বো্ডকে দেওয়া শ্রেয়স আইয়ারের চিঠির কতা সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। ভারতীয়-এ(India-A) দলের থেকে নাম তুলে নেওয়ার পরই এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধেও তাঁর না খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। শোনা যাচ্ছে অজিত আগরকরের সঙ্গে কচতা বলেই নাকি আপাতত টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রেয়স। সেইসঙ্গেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তবে কী শ্রেয়স টেস্ট থেকেই সরে যেতে চলেছেন! শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময় বলবে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে যে শ্রেয়স আইয়ারকে(Shreyas Iyer) ভারতীয় দলে দেখা যাবে না তা বেশ স্পষ্ট। ভারতীয়-এ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে নেমেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু সেই ম্যাচে সাদা জার্সিতে একেবারেই ভালো ফর্মে ছিলেন না এই তারকা ক্রিকেটার। মাত্র ৮ ও ১৩ রান করেছিলেন দুই ইনিংসে। এরপর হঠাৎ নাম তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচের আগে। এরপরই শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer) নাকি বোর্ডকে(BCCI) চিঠি দিয়ে আপাতত লাল বলের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট খেলা এবং সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা একসঙ্গে তাঁর কাছে অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় তাঁর নাকি পিঠের সমস্যাটাও ফের ভোগাতে শুরু করেছে। আর এই কারণ দেখিয়েই নাকি ভারতীয় দল থেকে আপাতত বিশ্রাম নিয়েছেন শ্রেয়স(Shreyas Iyer)। সূত্র মারফৎ “এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, শ্রেয়স আইয়ার অজিত আগরকরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন তাঁর পক্ষে নাকি প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট খেলাটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। এমনকি তাঁর পিঠেও ফের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই কথা বলেই নাকি ভারতীয়-এ দলের ম্যাচ থেকে নাম তুলে নিয়েছেন তিনি”। আর শ্রেয়সের এমন সিদ্ধান্তের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা। তবে কী সত্যিই এবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে যেতে চলেছেন শ্রেয়স আইয়ার। কারণ বেশ কয়েকদিন ধরেই টেস্টের মধ্যে নেই ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। শেষবার ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিলেন এই ৩১ বর্ষীয় তারকা ক্রিকেটার। এরপর থেকে আর টেস্ট সিরিজে দেখা যায়নি তাঁকে। সামনেই অবশ্য ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ। সেখানেও যে আর শ্রেয়সকে দেখা যাবে না তা কার্যত স্পষ্ট হয়েই গিয়েছে।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই নাম তুলে নিলেন শ্রেয়স

সামনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে নামবে ভারতীয় দল। কিন্তু সেই দলেই শ্রেয়স আইয়ারের(Shreyas Iyer) সুযোগ নিয়ে হঠাৎই জল্পনা শুরু। কারণ অসট্রেলিয়া-এ(Australia-A) দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে নাম তুলে নিয়েছেন ভারতীয়-এ(India-A) দলের অধিনায়ক শ্রেয়স। এমনকি শিবির ছেড়ে চলেও গিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ভারতীয়-এ দলের অধিনায়ক এখন ধ্রুব জুরেল(Dhruv Jurel)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল(India Team) ঘোষণা হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধেই ভারতের ম্যাচের দিকেই এখন সকলের নজর। বিশেষ করে শ্রেয়স আইয়ারের(Shreyas Iyer) দিকেই ছিল সবচেয়ে বেশি নজর। কিন্তু তিনিই এবার নাম তুলে নিয়েছেন। শ্রেয়স হঠাৎ কেন এমনটা করল সেটা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। শোনা যাচ্ছে ব্যক্তিগত কারণের জন্যই নাকি নাম তুলে নিয়েছেন তিনি। তবে স্পষ্টভাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না