দুরন্ত অক্ষর, ৪৮ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত

বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে(Australia) হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত(India Cricket Team)। জোড়া উইকেট ও ২১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছেন অক্ষর পটেল(Axar Patel)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বড় রান করতে না পারলেও, ওয়াশিংটন সুন্দর(Washington Sundar) এবং অক্ষর পটেলের(Axar Patel) দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করে ৪৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ১৬৭ রান টার্গেট করতে নেমে মাত্র ১১৯ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে এদিন খানিকটা চিন্তায় রয়েই গেল। এই ম্যাচ জেতার পরই ২-১ ফলাফলে সিরিজে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে এদিন ভারতকেই প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। শুরুটা ভালো করলেও, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় হঠাত্ই পরপর উইকেট হারাতে শুরু করে ভারত। বিশেষ করে ১২১ রানের মাথায় শুভমন গিল(Shubma Gill) ফিরতেই যেন ধস নামতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইনআপে। এদিন ৪৬ রানের ইনিংস খেলে গিল(Shubman Gill) যখন ফেরেন সেই সময় ভারতের রান ১৪.১ বলে ১২১। তখনও ভারতের বড় রানের প্রত্যাশাতেই ছিলেন সকলে। কিন্তু ব্যাটারদের তাড়াহুড়োতেই যেন সব শেষ। মাত্র ৪৬ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট খোয়ায় ভারত। ১৬৭ রানেই থেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে এই রান যে জয়ের জন্য যথেষ্ট নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানে আবার শুরু থেকে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতের বোলিং লাইনআপ এদিন ছিল দুরন্ত ফর্মে। অস্ট্রেলিয়া শিবিরে প্রথম আঘাতটা এনেছিলেন অক্ষর পটেল(Axar Patel)। ম্যাট শর্টকে ফেরান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে জশ ইঙ্গলিসকেও ফিরিয়ে গিয়েছিলেন অক্ষরই। এরপর থেকেই তাপ বাড়াতে শুরু করে ভারত। দলের ৭০ রানের মাথায় মিচেল মার্শ ফিরতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই সময়ও ছিলেন টিম ডেভিড, মার্কাস স্টয়নিসদের মতো তারকারা। তবে এই দুই তারকাকে বেশীক্ষণ দাঁড়াতে দেননি ওয়াশিংটন সুন্দর এবং শিবম দুবে। মার্কাস স্টয়নিসও ওয়াশিংটন সুন্দরেরই শিকার। শেষপর্যন্ত ১১৯ রানেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৫ সদস্যের দলে সুযোগ হল না সামির

রঞ্জি ট্রফিতে(Ranji Trophy) দুরন্ত পারফরম্যান্স করেও ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে জায়গা পেলেন না মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। বাংলার হয়ে প্রথম দুটো ম্যাচে খেলেছিলেন মহম্মদ সামি। দুই ম্যাচেই সামির ঝুলিতে এসেছিল উইকেট। এরপর অনেকেই প্রত্যাশা করেছিল যে সামি হয়ত ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে চলেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ব্রাত্য মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। তবে এই সিরিজেই চোট কাটিয়ে ফিরলেন ঋষভ পন্থ। শুভমন গিলের(Shubman Gill) নেতৃত্বে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব ঋষভ পন্থের(Rishabh Pant) কাঁধেই এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কী প্রধান নির্বাচকের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জেরেই ভারতীয় দলে জায়গা হল না মহম্মদ সামির। কারণ রঞ্জি ট্রফি শুরুর আগেই প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের(Ajit Agarkar) সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। ভারতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার ক্ষেত্রে আগরকরের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন তিনি। একইরকমভাবে আবার পাল্টা দিয়েছিলেন অজিত আগরকরও। 