অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় সিনারের ব্যাগ খোলার চেষ্টা সমর্থকের!

যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছেন জ্যানিক সিনার। চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে। সিনার তখন ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, সুভেনির বিলোচ্ছেন। তখনই নিরাপত্তা রক্ষী দেখলেন এক ভক্ত সিনারের ব্যাগ খোলার চেষ্টা করছেন! সঙ্গে সঙ্গে সেই ভক্তকে সরালেন কোর্ট থেকে। সিনারও বুঝতে পেরে সমর্থকদের ভিড় থেকে সরে গিয়ে ব্যাগ নিয়ে দ্রুত লকার রুমের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন। ব্যাগ থেকে নিশ্চয়ই কিছু খোয়া যায়নি। না হলে ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে সিনার নিশ্চয়ই কিছু বলতেন। বরং সাংবাদিকদের উদ্দেশে তার বক্তব্য, “এই প্রথম এখানে রাতে ম্যাচ খেললাম। খেলাও এই কারণে আরও ভাল হয়েছে। উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ রাতে ম্যাচ দেওয়ার জন্য। সমর্থকদেরও ধন্যবাদ আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।” চতুর্থ রাউন্ডে বুবলিককে স্ট্রেট সেটে হারিয়েছেন জ্যানিক সিনার। এই টুর্নামেন্টে বুবলিক ছিলেন ২৩তম বাছাই। প্রথম তিনটি রাউন্ডে নিজের সার্ভিসে একটাও পয়েন্ট খোয়াননি। সিনারের সামনে তাকে অসহায় দেখাল। বুবলিকের সার্ভিস ভেঙেছেন আট বার। সিনারের ফোরহ্যান্ড টপস্পিনের কোনও জবাব বুবলিক দিতে পারেননি। ২০২৩ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে অপরাজিত হয়ে আছেন জ্যাক সিনার। এবার দেখা যাক তার সেই কীর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে কি না।
ফরাসি ওপেনের মধুর প্রতিশোধ! উইম্বল্ডনে শেষ হাসি সিনারের

আলকারাজ়কে হারিয়ে প্রথমবার উইম্বলডন জিতলেন ইয়ানিক সিনার। ফরাসি ওপেনে আলকারাজের কাছেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন। উইম্বল্ডনও চ্যাম্পিয়ন হলেন এই প্রথম কোনও ইতালিয়ান খেলোয়াড়। সিনার জিতেছেন জিতেছেন ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ ফলে। লড়াই চলল তিন ঘণ্টা চার মিনিট ধরে। ৪০-০ এগিয়ে থেকে একটি পয়েন্ট খুইয়েছিলেন আলকারাজ়ের কাছে। কিন্তু এমন একটা ‘এস’ সার্ভিস মারলেন যার কোনও জবাব ছিল না আলকারাজ়ের কাছে। দু’হাত দু’পাশে ছড়িয়ে কিছুক্ষণ দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ করেন সিনার। এর পর হাঁটু মুড়ে র্যাকেটে মাথা ভর দিয়ে কোর্টেই কিছু ক্ষণ বসে থাকেন। দু’বার হাতের তালু দিয়ে কোর্টের ঘাস চাপড়েই চলে যান গ্যালারিতে কোচেদের কাছে। ২০০৬-২০০৮, টানা তিন বছর ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন ফাইনাল খেলেছিলেন রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল। এর মধ্যে ২০০৮-এর উইম্বলডন ফাইনালকে শতাব্দীর সেরা টেনিস ম্যাচ হিসাবে ধরা হয়। সুরকির কোর্টের রাজা নাদাল হারিয়ে দিয়েছিলেন ঘাসের কোর্টের রাজা ফেডেরারকে। আলকারাজ় নিজেও এখনকার সুরকির কোর্টের রাজা। তবে সিনার ঘাসের কোর্ট নন, বরং স্বচ্ছন্দ হার্ডকোর্টে খেলতে। তাঁর তিনটে গ্র্যান্ড স্ল্যামের তিনটেই হার্ডকোর্টে। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠে হেরেছেন। তবে উইম্বলডনে সেই ভুল করলেন না। ভবিষ্যতে ফেডেরার বা জোকোভিচের জায়গা নেবেন কি না, তা সময় বলবে। তবে রবিবার সিনারের আগ্রাসন এবং কৌশলী টেনিস বুঝিয়ে দিল, আলকারাজ় হয়তো আর উইম্বলডনে একচ্ছত্র দাপট দেখাতে পারবেন না। উইম্বলডনে আলকারাজ়ের টানা ২৪টি ম্যাচ জেতার দৌড়ও এ দিন থেমে গেল।
শুরুতেই ঝড় তুললেন সিনার

উইম্বলডনের শুরুতেই ঝড় তুলে দিলেন শীর্ষস্থানে থাকা সিনার।
সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ

গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।
উইল্যান্ডারের চোখে আলকারাজ-সিনার মানবযন্ত্র

ম্যাচের পর সিনারের সঙ্গে আলিঙ্গনে আবদ্ধ আলকারাজ।
প্যারিসকে বিদায় জানালেন জকোভিচ !