সেভাবে। দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের বাইরে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। শেষবার ২০২৪ সলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে দেখা গিয়েছিল এই তারকা ক্রিকেটারকে। এরপর থেকে আর ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। কয়েকদিন আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও শ্রেয়সের না থাকা নিয়ে নানান কথাবার্তা উঠেছিল। এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামবে টিম ইন্ডিয়া(Team India)। সেখানেই সুযোগ পাওয়াটা এই অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সটাই শ্রেয়স আইয়ারের কাছে ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেখানেও বড় রান পেতে অবশ্য ব্যর্থই হয়েছে। এরপরই শ্রেয়সের শিবির ছাড়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রে তরফে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, হ্যাঁ শ্রেয়স আইয়ার শিবিরে ছেড়ে মুম্বইয়ে ফিরে গিয়েছেন। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন যে বিরতি নিচ্ছেন এবং অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে খেলবেন না। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে এবার একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি শ্রেয়স আইয়ার। দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রেয়স আইয়ার রান করেছেন ৮ ও ১৩। তবে কি পারফরম্যান্সের কারণেই দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেও নাম তুলে নিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।
শ্রেয়সের টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কাটছে না চিন্তা

সময়টা সত্যিই ভালো যাচ্ছে না শ্রেয়স আইয়ারের(Shreyas Iyer)। ঘরের মাঠে অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামার কথা রয়েছে ভারতের। কিন্তু তার আগে অস্ট্রেলিয়া-এ(Australia-A) দলের বিরুদ্ধে শ্রেয়স আইয়ারের পারফরম্যান্স কিন্তু চিন্তা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে মাত্র আট রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে শ্রেয়স আইয়ারকে(Shreyas Iyer)। শ্রেয়সের এমন পারফরম্যান্সেই তাঁর ভারতীয় দলে কামব্যাক নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান গুঞ্জন। শেষবার ২০২৪ সালে ভারতের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকেই আর ভারতীয় দলে দেখা যায়নি এই তারকা ক্রিকেটারকে। মাঝে অবশ্য চোটের জন্য বেশ কয়েকদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেললেও টেস্টে কিন্তু দেখা যায়নি শ্রেয়সকে(Shreyas Iyer)। এই অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধেই নেমেছিলেন সাদা জার্সিতে। কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখতে পেলেন না শ্রেয়স। সাই সূদর্শন ৭৩ রানে আউট হওয়ার পরই এদিন মাঠে আসেন তিনি। শুরুটাই করেছিলেন একটা অসাধারণ বাউন্ডারি দিয়ে। কিন্তু সেই ফর্ম বেশিক্ষণ দেখাতে পারেননি। মাত্র ১৩ বল খেলেই থামতে হয় ভারতীয়-এ দলের অধিনায়ককে। কোরি রচিকোইয়ের বলেই এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরের রাস্তায় ফিরতে হয় শ্রেয়স আইয়ারকে। আর এই পারফরম্যান্সটাই কিন্তু তাঁকে টেস্ট দলে ফেরা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া দলিপ ট্রফিতেও একেবারে ফর্মে ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। দলিপের মঞ্চে শ্রেয়সের ব্যাট থেকে রান এসেছিল ২৫ এবং ১২। এরপরই ভারতীয়-এ দলের হয়ে মাঠে নেমছিলেন অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে। ম্যাচের ৫৯ তম ওভারে নেমেছিলেন তিনি। ৬৩ তম ওভারেই শেষ হয়েছিল শ্রেয়স আইয়ারের ইনিংস। আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার বাদ দিলে শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে কিন্তু সেভাবে বড় রানের ইনিংস দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত। সেই