🚨 News 🚨#TeamIndia squad for Test series against South Africa and India A squad against South Africa A announced. Details 🔽 | @IDFCFIRSTBank https://t.co/dP8C8RuwXJ — BCCI (@BCCI) November 5, 2025 এরপর মাঠ থেকেই জবাবটা দিয়েছিলেন মহম্মদ সামি। বাংলার হয়ে দুই ম্যাচ মিলিয়ে সামি(Mohammed Shami) একাই তুলে নিয়েছিলেন ১৫টি উইকেট। যদিও তৃতীয় ম্যাচে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে নেই মহম্মদ সামি। অনেকেই মনে করছিলেন যে হয়ত এবার ভারতীয় দলে ডাক পেতে চলেছেন সামি। বুধবারই ভারতীয় দল ঘোষণা হয়েছে ভারতের টেস্ট স্কোয়াড। ভারতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াড শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ, যশস্বী জয়সওয়াল, কেএল রাহুল, সাই সুদর্শন, দেবদূত পাড়িক্কল, ধ্রুব জুরেল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, জসপ্রীত বুমরাহ, অক্ষর পটেল, নীতিশ কুমার রেড্ডি, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব, আকশদীপ। আগামী ১৪ নভেম্বর ইডেন গার্ডেন্সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নামবে ভারতীয় দল।
ব্যর্থ অভিষেকের লড়াই, ৪ উইকেটে হার ভারতের

অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) চেষ্টা করলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিতে পারলেন না কেউই। আবারও একটা ব্যাটিং ব্যর্থতা। দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া(India Team)। শেষের দিকে বোলারদের হাত ধরে কামব্যাকের একটা চেষ্টা ভারতীয় দল করেছিল ঠিকই, কিন্তু এই অস্ট্রেলিয়া(Australia) দলের বিরুদ্ধে ১২৫ রান নিয়ে জেতাটা যে সত্যিই কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ হারে ভারতীয় দল। ভারতের হয়ে অভিষেক(Abhishek Sharma) এদিন সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেললেও, বাকিদের ব্যর্থতাতেই যে ভারতকে এমনভাবে হারতে হল তা বলাই বাহুল্য। সেইসঙ্গে সিরিজে ১-০ ফলাফলে পিছিয়েও গেল ভারতীয় দল। এদিন ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। অভিষেকের(Abhishek Sharma) সঙ্গে ওপেনিংয়ে এসেছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। কিন্তু শুরু থেকেই জশ হেজেলউডের একের পর এক চ্যালেঞ্জের সামনে সমস্যায় পড়ছিলেন ভারতের ওডিআই দলের অধিনায়ক। প্রথম ওভারে মাত্র তিন রান করতে পেরেছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তবে দ্বিতীয় ওভার থেকেই নিজের চেনা ফর্মে ছিলেন অবিষেক শর্মা(Abhishek Sharma)। শুরু থেকেই ছিলেন বিধ্বংসী ফর্মে। কিন্তু শুভমন গিলরা কেউই তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। পরপর শুভমন গিল, সঞ্জু স্যামসন(Sanju Samson) এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবদের(Suryakumar Yadav) সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দেন জশ হেজেলউড। এদিন হেজেলউড(Josh Hazlewood) যেন ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় দলের ব্যাটারদের সামনে। ৪৯ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই সময় অভিষেককে যদি হর্ষিত রানা(Harshit Rana) সঙ্গত না দিতেন তাহলে ভারত এদিন ১০০ রানের গন্ডী টপকাতে পারতেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায়। তবে অভিষেক শর্মা(Abhishek Sharma) এদিন কার্যত একা হাতেই দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাঁর ৩৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৮টি চার ও দুটো ছয় দিয়ে। সঙ্গে হর্ষিত রানার ৩৩ বলে ৩৫ রান। অভিষেক শর্মা ফিরতেই ম্যাচের ভাগ্য কার্যত নিশ্চিত। ভারতও শেষ হয়ে যায় ১২৫ রানে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সামনে তখন সহজ লক্ষ্য। শুরু থেকেই ট্রেভিস হেড এবং মিচেল মার্শ ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। শুরু থেকেই ভারতের জসপ্রীত বুমরা-রা ছিলেন নিস্প্রভ। অবশেষে বরুণ চক্রবর্তীই(Varun Chakravarthy) প্রথম উইকেটটা তোলেন ট্রেভিস হেডকে সাজঘরে ফিরিয়ে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছিল। পেসাররা না পারলেও স্পিনাররা অবশ্য এদিন লড়াইটা করেছিলেন। বরুণ এবং কুলদীপ মিলে তুলে নেন চার উইকেট। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এত কম রান নিয়ে শেষপর্যন্ত লড়াই করাটা সত্যিই খুব কঠি ছিল ভারতের কাছে।
