এজবাস্টনে বুমরা না খেললে সম্ভবত দলে অর্শদীপ, জয়সওয়ালের সামনে গাভাসকরকে টপকে যাওয়ার হাতছানি

বুধবার থেকে এজবাস্টনে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট। এমন একটা ভেন্যু, যেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখের নয়। এজবাস্টনে এখনও পর্যন্ত মোট সাতটি টেস্ট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এখনও একটি টেস্টও জিততে পারেনি। এর থেকে বেশি খারাপ অভিজ্ঞতা রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। এবং বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে। এই দুটি ভেন্যুতে ৯টি ম্যাচ খেলে এখনও একটিও টেস্ট জেতেনি ভারতীয় দল। তেমনি এজবাস্টন। ভারতের জন্য একটি খারাপ ভেন্যু। এজবাস্টনে অষ্টম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এখানকার পরিসংখ্যান চাপে রাখবে গিলদের। দ্বিতীয় টেস্টে কি বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জসপ্রীত বুমরাকে? তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য তাঁকে তিনটির বেশি টেস্টে খেলানো হবে না, এমন ভাবনার কথা আগেই জানানো হয়েছে। ভারতীয় শিবিরে রয়েছেন আরও দুই বিশেষজ্ঞ পেসার – আকাশদীপ ও অর্শদীপ সিং। রয়েছেন পেসার অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডি। তবে বুমরা না খেললে সম্ভবত সুযোগ পাবেন বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ। নেটে তাই বাড়তি অনুশীলন তাঁর। পাশাপাশি নেটে টেল এন্ডারদের ব্যাটিংয়ের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হল। হেডিংলেতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭২ রানে পড়ে গিয়েছিল ভারতের শেষ ১৩ উইকেট। তাই এবার তাদের দিকে বাড়তি নজর গুরু গম্ভীরের। এজবাস্টনে কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরকে টপকে যাওয়ার হাতছানি তরুণ যশস্বী জয়সওয়ালের। সানির ৪৯ বছরের রেকর্ড ভাঙার মুখে তিনি। আর ৯৭ রান করলেই দ্রুততম ভারতীয় হিসাবে টেস্টে ২০০০ রানের মাইলস্টোন টপকে যাবেন। গাভাসকর ২৩ টেস্টে ২০০০ রান করেছিলেন। জয়সওয়াল ২০ টেস্টে করে ফেলেছেন ১৯০৩ রান। গড় ৫২.৮৬। তাই এজবাস্টনেই সানিকে টপকে যাওয়ার হাতছানি জয়সওয়ালের সামনে।
হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের কাছে হার, জঘন্য বোলিং-ফিল্ডিংয়ে মাশুল দিল টিম ইন্ডিয়া

মর্মে মর্মে উপলব্ধি করল ভারতীয় দল, ক্যাচ ফস্কালে ম্যাচও ফস্কাতে হয়। একটা ম্যাচে পড়ল সাতটা ক্যাচ। পাল্লা দিয়ে খারাপ বোলিং। হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে যে ৫ উইকেটে হারতে হল, তার পিছনে আর একটা বড় কারণ লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা। গোটা ম্যাচে ৭২ রানে লোয়ার মিডল অর্ডারের ১৩টি উইকেট হারিয়েছে ভারত। সে কারণেই যে ম্যাচে দলের পাঁচটি শতরান আছে সেই ম্যাচও এভাবে হারতে হল। শেষ দিন জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫০ রান। ভারতীয় বোলিং ফিল্ডিংয়ের এমনই অবস্থা, শেষ দিনের পরিস্থিতিতেও সহজেই সেই রান তুলে নিয়ে গেলেন ডাকেট-ক্রলিরা। এই মাঠে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিতল ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ক্রলি আর ডাকেট তুলে ফেললেন ১৮৮ রান। তখনই কী হতে যাচ্ছে, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। ডাকেট করলেন ১৪৯ রান। ক্রলি ৬৫ রান করে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে গেলেন। এরপর স্টোকস ৩৩ রানে আউট হলেও রুট ৫৩ রানে ও জেমি স্মিথ ৪৪ রানে অপরাজিত রইলেন। অথচ টেস্টটা কী দুর্দান্তভাবে শুরু করেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে যশস্বী, গিল ও পন্থ তিনজনই শতরান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান পন্থ ও রাহুলের। তবু হার ওই তিন কারণে। ক্যাচ মিস, বাজে বোলিং ও লোয়ার মিডল অর্ডারের নির্ভরতা দিতে না পারা। অ্যঠান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ০-১ এ পিছিয়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। তরুণ ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাসে যেমন বড়সড় ধাক্কা লাগল, তেমনি প্রশ্ন উঠে গেল জসপ্রীত বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য তাঁকে কীভাবে বিশ্রামে রাখা যাবে? এরপর হয়ত দলে ঢুকতে পারেন অর্শদীপ সিং, কিন্তু তাতে ছবি কতটা বদলাবে?
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে হাইভোল্টেজ টেস্ট, করুণের চোটে উদ্বেগ শিবিরে