ম্যাচে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। এরপর থেকেই শ্রেয়সের ব্যাটে যেন রানের খরা। তবে শ্রেয়স আইয়ার বাদে বাকি ব্যাটারদের ব্যাটে কিন্তু রান এসেছে। বিশেষ করে অভিমন্যু ঈশ্বরণ(Abhimanyu Easwaran) এবং নারায়ন জগদীশন ওপেনিংয়েই তৈরি করেছিলেন ৮৮ রানের পার্টনারশিপ। এছাড়া ভারতীয়-এ দলের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান করেছিলেন দেবদূত পাড়িক্কল ৭৬। তাঁর পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ৭৩ করেন সাই সূদর্শন। এতকিছুর মধ্যেও চিন্তা শুধু একটাই। শ্রেয়স আইয়ারের পারফরম্যান্স।
পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন শ্রেয়স, শেষ হতে পারত কেরিয়ারও

পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)! শেষ হয়ে যেতে বসেছিল তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার! অবশেষে জীবনের সেই ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের কথা সকলের সামনে আনলেন ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। আর বোর্ডের(BCCI) সেন্ট্রাল কন্ট্র্যাক্ট থেকে তাঁর বাইরে চলে যাওয়ার কারণটাও যে এটাই তা বলতে কোনও দ্বিধা করেননি এই তারকা ক্রিকেটার। এবারের এশিয়া কাপেও(Asia Cup) ভারতীয় দলে সুযোগ হয়নি তাঁর। অবশেষে সেই বিষয় নিয়েই মুখ খুললেন তিনি। দুবছর আগে ইংল্যান্ডে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার(Shreyas Iyer)। সেই সময় অস্ত্রোপচারও হয়েছিল এই তারকা ক্রিকেটারের। তারপর অবশ্য মাঠে ফিরতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল এই তারকা ক্রিকেটারের। মাঝের সময়টা যে একটা বিভীষিকা ছিল সেটাই এবার বলে ফেললেন শ্রেয়স। সেই সময় নাকি তাঁর একটা পা পক্ষাঘাতেও আক্রান্ত হয়েছিল। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নায়ক ছিলেন শ্রেয়স(Shreyas Iyer)। যদিও সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতীয় দলেও সুযোগ পাননি তিনি। এই নিয়ে নানান সমালোচনাও চলছে। এর মাঝেই শ্রেয়সের এমন মন্তব্য কিন্তু বেশ হৈচৈ ফেলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। অস্ত্রোপচারের পরই পক্ষাঘাতের সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে আপও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় পড়েছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। এমনকি হাঁটার ক্ষেত্রেও নাকি সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই শ্রেয়স আইয়ার জানিয়েছেন, “আমি কতটা যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম সেটা কেউই অনুভব করতে পারবে না। সেই সময় কার্যত আমার একটা পা একেবারে প্যারালাইজ হয়ে গিয়েছিল। মেরুদন্ডে অস্ত্রোপচার হলে সেখানে একটি রড বসিয়েও কাজ চালানো যায়। কিন্তু আমার সমস্যা হয়েছিল নার্ভে। আমার জন্য সেটা সত্যিই খুব ভয়ঙ্কর হয়ে গিয়েছিল”। এশিয়া কাপে ভারতীয় দলে সুযোগ না হলেও, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের আগে ভারতীয়-এ দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া সফরে ফের একবার শ্রেয়স আইয়ার ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
শ্রেয়স আইয়ারকে বাদ দেওয়ায় অজিত আগরকরদের একহাত নিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

ক্ষোভে, হতাশায় ভারতীয় নির্বাচক মণ্ডলীকে একহাত নিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ড সিরিজে ভারতীয় দল নির্বাচনের তীব্র সমালোচনা করলেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। শ্রেয়স আইয়ার বাদ পড়ায় তিনি রীতিমত বিস্মিত। সৌরভ উল্লেখ করেন গত এক বছর শ্রেয়স সব ফরম্যাটে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। ক্যাপ্টেন হিসাবে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন ও পঞ্জাবকে রানার্স করেছেন। রণজিতে দারুন পারফরম্যান্স করেছেন। মহারাজ আরও বলেন, শর্ট বল খেলা নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করে উন্নতি করেছেন