সূর্য ফর্মে ফিরলেও, বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত প্রথম টি টোয়েন্টি

বৃষ্টিতে প্রথম টি টোয়েন্টি পরিত্যক্ত। কিন্তু এই খারাপের মাঝেও ভারতের প্রাপ্তি সূর্যকুমার যাদবের(Suryakumar Yadav) ফর্ম ফেরা। দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই ফর্মে ফিরলেন ভারতীয় টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। প্রবল বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও, শেষপর্যন্ত ক্রিজে থাকলেন সূর্যকুমার(Suryakumar Yadav)। ২৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসও খেললেন। বড় রানের লক্ষ্যে থাকলেও বৃষ্টি সেখানেই ভিলেন। প্রথম ম্যাচে খেলা হল মাত্র ৯ ওভার চার বল। ভারতের রান ছিল তখন ১ উইকেটে ৯৭। সূর্যকুমারের পাশাপাশি ক্রিজে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন শুভমন গিলও(Shubman Gill)। ওডিআই সিরিজ হারের পর টি টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ভারত(India Cricket Team)। সেইসঙ্গে একটানা ব্যর্থ হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদবেরও(Suryakumar Yadav) এটাই ফিরে আসার লড়াই। শুরুটা করেওছিলেন দুরন্ত ভাবে। কিন্তু ক্যানেবেরার আবহাওয়াই সঙ্গ দিল না। এদিন শুরু থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টির পূর্বাভাসও ছিল। টস জিতে প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বৃষ্টির দাপটে ম্যাচ শুরু করাই ছিল চিন্তার। যদিও শুরু হতেই বৃষ্টিতে বন্ধ বেশ কিছুক্ষণ। পরে ম্যাচ শুরু হলে ওভার কমানো হয় ২০ এর বলে ১৮ ওভারে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন অভিষেক শর্মা। কিন্তু ১৯ রানেই থামতে হয় তাঁকে। তবে এদিন সকলের নজর ছিল সূর্যকুমার যাদবের দিকে। শুভমন গিলের(Shubman Gill) সঙ্গে মাঠে আসার পর থেকেই বেশ বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ভারতীয় দলের তারকা অধিনায়ক। ওইটুকু সময়ের মধ্যেই শুভমন গিলের সঙ্গে ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন সূর্যকুমার যাদব। সেখানেই সূর্যের রান ২৪ বলে ৩৯। একাই কার্যত শেষ করে দিয়েছলেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপকে। অন্যদিকে শুভমন গিলও ছিলেন নিজের ছন্দে। ২০ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনিও।
ফের ব্যাটিং বিপর্যয়, অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হার ভারতের

আবারও ব্যাটারদের ব্যর্থতা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে অ্যাডিলেডে হারের সঙ্গেই সিরিজও হাতছাড়া ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ২ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া। শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইট ওয়াশের হাত থেকে শুভমন গিলরা নিজেদের রক্ষা করতে পারে কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। প্রথম ম্যাচের পর এদিনও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের চূড়ান্ত ব্যাটিং ব্যর্থতা। রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়স আইয়ার অর্ধশতরান পেলেও, বাকি কেউই সেভাবে বড় রান করতে পারেননি। এদিনও শূন্য রানেই ফিরতে হয়েছে ভারতের অন্যতম প্রধান ভরসা বিরাট কোহলি। অধিনায়ক গিল ফেরেন ৯ রানে। রোহিত শর্মা ক্রিজে টিকে থাকতে না পারলে ভারত এদিনও ২০০ পেড়োতে পারত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ৯৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। তিনি যখন ফেরেন সেই সময় ভারতের রান ১৩৫। শ্রেয়স আইয়ার করেন ৬৬ রান। আর শেষের দিকে অক্ষর পটেল ৪৪ রান করায় অবশেষে ২৬৪ রানে পৌঁছয় ভারত। যদিও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই রান একেবারেই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল না। অর্শদীপ, হর্ষিতরা অবশ্য লড়াইটা করতে শুরু করেছিলেন। একটা সময় পরপর কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে লড়াইয়েও ফিরিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ম্যাট শর্টের ৭৪ রানের ইনিংস এবং কনোলির শেষপর্যন্ত ৬১ রানে অপরাজিত থাকাটাই ভারতের সব আশা শেষ করে দিয়েছিল। ম্যাচ ৪৬ ওভার পর্যন্ত গড়ালেও, শেষ হাসি ফোটে অস্ট্রেলিয়ার মুখেই। শেষের দিকে বার্টলেট, স্টার্কদের তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফেরালেও, ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচ অনেক আগেই বের করে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