অপেক্ষার পালা শেষ। শুক্রবার থেকেই হেডিংলেতে শুরু হয়ে যাচ্ছে হাইভোল্টেজ সিরিজ। ২০২৭ থেকে ২০২৯ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে এই টেস্ট দিয়েই শুরু হবে ভারতের অভিযান। তুমুল উৎসাহ, আগ্রহ, কৌতুহল। তবে প্রশ্ন উঠেছে বৃষ্টি কি বাধ সাধতে পারে? আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস, তাতে প্রথম দিন শুকনো আবহাওয়াই থাকবে। তবে দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উইকেট শুরুর দিকে পেস বোলারদের সাহায্য করবে। পরের দিকে সুবিধা পাবেন স্পিনাররা। তবে টেস্ট শুরু হওয়ার আগে করুণ নায়ারের চোট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারতীয় শিবির। দীর্ঘ ৮ বছর পর টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন করুণ। ২০১৭-র পর শুক্রবার আবার তাঁর টেস্ট খেলতে নামার প্রবল সম্ভাবনা, কিন্তু তার আগেই বড় চোট পেয়ে গেলেন তিনি। নেটে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে পাঁজরে আঘাত পান। করুণের চাট নিয়ে বেশ উদ্বেগ রয়েছে ভারতীয় শিবিরে। হাইভোল্টেজ সিরিজ শুরু হওয়ার আগে শুভমন গিলের সামনে গ্রেম স্মিথ। স্মিথের কেরিয়ারের একটা বড় অংশই গিলের প্রেরণা হতে পারে। তরুণ বয়সে ভারতের অধিনায়কত্ব পেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের সামনে গিল। ২০০৩-এ একই রকম চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার গ্রেম স্মিথ। তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় সিরিজেই অধিনায়কত্ব পান। এবং শুরুতেই ছিল কঠিন ইংল্যান্ড সিরিজ। তারপর কিংবদন্তি অধিনায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গিলের সামনেও একই রকম পরিস্থিতি। এই মুহূর্তে ক্যাপ্টেন স্মিথই তাঁর প্রেরণা। এই সিরিজে দুজনকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলাচনা। ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল ও জসপ্রীত বুমরা। বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস বোলার ইংল্যান্ড সিরিজে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন সেটা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টাকস অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন, বুমরাকে ইংল্যান্ড ভয় পাচ্ছে না। তাঁর মতে কোনও একজন একটা সিরিজ জেতাতে পারেন না। বুমরাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার মেনে নিয়েও স্টোকস বলেন ভারতকে একার হাতে ম্যাচ জেতাতে পারবেন না বুমরা। সব আলোচনা, সব অনুমান ভিত্তিক মতামত মতামত দেওয়ার পালাও শেষ। এবার শুরু হচ্ছে মাঠের লড়াই। সেখানে গিল-বুমরা, না স্টোকস-রুট, কারা কাদের টক্কর দেন সেটাই দেখার।
হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে গণ্ডগোলের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন শুভমন গিল

শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়েছেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছেন। এভাবেই ভারতীয় দলের সতীর্থ হার্দিকের সঙ্গে গণ্ডগোলের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। যে ম্যাচের ঘটনা নিয়ে এই জল্পনা শুরু হয়েছিল, শুক্রবার সেই এলিমিনেটরে গুজরাট টাইটানসকে ২০ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার টু-তে উঠে এসেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর ম্যাচের পরই দুই অধিনায়ক শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নিয়ে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। তবে এসব ঝেড়ে ফেলে সামনের ইংল্যান্ড সফরের দিকেই তাকিয়ে ভারতীয় দলের তারকারা।
চূড়ান্ত সময়ে ছন্দ হারিয়ে বিদায়, ঘুরিয়ে মেনে নিলেন শুভমন গিল

