বিরাটকে অধিনায়ক করে ইংল্যান্ডে দল পাঠানো হোক: সিধু

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পাঠানো বিরাট কোহলির একটা ই-মেল ( টেস্ট ক্রিকেট খেলার ইচ্ছে নেই) কত কিছু বদলে দিয়েছে। এখন বিরাটের কথা তাঁদের মনে পড়ছে। তাঁদের মানে সিনিয়র দলের নির্বাচক ও বোর্ড কর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন। যেভাবেই হোক তাঁরা বিরাটকে ইংল্যান্ডের বিমানে তুলে দিতে পারলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। এই অবস্থায় ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু এক সহজ রেসিপি বাতলে দিলেন। নির্বাচকদের বলছেন, রোহিত নেই। এখন বিরাটকে অধিনায়ক করে ইংল্যান্ডে দল পাঠানো হোক। ইংল্যান্ডের মাঠে বিরাটের মতো একজনকে দরকার। শুধু বাইশ গজে লড়াই করার জন্য নয়, প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতে হলে তাদের চোখে চোখ রেখে এগোতে হবে। কথা বলতে হবে। অন্তত সাত বা আটমাসের জন্য বিরাট অধিনায়ক থাকুক। স্টপগ্যাপ অধিনায়ক হিসেবে কাজ চালাক বিরাট। তারপর জুনিয়র কাউকে অধিনায়ক করা যেতে পারে। এতে সব দিক থেকেই লাভ হবে। নির্বাচক ও বোর্ড কর্তারা এটা ভেবে দেখতে পারে। টেস্ট ক্রিকেট থেকে রোহিত অবসরে । বিরাটও দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড না গেলে আগেই হেরে যাওয়া মানসিকতা নিয়ে ভারত মাঠ নামবে। দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অনেকদিন ধরে টেস্ট খেললেও তাঁদের মানসিকতা সেই পর্যায়ে নেই। এখানে দরকার সেয়ানে টক্কর দেওয়ার কোন একজন ক্রিকেটারকে। সেটা বিরাট সামনে থাকলে হবে। কিন্তু তিনি বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন আর টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন না। এখানেই সমস্যা বেড়েছে। আবার সিধুর ভাবনার সঙ্গে একমত নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তারা স্টপগ্যাপ অধিনায়কের থিওরিতে যেতে নারজ। এখন বিরাটকে দলের শহ্গে যেতে হলে একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে থাকতে হবে। সেটা কি বিরাট মেনে নেবেন। তার থেকেও বড় কথা সিদ্ধান্ত বদলে তিনি কি আবার টেস্ট ক্রিকেট খেলতে মাঠে নামবেন! এক ভিডিও বার্তায় সিধু বলেছেন, বিরাটের ভাবনা সঠিক। নিজেকে বিচার করলে বলতে হবে মহৎ। কিন্তু সময়ের গরমিল করে ফেলেছে। এটা উপযুক্ত সময় নয়। ভারতীয় দল একটি কঠিন সিরিজ খেলতে যাচ্ছে। এই সময় নিজের থেকেও দেশ বা দল আগে। সেট মাথায় রাখতে হবে। এতদিন দেশের জন্য অনেক ঘাম ঝরিয়েছে। দেশকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। কিন্তু সেটা তো পুরো শেষ হয়ে যায়নি। কাজ এখন বাকি। এখনও ওকে ছুটতে হবে। ওর মধ্যে এখনও ক্রিকেট আছে। ফিটনেসের দিক থেকে প্রশ্ন নেই। তা হলে কেন সরে যাবে! তাঁর ভিডিও বার্তায় সিধু নিজের অভিষেক ম্যাচের কথা টেনে এনেছেন। বলেছেন ১৯৮৭ বিশ্বকাপের এক কঠিন ম্যাচের আগে সুনীল গাভাসকর প্রচন্ড জ্বরে কাহিল হয়ে পড়ে। ১০৩ জ্বর। খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তো কপিল দেব ওর ঘরে ঢুকে জানেত চাইল কেমন আছ। সুনীল বলল ৫০ ভাগ ফিট বলতে পারি। শুনে কপিলের মুখে হাল্কা হাসি। কপিল বুঝে যায়, পরের ম্যাচে সুনীলকে পাওয়া যাবে। কী করে বুঝল কপিল। প্রশ্ন করলে কপিল বলে, সুনীল বলেছে ৫০ ভাগ ফিট। আমি বিশ্বাস করি, সুনীল ৫০ ভগ ফিট মানে অন্য যে কোনও ক্রিকেটারের ১০০ ভাগ ফিটের থেকেও বেশি। তাই ও খেলবে। বিরাট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেন হঠাৎ করে ৩৮ বছর আগের ঘটনাকে টেনে আনলেন সিধু। আসলে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, বিরাট ফিট। অবশ্যই ম্যাচ ফিট। তাই ওকে মাঠে নামিয়ে দিলে বাকি কাজ ও নিজে করে দেবে। তার জন্য আগে যা করতে হবে, সেটা নির্বাচক বা বোর্ড কর্তারা করুক। সেটা হলে বিরাটকে নিয়ে মনে হয় না চিন্তা থাকবে।