অর্ধশতরান পেলেও রোহিতের ধীর গতির ব্যাটিং চিন্তা বাড়াচ্ছে

বিরাট কোহলি(Virat Kohli) আবার ব্যর্থ হলেও, রান পেলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। অ্যাডিলেডেই ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। কিন্তু হিটম্যানের অবতারে পাওয়া গেল না রোহিত শর্মাকে(Rohit Sharma)। বরং ১০ বছরের মধ্যে এটাই রোহিত শর্মার সবচেয়ে ধীর গতির অর্ধশতরান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে ৭৪ বলে অর্ধশতরান করলেন রোহিত শর্মা। সেইসহ্গে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেই থামলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। রান পেলেও, রোহিতের(Rohit Sharma) ধীর গতি নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের দল ঘোষণার আগেই ভারতীয় ওডিআই দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরানো হয়েছিল রোহিত শর্মাকে। তাঁর পরিবর্তে ভারতীয় ওডিআই দলের অধিনায়ক এখন শুভমন গিল(Shubman Gill)। সেই সময় থেকেই রোহিতদের(Rohit Sharma) দেশের জার্সিতে ওডিআই ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল নানান জল্পনা। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষাতে সকলে। রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) প্রথম ম্যাচে রান বা পেলেও, অ্যাডিলেডেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ৭৩ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু বল খেলেছিলেন ৯৭টি। হিটম্যানের খেলার সঙ্গে যা একেবারেই মানায় না। অর্ধশতরান করলেন ৭৪ বল খেলে। ২০১৫ সালের পর এটাই রোহিত শর্মার সবচেয়ে ধীর গতির অর্ধশতরান। রোহিত রান পেলেও তাঁর এই পারফরম্যান্স কিন্তু নানান প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে। যদিও রোহিত শর্মার হাত ধরে এদিন ভারত শুরুটা অবশ্য ভালোভাবে করতে পেরেছিলেন। বিরাট কোহলি এদিনও শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরেছিলেন। সেখানে দাঁডিয়ে রোহিতের এই পারফরম্যান্স তাঁর ওডিআই বিশ্বকাপে থাকার পথটা যে খানিকটা হলেও দৃড় করল তা বলাই যায়।
অধিনায়ক গিলের অভিষেক ম্যাচে ব্যর্থ রোহিত, কোহলি, শুরুতেই হার ভারতের

দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে শুরুটা একেবারেই ভালো হল না রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলির(Virat Kohli)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই ম্যাচে ৭ উইকেটে হারল ভারত। রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) করলেন ৮ রান। বিরাট কোহলি শূন্য রানেই ফিরলেন। সেইসঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্নও তুলে দিলেন তারা। এই ম্যাচ দিয়েই আূবার ওডিআই অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক হয়েছিল শুভমন গিলের(Shubman Gill)। কিন্তু হার দিয়েই যাত্রাটা শুরু করতে হল তাদের। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ। টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার। শুরু থেকেই ভারতের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ওপেনিংয়ে যেমন রোহিত শর্মা ব্যর্থ। তেমনই মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা বিরাট কোহলি আবারও সেই পুরনো দুর্বলতার কাছেই হার মানলেন। শূন্য রানেই ফিরলেন তিনি। অধিনায়ক গিল করেন ১০ রান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন কেএল রাহুল। ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৩৬ রানে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ওভার কমে দাঁড়িয়েছিল ২৬। সেখানে ভারতের ১৩৬ রান অস্ট্রেলিয়ার কাছে অনেকটাই সহজ লক্ষ্য ছিল। তাড়াতাড়ি অস্ট্রেলিয়া দুটো উইকেট হারালেও, মিচেল মার্শের ৪৬ রানের দুরন্ত ইনিংস। সেইসঙ্গে ফিলিপের ৩৭ এবং রেনেশর ২৪ রানে ভর করে ২৯ বলে বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
