গুগ্ল খুলে ‘বিলিভ’ শব্দের স্ক্রিনশট নিয়ে মাঠে এসেছিলেন সিরাজ, সেই বিশ্বাসই জেতাল ওভালে!

ওভাল টেস্টে শেষ হাসি শুবমান গিলের ভারতের! জো রুট আর হ্যারি ব্রুক যে আধিপত্য নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন তাতে যে কোনও দলই জিততে পারত। ভারতের দরকার ছিল চারটি উইকেট। ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। কিন্তু ভারতকে যিনি জয় এনে দিলেন, সেই মহম্মদ সিরাজ ম্যাচের সেরার পুরস্কার হাতে জানালেন, নিজের প্রতি বিশ্বাসই তাঁর সাফল্যের আসল কারণ। সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই গুগ্লে একটি জিনিস খুঁজেছিলেন সিরাজ। ‘বিলিভ’ লেখা একটি ছবি খুঁজে সেটিকেই মোবাইলের ওয়ালপেপার হিসাবে ‘সেভ’ করেছিলেন। মোবাইল খুলতে গেলেই যাতে সেটি চোখে পড়ে। নিজের প্রতি এই বিশ্বাসই পঞ্চম দিন সিরাজের সেরাটা বার করে এনেছে। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তেলঙ্গানা পুলিশের ডিএসপি। বলেছেন, “আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বিশ্বাস ছিল যে আমি কিছু একটা করে দেখাতে পারব। গুগ্ল থেকে একটা ‘বিলিভ’ লেখা ছবি নিয়ে সেটাকেই মোবাইলের ওয়ালপেপার হিসাবে রেখেছিলাম। বিশ্বাস ছিল যে আমি কিছু একটা করতে পারি। অবশেষে সফল হয়েছি।” প্রথম দিন থেকে কঠোর পরিশ্রম করার কারণেই যে ভারত সিরিজ় ড্র রাখতে পেরেছে এটা জানিয়ে দিয়েছেন সিরাজ। বলেছেন, “আমরা প্রথম দিন থেকে লড়াই করেছি। বল করার সময় চেষ্টা করেছি ধারাবাহিক ভাবে একই জায়গায় বল রেখে যাওয়ার। বিপক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছি। যা পেয়েছি সেটা আমার কাছে উপরি পাওনা।”
লর্ডসের হারেও ইতিবাচক শিক্ষা সিরাজের

মুখ খুললেন মহম্মদ সিরাজ। লর্ডস টেস্টে হেরেও অন্যতম নায়ক তিনি। ক্রিকেট ইতিহাসের আর্কাইভে ঢুকে পড়েছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেল পড়ে যাওয়ার পর উইকেটের সামনে বসা সিরাজের চোখের জলের ছবি! সেই ফাস্ট বোলার ম্যাচের পরের দিন মাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, “কিছু কিছু ম্যাচ সারা জীবন মনে থাকে। ফলাফলের জন্য নয়, আপনি সেই ম্যাচ থেকে কী কী ইতিবাচক শিক্ষা পেলেন তার জন্য।” অর্থাৎ লর্ডস টেস্ট থেকে যে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন সেটাই উঠে এসেছে সিরাজের লেখায়। ম্যাচের পর টেস্টে চার উইকেট নেওয়া সিরাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন নাসের হুসেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “কোহলির মতো আবেগ রয়েছে ওর। সেই জন্যই কোহলির অধীনে অত ভাল খেলেছে। যদি ওকে তাতিয়ে দিয়ে মাঠে ছেড়ে দেন, তা হলে ওর চেয়ে বিপজ্জনক আর কেউ নেই। নিখুঁত বলের লাইন রেখে অলি পোপকে আউট করেছে। ওর মতো কাউকে আপনি সব সময় দলে চাইবেন। ভারতের সমর্থকেরাও চায় সিরাজের মতো আবেগপ্রবণ ক্রিকেটারকে দলের হয়ে দেখতে।”
অপেক্ষার অবসান ঘটল সিরাজের

একের পর এক উইকেট নিয়ে এভাবেই উদযাপন করেছেন সিরাজ।