দারুণভাবে শুরু করা। দুর্দান্তভাবে এগিয়ে যাওয়া। বেশ কিছুদিন টেবিলের শীর্যেও থাকা, তারপর এভাবে বিদায় নিতে হওয়ায় দৃশ্যতই হতাশ শুভমন গিল। চূড়ান্ত সময়ে ছন্দ হারাল গুজরাট টাইটানস। প্লে অফ নিশ্চিত করার পর হারের হ্যাটট্রিক। গোটা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নের মত খেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই ছন্দপতন। তাই বিদায় নিতে হল, ঘুরিয়ে মেনে নিলেন গুজরাট অধিনায়ক শুভমন গিল। এলিমিনেটরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ২০ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ গিলদের। ম্যাচের পর হতাশ অধিনায়ক বলেন, “দারুণ ক্রিকেট। শেষ তিন চার ওভার আমাদের জন্য ভাল গেল না, তবু দারুণ ম্যাচ।“ এদিন শুরুতেই রোহিত শর্মার দুটি ক্যাচ ফেলেন টাইটানস ফিল্ডাররা। সেই রোহিত ব্যাটে বিক্রম দেখালেন। গিল জানান, “অবশ্যই এভাবে ক্যাচ ফেললে বোলারদের পক্ষে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।“ তিনি ও কুশল মেন্ডিস আউট হওয়ার পর হাল ধরেছিলেন সাই সুদর্শন ও ওয়াশিংটন সুন্দর। সে প্রসঙ্গে শুভমন বলেন, “ওদের জন্য বার্তাটা ছিল খুব সহজ। যেভাবে খেলতে চাও সেভাবে খেলো ও দলকে জেতাও।“ তবে মেনে নিলেন, পরের দিকে শিশির পড়ায় তাঁদের কিছুটা সুবিধা হয়েছিল। তারপরই চূড়ান্ত হতাশায় বলেন, শেষ ২-৩টি ম্যাচ তাঁদের ভাল গেল না। অন্যদিকে এলিমিনেটর জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পঞ্জাবের সামনে মুম্বই। স্বভাবতই দারুণ খুশি অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষ তিন ওভারে ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই সময়েই আবার বুমরার হাতে বল তুলে দেন হার্দিক। সে প্রসঙ্গে ম্যাচের পর বলেন, “ব্যাপারটা খুব সহজ। তোমার হাতে যখন বুমরা আছে, তখন ম্যাচ বেরিয়ে যাচ্ছে দেখলেই ওকে নিয়ে এস। তাই ও মুম্বইয়ের হাউসিংয়ের মতই দামী।“ আইপিএলের হতাশা সরিয়ে এবার ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ ভারত অধিনায়ক শুভমন গিলের সামনে। কিছুটা ভাঙা মন নিয়েই ইংল্যান্ড যাচ্ছেন। আর হার্দিক-বুমরারা কী করবেন? সেটা রবিবার মুম্বইকর শ্রেয়স আইয়ারদের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই বোঝা যাবে।
ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল, সহঅধিনায়ক ঋষভ পন্থ, দলে বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণ, বাদ সামি

জল্পনার অবসান। ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল। সহঅধিনায়ক ঋষভ পন্থ। বাংলার জন্য ভাল খবর, দলে সুযোগ পেয়েছেন বঙ্গ ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। কয়েকদিন ধরে অধিনায়ক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। কে হবেন টেস্টে রোহিত শর্মার উত্তরসূরী সেটা নিয়ে জল্পনা চললেও শুরু থেকেই দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন গিল। জসপ্রীত বুমরা, কেএল রাহল, ঋষভ পন্থদের নাম নিয়ে আলোচনা চললেও গিল যে কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ ছিলেন, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শনিবার সরকারভাবে অধিনায়ক হিসাবে শুভমন গিলের নাম ঘোষণা করা হল। ভারতের ৩৭তম অধিনায়ক হলেন গিল। এবং সাম্প্রতিক সময়ে কনিষ্ঠ অধিনায়ক। এর আগে ২০২৪-এ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টিতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সফলভাবে আইপিএলে গুজরাট টাইটানসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাছাড়া টি টোয়েন্টি ও একদিনের ম্যাচে রোহিত শর্মার ডেপুটি হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এবার অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ৩২টি টেসেট খেলার পর মাথায় উঠল নেতৃত্বের মুকুট। ইংল্যান্ডে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হবে এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেল। ঋষভ পন্থ সহঅধিনায়ক হলেন। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেট, ভারতীয় এ দলে নিয়মিত পারফরম্যান্স করার পুরস্কার পেলেন ঈশ্বরণ। আবার সুযোগ পেলেন সিনিয়র দলে। বাংলা থেকে আকাশদীপও সুযোগ পেলেন। তবে বাদ পড়লেন মহম্মদ সামি। এদিন যে ১৮ জনের দল ঘোষণা করা হবল, তাঁরা হলেন, শুভমন গিল(অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (সহঅধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, কেএল রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করণ নায়ার, নীতীশ কুুমার রেড্ডি, রবীন্দ্র জাদেজা, ধ্রব জুরেল, ওয়াশিংন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, আকাশদীপ, অর্শদীপ সিং ও কুলদীপ যাদব।
ধোনির মত অবসর নিতে চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বোর্ড নাকি মানেনি