বিরাট, রোহিতের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খুললেন শুভমন গিল

বাইরে নানান কথাবার্তা চললেও, রোহিত(Rohit Sharma) এবং বিরাটের(Virat Kohli) সঙ্গে শুভমন গিলের(Shubman Gill) সমীকরণে যে কোনওরকম বদল আসেনি তা ম্যাচে নামার আগেই স্পষ্ট করে দিলেন ভারতীয় ওডিআই দলের নতুন অধিনায়ক। তাঁর সাফ বার্তা, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির(Virtat Kohli) সঙ্গে আগেও যেমন সম্পর্ক ছিল অধিনায়ক হওয়ার পর তা যেন আরও ভালো হয়েছে। বরং এখন নাকি প্রতি ক্ষেত্রেই রোহিত শর্মাদের নানান ব্যপারে পরামর্শ পাচ্ছেন শুভমন গিল। অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের দল ঘোষণার আগেই সকলকে চমকে দিয়েছিল বিসিসিআই(BCCI)। ভারতীয় ওডিআই দলের অধিায়ক হয়েছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। সেই থেকেই শুরু হয়েছিল নানান জল্পনা। রোহিত শর্মাকে সরানো নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তেমনই নতুন অধিনায়ক হিসাবে শুভমন গিলের(Shubman Gill) সঙ্গে রোহিত(Rohit Sharma), বিরাটদের কেমন সম্পর্ক হবে তা নিয়েও নানান কথাবার্তা হচ্ছিল। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামছে ভারত(India Cricket Team)। তার আগেই বিরাট বার্তা দিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তাঁর সাফ জবাব, “বাইরে যাই কথাবার্তা চলুক না কেন, আমার মনে হয় আমাদের তিন জনের মধ্যে সম্পর্ক একেবারেই ঠিক রয়েছে। আর সেটাই অত্যন্ত সাহায্য করছে। বিশেষ করে পিচ থেকে নানা বিষয়ে তারা যা জানে বা বুঝছে সেটা জানতে বারবারই তাদের কাছে আমি যাই। সেইসঙ্গে আমার জায়গায় তারা থাকলে কী সিদ্ধান্ত নিতেন সে ব্যপারেও আমি জানতে চাই। প্রত্যেকের থেকে নানা ভাবনার ব্যপারটা জানার পরই আমি আমার মতো করে সিদ্ধান্ত নেই”। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ওডিআই সিরিজ দিয়েই ফের দেশের জার্সিতে মাঠে নামছেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সামনেই রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপ(Odi World Cup)। তার আগে যে রোহিত এবং বিরাটের পারফরম্যান্সের দিকেই সকলে তাকিয়ে রয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অস্ট্রেলিয়া পৌঁছতে বিরাট, গিলদের সময় বিভ্রাট

দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় একেবারে ভোরে অস্ট্রেলিয়া(Australia) পৌঁছল টিম ইন্ডিয়া(India cricket Team)। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হল শুভমন গিল(Shubman Gill), বিরাট কোহলিদের(Virat Kohli)। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিমান ছাড়তে দেরী করাতেই নাকি এতক্ষণ অপেক্ষা করতে হল ভারতীয় দলকে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় ভোর চারটের সময় পার্থে পৌছলেন রোহিত(Rohit Sharma), বিরাট(Virat Kohli), শ্রেয়সরা। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নামবে টিম ইন্ডিয়া। দীর্ঘদিন পর ফের বিরাটদের দেশের জার্সিতে দেখার অপেক্ষায় সকলে। অস্ট্রেলিয়ার তরফে জানা গিয়েছে দিল্লি থেকেই নাকি বিরাটদের(Virat Kohli) বিমান প্রায় চার ঘন্টা দেরীতে পৌঁছেছিল। আর সেটাই নাকি পার্থে পৌঁছতে দেরী হওয়ার প্রধান কারণ। আসল সমস্যাটা হয়েছিল সিঙ্গাপুরে বিমান রিশিডিউলিংয়ের জন্য। আর সেই কারণেই নাকি দিল্লি থেকে বিমান উড়তে প্রায় চার ঘন্টা দেরী হয়ে গিয়েছিল। বিরাট, রোহিত, গিল সহ গোটা দলই একেবারে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিমান বন্দরে। কিন্তু তাদেরকেও বিমানেই বসে থাকতে হল দীর্ঘক্ষণ সময়। টেস্ট ও টি টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার পর ভারতের হয়ে এখন শুধুমাত্র ওডিআই ফর্ম্যাটেই খেলতে দেখা যাবে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে। তাদের