হারার পর কোর্ট ছেড়ে বেরিয়া আসার আগে দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করলেন জকোভিচ। শুক্রবার।
সিনারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন জকোভিচ

প্রত্যাবর্তনের লড়াই জিতে ফিরে এলেন জকোভিচ।
স্বমূর্তি ধারণ করছেন সিনার

ইতালিয়ান ওপেনে ধীরে ধীরে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন সিনার।
পোপকে খেলার প্রস্তাব দিলেন সিনার

পোপের হাতে রাকেট তুলে দিয়ে খেলার প্রস্তাব দিলেন সিনার
বিতর্কিত সিনার এবার কোর্টে নামছেন

তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফের টেনিস কোর্টে ফিরতে চলেছেন জাহ্নিক সিনার। ২৬ জানুয়ারি শেষবার তাঁকে কোর্টে নামতে দেখা গিয়েছিল। তারপর ওয়াডার নির্দেশে পুরোপুরি টেনিস কোর্ট থেকে দূরে সরে যেতে হয়। সেই সিনার ওয়াডার ঘোষিত শাস্তির মেয়াদ কাটিয়ে ফিরতে চলেছেন টেনিস কোর্টে। ৪ মে শুরু হবে ইতালিয়ান ওপেন। সেই প্রতিযোগিতায় তিনি খেলবেন বলে জানিয়েছেন। হামবুর্গ ওপেনেও তঁার খেলার কথা। আসলে ফরাসি ওপেনে নামার আগে যতটা সম্ভব প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে চাইছেন। যাতে নিজেকে পুরোপুরি ম্যাচ ফিট হয়ে নিজের সুনাম বজায় রাখতে পারেন। সিনারের শাস্তি ঘোষণাকে কোনও টেনিস তারকা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তিনি নিষিদ্ধ ক্লোস্টেবল নিয়েছিলেন। দু-দুবার পরীক্ষায় দেখা যায় সিনার ব্যর্থ। ফলে ওয়াডা ইতালীয়কে িতন মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তঁার শাস্তির মেয়াদ শুরু হয় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। যার দরুন মরশুমের শুরুর দিকে তিনি খেলতে পারেননি। সিনারকে ওয়াডা জানিয়ে দিয়েছিল, ১৩ এপ্রিলের আগে তিনি কোনওমতে প্র্যাকটিশ করতে পারবেন না। স্বশাসিত ট্রাইবুনাল অনুমতি দেওয়ায় তিনি খেলতে পেরেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। এবং দুটোতেই চ্যাম্পিয়ন হন। কিন্তু ওয়াডা সিনারকে মাত্র তিন মাস সাসপেন্ড করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন টেনিস তারকারা। ওয়াডাকে দোষারোপ করে একের পর এক টেনিস তারকা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা যেমন বলেছিলেন, “খেলার উপর থেকে স্বচ্ছতা থাকার বিশ্বাসটাই উঠে গেল। এরপর থেকে টেনিসে স্বচ্ছতা থাকবে বলে মনে হয়না।” নিক কুরিয়র তো সরাসরি বলে দিয়েছিলেন,“টেনিসে সততা বলে আর কিছু নেই।” মেদভেদেভ ওয়াডার নাম এনে বলে ছিলেন, “এবার থেকে যারা নিষিদ্ধ কিছু সেবন করবে তারা শাস্তির কবলে পড়লে ওয়াডার সঙ্গে বসে যেতে পারে। তাহলে নিশ্চয় শাস্তির মেয়াদ কমে যাবে।” জকোভিচও পরে বলেছিলেন, “সিনারের শাস্তির মেয়াদ নিয়ে ওয়াডা যা করল তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বজুড়ে কেউই মেনে নিতে পারছে না। সিনারকে মাত্র তিন মাস শাস্তি দিয়ে ওয়াডা তার ভাবমূর্তি নষ্ট করল। ভাবমূর্তি নষ্ট হল টেনিসেরও। যথেষ্ট পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। কেউ নামী হলে তার শাস্তির মেয়াদ অন্যরকম হতে পারে না।” এমনিতেই সিনার কোনঠাসা। তারউপর শাস্তির মেয়াদ কাটিয়ে কোর্টে ফিরে আসছেন। ফলে তঁাকে যে আগের জায়গায় পাওয়া যাবে না তা নিশ্চিত। বিশ্ব ক্রমতালিকায় তিনি ছিলেন শীর্ষে। এখন তঁাকে ছন্দ খুঁজে পেতে সময় লাগবে। তাই সিনার বলেছেন, “প্র্যাকটিশে কোনও ফঁাকি দিইনি ঠিকই। কঠোর অনুশীলন করেছি। আশাকরছি ক্লে মরশুমের আগে হারানো গতি কিছুটা ফিরে পাব। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার পক্ষে পুরোন জায়গায় ফিরে আসা মোটেই সহজ হবে না।” ওয়াডা জানিয়ে দিয়েছিল ১৩ এপ্রিলের আগে তাঁর টিমকে নিয়ে তিনি আদৌ প্র্যাকটিশে নামতে পারবেন না। এমন কী তাঁর কোচ সিমোন ভ্যাগনোজির থেকে দূরে থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিক ভাবে যাতে সক্রিয় থাকতে পারেন তারজন্য একটা বিস্তারিত প্ল্যান তৈরি করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি নিজেকে যতটা ফিট রাখা যায় তাই করার চেষ্টা করেছেন। তবে তিন মাসের মধ্যে অনেক কিছু ইতিবাচক দিক খঁুজে পেয়েছেন ইতালীয় তারকা। “তিন মাসের মধ্যে অনেক কিছু ইতিবাচক দিকও খুঁজে পেয়েছি। যাবতীয় ঝামেলা থেকে দূরে ছিলাম। পরিবার, বন্ধুদের সাথে যথেষ্ট সময় কাটিয়েছি। তাছাড়া নিজেকে খুঁজে পেলাম। চেষ্টা করেছি কোথায় দঁাড়িয়ে আছি তা খুঁজে বের করতে।”