রোহিত শর্মার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল বিসিসিআই। সূত্রের খবর এমনই। রোহিত নাকি চেয়েছিলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির মত অবসর নিতে। তিনি বোর্ডকে জানিয়ে ছিলেন ইংল্যান্ড সফরে যেতে চান এবং সিরিজের মাঝপথে অবসর নিতে চান। যেমন ২০১৪ সালে ধোনি অস্ট্রেলিয়ায় অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু রোহিতের সে অনুরোধ নাকি মানা হয়নি। বরং নির্বাচকরা তাঁকে বলেছিলেন, ইংল্যান্ড সফরে যেতে, কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে নয়। এরপরই অবসরের কথা জানিয়ে দেন হিটম্যান। রোহিত শর্মা কেন এভাবে হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। নানা রকম খবর ও কারণের কথাও উঠে আসে। শেষ পর্যন্ত সূত্র মারফৎ সংবাদ সংস্থা জানাল এই খবর। রোহিত শেষ টেস্ট খেলেছিলেন অস্ট্রলিয়ায়। বেশ খারাপ ফর্মেই ছিলেন। এমনকী শেষ টেস্টে নিজেকে দল থেকে সরিয়েও নিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর অবসর নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের আগে টেস্ট ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানান তিনি। রোহিত শর্মা অবসর নেওয়ার কয়েক দিন পরেই অবসরের সিদ্ধান্ত জানান বিরাট কোহলিও। প্রায় একই সঙ্গে সরে যান দুই মহাতারকা। নির্বাচকদের যেমন নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে হবে, তেমনি এই দুই মহাতারকার শূন্যস্থান পূরণ করার চ্যালেঞ্জটাও আছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে হয়ত আগামি শনিবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় দল ঘোষিত হবে। বেছে নেওয়া হবে নতুন অধিনায়ককেও। শুভমন গিলের হাতেই নেতৃত্ব ওঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। টেস্ট ক্রিকেটে শেষ হল রোহিত-কোহলি যুগ। এবার গিল-পন্থদের হাত ধরে নতুন যুগের শুরু।
বুমরাকে অধিনায়ক করার কথা ভেবো না : রবি শাস্ত্রী

কে বসবেন রোহিত শর্মার হটশিটে? কে হবেন ভারতের পরবর্তী অধিনায়ক? চলছে আলোচনা। প্রাক্তনরা জানাচ্ছেন নিজের নিজের মতামত। আলোচনায় রয়েছে চারটি নাম। জসপ্রীত বুমরা, শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ ও কেএল রাহুল। আর ভারতের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক নিয়ে আলোচনার মধ্যেই রীতিমত বোমা ফাটালেন রবি শাস্ত্রী। শাস্ত্রী বলেন, জসপ্রীত বুমরাকে অধিনায়ক করার কথা একেবারেই ভেবো না। কারণ হিসাবে তিনি বুমরার চোট আঘাতের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি দলের সেরা বোলারের ওপর তিনি নেতৃত্বের বোঝাও চাপাতে চান না। তাহলে কাকে অধিনায়ক করা উচিত সে ব্যাপারেও শাস্ত্রী স্পষ্টভাবে নিজের মত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। এখন থেকেই শুভমন গিল বা ঋষভ পন্থকে অধিনায়ক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। তবে গিলের দিকেই কিছুটা ঝুঁকে রবি। যাঁরা গিলের অ্যাওয়ে পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের উড়িয়ে দিয়ে শাস্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে অনেক বেশি সাফল্য পাওয়ার দক্ষতা ও সম্ভাবনা গিলের আছে। এদিকে খবর ও ঘটনা প্রবাহ যেদিকে চলেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, ঋষভ পন্থ, জসপ্রীত বুমরা ও কেএল রাহুলকে টপকে ভারতের অধিনায়কত্বের দৌড়়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন শুভমন গিল। একদিকে যেমন খবর, অধিনায়ক হতে চলেছেন সম্ভবত গিল, তেমনি কিছু ইঙ্গিতবাহী ঘটনাও ঘটছে। সংবাদ সংস্থার খবর, গৌতম গম্ভীরের দিল্লির বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন গিল। অন্তত ৪-৫ ঘন্টা তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। এছাড়া গত ৬ মে মুম্বইয়ে আইপিএল ম্যাচের পর গিলের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছিলেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। তাই হাওয়া বইছে গিলের অনুকূলেই।