পারফর্ম্যান্সের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। বিশেষ করে আগামী ২০২৭ সালে রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপ। এই সিরিজটা যে বিরাট ও রোহিতের কাছেও বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার অন্যতম প্রধান মঞ্চ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজ দিয়ে ভারতীয় দলও যে ওডিআই বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা শুরু করে দিতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার আগে এই সময় বিভ্রাট-টা যে খানিকটা হলেও ভারতীয় ক্রিকেটারদের সমস্যা বাড়িয়েছে তা বেশ স্পষ্ট। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। এবার শুধুই মাঠে নামার অপেক্ষায় সকলে।
গিলের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু রোহিত, কোহলির

শুভমন গিলের(Shubman Gill) নেতৃত্বে যাত্রা শুরু রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলির(Virat Kohli)। বুধবার দিল্লি থেকে এক বিমানেই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিল ভারতীয় ক্রিকেটের এই ত্রয়ী। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই ভাইরাল। দীর্ঘদিন পর ফের দেশের জার্সিতে মাঠে দেখা যেতে চলেছেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলিকে(Virat Kohli)। সঙ্গে নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলকেও। অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওয়া দেওয়ার আগে রো-কো-র সঙ্গে খোশ মেজাজেই দেখা গেল শুভমন গিলকেও(Shubman Gill)। এই অস্ট্রেলিয়া(Australia) সিরিজ দিয়েই ভারতের ওডিআই ফর্ম্যাটের অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক হতে চলেছেন শুভমন গিলের(Shubman Gill)। সেইসঙ্গে দীর্ঘদিন পর ফের একবার মাঠে দেখা যেতে চলেছে রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলিকে(Virat Kohli)ও। মাঠের বাইরে এই মুহূর্তে তাদেরকে নিয়ে নানান কথাবার্তা চললেও, মাঠের ভিতর যে রোহিত, কোহলি এবং গিলের সম্পর্কের সমীকরণ একেবারেই বদলায়নি, তা বিসিসিআইয়ের দেওয়া এই ভিডিও থেকেই স্পষ্ট। আইপিএল চলার মাঝেই টেস্ট ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। শেষবার তাদেরকে দেশের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। এরপর থেকে আর ভারতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি দুই তারকা ক্রিকেটারকেই। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েই এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি জল্পনা। তারই মাঝে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ খেলতে নামবেন রোহিত এবং কোহলি। 𝙀𝙣 𝙧𝙤𝙪𝙩𝙚 𝘿𝙤𝙬𝙣 𝙐𝙣𝙙𝙚𝙧 ✈️ Of familiar faces and special reunions as #TeamIndia depart for the Australia challenge 😍#AUSvIND pic.twitter.com/ElV3OtV3Lj — BCCI (@BCCI) October 15, 2025 আগামী ২০২৭ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ তারা খেলবেন কিনা সেটা তো সময়ই বলবে। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের পারফরম্যান্সের দিকেই নজর রয়েছে সকলের। অস্ট্রেলিয়ান পিচে বরাবরই সফল হয়েছেন বিরাট কোহলি। রোহিত শর্মারও সাফল্য রয়েছে এখানে। এই সিরিজেও যে ভারতীয় দলের প্রধান ভরসা হয়ে উঠতে চলেছেন তারা তা বলাই বাহুল্য। সেইসঙ্গে শুভমন গিলের(Shubman Gill) নেতৃত্বের দিকেও নজর রয়েছে। টেস্টে রোহিত শর্মার উত্তরসূরী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ড্রয়ের পর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়। একেবারে হোয়াইট ওয়াশ। তবে এবার চ্যালেঞ্জটা অনেকটাই কঠিন। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে তাদের ঘরের মাঠে নামতে হবে ভারতীয় দলকে। সেখানেই আবার অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক হতে চলেছে শুভমন গিলের। ফলে চাপ যে খানিকটা রয়েছে তাঁর উপর তা বেশ স্পষ্ট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে ভারত ওডিআই সিরিজ জিতে শুরুটা করতে পারে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।