শ্রেয়স। তাই শ্রেয়সের দলে না থাকা তাঁকে যেমন হতাশ করেছে, তেমনি ক্ষুব্ধও করে তুলেছে। এমনিতে বর্তমান নির্বাচক প্রধান প্রাক্তন ক্রিকেটার অজিত আগরকর বরাবরই সৌরভের খুব প্রিয়। তা সে তিনি অধিনায়ক থাকাকালীন ভারতীয় দলেই হোক বা কেকেআরেই হোক। তবু শ্রেয়স ইস্যুতে তিনি আগরকরের তীব্র সমালোচনা করতে একটুও দ্বিধা করেননি। শর্ট বলে একটু দুর্বলতা ছিল শ্রেয়সের। তাই টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু অনেক পরিশ্রম করে সেই দুর্বলতা কাটিযে উঠেছেন। ফিরেওছেন দারুনভাবে। একদিনের বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও রানের বন্যা বইয়েছেন। এবারের আইপিএলেও ১৭ ম্যাচে ৬০৪ রান করেছেন। এত কিছু সত্ত্বেও দল নির্বাচনী সভায় শ্রেয়সকে নিয়ে বেশি আলোচনাই হয়নি। কারণ নির্বাচকরা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে লাল বলের ক্রিকেটে শ্রেয়সকে আরও পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন ভারতীয় দলে শ্রেয়সের থাকা অবশ্যই উচিত ছিল, কারণ সব ফরম্যাটে তাঁর বর্তমান ফর্ম। সৌরভ বলেন, “শ্রেয়স চাপের মুখে রান করতে পারে। দায়িত্ব নিতে পারে। শর্ট বল এখন ভাল খেলছে। যদিও টেস্ট ক্রিকেট আলাদা তবু আমি হলে ওকে দলে রাখতাম, ও কী করতে পারে সেটা দেখার জন্য।“ দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট থাকাকালীন শ্রেয়সকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সৌরভ, ভালভাবেই জানেন শ্রেয়সের দক্ষতা কতটা, সে কারণেই এতটা ক্ষুব্ধ দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক।
“শ্রেয়স টেস্ট ও টি টোয়েন্ট দলে ফেরার বড় দাবিদার, সাদা বলে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জার”

এবারের আইপিএলের পর ভারতীয় ক্রিকেটে নতুনভাবে প্রভাব বিস্তার করলেন শ্রেয়স আইয়ার। অন্তত ভারতীয় ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন, এমন এক কর্মকর্তা তেমনই মনে করছেন। সূতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ভালো রকমই প্রভাবিত হয়েছে খোদ বিসিসিআই। গত মরসুমে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তারপর এবার পঞ্জাব কিংসকেও ফাইনালে তুলেছেন। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দারুণ সফল। তাই ওই কর্মকর্তা মনে করছেন শ্রেয়সকে নিয়ে নতুন ভাবনা চিন্তা শুরু হবে। ভারতীয় ক্রিকেটের ওই প্রভাবশালী কর্তা জানান, শ্রেয়স এখন শুধু একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছে ঠিকই, কিন্তু এখন টি টোয়েন্টি ক্রিকেট বা টেস্টের দলে ঢোকারও বড় দাবিদার। এবং সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্বেরও বড় চ্যালেঞ্জার। নেতৃত্বের প্রশ্নে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবেন রোহিত, মনে করেন তিনি। দারুণভাবে ফিরে এসেছেন শ্রেয়স। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, শ্রেয়স আইয়ার বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্ত থেকে বাদ পড়লেন। টেস্ট ও টি টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে গেলেন। খুব দুঃখের ব্যাপার যে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করার পরও শ্রেয়সকে ছেড়ে দিল কেকেআর। তাঁর ফিটনেস, ফর্ম ও টেম্পারমেন্ট তাঁকে পিছনে ঠেলে দিল। কিন্তু তিনি মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণভাবে পারফর্ম করতে থাকলেন। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে নেতৃত্বও দিলেন। তারপর পঞ্জাব কিংসের নেতৃত্ব নিয়ে দায়িত্বে আসা। সতীর্থদের সঙ্গে এমন আবেগ তৈরি হল, তাঁকে সরপঞ্চ সাহেব বলে ডাকতে শুরু করলেন তাঁরা। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। তারপরই প্রভাবশালী কর্তার এই মন্তব্য। নতুনভাবে ফিরে এসে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার, মেনে নিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম ডিসিশন মেকার। সরাসরি জানিয়েও দিচ্ছেন। এরপরই শ্রয়সের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন আলোচনা।